Law to stop Hartal permanently

Friday, May 04, 2012 Unknown
জাতীয় সংসদে সবার অংশগ্রহণে হরতালকে চিরদিনের জন্য বন্ধের আইন চান দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।
এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন, ‘আমরা চাইছি, সংসদে সবার অংশগ্রহণে হরতালকে চিরদিনের জন্য বন্ধের আইন পাস হোক।’
রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে গতকাল বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এ কে আজাদ।
বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে দুই দফায় বিএনপির পাঁচ দিনের হরতালের পর উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হরতাল বন্ধের এই দাবি জানাল এফবিসিসিআই।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, বোর্ডের সদস্য ও অন্যান্য ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলোচনা করে এফবিসিসিআই একটা কার্যতালিকা প্রণয়ন করবে। তাতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করার বিষয়টিও থাকতে পারে।
এ কে আজাদ বলেন, হরতালের কারণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, দেশের বিনিয়োগকারীরাও শঙ্কিত হচ্ছেন। আর দেশীয় বিনিয়োগকারীরা যখন বিনিয়োগ করবেন না, তখন বিদেশি বিনিয়োগও আসবে না। এতে বাংলাদেশ আরও শত বছর পিছিয়ে যাবে।
ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে গত বুধবার রাজধানীতে একটি বৈঠকে বসেন। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক কয়েকজন সভাপতি বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘গতকালের আগেও আমরা বসেছিলাম। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতিরা আমাকে ডেকেছিলেন। সবাই উদ্বিগ্ন।’
এ কে আজাদ বলেন, ‘আমাদের মতো একটি দরিদ্র দেশে এভাবে হরতাল চলতে পারে না। দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা তিন কোটি। প্রতিবছর ২০ লাখ লোক কর্মবাজারে প্রবেশ করছে। তাই দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে হরতালের মতো সহিংস কর্মসূচি থেকে সব রাজনৈতিক দলকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
আজাদ বলেন, বিনিয়োগ সম্ভাবনা দেখার জন্য দুটি জাপানি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছিল। জাপান শুধু চীন থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। কিন্তু চীনে শ্রমের দাম বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের ব্যয় বেড়ে গেছে। তাই জাপান চায় চীনের পাশাপাশি আরেকটি দেশে বিনিয়োগ করতে, যেখান থেকে তারা পণ্য আমদানি করবে। এ জন্যই জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। এরই মধ্যে চীনের রাষ্ট্রদূত দুবার এফবিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দুবারই তিনি এ দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কথা জানিয়েছেন।
এভাবে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতে থাকলে জাপানিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশের বিকল্প হিসেবে তারা এখন মিয়ানমারকে নিয়ে ভাবছে।
আজাদ বলেন, বোর্ডের অনেক সদস্যই হরতাল বন্ধে আদালতে যাওয়া, মৌন মিছিল করা কিংবা বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ের প্রস্তাব করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ব্যবসায়ীরা কী প্রস্তাব নিয়ে যাবেন, সে বিষয়ে একটি কার্যতালিকাও তৈরি করা হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘কেউই হরতাল পছন্দ করে না। আমরা বিভিন্ন পেশার লোক যারা ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত করব, তারা ঐক্যবদ্ধ হলে আমার বিশ্বাস, রাজনীতিবিদেরা আমাদের কথা শুনবেন।’
এ কে আজাদ আরও বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। আমরা আমাদের সমস্যা সমাধান করব, বরং অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে এলে আমরা বিরোধিতা করব। কারণ, এটি আমাদের আত্মমর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়।’

