১০ কোটি গ্যালাক্সি এস মোবাইল-10 Crores Galuxy S within this year

Friday, November 08, 2013 Other
চলতি বছর বিশ্বজুড়ে ১০ কোটি গ্যালাক্সি এস সরবরাহ করবে দক্ষিণ কোরীয় ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা স্যামসাং। সম্প্রতি সিউলে অনুষ্ঠিত স্যামসাংয়ের অ্যানালিস্ট ডে ইভেন্টে এ তথ্য জানান কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেকে শিন। বিশ্বজুড়ে কোম্পানিটির পণ্যের চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খবর টেক টুর। পুরো বিশ্বে এখন যে কয়টি কোম্পানি স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট সরবরাহ করছে, তার মধ্যে অন্যতম স্যামসাং। কোম্পানিটি বাজার দখলে ভারতসহ আরো অনেক দেশে বিভিন্ন কোম্পানির তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। চলতি বছর তারা বিশ্বজুড়ে ১০ কোটি গ্যালাক্সি এস ও গ্যালাক্সি নোট সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে। কোম্পানিটি সিউলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশ্লেষকদের কাছে নিজেদের ভবিষ্যতের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে। এর মধ্যে তারা ভবিষ্যতে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের বাজারে আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করে। বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ভবিষ্যতে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের বাজারে রাজত্ব করবে বলে মন্তব্য করেন বিশ্লেষকরা। গ্যালাক্সি এসের মতো স্মার্টফোনের পাশাপাশি কোম্পানিটি তাদের ট্যাবলেট বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে বলেও সম্মেলনে জানানো হয়। কোম্পানিটির জানানো তথ্যমতে, গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে চলতি বছরের একই সময় পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে তারা অ্যান্ড্রয়েডভিত্তিক ৪ কোটি ট্যাবলেট সরবরাহ করেছে। এ হিসাবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর কোম্পানিটির ট্যাবলেট বিক্রির পরিমাণ ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্মেলনে জেকে শিন বলেন, ‘গত সময়ে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট বিক্রির মাধ্যমে আমরা বিশ্ববাজারে দখল বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। তবে এখনো উন্নতি করার জন্য অনেক বিষয় রয়ে গেছে। তাই এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারিনি। তবে সামনে আমরা গ্রাহকদের মন জয় করে বাজার দখল বাড়াতে সচেষ্ট হব।’ চীন, ভারত ও ব্রাজিলের মতো উদীয়মান বাজারগুলোয় কোম্পানিটি তাদের দখল বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, উদীয়মান নতুন বাজার দখল যেকোনো কোম্পানিকে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে। এ কারণেই কোম্পানিটি বিশ্বের বিভিন্ন নতুন উদীয়মান বাজারগুলো দখলে সচেষ্ট হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। এদিকে এসব উদীয়মান বাজারগুলোর নিজস্ব স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট নির্মাতা কোম্পানি রয়েছে, যে কারণে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে এসব বাজারে প্রবেশ করে টিকে থাকতে বেশ বেগ পেতে হবে। চায়নার জিয়াওমি ও ভারতের মাইক্রোম্যাক্স হচ্ছে এর উত্কৃষ্ট উদাহরণ। কারণ এ কোম্পানিগুলো নিজেদের দেশে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কোম্পানিটি ২০১৫ সাল নাগাদ বিশ্বজুড়ে ১৫০ কোটি স্মার্টফোন সরবরাহ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। এখন থেকে তারা এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করে যাবে বলে জানান শিন। চলতি বছর যেখানে কোম্পানিটি ১০০ কোটি স্মার্টফোন সরবরাহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, সেখানে দুই বছরের মধ্যে এ সংখ্যা আরো ৫০ লাখ বাড়ানো অনেক দুঃসাহসিক পরিকল্পনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে কোম্পানিটির জনপ্রিয়তা ও বাজার দখল বর্তমানে যেহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে কোম্পানিটির এ ধরনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে তেমন কোনো বেগ পেতে হবে না বলেও মন্তব্য করেন বিশ্লেষকরা। বাজারে ছাড়ার পর থেকে কোম্পানিটির গ্যালাক্সি এসফোর স্মার্টফোনটির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বেড়ে চলছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে কোম্পানিটির শুধু এ পণ্যটিই প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হবে বলে আশাবাদী নির্মাতা কোম্পানিটি। ভারতে কোম্পানিটি বাজার দখলে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এ বাজারগুলোয় কোম্পানিটির বিক্রি ক্রমে বেড়েই চলছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে কোম্পানিটিকে তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তেমন বেগ হতে হবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। - See more at: http://bonikbarta.com/telecom-and-technology/2013/11/08/21603#sthash.AZOUfgaL.dpuf
, ,

