(২০২৮) দেশ গার্মেন্টসের শেয়ারদর , কারসাজি থাকতে পারে

Wednesday, September 21, 2011 Unknown

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে দেশ গার্মেন্টসের শেয়ারদর। কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই এ শেয়ারের দর বাড়াকে স্বাভাবিক মনে করছেন না বাজার সংশ্লিষ্টরা। এ শেয়ারের লাগামহীন দর বৃদ্ধির নেপথ্যে কারসাজি থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৪ কার্যদিবস ধরে এ শেয়ারের দর টানা বাড়ছে। গত এক মাসে এ শেয়ারের সর্বোচ্চ দর ছিল ৬৭১ টাকা ৭৫ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দর ৫৬৫ টাকা ৫০ পয়সা। গত বছর এ শেয়ারের সর্বোচ্চ দর উঠেছিল ৮১৯ টাকা। এ সময় সর্বনিম্ন দর ছিল ২৯১ টাকা ৭৫ পয়সা।
গতকাল ডিএসইতে এই শেয়ারের দর ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেড়ে গেলে কোম্পানিটি উঠে আসে দর বাড়ার শীর্ষ ১০-এর তালিকার দশম স্থানে। ১৬ টাকা ২৫ পয়সা দর বেড়ে এদিন এই শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয় ৬৭০ টাকায়। দিনব্যাপী এর দর ৬৫৩ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ৬৯০ টাকায় ওঠানামা করে। আগের কার্যদিবসে এ শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৬৫৩ টাকা ৭৫ পয়সা। গতকাল ২৯০ বারে এ কোম্পানির ৬ হাজার ৩০টি শেয়ার লেনদেন হয়।
সর্বশেষ ২০১১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১০-১১ সালের জুলাই থেকে মার্চ এই ৯ মাসে কোম্পানির কর-পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ ৮ লাখ টাকা ও শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২ টাকা ৩৭ পয়সা। বর্তমান বাজারদর ও তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই শেয়ারের পিই রেশিও ২১২.৫৮।
অন্যদিকে ২০০৯-১০ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে। ওই সময় কোম্পানির কর-পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা, শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ১১৫ টাকা ৬৯ পয়সা ও ইপিএস ২ টাকা ২৬ পয়সা। বর্তমান বাজারদর ও সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই শেয়ারের পিই রেশিও ২৯৭.২৩।
বস্ত্র খাতের ‘বি’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে এর অনুমোদিত মূলধন ১০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কোম্পাটির রিজার্ভের পরিমাণ ৫২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর মোট ৩ লাখ ৩৭ হাজার শেয়ার রয়েছে। প্রতিটির অভিহিত দর ১০০ টাকা ও মার্কেট লট ১০টি শেয়ারে। মোট শেয়ারের মধ্যে ৫৮.০৫ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালক, ১৬.৯৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও ২৪.৯৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

Blog Archive