get up and go
পুঁজিবাজার (শেয়ারবাজার) কেলেঙ্কারির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দুই দিনের মধ্যে প্রকাশ এবং ওই তদন্তে যাঁরা চিহ্নিত হয়েছেন, রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে শেয়ারবাজারে কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করারও। রিট আবেদনটির ওপর হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী গতকাল সোমবার এ রিট আবেদন দাখিল করেন। বিচারপতি সৈয়দ মো. জিয়াউল করিম ও বিচারপতি এ এন এম বশিরউল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তবে আদালত আজ মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। পুঁজিবাজারে খোয়ানো অর্থ উদ্ধার এবং তা বিনিয়োগকারীদের কেন ফেরত দেওয়া হবে না, প্রতিবেদন প্রকাশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং প্রতিবেদনে পুঁজিবাজার বিপর্যয়ের সঙ্গে জড়িত হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কার্যকর বিচার কেন নিশ্চিত করা হবে না, এর কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করতেও আবেদন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদন সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিল করারও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী, সারোয়ার আহাদ, এখলাসউদ্দিন ভুঁইয়া, মাহবুবুর রহমান খান ও মাহবুবুল ইসলাম নামের পাঁচ আইনজীবী রিট আবেদনটি দাখিল করেন।
সরকারের পক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অর্থসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসংক্রান্ত সচিব, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (এসইসি) চেয়ারম্যান, ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান নির্বাহী, ডিএমপি কমিশনার ও মতিঝিল থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়েছে রিট আবেদনে। চলতি বছর পুঁজিবাজারে ব্যাপক ধসের কারণ অনুসন্ধানে কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটি গত ৭ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। কিন্তু এ প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। এ অবস্থায় সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানিয়ে গত ১২ এপ্রিল সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এইচআরপিবির পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ লিগ্যাল নোটিশ দেন। নোটিশে শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন প্রকাশে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় গতকাল রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন দাখিল করার পর তা শুনানির জন্য বিচারপতি সৈয়দ মো. জিয়াউল করিম ও বিচারপতি এ এন এম বশিরউল্লাহর অবকাশকালীন বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু গতকালের নির্ধারিত কার্যতালিকায় মামলাটি না থাকায় আদালত শুনানি গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় দুপুরে বিচারপতিরা এজলাস ছেড়ে যাওয়ার আগমুহূর্তে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ আবেদনটির বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, আদালত আবেদনটির ওপর মঙ্গলবার শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন। রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রশাসন তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। রিট আবেদনে আরো বলা হয়, তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন প্রকাশে বাধ্য। এটা প্রেসবিজ্ঞপ্তি আকারে বা অন্য কোনো উপায়ে তা প্রকাশ করবে। কিন্তু তা প্রকাশ করেনি। রিট আবেদনে বলা হয়, সিকিউরিটিজ এঙ্জেঞ্জ অধ্যাদেশ অনুযায়ী শেয়ার কেনাবেচায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব সৃষ্টিকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নাগরিকদের অর্থনৈতিক বিপর্যয় হলেও যারা অর্থনৈতিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শেয়ারবাজারে দরের ব্যাপক উত্থান-পতনের মধ্যে গত বছরের শেষ ভাগে অস্থির হয়ে ওঠে পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ ও ভাঙচুরও করেন। এর পরই সরকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ কমিটির প্রতিবেদন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না করলেও তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
পুঁজিবাজার (শেয়ারবাজার) কেলেঙ্কারির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দুই দিনের মধ্যে প্রকাশ এবং ওই তদন্তে যাঁরা চিহ্নিত হয়েছেন, রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে শেয়ারবাজারে কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করারও। রিট আবেদনটির ওপর হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী গতকাল সোমবার এ রিট আবেদন দাখিল করেন। বিচারপতি সৈয়দ মো. জিয়াউল করিম ও বিচারপতি এ এন এম বশিরউল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তবে আদালত আজ মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। পুঁজিবাজারে খোয়ানো অর্থ উদ্ধার এবং তা বিনিয়োগকারীদের কেন ফেরত দেওয়া হবে না, প্রতিবেদন প্রকাশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং প্রতিবেদনে পুঁজিবাজার বিপর্যয়ের সঙ্গে জড়িত হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কার্যকর বিচার কেন নিশ্চিত করা হবে না, এর কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করতেও আবেদন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদন সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিল করারও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী, সারোয়ার আহাদ, এখলাসউদ্দিন ভুঁইয়া, মাহবুবুর রহমান খান ও মাহবুবুল ইসলাম নামের পাঁচ আইনজীবী রিট আবেদনটি দাখিল করেন।
সরকারের পক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অর্থসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসংক্রান্ত সচিব, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (এসইসি) চেয়ারম্যান, ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান নির্বাহী, ডিএমপি কমিশনার ও মতিঝিল থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়েছে রিট আবেদনে। চলতি বছর পুঁজিবাজারে ব্যাপক ধসের কারণ অনুসন্ধানে কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটি গত ৭ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। কিন্তু এ প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। এ অবস্থায় সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানিয়ে গত ১২ এপ্রিল সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এইচআরপিবির পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ লিগ্যাল নোটিশ দেন। নোটিশে শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন প্রকাশে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় গতকাল রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন দাখিল করার পর তা শুনানির জন্য বিচারপতি সৈয়দ মো. জিয়াউল করিম ও বিচারপতি এ এন এম বশিরউল্লাহর অবকাশকালীন বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু গতকালের নির্ধারিত কার্যতালিকায় মামলাটি না থাকায় আদালত শুনানি গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় দুপুরে বিচারপতিরা এজলাস ছেড়ে যাওয়ার আগমুহূর্তে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ আবেদনটির বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, আদালত আবেদনটির ওপর মঙ্গলবার শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন। রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রশাসন তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। রিট আবেদনে আরো বলা হয়, তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন প্রকাশে বাধ্য। এটা প্রেসবিজ্ঞপ্তি আকারে বা অন্য কোনো উপায়ে তা প্রকাশ করবে। কিন্তু তা প্রকাশ করেনি। রিট আবেদনে বলা হয়, সিকিউরিটিজ এঙ্জেঞ্জ অধ্যাদেশ অনুযায়ী শেয়ার কেনাবেচায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব সৃষ্টিকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নাগরিকদের অর্থনৈতিক বিপর্যয় হলেও যারা অর্থনৈতিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শেয়ারবাজারে দরের ব্যাপক উত্থান-পতনের মধ্যে গত বছরের শেষ ভাগে অস্থির হয়ে ওঠে পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ ও ভাঙচুরও করেন। এর পরই সরকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ কমিটির প্রতিবেদন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না করলেও তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।