শেয়ারবাজারে নাকি চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে?..হাছা নি?- Share Market is good for last 3 months

Friday, November 08, 2013 Other

রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা নেতিবাচক হলেও শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। বর্তমানে বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও রেড়েছে। ফলে শেয়ারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি সপ্তাহে সব কার্যদিবসে সূচকে যোগ হয়েছে বাড়তি পয়েন্ট। গতকালও এ ধারাবাহিকতা ছিল শেয়ারবাজারে। লেনদেন হওয়া অধিকাংশ শেয়ারের দর বাড়ায় উভয় বাজারে প্রধান মূল্যসূচক দুই শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায়। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স মূল্যসূচক এদিন সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে। আর লেনদেনেও দেখা যায় অনেক অগ্রগতি। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে দেশের প্রধান দুই দলের মতবিরোধের জেরে সৃষ্ট অস্থিরতায় ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। ব্যাংকগুলোয় বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকলেও তা বিতরণ করা যাচ্ছে না। তবে এ পরিস্থিতির মধ্যেও শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন সাইডলাইনে থাকা প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছেন। বিদেশীরাও বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন। তবে এসব বিনিয়োগকারীর আগ্রহে রয়েছে ব্যাংকিং খাত। বিপর্যয়ের মধ্যে থাকা ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের দর কম থাকায় বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হচ্ছেন। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের চিন্তা মাথায় রেখেই এ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ করছেন তারা। এতে চাহিদা বাড়ায় এ খাতের শেয়ারের দর নিয়মিত বাড়ছে। আগের দিনের ধারাবাহিকতায় গতকালও ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের দর বাড়ে ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। বর্তমানে ডিএসইর বাজার মূলধনের ২০ শতাংশের বেশি ধারণ করছে ব্যাংকিং খাত। তাই এ খাতের শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে সূচকে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। যদিও গতকাল বীমা খাতের শেয়ারের দর সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়। এদিন ডিএসইতে জীবন বীমা কোম্পানি খাতের শেয়ারের দর বাড়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। আর সাধারণ বীমা কোম্পানির শেয়ারের দর গড়ে ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ বাড়ে। ডিএসইতে গতকাল ৭৬ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৮৮ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪২০০ পয়েন্টে দাঁড়ায়। গত ১৮ জুলাইয়ের পর সূচকের এটিই সর্বোচ্চ অবস্থান। মূলত ব্যাংক, ওষুধ, জীবন বীমা ও টেক্সটাইল খাতের কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ায় সূচকের উন্নতি হয়। এদিন ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ১৮.১৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৪৫৩.৩২ পয়েন্টে দাঁড়ায়। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওয়া ৭০ শতাংশ শেয়ারের দর বাড়ায় সার্বিক মূল্যসূচক ২৭৮ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ১২৯২৯ পয়েন্টে দাঁড়ায়। ডিএসইতে গতকাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৭৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৮৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা বেশি। এদিন ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় ব্যাংকিং খাতের শেয়ার। চলতি বছর প্রথমবারের মতো ব্যাংকিং খাত ১০০ কোটি টাকা লেনদেন ছাড়িয়েছে। বড় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কারণে গত সপ্তাহ থেকে এ খাতের লেনদেনের পরিমাণ বাড়ছে। অন্যদিকে সিএসইতে কেনাবেচা হয় ৪৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড; যা আগের দিনের চেয়ে ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা বেশি। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৮৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বাড়ে ২২১টির, কমে ৫২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির শেয়ারের দর। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০০টির দর বাড়ে ৩ শতাংশের বেশি। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বাড়ে ১৫৩টির, কমে ৫০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৪টির শেয়ারের দর। এদিন ডিএসইতে লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো— গ্রামীণফোন, ইউসিবিএল, স্কয়ার ফার্মা, আইএফআইসি, ফার্স্টলিজ ইন্টারন্যাশনাল, জেনারেশন নেক্সট, সিটি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, অ্যাকটিভ ফাইন ও বেক্সিমকো লিমিটেড। দর বৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানি হলো— ফার্স্টলিজ ইন্টারন্যাশনাল, ফিনিক্স ফিন্যান্স, ইবিএল, আইএফআইসি, ইউএলসি, রিলায়েন্স ১, পিপলস লিজিং, বে-লিজিং, আইপিডিসি ও জিএসপি ফিন্যান্স। অন্যদিকে দর হ্রাসে শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানি হলো— ন্যাশনাল পলিমার, রহিম টেক্সটাইল, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ, জিল বাংলা সুগার, অ্যাকটিভ ফাইন, লিবরা ইনফিউশন, দেশ গার্মেন্টস, বিডি অটোকারস, রেকিট বেনকিজার ও প্রিমিয়ার সিমেন্ট। - See more at: http://bonikbarta.com/sharemarket/2013/11/08/21641#sthash.LeYTYy1q.dpuf

