মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ঋণ বিতরণের ব্যাপারে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আর কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। এখন থেকে ঋণ জোগানদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোই ঠিক করবে তাদের কোন গ্রাহককে কী হারে ঋণ দেবে। এ জন্য বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এবং দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে পৃথকভাবে খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে, যা ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কমিশনে জমা দিতে হবে।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও বিএমবিএ নেতাদের সঙ্গে এসইসির এক বৈঠকে গতকাল মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও নবনিযুক্ত মুখপাত্র সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঋণ বিতরণের নীতিমালা তৈরির সময় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চারটি বিষয়ের ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। এগুলো হলো: গ্রাহকের হিসাবে রক্ষিত শেয়ার বা সিকিউরিটিজের মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হবে তা নির্ধারণ, ঋণের সর্বোচ্চ হার চূড়ান্তকরণ, শেয়ারের দাম কমে গেলে ঋণ সমন্বয়ের জন্য সতর্কতা ও বিক্রি করে তা সমন্বয় বা ফোর্স সেলের প্রয়োজনীয় নিয়মাবলি ঠিক করা এবং নীতিমালা প্রণয়নের সময় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের পরামর্শ নেওয়া। এসবের ভিত্তিতে প্রণীত নীতিমালা এসইসির অনুমোদন পাওয়ার পরপরই কার্যকর হবে। সাইফুর রহমান বলেন, ঋণ বিতরণসংক্রান্ত নীতিমালা প্রতি ছয় মাস পরপর পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে। বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো এটা করতে পারবে। তবে তা কার্যকর করতে হবে প্রতিবছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসের প্রথম কার্যদিবস থেকে। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দুই স্টক এক্সচেঞ্জ তাদের সদস্য ব্রোকারেজ হাউসের কাছ থেকে প্রতি মাসের ঋণ বিতরণসংক্রান্ত বিবরণ সংগ্রহ করবে, পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যা এসইসিতে জমা দিতে হবে। তবে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো এ ধরনের তথ্য সরাসরি এসইসিতে জমা দেবে। ব্রিফিংয়ের আরও জানানো হয়, এখন থেকে বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী তালিকাভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের লেনদেন স্থগিত বা নগদ লেনদেনের বাজারে (স্পট মার্কেট) স্থানান্তরের মতো সিদ্ধান্ত স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে (এসআরও) দুই স্টক এক্সচেঞ্জ নিজেরাই নেবে। তবে বিষয়টি তার্যাক্ষণিকভাবে এসইসিকে অবহিত করতে হবে।
এসইসির মুখপাত্র বলেন, দুই স্টক এক্সচেঞ্জ যাতে এসআরও হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে, সে লক্ষ্যে পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের পরামর্শক্রমে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে বাজার স্বাভাবিক গতিতে চলবে বলেও তিনি আশা করেন।
বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এসইসিকে বিভিন্ন সময় ঋণের হার পরিবর্তনের পাশাপাশি কোনো কোনো কোম্পানির লেনদেন স্থগিত করতে হয়েছে। আর এ কাজ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সমালোচনার মুখে পড়েছে সংস্থাটি। অনেক সময় অভিযোগ তোলা হয়েছে, ঋণ নিয়ন্ত্রণের নামে এসইসির ঘন ঘন হস্তক্ষেপ বাজারকে অস্থির করতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। এ অবস্থায় বিএমবিএসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয় ঋণ বিতরণের বিষয়টি জোগানদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর এখতিয়ারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার। এ বাস্তবতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে এসইসি ঋণ বিতরণের বিষয়টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। এসইসির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার। এ সময় এসইসির সদস্য ইয়াসিন আলী, নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ, এ টি এম তারিকুজ্জামান ও সাইফুর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সভাপতি শাকিল রিজভী, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি ফখরউদ্দীন আলী আহমেদ ও বিএমবিএর সভাপতি শেখ মর্তুজা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
জরিমানা: তালিকাভুক্ত ছয়টি কোম্পানিকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে জরিমানা করেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। কোম্পানিগুলো গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া তাদের অর্ধবার্ষিক হিসাব প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো: বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, হক্বানি পাল্প অ্যান্ড পেপার, ইমাম বাটন, যমুনা অয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ।
কোম্পানিগুলো তাঁদের অর্ধবার্ষিক হিসাব প্রদান না করা পর্যন্ত ডিএসই কর্তৃপক্ষকে প্রতিদিন জরিমানার টাকা প্রদান করতে হবে বলে জানা গেছে।
===============
In a major step, the Securities and Exchange Commission (SEC) yesterday decided to let lenders take decisions on share credit and perform other tasks related to margin loan disbursement and maintenance.
