নারী, মাদক, সফটওয়্যার - গোপন একটি প্রকল্প নিয়ে আবারও আলোচনায় ম্যাকাফি - Macaffe is making a secrate project

Sunday, October 13, 2013 Other

রহস্যময় বর্ণিল এক মানুষ জন ম্যাকাফি। কিন্তু কে আসল ম্যাকাফি? কুখ্যাত মাফিয়া, মাদক আর নারী কেলেঙ্কারির মতো অভিযোগ মাথায় নিয়ে বেড়ানো ব্যক্তিটি, নাকি বিশ্বের বিখ্যাত অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ম্যাকাফির প্রতিষ্ঠাতা? সম্প্রতি বিবিসি অনলাইন জন ম্যাকাফিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যাতে উঠে এসেছে ম্যাকাফির জীবনের নানা অধ্যায়। গোপন একটি প্রকল্প নিয়ে আবারও আলোচনায় ম্যাকাফি। কয়েক বছর ধরেই তিনি গোপনে একটি যন্ত্র নির্মাণ করে যাচ্ছেন। ম্যাকাফির দাবি, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নজরদারি থেকে আড়াল করতে পারবেন তিনি। মার্কিন গোয়েন্দারা সবার ব্যক্তিগত তথ্যে নজরদারি করছেন এমন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলেন সিআইএর সাবেক কর্মী অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেন। এ তথ্য ফাঁস করার পর বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিগত তথ্যে নজরদারির বিষয়টি নিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। গোয়েন্দারা যাতে ব্যক্তিগত তথ্যে নজরদারি করতে না পারে, সে লক্ষ্যে ১০০ মার্কিন ডলার দামের একটি প্রযুক্তিপণ্য তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন ম্যাকাফি। যন্ত্রটির নাম ‘ডি-সেন্ট্রাল’। যন্ত্রটি মুঠোফোন ও অন্যান্য পণ্যের নিরাপত্তাব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। যন্ত্রটি নিজস্ব ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হবে, যাতে ব্যবহারকারী ছাড়া আর কারও পক্ষে নজরদারি সম্ভব হবে না বলেই দাবি করেন ম্যাকাফি। ডি-সেন্ট্রাল তৈরির কথা জানানোর আগে থেকেই প্রযুক্তি বিশ্বে ‘কিংবদন্তি’ হিসেবে খ্যাতি জুটেছে তাঁর। কিন্তু ম্যাকাফির ‘গোপন’ জীবনের ঘটনার সঙ্গে মানুষের পরিচয় ঘটে ২০১২ সালে। এ সময় তাঁকে নতুন করে আবিষ্কার করে মানুষ। চুলে রং করা, বাঁধানো দাঁত আর ছদ্মবেশী এক মার্কিন নাগরিক হিসেবে তাঁকে পাওয়া যায়। এর আগে তাঁর জীবনে ঘটে যায় এক ঝড় তোলা ঘটনা। ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে মধ্য আমেরিকার দেশ বেলিজের বাসিন্দা থাকাকালে ম্যাকাফির এক পড়শি খুন হলেন। পুলিশের চোখে ম্যাকাফি হয়ে ওঠেন সন্দেহভাজন। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি পুলিশের চোখ এড়িয়ে, ছদ্মবেশে ঢুকে পড়েন প্রতিবেশী দেশ গুয়াতেমালায়। রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েও পাননি; বরং কারাগারে যেতে হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে তিনি ফেরেন যুক্তরাষ্ট্রে এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে অল্পবয়সী বান্ধবীদের সঙ্গে ম্যাকাফির খালি গায়ে তোলা ছবি আবারও নানা আলোচনার জন্ম দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে ‘বিপজ্জনক’ ব্যক্তি হিসেবে সন্দেহের তালিকায় এখন ম্যাকাফি। বিবিসিকে অবশ্য ম্যাকাফি বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোর সত্যতা নেই। ম্যাকাফির সাক্ষাত্কার নেওয়া এক সাংবাদিক সব সময় তাঁকে ‘খামখেয়ালি’ বলে সম্বোধন করেন। ম্যাকাফি নিজের সম্পর্কে সিলিকন ভ্যালির সবচেয়ে বাজে লোকের তকমার কথা স্বীকারও করেন। তবে এর বাইরেও ম্যাকাফি নিজেকে পরিচয় দেন একজন উদ্যোক্তা হিসেবে। ম্যাকাফি নিজের সম্পর্কে বলেন, ‘আমি কৌতূহলী এবং সমস্যা সমাধান করতে ভালোবাসি। তবে আমি নিজের নামে তৈরি কোনো পণ্য ব্যবহার করি না। নিজেকে নিরাপদ রাখতে সব সময় নিরাপদ কম্পিউটিং করি। পর্নো সাইটে যাই না, ভাইরাস থাকতে পারে, এমন লিংকে যাই না।’ ম্যাকাফি বলেন, আমরা যখন রাস্তা খুঁজে নিয়ে চলতে শুরু করি, খোলস ছেড়ে বের হই, তখনই কেবল আমরা নির্ভয়ে সে পথে যেতে পারি এবং এতে সাফল্য আসে এবং সত্যিকারের সৌন্দর্যের খোঁজ পাওয়া যায়। জন ম্যাকাফি সম্পর্কে তাঁর বেলিজের এক নারী সঙ্গী জানিয়েছেন, অসাধারণ একজন মানুষ আর রোমাঞ্চপিয়াসী তিনি। তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা বলেন, খামখেয়ালি এই মানুষটাকে আসলে বোঝা খুব শক্ত। বয়স্ক একজন মানুষ কমবয়সী অনেকগুলো মেয়ে নিয়ে আনন্দ করছেন আবার কাজের ক্ষেত্রে দারুণ মনোযোগী। কে আসল জন ম্যাকাফি, সেটাই বোঝা কঠিন। প্রযুক্তির ইতিহাসে বর্ণিল, রহস্যময় একজন মানুষ জন ম্যাকাফি। একদিকে নতুন নতুন উদ্ভাবন, অন্যদিকে মাদক তৈরিসহ বিশ্বের ভয়ংকর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করা হয়। জন ম্যাকাফির সঙ্গে বর্তমানে ম্যাকাফি অ্যান্টিভাইরাস প্রতিষ্ঠানটির কোনো সম্পর্ক নেই। ১৯৯০ সালের শুরুর দিকে তিনি ম্যাকাফি বিক্রি করে দেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি বেলিজে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেছিলেন। রোমাঞ্চপ্রত্যাশী জন ম্যাকাফি ছোটবেলা থেকেই নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসতেন। নব্বইয়ের দশকের পর তাঁর আচরণে খামখেয়ালিপনা দেখা দেয়। বিক্রি করে দেন ম্যাকাফি। তারপর প্রযুক্তি জগত্ থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে যান বেলিজে। সেখানে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে এ অঞ্চলের বিখ্যাত মাদক চোরাচালানকারী আর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে। এ সময় তিনি ভয়ংকর মাদক তৈরির চেষ্টা করছিলেন। কম্পিউটার জগত্ থেকে অনেকদিন ধরেই বিচ্ছিন্ন পড়েছিলেন ম্যাকাফি। ক্রমাগত বাড়ছিল তার খামখেয়ালি আচরণ। ম্যাকাফির পুরোনো সহকর্মী এবং বন্ধুদের অনেকেই জানিয়েছেন, নারীদের মধ্যে যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে পারে এমন মাদকের প্রতি অনেক দিন ধরেই কৌতূহল ছিল ম্যাকাফির। ম্যাকাফি বলেন, মাদকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অনেক পুরোনো। পরিবার থেকে লুকিয়ে তিনি মাদক নিতেন। মাদক গ্রহণের জন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁর চাকরি চলে গিয়েছিল। তবে এ ঘটনাটি ঘটেছিল আশির দশকে। ওই সময় প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণে মাদক নেওয়া শুরু করেছিলেন। ১৯৮০ থেকে ’৮৪ সাল—এ চারটি বছর মাদক তাঁর জীবনের সবচেয়ে সর্বনাশ করেছে বলে উল্লেখ করেন ম্যাকাফি। তিনি জানান, তাঁকে নিয়ে এখনো মানুষ ভুল ধারণা করে। তাঁর গায়ে আশির দশকে আঁকা উলকি দেখে এখনো অনেক কিছু ভেবে বসে। তিনি ১৯৮৪ সালে মাদক ছেড়ে দিয়ে চিকিত্সকের কাছেও গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন। ম্যাকাফি বলেন, ‘সব সময় দুই ধরনের মানুষ আমরা দেখতে পাই। কেউ আমাকে প্রশংসা করে এবং কেউ নিন্দা। কারও চোখে আমি নায়ক, আবার কারও চোখে ভিলেন।’