৩০ কোটি টাকা কেটে রেখেছে বিমা-MetLife Fined 30 Crores

Friday, November 08, 2013 Other


আইনি শর্ত পূরণের জন্য আমেরিকান লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির (মেটলাইফ আলিকো) মুনাফা থেকে ৩০ কোটি টাকা কেটে রেখেছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। বিদেশি এ জীবনবিমা কোম্পানিটি কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই বাংলাদেশে ব্যবসা করে আসছিল। বিদ্যমান বিমা আইন অনুযায়ী, বিদেশে নিবন্ধিত কোনো জীবনবিমা কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা করতে চাইলে ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন রাখতে হবে। মেটলাইফ আলিকো যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত কোম্পানি। আইডিআরএ জানায়, আইনানুযায়ী বাধ্যতামূলক পরিশোধিত মূলধনই আলিকোর মুনাফা থেকে কেটে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া আগামী দুই বছরের মধ্যে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। ভবিষ্যতে তা-ও কোম্পানিটির মুনাফা থেকেই কেটে রাখা হবে। আইডিআরএ সূত্রমতে, ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আলিকো ৫০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ডলার মুনাফা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে। ২০১০ সালের মোট মুনাফা থেকে ৪০ কোটি ৮৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা পাঠানোর জন্য ২০১১ সালের নভেম্বরে এবং ২০১১ সালের মোট মুনাফা থেকে ৫৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা পাঠানোর জন্য ২০১২ সালের মার্চে আইডিআরএর কাছে ভিন্ন দুটি আবেদন করে আলিকো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের উইলমিংটনে অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ে মুনাফা পাঠানোর জন্য আলিকোকে এবার ঢালাও অনুমতি দেয়নি আইডিআরএ। সংস্থাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০১০ সালের মুনাফা থেকে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন কেটে রাখার পর বাকি ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা পাঠাতে পারবে আলিকো। এই সিদ্ধান্ত আলিকোকে এক চিঠিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সলভেন্সি মার্জিনের জন্য আলিকোকে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রাখতে হবে। সে হিসাবে ২০১১ সালের মুনাফা থেকে ২৫ শতাংশ হারে অর্থ রাখার জন্য কোম্পানিটিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই কারণে পরের দুই বছরের মুনাফা থেকেও ২৫ শতাংশ হারে অর্থ জমা রাখতে হবে আলিকোকে।’ পরিশোধিত মূলধন কেটে রাখার বিষয়ে আইডিআরএর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মেটলাইফ আলিকোর মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট নুরুল ইসলাম। যোগাযোগ করলে প্রথম আলোকে তিনি জানান, ‘আইনের শর্ত পূরণে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন কেটে রাখায় আমরা নাখোশ নই। তবে অনুরোধ করেছিলাম ২০১১ সালের মুনাফা থেকে রাখার জন্য। আইডিআরএ রেখেছে ২০১০ সালের মুনাফা থেকে।’ বিমা আইন অনুসারে বাংলাদেশের বাইরে থেকে তহবিল স্থানান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশে টাকা জমা করার কথা, যা মেটলাইফ আলিকো করেনি। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাইলে আইডিআরএর সদস্য নবগোপাল বণিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুনাফা যা দেশের বাইরে নিয়ে যেত, তা থেকে একটা অংশ কেটে রাখা হয়েছে। এটা কোনো সমস্যা নয়।’ এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন-সংবলিত একটি চিঠি পাঠিয়েছে আইডিআরএ। এতে বলা হয়, ব্যবসা করতে আলিকো এক পয়সাও বাংলাদেশে নিয়ে আসেনি। কোটি কোটি ডলার মুনাফা নিয়ে গেলেও বিমা খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কোনো ভূমিকা রাখছে না কোম্পানিটি। আর এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। অথচ বাংলাদেশে পুঁজিবাজারের বাইরে কোম্পানিটি।

