চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারে গতকালও দরপতনের ধারা অব্যাহত ছিল। সপ্তাহের অন্যদিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারের নেতিবাচক চরিত্র আরো বেশি চোখে পড়েছে। মাত্র পাঁচটি কম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছে ১৮৩টি কম্পানির শেয়ারের, যা মোট লেনদেনের ৯৪ শতাংশ। শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা এবং তারল্য সংকটের কারণেই পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর পরিবর্তে দিন দিন আরো তলানিতে ঠেকছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা আগামী সপ্তাহে বাজারের তারল্য সংকট কিছুটা হলেও কাটবে বলে আশার বাণী শোনাচ্ছেন। বিশেষ করে গত সপ্তাহে মবিল যমুনা লুব্রিকেন্টের (এমজেএল) ড্র হয়ে যাওয়ায় লটারিবঞ্চিতদের টাকা এই সপ্তাহের মধ্যে ফেরত আসবে। এ টাকার এক-তৃতীয়াংশ আবারও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হবে বলে আশা করছেন আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। গতকাল কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'এমজেএল লটারি সম্পন্ন হওয়ায় সেখান থেকে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগকারীরা ফেরত পাবেন। আগামী দুই সপ্তাহে এই টাকার অন্তত ৫০০ কোটি টাকাও যদি শেয়ারবাজারে আসে, তাহলে বাজার কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে। একইভাবে এমআই সিমেন্টের ড্র দ্রুত নিষ্পন্ন করলে সেখান থেকেও প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বঞ্চিত বিনিয়োগকারীরা ফিরে পাবেন। তাই আগামী কিছুদিনের মধ্যে তারল্য সংকট কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে হচ্ছে।'এদিকে শেয়ারবাজার সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের নেতিবাচক মনোভাবের কারণেই সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তের পরও বাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে না বলে মনে করছেন একাধিক পুঁজিবাজার বিশ্লেষক। ইনভেস্টরস ফোরাম অব চিটাগংয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, 'ব্যাংকগুলো এবার ভালো ডিভিডেন্ট কিংবা রাইট শেয়ার দেবে না_এমন একটি কথা বাজারে বেশ প্রচার পেয়েছে। এতে ব্যাংক খাতের মতো ভালো মৌলভিত্তির শেয়ার কিনতেও ভয় পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।' তিনি বলেন, 'এত কিছুর পরও যেভাবে বাজার পড়ছে তাতে মনে হয় এক সময় বাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী আর থাকবেই না। এটা শেয়ারবাজারের জন্য কোনোভাবেই ভালো হবে না।' গতকাল সিএসইতে ৯১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত সপ্তাহের সর্বনিম্ন লেনদেন। এ সময় সার্বিক সূচক কমেছে ৫১১ পয়েন্ট।
Frequent changes of policies and non-professional handlings by the regulators have created the recent 'havoc' on the stockmarket, said a leading chamber yesterday.
Metropolitan Chamber of Commerce and Industry (MCCI) also said the debacle has tarnished the image of the government to some extent.
"The recent drop in the stockmarket index needs to be evaluated and analysed judiciously," said the oldest trade body in a submission at a meeting with Prime Minister Sheikh Hasina at her office.
The prime minister called upon the MCCI leaders to take initiatives to increase the purchasing capacity of the people for expanding local markets of their commodities.
"People of the country will not be able to buy commodities manufactured by the local industries if their purchasing power is not increased," Hasina said.
MCCI also demanded punishment to the responsible persons for the recent stock debacle, after a proper investigation.
The MCCI said: "Bangladesh should focus on improving governance and developing advanced market products."
The trade body's observation came at a time when the stockmarket is trying to recover from the last month's collapse, depending on the government stimulus measures.
The plunge made many small investors bankrupt.
MCCI referred to the 1996 stock crash and said this year's incident also tarnished the image of the government to some extent.
The trade body also praised some government initiatives, including construction of 33 power plants of 2,941 MW and upgrading of Dhaka Chittagong Highway into four-lane to establish regional connectivity.
"Bangladesh can become an Asian commercial hub through better land, air and sea connectivity. However, creating public opinion is needed for effective implementation of the agreements," it said.
MCCI, however, said: "The government cannot alone do this job, it needs cooperation from all other political parties and civil society."
"Once dubbed as a bottomless basket, Bangladesh is now poised to become a middle-income country by 2021," said MCCI but added that GDP would need to grow at an annual rate of at least 8 percent in the next 10 years.
The chamber urged the government to build public opinion for implementations of agreements for improved regional cooperation and connectivity, signing of Free Trade Agreements (FTA) with India, China and ASEAN, settle issues like market access with India.
The delegation, led by its newly elected President Amjad Khan Chowdhury, also wanted upgradation of capacity of standards institutions, appointment of bureaucrats in ministries with their specific field of specialisation, improvement in law and order situation, expansion of Open Market Sales points.
MCCI suggested the government avoid gas-based power plants due to their low conversion efficiency, and introduce cyclindered gas for households to reduce wastage.
The trade body urged the government to finalise the draft coal policy soon so that coal can be used to generate power.
"Relying on imported coal for our power generation will make our energy security dependent on foreign supply and the cost will be prohibitive," it said.
The MCCI praised the government initiative to build Padma Bridge but said a clear timeline for execution of different stages of this project is needed. To ensure effective utilisation of the bridge, it also suggested development of the Mongla Port.