The merchant banks and stockbrokers, who provide margin loans for share purchase, will however have to report to the SEC on credit disbursement and maintenance on a monthly basis so that the regulator can monitor.
Previously, the SEC had fixed the loan ratio and the lenders provided credit in line with the limit, but the regulator was facing strong criticism from experts and market intermediaries for its role in share credit.
In another move, the SEC allowed stock exchanges to take decisions on some other issues such as transfer of securities from one trading market to another, and suspension of stock trading. Earlier, the bourses acted only on instructions from the SEC.
The decisions came from SEC's meeting with merchant banks and the twin bourses. The commission's Chairman Ziaul Haque Khondker presided over the meeting, attended by presidents and chief executive officers of Dhaka and Chittagong stock exchanges, president of Bangladesh Merchant Banker's Association (BMBA), and three executive directors of the SEC.
However, the SEC handed over a task to the BMBA to make a 'guideline' on margin loan and asked the association to submit it by February 10 to the commission for regulatory approval, said Saifur Rahman, an executive director of the SEC.
"While preparing the guideline, some issues will have to be considered such as valuation method of securities in a client's portfolio, highest limit or ratio of margin loan, certain procedures on margin call or forced sell and considering the existing securities rules and regulations," he said in a press briefing.
Once the margin loan ratio is fixed, the limit can be reset after six months. "The revised loan ratio will come into effect from the first trading day of every January or July," Rahman said.
He said after the new decisions takes effect, every merchant bank will have to submit reports on previous month's loan disbursement and maintenance, while the stockbrokers will have to submit similar reports through their exchanges.
On the bourses responsibilities, he said, the stock exchanges can shift trading of securities from public market to spot market by their own decision, and can also stop trading of stocks considering the price movement or the market situation.
"They only have to inform the commission after taking such a decision," the SEC executive director said, adding: "It will help the stock exchanges to play their role as statutory regulatory organisation."
দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও বিএমবিএ নেতাদের সঙ্গে এসইসির এক বৈঠকে গতকাল মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও নবনিযুক্ত মুখপাত্র সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঋণ বিতরণের নীতিমালা তৈরির সময় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চারটি বিষয়ের ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। এগুলো হলো: গ্রাহকের হিসাবে রক্ষিত শেয়ার বা সিকিউরিটিজের মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হবে তা নির্ধারণ, ঋণের সর্বোচ্চ হার চূড়ান্তকরণ, শেয়ারের দাম কমে গেলে ঋণ সমন্বয়ের জন্য সতর্কতা ও বিক্রি করে তা সমন্বয় বা ফোর্স সেলের প্রয়োজনীয় নিয়মাবলি ঠিক করা এবং নীতিমালা প্রণয়নের সময় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের পরামর্শ নেওয়া। এসবের ভিত্তিতে প্রণীত নীতিমালা এসইসির অনুমোদন পাওয়ার পরপরই কার্যকর হবে। সাইফুর রহমান বলেন, ঋণ বিতরণসংক্রান্ত নীতিমালা প্রতি ছয় মাস পরপর পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে। বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো এটা করতে পারবে। তবে তা কার্যকর করতে হবে প্রতিবছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসের প্রথম কার্যদিবস থেকে। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দুই স্টক এক্সচেঞ্জ তাদের সদস্য ব্রোকারেজ হাউসের কাছ থেকে প্রতি মাসের ঋণ বিতরণসংক্রান্ত বিবরণ সংগ্রহ করবে, পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যা এসইসিতে জমা দিতে হবে। তবে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো এ ধরনের তথ্য সরাসরি এসইসিতে জমা দেবে। ব্রিফিংয়ের আরও জানানো হয়, এখন থেকে বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী তালিকাভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের লেনদেন স্থগিত বা নগদ লেনদেনের বাজারে (স্পট মার্কেট) স্থানান্তরের মতো সিদ্ধান্ত স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে (এসআরও) দুই স্টক এক্সচেঞ্জ নিজেরাই নেবে। তবে বিষয়টি তার্যাক্ষণিকভাবে এসইসিকে অবহিত করতে হবে।
এসইসির মুখপাত্র বলেন, দুই স্টক এক্সচেঞ্জ যাতে এসআরও হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে, সে লক্ষ্যে পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের পরামর্শক্রমে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে বাজার স্বাভাবিক গতিতে চলবে বলেও তিনি আশা করেন।
বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এসইসিকে বিভিন্ন সময় ঋণের হার পরিবর্তনের পাশাপাশি কোনো কোনো কোম্পানির লেনদেন স্থগিত করতে হয়েছে। আর এ কাজ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সমালোচনার মুখে পড়েছে সংস্থাটি। অনেক সময় অভিযোগ তোলা হয়েছে, ঋণ নিয়ন্ত্রণের নামে এসইসির ঘন ঘন হস্তক্ষেপ বাজারকে অস্থির করতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। এ অবস্থায় বিএমবিএসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয় ঋণ বিতরণের বিষয়টি জোগানদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর এখতিয়ারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার। এ বাস্তবতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে এসইসি ঋণ বিতরণের বিষয়টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। এসইসির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার। এ সময় এসইসির সদস্য ইয়াসিন আলী, নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ, এ টি এম তারিকুজ্জামান ও সাইফুর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সভাপতি শাকিল রিজভী, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি ফখরউদ্দীন আলী আহমেদ ও বিএমবিএর সভাপতি শেখ মর্তুজা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
জরিমানা: তালিকাভুক্ত ছয়টি কোম্পানিকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে জরিমানা করেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। কোম্পানিগুলো গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া তাদের অর্ধবার্ষিক হিসাব প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো: বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, হক্বানি পাল্প অ্যান্ড পেপার, ইমাম বাটন, যমুনা অয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ।
কোম্পানিগুলো তাঁদের অর্ধবার্ষিক হিসাব প্রদান না করা পর্যন্ত ডিএসই কর্তৃপক্ষকে প্রতিদিন জরিমানার টাকা প্রদান করতে হবে বলে জানা গেছে।
===============
In a major step, the Securities and Exchange Commission (SEC) yesterday decided to let lenders take decisions on share credit and perform other tasks related to margin loan disbursement and maintenance.
The merchant banks and stockbrokers, who provide margin loans for share purchase, will however have to report to the SEC on credit disbursement and maintenance on a monthly basis so that the regulator can monitor.
Previously, the SEC had fixed the loan ratio and the lenders provided credit in line with the limit, but the regulator was facing strong criticism from experts and market intermediaries for its role in share credit.
In another move, the SEC allowed stock exchanges to take decisions on some other issues such as transfer of securities from one trading market to another, and suspension of stock trading. Earlier, the bourses acted only on instructions from the SEC.
The decisions came from SEC's meeting with merchant banks and the twin bourses. The commission's Chairman Ziaul Haque Khondker presided over the meeting, attended by presidents and chief executive officers of Dhaka and Chittagong stock exchanges, president of Bangladesh Merchant Banker's Association (BMBA), and three executive directors of the SEC.
However, the SEC handed over a task to the BMBA to make a 'guideline' on margin loan and asked the association to submit it by February 10 to the commission for regulatory approval, said Saifur Rahman, an executive director of the SEC.
"While preparing the guideline, some issues will have to be considered such as valuation method of securities in a client's portfolio, highest limit or ratio of margin loan, certain procedures on margin call or forced sell and considering the existing securities rules and regulations," he said in a press briefing.
Once the margin loan ratio is fixed, the limit can be reset after six months. "The revised loan ratio will come into effect from the first trading day of every January or July," Rahman said.
He said after the new decisions takes effect, every merchant bank will have to submit reports on previous month's loan disbursement and maintenance, while the stockbrokers will have to submit similar reports through their exchanges.
On the bourses responsibilities, he said, the stock exchanges can shift trading of securities from public market to spot market by their own decision, and can also stop trading of stocks considering the price movement or the market situation.
"They only have to inform the commission after taking such a decision," the SEC executive director said, adding: "It will help the stock exchanges to play their role as statutory regulatory organisation."