অ্যাপোলো ইস্পাত (আইপিও) লটারির ড্র - Apollo Ispat IPO Draw

Friday, November 08, 2013 Other

অ্যাপোলো ইস্পাত লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারির ড্র আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাপোলো ইস্পাত সূত্রে জানা যায়, অ্যাপোলো ইস্পাত আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ২২০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যে ১০ কোটি শেয়ার ছাড়ে। এর বিপরীতে ৫০০ কোটি টাকারও বেশি আবেদন জমা পড়ে। প্রতিষ্ঠানের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের দাম ২২ টাকা ধার্য করা হয়েছিল। ২০০টি শেয়ারে একটি মার্কেট নির্ধারণ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে আরও জানা যায়, গত ৬ থেকে ১০ অক্টোবর আইপিওর আবেদন গ্রহণ করা হয়। তবে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য এ সুযোগ ছিল ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ থেকে ১৫৩ কোটি টাকা ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করা হবে। এ ছাড়া ৬০ কোটি টাকা পরিবেশবান্ধব জার্মান প্রযুক্তির নফ (নন অক্সিডাইজিং ফার্নেস) প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে। আইপিও লটারির ফল কোম্পানির ওয়েবসাইট (www.appollo-ispat.com), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট (www.dsebd.org), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইট (www.cse.com.bd) ও আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ওয়েবসাইটে (www.icbamcl.com.bd) পাওয়া যাবে। ড্র অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অ্যাপোলো ইস্পাতের চেয়ারম্যান দীন মোহাম্মদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনসার আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ২০১২ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী অ্যাপোলো ইস্পাতের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২.৩৬ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) ২২.৫৯ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

গ্যালাক্সি স্টার প্রো এবং গ্যালাক্সি ট্রেন্ড-Galuxy Star Pro and Galuxy Trend

Friday, November 08, 2013 Other
সম্প্রতি গ্যালাক্সি স্টার প্রো এবং গ্যালাক্সি ট্রেন্ড নামে গ্যালাক্সি সিরিজের নতুন দুটি স্মার্টফোন বাজারে এসেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের তৈরির এ স্মার্টফোনদুটির দাম যথাক্রমে আট হাজার ৯০০ টাকা ও ১০ হাজার ৯০০ টাকা। স্যামসাং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুটি মডেলের স্মার্টফোনের যেকোনো একটি কিনলেই সঙ্গে ক্রেতারা পাবেন বাংলালিংকের ডাটা অফার। এজন্য গ্রাহকদের এক গিগাবাইট ডাটা কিনতে হবে। ডাটা প্যাক কিনলে পাচ্ছেন শতভাগ বোনাস। ৪ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লে এবং ডুয়াল সিম বৈশিষ্ট্যের গ্যালাক্সি স্টার প্রো এবং গ্যালাক্সি ট্রেন্ডের সঙ্গে রয়েছে উন্নত ফিচার। থ্রিজি কানেক্টিভিটিসহ গ্যালাক্সি ট্রেন্ডে রয়েছে তিন মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং স্টার প্রোতে রয়েছে দুই মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। অ্যান্ড্রয়েড জেলিবিন অপারেটিং সিস্টেম সুবিধার ও এক গিগাহার্টজ প্রসেসরসুবিধার স্মার্টফোনগুলোতে ব্লুটুথ ৪.০ এবং ওয়াই ফাই সমর্থন করে।
, ,

