get up and go
গুজব ছড়িয়ে শেয়ারের দর প্রভাবিত করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতে সহযোগিতার দায়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্সকে করা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বহাল রেখেছে
সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। মঙ্গলবার এসইসির নিয়মিত সভায় লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্সের জরিমানা মওকুফের আবেদন খারিজ করে জরিমানা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ২ মে গুজব ছড়িয়ে শেয়ারের দর প্রভাবিত করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার দায়ে কেয়া কসমেটিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল খালেক পাঠানসহ কোম্পানির সকল পরিচালককে ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই কারসাজিতে সহযোগিতা করায় ডিএসই সদস্য প্রতিষ্ঠান ও মার্চেন্ট ব্যাংক লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্সকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই দিন পুঁজিবাজারে কারসাজির পৃথক দু'টি ঘটনায় জুয়াড়িচক্রের দুই সদস্য, একটি কোম্পানি এবং একটি মার্চেন্ট ব্যাংককে সর্বমোট ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা জরিমানা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি। এর মধ্যে ম্যারিকোর শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে পুঁজিবাজারে জুয়াড়িচক্রের অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ইয়াকুব আলী খন্দকারকে ১ কোটি টাকা এবং তার সহযোগী আরিফুর রহমানকে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসইসির সভায় এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরিচালিত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে জরিমানার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে এক সঙ্গে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানার ঘটনা এর আগে কখনই ঘটেনি।
জানা গেছে, গুজব ছড়িয়ে দরবৃদ্ধি করে বেআইনীভাবে নিজেদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে অতিরিক্ত মুনাফা তুলে নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কেয়া কসমেটিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল খালেক পাঠানকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি পরিচালক হিসেবে কোম্পানির শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে আইন অমান্য করায় তাকে আরও ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন করায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়াও পরিচালক ফিরোজা বেগম, খালেদা পারভীন, মাসুম পাঠান, আলহাজ আক্কাস আলী পাঠান এবং কোম্পানি সচিবকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসইসি সূত্রে জানা যায়, শ্রীলঙ্কান প্রতিষ্ঠান হেমাস হোল্ডিংস লিমিটেড কেয়া কসমেটিক্সের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ার কিনবে ২০০৯ সালের শেষ দিকে শেয়ারবাজারে এমন একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রভাবে বাজারে ওই কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়তে থাকে। ২০০৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে কোম্পানির পরিচালকদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা বেড়ে যায়। বিষয়টি নজরে আসায় এসইসির সার্ভিলেন্স বিভাগ তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিকভাবে গুজব ছড়ানোর পেছনে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল খালেক পাঠান এবং লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্সের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায় কমিশন।
গত ১৭ জানুয়ারি এ বিষয়ে কেয়া কসমেটিক্স এবং লঙ্কা-বাংলার কর্মকর্তাদের কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করে এসইসি। পাশাপাশি কেয়া কসমেটিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সকল পরিচালক এবং কোম্পানি সচিবকে শুনানিতে ডাকা হয়। একই সঙ্গে লঙ্কা-বাংলার কর্মকর্তাদেরও শুনানিতে ডাকা হয়।
জানা গেছে, গুজব ছড়িয়ে দরবৃদ্ধির পর কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল খালেক পাঠান মোট ১ কোটি ২৪ লাখ শেয়ার বিক্রি করেন। এতে স্বাভাবিক বাজার দরের তুলনায় তার অতিরিক্ত ১১ কোটি টাকা লাভ হয়। গুজব ছড়িয়ে শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া কোম্পানির পরিচালক হিসেবে শেয়ার অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিধি (সাবসটেনশিয়াল এ্যাকুইজেশন রুল) ভঙ্গ করায় তাকে আরো ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে শ্রীলঙ্কার হেমাস হোল্ডিংসের সঙ্গে লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্সের যোগসূত্র রয়েছে বলে এসইসির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। কেয়া কসমেটিক্সে ওই কোম্পানিটির বিনিয়োগের গুজব প্রচারের ক্ষেত্রে লঙ্কা-বাংলার ভূমিকা রয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। গুজব ছড়িয়ে শেয়ারের দর বাড়িয়ে লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্স অতিরিক্ত ২৭ কোটি টাকা কমিশন পেয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্সের মালিকানাধীন কোম্পানি হচ্ছে লঙ্কা-বাংলা সিকিউরিটিজ।
