শেয়ারবাজারে ঘটা সাম্প্রতিক অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. খোন্দকার
ইব্রাহীম খালেদকে এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন সদস্যের নাম আজ বুধবার ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী। গতকাল মঙ্গলবার শেরে বাংলানগরের পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের কাছে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলেন। এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, কমিটির অন্য দুজন সদস্যের নাম প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছিল। শেয়ারবাজারের সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততা থাকায় পরে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ওই দুজনের পরিবর্তে নেওয়া অন্য দুজন সদস্যের নাম বুধবার ঘোষণা
করা হবে। তবে তদন্ত কমিটি চাইলে তাঁদের প্রয়োজনে আরো সদস্য নিয়োগ দিতে পারবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, তদন্তের শর্তাবলি ও কার্যাবলি (টার্মস অব রেফারেন্স) কী কী করা হবে, তা বুধবার ঠিক করা হবে। প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দিনের সফরে যুক্তরাজ্য যাওয়ার আগেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি খতিয়ে দেখবে। কমিটি চাইলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকেই তদন্তের কাজ শুরু করতে পারবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেবে কমিটি। শেয়ারবাজার থেকে টাকা বিদেশে পাচার হওয়ার অভিযোগ গতকালও নাকচ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এটি একটি উদ্ভট কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, টাকা শেয়ারবাজারেই রয়েছে। কে কত টাকার শেয়ার কেনাবেচা করেছে, সে তথ্য সিডিবিএলের কাছে রয়েছে।
জানা গেছে, অতি মূল্যায়িত বাজারের সুযোগ নিয়ে সরাসরি তালিকাভুক্তি, বুক বিল্ডিং এবং ফিক্সড প্রাইজের মাধ্যমে অতি মূল্যায়িত শেয়ার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) এনে অস্বাভাবিক পরিমাণে অর্থ উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে চিহ্নিত করবে শেয়ারবাজার নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি। এ প্রক্রিয়ায় ইস্যু ম্যানেজার, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা, অডিট ফার্ম ও অ্যাসেট ভ্যালুয়ার কম্পানির ভূমিকাও খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি। আইপিওতে ইস্যুয়ার কম্পানির শেয়ার কিনে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাও পর্যালোচনা করবে তদন্ত কমিটি।
শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তদন্তে গঠিত কমিটির শর্তাবলি ও কার্যাবলির (টার্মস অব রেফারেন্স) খসড়ায় এ কথা বলা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউস ও তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের ব্যাঘাত ঘটিয়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল কি না, তদন্ত কমিটি তা খতিয়ে দেখবে। পুঁজিবাজারে অব্যাহত ঊর্ধ্বগতির প্রকৃতি পর্যালোচনা, পুঁজিবাজারের টেকসই অবস্থার ধারণা ও অতি মূল্যায়নের প্রকৃতি নির্ণয় করবে কমিটি। এ ছাড়া ২০১০ সালের শুরুতে ব্যাংক এবং সরকারি সেভিংস ইনস্ট্র–মেন্ট বিনিয়োগ হতে পাওয়া আয়ের তুলনায় পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদি আয়ের পর্যালোচনা করবে কমিটি। খসড়ায় আরো বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীর পরিবর্তে স্বল্পমেয়াদি ক্রেতা-বিক্রেতার অনুপ্রবেশ ও তাদের লেনদেনের ধরন তদন্ত কমিটি চিহ্নিত করবে। এ ধরনের ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা, তাদের লেনদেন করা অর্থের পরিমাণ এবং তারা কিভাবে বাজারকে প্রভাবিত করে, তাও বের করা হবে। এ ছাড়া পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান যথেষ্ঠ ছিল কি না এবং সাম্প্রতিক পরিস্থিতির বিপরীতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) নেওয়া পদক্ষেপগুলো যথাযথ ছিল কি নাÑতা খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি। শর্তাবলি ও কার্যাবলির খসড়ায় বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা করে পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে বাজারের সাম্প্রতিক অস্বাভাবিক উত্থান-পতনের বিষয়টি তদন্ত করতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠনে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের বিধি মোতাবেক এসইসি এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
শেয়ারবাজারে দ্রুত দরপতনের সময় সামগ্রিকভাবে বাজারে তারল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে তদন্ত কমিটি। এ সময় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি পর্যাপ্ত ছিল কি না কমিটি এ বিষয়ে পর্যালোচনা করবে। এ ছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও এসইসির অবকাঠামো ও সুশাসন যথাযথ ছিল কি না তাও পর্যালোচনা করবে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির মতামত ও সাক্ষ্য নিতে পারবে। কমিটির কার্যক্রমে এসইসি প্রয়োজনে সাচিবিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দেবে।
The government yesterday formed a three-member committee headed by Krishi Bank Chairman Khondkar Ibrahim Khaled to probe the massive ups and downs in the stockmarket in the last two years.