বিচিত্র যৌনতাকে পেশা- Sex Worker Differant

Friday, November 08, 2013 Other

পথের পাশে বেড়ে ওঠা মানুষের জীবন পথের মতোই বিচিত্র—কখনো বন্ধুর, কখনো মসৃণ। এসব মানুষের পরিচয়, জাতি, বর্ণ বা পেশার হদিসও ঠিক থাকে না। জীবন তাদের স্বপ্নহীন নয়, তবু হাতের কাছে পাওয়া পচা ফলটিই যেন বড় পাওয়া। এমন মানুষের যদি লোকলজ্জার বালাই না থাকে, যৌনতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে বাধা না থাকে, তবে হয়তো তাঁদের বেদিয়াই বলা চলে। ‘ইন্ডিয়া টুডে’র এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি বলা হয়েছে, এই বেদিয়াদের বাস ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ভারতপুর জেলার মালাহা গ্রামে। তারা বাংলার বেদে সম্প্রদায়ের মতো নৌকায় নৌকায় ঘোরে না। সমতলে পথের পাশে বসত গাড়ে। যদি কোনো বেদিয়া নারী পথচারীকে ডেকে বলেন, ‘বসবেন নাকি?’, তবে এর অর্থ দাঁড়ায় ভিন্ন কিছু। আসলে এই বেদিয়া নারীদের একটি বড় অংশ জীবনে যৌনতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। অবশ্য অনেক বেদিয়া নারী কিশোর বয়সে বিয়ে থা করে গ্রাম ছেড়ে দূরে গিয়ে বাস করেন, সংসার সাজান। এমন এক বেদিয়া নারী মঞ্জু ঠাকুর। বয়স ত্রিশের কোঠায়। তিনি জানান, তাঁদের সম্প্রদায়ের লোকদের বাস রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের মাঝামাঝি এলাকায়। তাঁদের সমাজে যৌনকর্মী হওয়ায় বাধা নেই। কেউ হতে চাইলে, সমাজ তাঁকে বাধা দেয় না। আসলে সমাজ যখন কারও দায় নিতে পারবে না, তখন তো তার জীবনযাপনে বাধা দিতে পারে না! মঞ্জু বলেন, ‘মাত্র ১০-১২ বছর বয়সে আমার বাবা আমাকে ধলপুরে এক ধনী ব্যবসায়ীর বাড়িতে যৌনকর্মী হিসেবে পাঠান।’ স্মৃতি হাতড়ে মঞ্জু বলেন, কুমারীত্ব হারানোর বদলে তিনি পেয়েছিলেন ১০ হাজার রুপি। তিনি বলতে থাকেন, ‘সে ২০ বছর আগের কথা। সে সময় একটা মেয়ের যা পাওয়া সম্ভব, তার সর্বোচ্চটা পেয়েছিলাম। এখনো জয়পুরের ধনী খদ্দেররা (যে পুরুষেরা যৌনকর্মীদের কাছে যান) আমার খোঁজে এখানে আসেন।’ কাস্টমারদের দৃষ্টি আকষর্ণে বেদিয়া নারীদের কড়া সাজ দরকার হয়। ছবি: ইন্ডিয়া টুডেএখন মালাহা গ্রামের শ খানেকের মতো নারী যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করেন। পেশার অংশ হিসেবে তাঁদের অদ্ভুত সাজগোজ করতে হয়। মুখে পুরু করে মেকআপ, ঠোঁটে উজ্জ্বল বর্ণের লিপস্টিক, আঁটোসাঁটো পোশাক পরে ধনী খদ্দেরদের জন্য প্রতিদিন অপেক্ষা করতে হয়। অনেকেই মনে করেন, বেদিয়াদের জোর করে এ পেশায় ঢোকানো হয়। অথচ এ কথা সত্য নয়। বিজেন্দর (৩৭) নামের এক পুরুষ বেদিয়া এসব অভিযোগের বিরোধিতা করেন। তাঁর ছয় বোন ও দুই খালা যৌন পেশার সঙ্গে জড়িত। বিজেন্দর বলেন, ‘তারা বিয়ে করবে, না কি যৌনতাকে পেশা হিসেবে নেবে, সে মতামত আগে নেওয়া হয়েছে।’