মন্ত্রণালয় অহেতুক কারো চরিত্র হননের দায়িত্ব নিতে চায় না জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, 'প্রয়োজনে' আংশিক সম্পাদনা করে শেয়ারবাজারের অস্থিরতা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন শিগগির প্রকাশ করা হবে। সোমবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনা সভার ফাঁকে এক লিখিত বিবৃতিতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। মুহিত বলেন, "তদন্তের জন্য গঠিত কমিটির প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অধিকতর তদন্তক্রমে সার্বিক বিষয়াদি যথাশীঘ্র সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।" বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, "যে সব বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করা হবে সে সম্বন্ধে আংশিক তথ্য প্রয়োজনে সম্পাদনা করে উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রণালয় অহেতুক চরিত্র হননে কোনো অবদান রাখতে চায় না বলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব নিয়েছে।" তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ গত বৃহস্পতিবার সকালে হেয়ার রোডে অর্থমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে প্রতিবেদনটি জমা দেন। ওইদিন সন্ধ্যায় মন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পুুঁজিবাজারের অস্থিরতার পেছনে প্রতিবেদনে কয়েকজন ব্যক্তির নাম এসেছে। স্বল্প সময়ে তদন্ত করতে গিয়ে কমিটি এসব ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিতে পারেনি বলে এই মুহূর্তে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না বলে জানান তিনি। তবে প্রতিবেদনটি পড়ার পর প্রয়োজনে নামগুলো বাদ দিয়ে তা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মুহিত। অর্থমন্ত্রী নাম প্রকাশ না করলেও সেদিন বলেছিলেন, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার জন্য কোনো ব্যক্তি দায়ী হয়ে থাকলে তিনি যত ক্ষমতাধরই হোন না কেন, শাস্তি পেতেই হবে। এদিকে গত তিন দিনে ওই অপ্রকাশিত প্রতিবেদন ও তদন্ত কমিটির প্রধান ইব্রাহিম খালেদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, অন্তত ৬০ জনের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবেদনে প্রশ্ন তুলেছে তদন্ত কমিটি। এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার নামও রয়েছে। ওই দিনের সংবাদ সম্মেলনের প্রসঙ্গ টেনে রোববার অর্থমন্ত্রীর বিবৃতিতে বলা হয়, "আমার উদ্ধৃতি টেনে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদসমূহ সম্পূর্ণভাবে সঠিক নয়। দুঃখের বিষয় যে, এই আংশিক খবরের ওপর নির্ভর করে দায়িত্বপূর্ণ অবস্থান থেকে নানা ধরনের মন্তব্য ও দাবি-দাওয়া উত্থাপন করা হচ্ছে।" মন্ত্রী বলেন, "আমি বলেছিলাম, প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে, তবে সেটি পড়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে গুজব সম্বন্ধে আমার মন্তব্য করা সাজে না।" সাংবাদিকদের মুহিত বলেন, সেদিন তিনি ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদনটি প্রকাশের ব্যবস্থা করার কথা বললেও বর্তমান পরিস্থিতিতে আরো আগেই সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
Finance Minister AMA Muhith on Sunday reiterated that the parts of the probe report on stockmarket scam would be edited and investigated before making it public.
"The ministry has taken the responsibility to look into the whole report, as it does not needlessly want to play any role in humiliating anybody’s character," he said.
Muhith was talking with journalists after a pre-national budget meeting with the parliamentary standing committees on finance, planning, public accounts and government affairs at the auditorium of National Economic Council in the city.
The finance minister made the comments in an effort to appease criticisms that the government might erase names of the people widely suspected in the share market scam, as incumbent lawmakers and many pro-government businessmen were involved in it.
Muhith said: "On the day the probe committee submitted its report, I just said that the government, if necessary, might not publish unverified information."
"But without understanding my comments, it has been published and circulated that I would publish the report omitting the names, which is not correct and realistic,"
The minister said a large part of the comments attributed to him is not true. He however admitted some parts have been correctly attributed.
Muhith hinted that the probe report might be published next week.
He said the finance ministry would evaluate the probe report and conduct further investigation according to the recommendations put forward.
The minister also ruled out suggestions that the legality of the probe committee would be questioned after a new member, Supreme Court lawyer Nihad Kabir, joined the investigation team after the three-member body led by Bangladesh Krishi Bank Chairman Khondakar Ibrahim Khaled was initially formed.
Muhith categorically ruled out comments attributed to him that influential people of the stockmarkets are mightier than the state.
Finance Minister AMA Muhith on Sunday reiterated that the parts of the probe report on stockmarket scam would be edited and investigated before making it public.
"The ministry has taken the responsibility to look into the whole report, as it does not needlessly want to play any role in humiliating anybody’s character," he said.
Muhith was talking with journalists after a pre-national budget meeting with the parliamentary standing committees on finance, planning, public accounts and government affairs at the auditorium of National Economic Council in the city.
The finance minister made the comments in an effort to appease criticisms that the government might erase names of the people widely suspected in the share market scam, as incumbent lawmakers and many pro-government businessmen were involved in it.
Muhith said: "On the day the probe committee submitted its report, I just said that the government, if necessary, might not publish unverified information."
"But without understanding my comments, it has been published and circulated that I would publish the report omitting the names, which is not correct and realistic,"
The minister said a large part of the comments attributed to him is not true. He however admitted some parts have been correctly attributed.
Muhith hinted that the probe report might be published next week.
He said the finance ministry would evaluate the probe report and conduct further investigation according to the recommendations put forward.
The minister also ruled out suggestions that the legality of the probe committee would be questioned after a new member, Supreme Court lawyer Nihad Kabir, joined the investigation team after the three-member body led by Bangladesh Krishi Bank Chairman Khondakar Ibrahim Khaled was initially formed.
Muhith categorically ruled out comments attributed to him that influential people of the stockmarkets are mightier than the state.