Names of the other two members of the committee and terms of reference (TOR) will be announced today.
The probe body will have to submit its report within three months.
Finance Minister AMA Muhith announced this to journalists after a meeting of the Executive Committee of the National Economic Council in the capital.
In a related development, the government yesterday made Securities and Exchange Commission's executive director Anwarul Karim Bhuiyan an officer on special duty.
Earlier, he had been transferred from the surveillance department, which monitors markets, to comparatively less important administrative division of the SEC.
The finance minister said primarily two persons were selected for the probe committee but they were dropped for their involvement in the share market.
The probe body has been entrusted with 11 tasks that include finding out if any individual or group had influenced the market or taken any undue advantages, said a finance ministry official.
Muhith said the committee can have more members and start work even today, if it wants.
He reiterated his claim that no money was drained out of the market, which is contrary to the belief of many including market analysts and observers.
"It is absurd… the money is in the market; it did not fly abroad," Muhith observed.
Ibrahim Khaled, a former deputy governor of Bangladesh Bank, has served as managing director of several public and private banks including Sonali and Agrani banks.
He also worked as the chairman and member of several committees including the one on banking sector reforms and curbing the effects of trade unionism. The reports submitted by these committees were much-talked about.
Contacted, Ibrahim said he has not received any letter about his heading the probe body, and he does not know anything about its TOR.
PROBE BODY TOR
The finance ministry has already prepared the TOR for the probe committee.
According to the TOR, the committee will find the causes behind the massive overpricing of shares over the last two years. It will also identify people and institutions that withdrew unusually high amount of money taking advantage of the overpriced market through direct listing, book building and fixed price. The role of issue manager, regulatory body, audit firm and asset valuer and company will also be looked into.
It will investigate how small investors were affected by purchasing shares of the issuer company in the case of initial public offering (IPO).
It will review overall liquidity situation and see if the SEC had sufficient efficiency and experience.
The committee will evaluate infrastructure and governance of the Dhaka Stock Exchange (DSE) and Chittagong Stock Exchange (CSE). It will also see if the existing laws and rules to regulate the capital market are appropriate and whether steps taken by the SEC against the backdrop of the volatile situation were right.
It will investigate whether banks, financial institutions, merchant banks, brokerage houses and listed companies were involved in activities aimed at disrupting normal operation of the markets and creating instability.
The committee will review the nature of the continuous upward trend in the capital market, give solutions to make the stockmarket sustainable, and determine the nature of overpricing.
It will also review comparative earnings from investment in the banks and government savings instruments in early 2010 and earnings from long-term investment in the capital market.
The committee will find out the short-term buyers and sellers in the market, instead of long-term investors, and the nature of their transactions. It will identify this group of people or institutions, find out the amount of money they transact, and their way of influencing the market.
In the last two years the share market saw a huge rise. When the present government assumed power in January 2009, the share price index was at 2,729 and the transaction in the market was Tk 379 crore.
In January 2010, the share price index was at 4,708 and in December it reached nearly 9,000. In January 2011, the market saw a big turmoil. On one occasion, the main index of Dhaka bourse fell 600 points in just five minutes, resulting in the instant stoppage of trading.
Small investors launched a massive agitation. The finance minister held several meetings with stakeholders and the government policymakers before formation of the probe committee.
Stock trading on the two bourses resumed yesterday after a two-day suspension this week.
The troubled market started climbing yesterday with around 75 percent of the traded stocks getting their highest intra-day gain.
DSE General Index jumped up 494 points, or 7.8 percent, finishing the four-hour trading session at 6,821 points.
Institutional investors joined the race in the opening few minutes but they stayed away from it seeing the stalemate in the buy-sell, insiders said, adding that over 90 percent of the transactions were done by retail investors.
The benchmark index gained 7.8 percent only as individual company circuit breaker was reduced by half.
Of the 258 securities traded on the premier bourse, 191 hit the upper price ceiling, which stops stock prices from going too much up or down in one day.
At the end of the day, gainers outnumbered losers 248 to 10.
Due to the stalemate in the buy-sell, the single turnover was very low, only Tk 206 crore on transactions of only 1.88 crore shares and mutual fund units.
Chittagong stocks also posted a sharp rise as in Dhaka. The Selective Categories Index of the Chittagong Stock Exchange jumped 687 points, 5.7 percent, to reach 12,707.
Advancers outnumbered the losers 174 to 19 with five securities unchanged on the port city bourse. It traded more than 54.32 lakh shares and mutual fund units with a value of Tk 52.81 crore.