যদিও মঞ্জু বলেন, ‘ধান্দা (ব্যবসা) ভালোই চলছে’ তবু তাঁকে অনেক বড় পরিবার চালানোর দায় বইতে হয়। বোন নিশা (২৫), রেশমা (২৪), খালা চাঁদনি, পাঁচ ভাই ও তাঁদের স্ত্রী-পুত্রসহ বিরাট এক পরিবার মঞ্জুর। তাঁর পঞ্চাশোর্ধ্ব মা সরোজ বলেন, ‘আমি ওদের বিয়ে দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওরা বিয়ে-সংসার করতেই চাইল না।’ নিশা বলেন, ‘বিয়ে করলে সর্বনাশ। বিয়ে করা মানে গাধি হয়ে যাওয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের অর্থ হলো পুরুষদের জন্য রান্নাবান্না, কাপড় কাচা, বাসন ধোয়া, বাচ্চা পালা আর স্বামীর বোন-ঝিদের সেবা করা।’ মঞ্জু জানান, তাঁদের পেশায় খুব বেশি দক্ষতার প্রয়োজন নেই। খদ্দেররা এলে পথের পাশে একটা চাদর টানিয়ে আড়াল তৈরি করে ১০ মিনিটের জন্য শুয়ে পড়লেই হলো। যদি খদ্দেররা বেশি অত্যাচার করে, তবে চিত্কার করে ডাকলেই কাজ শেষ। পাড়ার পুরুষেরা এসে ওই খদ্দেরকে গণধোলাই দিয়ে দেবে। বেদিয়া নারীরা কাস্টমারদের নিয়ে চাদর ঢাকা স্থানে সময় কাটায়। ছবি: ইন্ডিয়া টুডেঅবশ্য বেদিয়াদের কম অত্যাচারের শিকার হতে হয় না। সরকার ও ক্ষমতাসীনেরা তাদের জমিজমা-সম্পত্তি দখল করে নেয়। ওদের উচ্ছেদের জন্য বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তবে কিছু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী চেষ্টা করছেন বেদিয়াদের সহায়তা করতে। বেদিয়াদের ছেলেমেয়েরা যাতে লেখাপড়া শিখতে পারে, সে জন্য স্কুল তৈরি করা হয়েছে। ৩৫ বছর বয়সী যৌনকর্মী রিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ের জীবন আমার মতো হবে না।’ তিনি নিয়মিতভাবে তাঁর ১১ বছর বয়সী মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যান। ‘আমাকে আমার ব্যবসা করতেই হবে, তবে আমি চাই আমার মেয়ে ভবিষ্যতে নিজে নিজের পেশা বেছে নিক।’ বেদিয়াদের কল্যাণে কাজ করছেন ভারতপুরের জেলা প্রশাসক নিরাজ কুমার পবন (৩৪)। স্কুল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ তাঁরই। তিনি বলেন, ‘১৮ বছরের কম বয়সী নারীরা এ পেশায় যান না।’ তিনি জানান, একসময় মঞ্জু যে বয়সে যে কাজের জন্য ১০ হাজার রুপি পেয়েছিলেন, এখন সে কাজের জন্য দেড় বা দুই লাখ রুপি দেওয়া হয়। পবন জানান, বেদিয়াদের জীবন দুঃসহ। বাড়িতে বিদ্যুত্ নেই, পানির সরবরাহ নেই। তাই ছেলে-পুলেদের লেখাপড়া করাতে চাইলে গ্রামের স্কুলের হোস্টেলে রাখতে হয়। ধনীরা বেদিয়াদের ভোটার হতে দেয় না, রেশনের কার্ড বরাদ্দ করে না। রবি কুমার (২৯) নামের এক দোকানদার জানান, ‘উঁচু জাতের লোকেরা আমাদের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে বৈষম্য করে অথচ আমাদের মেয়েদের সঙ্গে শোবার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে। ওরা এজন্য ঠিকমতো টাকা-পয়সাও দিতে চায় না।’

Blog Archive