৮ বন্ধুকে ত্যগ করুন - Avoide this 8 types of Friend

Sunday, October 13, 2013 Other

বন্ধু ছাড়া জীবন- ভাবলেই স্পষ্ট হয় জীবনের অপূর্ণতা। একজন বিপদে পড়া বন্ধুকে হাত ধরে টেনে তুলতে পারে আরেকজন বন্ধুই। সুতরাং আপনার উচিৎ জীবনের জন্যই আপনার বন্ধুদের সঙ্গ নেওয়া, তাদের এঁটে ধরে রাখা। কিন্তু সেইসঙ্গে আপনার উচিৎ কয়েক রকম বন্ধুর সঙ্গ ত্যাগ করা। জেনে নিন যে আট রকম বন্ধুকে আপনি ত্যাগ করবেন: ১। যে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী: সফলতার চূড়ায় পৌঁছাতে কে না চায়। কিন্তু সবাই কি পারে সেখানে যেতে? প্রতিযোগিতায় অন্যদের পেছনে ফেলে তবেই সেখানে পৌঁছানো যায়। আপনার কোন বন্ধুই হয়তো দিন-রাত পরিশ্রম করছে এ জন্য, হয়তো আপনিই পেছনে পড়ছেন এতে- ক্ষতি নেই। কিন্তু অসুস্থ প্রতিযোগিতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সুতরাং এমন প্রতিযোগী বন্ধুকে আজই বলে দিন 'বিদায়'। ২। যে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় অনুপস্থিত: যে আপনার জন্ম দিনে শুভেচ্ছা জানায় না। কিংবা সহমর্মিতা প্রকাশ করে না আপনার কোন নিকটজনের মৃত্যুতেও। যে প্রায় সব সময় ব্যস্ত থাকে নিজের কাজে। আজ আপনি হয়তো তাকে কল দিলেন, উত্তরে মেসেজ আসলো সপ্তাহখানেক পরে। আপনি হয়তো তাকে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা করলেন অথচ শেষ মুহূর্তে 'না' বললো সে- তাহলে আপনিই তাকে 'না' বলুন- কেননা সে তার জীবনে আপনার অস্তিত্বকে শ্রদ্ধা করে না। ৩। কথার ফুলঝুরিওয়ালা: প্রকৃত বন্ধু সে-ই হয়, যাকে বিশ্বাস করা যায়। বিশ্বাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ; কথা আর কাজের সামঞ্জস্যতা। যে আপনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়- আর অনবরত দিতে থাকে অসংখ্য প্রতিশ্রুতি- এমন বন্ধুর সঙ্গ ছাড়ুন। কেননা, খুব শিগগির এতে আপনার আত্মসম্মানের ক্ষতি হবে। এর চেয়ে ভালো হয় যদি আপনি আপনার সময় ও শক্তি দুটোই জমা রাখেন তার জন্য- যে আপনার সঙ্গেই থাকতে চায় এবং আপনার পরীক্ষিত। ৪। বিরক্তিকর চটজলদি বন্ধু: অহেতুক উদ্বিগ্ন অথবা যে আপনার অহেতুক দোষ খোঁজে- যে আপনার কাপড়, চুল, গাড়ি কিংবা যেকোনো বিষয়ে নাক গলায়- এমন খুঁতখুঁতে বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কোন মানে হয় না। সত্যিকার বন্ধুরা এসব