ইব্রাহীম খালেদকে এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন সদস্যের নাম আজ বুধবার ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী। গতকাল মঙ্গলবার শেরে বাংলানগরের পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের কাছে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলেন। এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, কমিটির অন্য দুজন সদস্যের নাম প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছিল। শেয়ারবাজারের সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততা থাকায় পরে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ওই দুজনের পরিবর্তে নেওয়া অন্য দুজন সদস্যের নাম বুধবার ঘোষণা
করা হবে। তবে তদন্ত কমিটি চাইলে তাঁদের প্রয়োজনে আরো সদস্য নিয়োগ দিতে পারবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, তদন্তের শর্তাবলি ও কার্যাবলি (টার্মস অব রেফারেন্স) কী কী করা হবে, তা বুধবার ঠিক করা হবে। প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দিনের সফরে যুক্তরাজ্য যাওয়ার আগেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি খতিয়ে দেখবে। কমিটি চাইলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকেই তদন্তের কাজ শুরু করতে পারবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেবে কমিটি। শেয়ারবাজার থেকে টাকা বিদেশে পাচার হওয়ার অভিযোগ গতকালও নাকচ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এটি একটি উদ্ভট কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, টাকা শেয়ারবাজারেই রয়েছে। কে কত টাকার শেয়ার কেনাবেচা করেছে, সে তথ্য সিডিবিএলের কাছে রয়েছে।
জানা গেছে, অতি মূল্যায়িত বাজারের সুযোগ নিয়ে সরাসরি তালিকাভুক্তি, বুক বিল্ডিং এবং ফিক্সড প্রাইজের মাধ্যমে অতি মূল্যায়িত শেয়ার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) এনে অস্বাভাবিক পরিমাণে অর্থ উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে চিহ্নিত করবে শেয়ারবাজার নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি। এ প্রক্রিয়ায় ইস্যু ম্যানেজার, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা, অডিট ফার্ম ও অ্যাসেট ভ্যালুয়ার কম্পানির ভূমিকাও খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি। আইপিওতে ইস্যুয়ার কম্পানির শেয়ার কিনে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাও পর্যালোচনা করবে তদন্ত কমিটি।
শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তদন্তে গঠিত কমিটির শর্তাবলি ও কার্যাবলির (টার্মস অব রেফারেন্স) খসড়ায় এ কথা বলা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউস ও তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের ব্যাঘাত ঘটিয়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল কি না, তদন্ত কমিটি তা খতিয়ে দেখবে। পুঁজিবাজারে অব্যাহত ঊর্ধ্বগতির প্রকৃতি পর্যালোচনা, পুঁজিবাজারের টেকসই অবস্থার ধারণা ও অতি মূল্যায়নের প্রকৃতি নির্ণয় করবে কমিটি। এ ছাড়া ২০১০ সালের শুরুতে ব্যাংক এবং সরকারি সেভিংস ইনস্ট্র–মেন্ট বিনিয়োগ হতে পাওয়া আয়ের তুলনায় পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদি আয়ের পর্যালোচনা করবে কমিটি। খসড়ায় আরো বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীর পরিবর্তে স্বল্পমেয়াদি ক্রেতা-বিক্রেতার অনুপ্রবেশ ও তাদের লেনদেনের ধরন তদন্ত কমিটি চিহ্নিত করবে। এ ধরনের ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা, তাদের লেনদেন করা অর্থের পরিমাণ এবং তারা কিভাবে বাজারকে প্রভাবিত করে, তাও বের করা হবে। এ ছাড়া পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান যথেষ্ঠ ছিল কি না এবং সাম্প্রতিক পরিস্থিতির বিপরীতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) নেওয়া পদক্ষেপগুলো যথাযথ ছিল কি নাÑতা খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি। শর্তাবলি ও কার্যাবলির খসড়ায় বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা করে পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে বাজারের সাম্প্রতিক অস্বাভাবিক উত্থান-পতনের বিষয়টি তদন্ত করতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠনে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের বিধি মোতাবেক এসইসি এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
শেয়ারবাজারে দ্রুত দরপতনের সময় সামগ্রিকভাবে বাজারে তারল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে তদন্ত কমিটি। এ সময় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি পর্যাপ্ত ছিল কি না কমিটি এ বিষয়ে পর্যালোচনা করবে। এ ছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও এসইসির অবকাঠামো ও সুশাসন যথাযথ ছিল কি না তাও পর্যালোচনা করবে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির মতামত ও সাক্ষ্য নিতে পারবে। কমিটির কার্যক্রমে এসইসি প্রয়োজনে সাচিবিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দেবে।
The government yesterday formed a three-member committee headed by Krishi Bank Chairman Khondkar Ibrahim Khaled to probe the massive ups and downs in the stockmarket in the last two years.