গুজব ছড়িয়ে শেয়ারের দর প্রভাবিত করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতে সহযোগিতার দায়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্সকে করা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বহাল রেখেছে
সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। মঙ্গলবার এসইসির নিয়মিত সভায় লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্সের জরিমানা মওকুফের আবেদন খারিজ করে জরিমানা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ২ মে গুজব ছড়িয়ে শেয়ারের দর প্রভাবিত করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার দায়ে কেয়া কসমেটিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল খালেক পাঠানসহ কোম্পানির সকল পরিচালককে ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই কারসাজিতে সহযোগিতা করায় ডিএসই সদস্য প্রতিষ্ঠান ও মার্চেন্ট ব্যাংক লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্সকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই দিন পুঁজিবাজারে কারসাজির পৃথক দু'টি ঘটনায় জুয়াড়িচক্রের দুই সদস্য, একটি কোম্পানি এবং একটি মার্চেন্ট ব্যাংককে সর্বমোট ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা জরিমানা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি। এর মধ্যে ম্যারিকোর শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে পুঁজিবাজারে জুয়াড়িচক্রের অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ইয়াকুব আলী খন্দকারকে ১ কোটি টাকা এবং তার সহযোগী আরিফুর রহমানকে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসইসির সভায় এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরিচালিত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে জরিমানার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে এক সঙ্গে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানার ঘটনা এর আগে কখনই ঘটেনি।
জানা গেছে, গুজব ছড়িয়ে দরবৃদ্ধি করে বেআইনীভাবে নিজেদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে অতিরিক্ত মুনাফা তুলে নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কেয়া কসমেটিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল খালেক পাঠানকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি পরিচালক হিসেবে কোম্পানির শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে আইন অমান্য করায় তাকে আরও ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন করায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়াও পরিচালক ফিরোজা বেগম, খালেদা পারভীন, মাসুম পাঠান, আলহাজ আক্কাস আলী পাঠান এবং কোম্পানি সচিবকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসইসি সূত্রে জানা যায়, শ্রীলঙ্কান প্রতিষ্ঠান হেমাস হোল্ডিংস লিমিটেড কেয়া কসমেটিক্সের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ার কিনবে ২০০৯ সালের শেষ দিকে শেয়ারবাজারে এমন একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রভাবে বাজারে ওই কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়তে থাকে। ২০০৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে কোম্পানির পরিচালকদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা বেড়ে যায়। বিষয়টি নজরে আসায় এসইসির সার্ভিলেন্স বিভাগ তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিকভাবে গুজব ছড়ানোর পেছনে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল খালেক পাঠান এবং লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্সের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায় কমিশন।
গত ১৭ জানুয়ারি এ বিষয়ে কেয়া কসমেটিক্স এবং লঙ্কা-বাংলার কর্মকর্তাদের কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করে এসইসি। পাশাপাশি কেয়া কসমেটিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সকল পরিচালক এবং কোম্পানি সচিবকে শুনানিতে ডাকা হয়। একই সঙ্গে লঙ্কা-বাংলার কর্মকর্তাদেরও শুনানিতে ডাকা হয়।
জানা গেছে, গুজব ছড়িয়ে দরবৃদ্ধির পর কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল খালেক পাঠান মোট ১ কোটি ২৪ লাখ শেয়ার বিক্রি করেন। এতে স্বাভাবিক বাজার দরের তুলনায় তার অতিরিক্ত ১১ কোটি টাকা লাভ হয়। গুজব ছড়িয়ে শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া কোম্পানির পরিচালক হিসেবে শেয়ার অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিধি (সাবসটেনশিয়াল এ্যাকুইজেশন রুল) ভঙ্গ করায় তাকে আরো ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে শ্রীলঙ্কার হেমাস হোল্ডিংসের সঙ্গে লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্সের যোগসূত্র রয়েছে বলে এসইসির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। কেয়া কসমেটিক্সে ওই কোম্পানিটির বিনিয়োগের গুজব প্রচারের ক্ষেত্রে লঙ্কা-বাংলার ভূমিকা রয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। গুজব ছড়িয়ে শেয়ারের দর বাড়িয়ে লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্স অতিরিক্ত ২৭ কোটি টাকা কমিশন পেয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্সের মালিকানাধীন কোম্পানি হচ্ছে লঙ্কা-বাংলা সিকিউরিটিজ।