করে না। সুতরাং এমন বন্ধুদের প্রশ্রয় দেবেন না। ৫। গোমড়া-মুখো বন্ধু: মানুষ মাত্রই পরিচয় তার মননে- চিন্তায়, চিন্তার গভীরতায়। পরিচয় বহন করে তার যুক্তির তীক্ষ্ণ চর্চায়। তবে এসবই তাকে প্রকাশ করতে হয়। মনের ভাব নিষিদ্ধ কোনো বস্তু নয়। তাকে প্রকাশ করতে হয়। সেই সঙ্গে মেনে নিতে হয় যুক্তির হার। এসবের ভেতর দিয়েই মানুষ একে অন্যের পরিপূরক হয়। আপনি যদি আপনার বন্ধুর মধ্যে এই অবশ্যম্ভাবি উপাদানের অনুপস্থিতি দেখেন তবে আপনার উচিৎ হবে তার সঙ্গ ত্যাগ করা। ৬। সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত বন্ধু: সামাজিক কর্মকাণ্ড- নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ একটি। এটা আপনার জীবনের সঙ্গে অবশ্যই থাকবে। কেননা আপনি শুধু আপনার নন, আপনি সমাজেরও। তবে এ জন্য মানুষ চিনতে হবে। আপনাকে জানতে হবে আপনার সমাজ কর্মী বন্ধু আসলেই এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত কী-না। কেননা এ ধরনের দোহাই দিয়ে অনেকেই চায় আপনার সহানুভূতি পেতে। যদি সত্যিকার বন্ধু রেখে এমন বন্ধুদের বেশি সময় দেন, তবে বুঝবেন- আপনি হাতের মুঠোয় সমস্যাকে তুলে আনলেন। ৭। অফিসের সহকর্মী বন্ধু: বন্ধু সব জায়গায়ই থাকতে পারে। এমন কি অফিসেও। কিন্তু সমস্যা হলো, বাইরের কোন বন্ধুকে 'না' বলা যতটা আপনার জন্য সহজ, অফিসের বেলায় তা প্রায়ই কঠিন হয়। এতে আপনার ক্যারিয়ারের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। তাই ভালো হয় অফিসের সহকর্মীকে ভালো সহকর্মী হিসেবেই গ্রহণ করা। আর যদি থেকেই থাকে কোন সত্যিকারের বন্ধু, তারপরও আপনার একটি সীমানা থাকা উচিৎ অন্তত অফিসে- যদি আপনি আপনার চাকরি ও বন্ধু দুটোই হারাতে না চান। ৮। পরচর্চা বা গুজব রটানো বন্ধু: এমন অনেক বন্ধুই আছে যারা নানা গুজবের জন্ম দিতে উৎসাহী। আর গুজব রটনাকারীরা কথাও বলে বেশি। তার একই নিয়মিত কাজ হলো আপনার কানভারী করা। এ জন্য সার্বক্ষণিক কারণে-অকারণে আপনার ডেস্কের চারপাশে ঘুরঘুর করবে। আপনি এমন গুজব কারবারীর কিছু ব্যাপার ক্ষমা করতে চান কিংবা সহ্য করতে চান কিছু অত্যাচার- ঠিক আছে। কিন্তু সে কি ছোট্ট খুকিটি নাকি যে সর্বদাই আপনার ডেস্কে অকারণ বকবকানি করতে থাকবে। তা ছাড়া আপনি চান না আপনার বস বা অন্য কেউ আড়ি পাতুক আপনার দিকে। চান কি? এটি অহেতুক আপনার ওপর সন্দেহের সৃষ্টি করবে।

পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন - Garment Owners are worried about October-25

Sunday, October 13, 2013 Other

২৫ অক্টোবর ঘিরে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। তাঁরা দাবি করেছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশে ক্রয় আদেশ দিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে বিদেশি ক্রেতাদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু করবে না বিএনপি—এমন আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার বাটেক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে পোশাকশিল্পের মালিকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করলে বিএনপির নেতারা এসব আশ্বাস দেন। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাটেক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ওসমান ফারুক, তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি এস এম মান্নান, শহীদুল্লাহ আজিম প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আতিকুল ইসলাম। বিজিএমএইর নেতারা তাঁদের বক্তব্যে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘২৫ অক্টোবরের পর কী হবে, তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। বিদেশি ক্রেতারা আমাদের জিজ্ঞাসা করেন, কী হতে যাচ্ছে।’ তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিরোধী দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আশা করি, আপনারা একটি দিকনির্দেশনা দেবেন।’ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে এস এম মান্নান জানতে চান, ২৫ অক্টোবরের পর দেশের রাজনীতিতে কী হবে? বিদেশি ক্রেতারা তাঁদের ক্রয় আদেশ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে তিনি জানান। এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘২৫ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির একটি পূর্বনির্ধারিত সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। এখন সরকারি দল বলছে, সেদিন তারাও সমাবেশ করবে। পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সরকারই বরং ক্রেতাদের ভয় পাইয়ে দিচ্ছে।’ তবে তিনি বলেন, বিএনপি কখনো অর্থনীতির ক্ষতি হয় এমন কিছু করবে না। তবে ২৫ অক্টোবর বিএনপি নতুন কর্মসূচি দেবে। ওসমান ফারুক বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে যে ভয়াবহ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট তৈরি হয়েছে, তা উত্তরণে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট দরকার। ভবিষ্যৎ আশঙ্কার কারণে এই অনুষ্ঠান অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে বলে তিনি মনে করেন। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেলে অর্থনীতি এগিয়ে যেতে পারবে না। বিরোধীদলীয় নেত্রী যে গণতন্ত্রের ডাক, ভোট রক্ষার ডাক দিয়েছেন, তাতে আপনাদের (ব্যবসায়ী) এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি অভিযোগ করেন, মালিক ও শ্রমিকদের মাধ্যমে সমাধানযোগ্য সমস্যায় এখন সরকারের মন্ত্রীরা হস্তক্ষেপ করছেন। এই খাতকে তিনি রাজনীতির বাইরে রাখার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি রিয়াজ বিন মাহমুদ, বাটেক্সপোর প্রধান সমন্বয়কারী আবু মোহাম্মদ খান, সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী, ফজলুল হক, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা প্রমুখ।

বউ পিটিয়ে জামিন পেল আরেফিন রুমি - Arefin Rumi Got Bail on assaulting Wife

Sunday, October 13, 2013 Other

সংগীতশিল্পী আরেফিন রুমি আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মহানগর হাকিম আনোয়ার সাদাত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে আরেফিন রুমির আইনজীবী জামিনের জন্য আবেদন করেন। যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও মতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় গতকাল রোববার রুমিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক প্রথম আলো ডটকমকে জানান, যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরে প্রথম স্ত্রী অনন্যাকে নির্যাতন করে আসছিলেন রুমি। মাঝেমধ্যে তিনি কোনো কারণ ছাড়াই স্ত্রীকে পিটিয়ে বাসা থেকে বের করে দিতেন। এ ছাড়া প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই আরেকটি বিয়ে করেন তিনি। এর প্রতিবাদ করায় গতকাল শুক্রবার রাতেও অনন্যাকে বেধড়ক পেটান রুমি। এসব অভিযোগে অনন্যা বাদী হয়ে গতকাল রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মোহাম্মদপুর থানায় রুমির বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত বছরের অক্টোবরে নিউইয়র্কপ্রবাসী কামরুন নেসার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেন রুমি। নিউইয়র্ক থেকে ২৪ অক্টোবর রাতে ঢাকায় আসেন কামরুন নেসা। ওই রাতেই রাজধানীর পুরান ঢাকার গুলবদন দরবার শরিফে (রুমির দাদার বাড়ি) দ্বিতীয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন রুমি। বিয়ের অনুষ্ঠানে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা, মা, বড় ভাইসহ উভয় পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের পর দুই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তোলা ছবি ফেসবুকে দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন এই শিল্পী। রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যার ঘরে আরিয়ান নামের আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন নেসার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান রুমি। সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। প্রবাসী বাঙালিদের আয়োজনে ফ্লোরিডার একটি অনুষ্ঠানে হিন্দি গান গাওয়ার জন্য সমালোচিত হন রুমি। এরপর উপস্থিত বাঙালি দর্শকদের কাছে ক্ষমা চান তিনি।

Blog Archive