Names of the other two members of the committee and terms of reference (TOR) will be announced today.
The probe body will have to submit its report within three months.
Finance Minister AMA Muhith announced this to journalists after a meeting of the Executive Committee of the National Economic Council in the capital.
In a related development, the government yesterday made Securities and Exchange Commission's executive director Anwarul Karim Bhuiyan an officer on special duty.
Earlier, he had been transferred from the surveillance department, which monitors markets, to comparatively less important administrative division of the SEC.
The finance minister said primarily two persons were selected for the probe committee but they were dropped for their involvement in the share market.
The probe body has been entrusted with 11 tasks that include finding out if any individual or group had influenced the market or taken any undue advantages, said a finance ministry official.
Muhith said the committee can have more members and start work even today, if it wants.
He reiterated his claim that no money was drained out of the market, which is contrary to the belief of many including market analysts and observers.
"It is absurd… the money is in the market; it did not fly abroad," Muhith observed.
Ibrahim Khaled, a former deputy governor of Bangladesh Bank, has served as managing director of several public and private banks including Sonali and Agrani banks.
He also worked as the chairman and member of several committees including the one on banking sector reforms and curbing the effects of trade unionism. The reports submitted by these committees were much-talked about.
Contacted, Ibrahim said he has not received any letter about his heading the probe body, and he does not know anything about its TOR.
PROBE BODY TOR
The finance ministry has already prepared the TOR for the probe committee.
According to the TOR, the committee will find the causes behind the massive overpricing of shares over the last two years. It will also identify people and institutions that withdrew unusually high amount of money taking advantage of the overpriced market through direct listing, book building and fixed price. The role of issue manager, regulatory body, audit firm and asset valuer and company will also be looked into.
It will investigate how small investors were affected by purchasing shares of the issuer company in the case of initial public offering (IPO).
It will review overall liquidity situation and see if the SEC had sufficient efficiency and experience.
The committee will evaluate infrastructure and governance of the Dhaka Stock Exchange (DSE) and Chittagong Stock Exchange (CSE). It will also see if the existing laws and rules to regulate the capital market are appropriate and whether steps taken by the SEC against the backdrop of the volatile situation were right.
It will investigate whether banks, financial institutions, merchant banks, brokerage houses and listed companies were involved in activities aimed at disrupting normal operation of the markets and creating instability.
The committee will review the nature of the continuous upward trend in the capital market, give solutions to make the stockmarket sustainable, and determine the nature of overpricing.
It will also review comparative earnings from investment in the banks and government savings instruments in early 2010 and earnings from long-term investment in the capital market.
The committee will find out the short-term buyers and sellers in the market, instead of long-term investors, and the nature of their transactions. It will identify this group of people or institutions, find out the amount of money they transact, and their way of influencing the market.
In the last two years the share market saw a huge rise. When the present government assumed power in January 2009, the share price index was at 2,729 and the transaction in the market was Tk 379 crore.
In January 2010, the share price index was at 4,708 and in December it reached nearly 9,000. In January 2011, the market saw a big turmoil. On one occasion, the main index of Dhaka bourse fell 600 points in just five minutes, resulting in the instant stoppage of trading.
Small investors launched a massive agitation. The finance minister held several meetings with stakeholders and the government policymakers before formation of the probe committee.
Stock trading on the two bourses resumed yesterday after a two-day suspension this week.
The troubled market started climbing yesterday with around 75 percent of the traded stocks getting their highest intra-day gain.
DSE General Index jumped up 494 points, or 7.8 percent, finishing the four-hour trading session at 6,821 points.
Institutional investors joined the race in the opening few minutes but they stayed away from it seeing the stalemate in the buy-sell, insiders said, adding that over 90 percent of the transactions were done by retail investors.
The benchmark index gained 7.8 percent only as individual company circuit breaker was reduced by half.
Of the 258 securities traded on the premier bourse, 191 hit the upper price ceiling, which stops stock prices from going too much up or down in one day.
At the end of the day, gainers outnumbered losers 248 to 10.
Due to the stalemate in the buy-sell, the single turnover was very low, only Tk 206 crore on transactions of only 1.88 crore shares and mutual fund units.
Chittagong stocks also posted a sharp rise as in Dhaka. The Selective Categories Index of the Chittagong Stock Exchange jumped 687 points, 5.7 percent, to reach 12,707.
Advancers outnumbered the losers 174 to 19 with five securities unchanged on the port city bourse. It traded more than 54.32 lakh shares and mutual fund units with a value of Tk 52.81 crore.