The chamber said the public private partnership (PPP) model has a high potential to draw substantial investments.
It also called for a comprehensive PPP act.
"In our view, the complexity of the PPP mechanism demands that it be governed by a law rather than by executive guidelines," it added.
তবে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা আগামী সপ্তাহে বাজারের তারল্য সংকট কিছুটা হলেও কাটবে বলে আশার বাণী শোনাচ্ছেন। বিশেষ করে গত সপ্তাহে মবিল যমুনা লুব্রিকেন্টের (এমজেএল) ড্র হয়ে যাওয়ায় লটারিবঞ্চিতদের টাকা এই সপ্তাহের মধ্যে ফেরত আসবে। এ টাকার এক-তৃতীয়াংশ আবারও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হবে বলে আশা করছেন আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। গতকাল কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'এমজেএল লটারি সম্পন্ন হওয়ায় সেখান থেকে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগকারীরা ফেরত পাবেন। আগামী দুই সপ্তাহে এই টাকার অন্তত ৫০০ কোটি টাকাও যদি শেয়ারবাজারে আসে, তাহলে বাজার কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে। একইভাবে এমআই সিমেন্টের ড্র দ্রুত নিষ্পন্ন করলে সেখান থেকেও প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বঞ্চিত বিনিয়োগকারীরা ফিরে পাবেন। তাই আগামী কিছুদিনের মধ্যে তারল্য সংকট কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে হচ্ছে।'এদিকে শেয়ারবাজার সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের নেতিবাচক মনোভাবের কারণেই সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তের পরও বাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে না বলে মনে করছেন একাধিক পুঁজিবাজার বিশ্লেষক। ইনভেস্টরস ফোরাম অব চিটাগংয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, 'ব্যাংকগুলো এবার ভালো ডিভিডেন্ট কিংবা রাইট শেয়ার দেবে না_এমন একটি কথা বাজারে বেশ প্রচার পেয়েছে। এতে ব্যাংক খাতের মতো ভালো মৌলভিত্তির শেয়ার কিনতেও ভয় পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।' তিনি বলেন, 'এত কিছুর পরও যেভাবে বাজার পড়ছে তাতে মনে হয় এক সময় বাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী আর থাকবেই না। এটা শেয়ারবাজারের জন্য কোনোভাবেই ভালো হবে না।' গতকাল সিএসইতে ৯১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত সপ্তাহের সর্বনিম্ন লেনদেন। এ সময় সার্বিক সূচক কমেছে ৫১১ পয়েন্ট।
Frequent changes of policies and non-professional handlings by the regulators have created the recent 'havoc' on the stockmarket, said a leading chamber yesterday.
Metropolitan Chamber of Commerce and Industry (MCCI) also said the debacle has tarnished the image of the government to some extent.
"The recent drop in the stockmarket index needs to be evaluated and analysed judiciously," said the oldest trade body in a submission at a meeting with Prime Minister Sheikh Hasina at her office.
The prime minister called upon the MCCI leaders to take initiatives to increase the purchasing capacity of the people for expanding local markets of their commodities.
"People of the country will not be able to buy commodities manufactured by the local industries if their purchasing power is not increased," Hasina said.
MCCI also demanded punishment to the responsible persons for the recent stock debacle, after a proper investigation.
The MCCI said: "Bangladesh should focus on improving governance and developing advanced market products."
The trade body's observation came at a time when the stockmarket is trying to recover from the last month's collapse, depending on the government stimulus measures.
The plunge made many small investors bankrupt.
MCCI referred to the 1996 stock crash and said this year's incident also tarnished the image of the government to some extent.
The trade body also praised some government initiatives, including construction of 33 power plants of 2,941 MW and upgrading of Dhaka Chittagong Highway into four-lane to establish regional connectivity.
"Bangladesh can become an Asian commercial hub through better land, air and sea connectivity. However, creating public opinion is needed for effective implementation of the agreements," it said.
MCCI, however, said: "The government cannot alone do this job, it needs cooperation from all other political parties and civil society."
"Once dubbed as a bottomless basket, Bangladesh is now poised to become a middle-income country by 2021," said MCCI but added that GDP would need to grow at an annual rate of at least 8 percent in the next 10 years.
The chamber urged the government to build public opinion for implementations of agreements for improved regional cooperation and connectivity, signing of Free Trade Agreements (FTA) with India, China and ASEAN, settle issues like market access with India.
The delegation, led by its newly elected President Amjad Khan Chowdhury, also wanted upgradation of capacity of standards institutions, appointment of bureaucrats in ministries with their specific field of specialisation, improvement in law and order situation, expansion of Open Market Sales points.
MCCI suggested the government avoid gas-based power plants due to their low conversion efficiency, and introduce cyclindered gas for households to reduce wastage.
The trade body urged the government to finalise the draft coal policy soon so that coal can be used to generate power.
"Relying on imported coal for our power generation will make our energy security dependent on foreign supply and the cost will be prohibitive," it said.
The MCCI praised the government initiative to build Padma Bridge but said a clear timeline for execution of different stages of this project is needed. To ensure effective utilisation of the bridge, it also suggested development of the Mongla Port.
The chamber said the public private partnership (PPP) model has a high potential to draw substantial investments.
It also called for a comprehensive PPP act.
"In our view, the complexity of the PPP mechanism demands that it be governed by a law rather than by executive guidelines," it added.