Time is only 11 days

Friday, May 04, 2012 Unknown
পদ ধরে রাখার জন্য আর মাত্র ১১ কার্মদিবস সময় পাচ্ছেন পরিচালকরা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ২১ মের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কম্পানির পরিচালকদের ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। ফলে সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পরিচালকদের কাছ থেকেও শেয়ার ধারণের প্রবণতা বেড়ে গেছে। শুধু গত আট দিনে বাজার থেকে সরাসরি এবং উপহার ও হস্তান্তর বাবদ প্রায় সাত কোটি শেয়ার লেনদেনের ঘোষণা এসেছে পরিচালকদের কাছ থেকে। তবে শেয়ার ধারণের ঘোষণা যেমন আসছে তেমনি শেষ সময়ে এসে এখনো অনেক পরিচালক নানাভাবে বাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। গতকালও যেমন সকালে প্রথম এক ঘণ্টায় বাজারে সূচক ও লেনদেন যখন ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই নতুন করে শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে নতুন করে রিট হচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হয়।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, এসইসি পরিচালকদের ২ শতাংশ শেয়ার ধরে রাখার বাধ্যবাধকতা জারির পর গত বুধবার পর্যন্ত ৩২২ ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকের কাছ থেকে সরাসরি বাজার থেকে ২১ কোটি ৫৮ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৯টি শেয়ার কেনার ঘোষণা এসেছে। ইতিমধ্যে অনেক পরিচালক তাঁদের শেয়ার কেনা সম্পন্ন করেছেন। একই সময়ে ৭৩ পরিচালক আরো ১৭ কোটি ৮২ লাখ ৮২ হাজার ২৫৮টি শেয়ার উপহার ও হস্তান্তর হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সব মিলিয়ে পদ ধরে রাখার জন্য পরিচালকরা এ পর্যন্ত ৩৯ কোটি ৪০ লাখ ৯৫ হাজার ৮১৭টি শেয়ার লেনদেন করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ নভেম্বর এসইসি সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ এবং ব্যক্তিগতভাবে পরিচালকদের ২ শতাংশ শেয়ার ধরে রাখার বাধ্যবাধকতা জারি করে। এ সময়ের মধ্যে শর্তপূরণের জন্য তালিকাভুক্ত ২৩২ কম্পানির এক হাজার ৩২৫ পরিচালককে প্রায় দুই শ কোটি শেয়ার কিনতে হবে। এই জন্য ২১ মে পর্যন্ত তাঁদের মাত্র ১১টি কার্যদিবস হাতে পাচ্ছেন। এই সময়ে শেয়ার কিনে শর্তপূরণ করতে হলে পরিচালকদের কাছ থেকে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি শেয়ার কেনার ঘোষণা আসতে হবে, জানালেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা।
এদিকে, সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার ধারণের ঘোষণা বেড়ে যাওয়াকে বাজার বিশ্লেষকরা ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমে যাওয়ায় কিছুটা হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। এ জন্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া আদালতে রিট করে শেয়ার ধারণের সময়সীমা বাড়ানোর যে পরিকল্পনা নিয়েছিলেন, তা ভেস্তে যাওয়ায় অনেক পরিচালক গুজবের মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম ধস নামানোর ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছেন। বাজার একটু ভালো হতে থাকলেই শেয়ার ধারণ নিয়ে এসইসিকে জড়িয়ে হাউসগুলোয় নানাভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তবে গত আট কার্যদিবসে যে হারে শেয়ার কেনার ঘোষণা এসেছে, তাতে বাজার আবারও ঘুরে দাঁড়াবে বলে জানালেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অনেকেই। এই আট দিনে পরিচালকদের কাছ থেকে যে সাত কোটি শেয়ার লেনদেনের ঘোষণা এসেছে, তার মধ্যে সরাসরি বাজার থেকে চলতি দরে কেনা হবে চার কোটি ২২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৭০টি শেয়ার। এর মধ্যে গতকাল সিটি ব্যাংকের প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক এ-১ পলিমার লিমিটেড ৫৮ লাখ ৯ হাজার শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন, যা পরিচালকদের কাছ থেকে আসা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ শেয়ার কেনার ঘোষণা। নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ার কেনার জন্য ঘোষণার দিন থেকে ৩০ কার্যদিবস সময় পেলেও পদ ধরে রাখার জন্য কোটা পূরণে পরিচালকদের ২১ মে অর্থাৎ পরবর্তী ১১ কার্যদিবসের মধ্যেই শেয়ার কেনা সম্পন্ন করতে হবে। যাঁরা এ সময়ের মধ্যে শেয়ার কিনে ২ শতাংশ শেয়ার হাতে রাখার কোটা পূরণ করতে ব্যর্থ হবেন, তাঁদের নিয়ম অনুযায়ী পরিচালক পদ হারাতে হবে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সালেহ জহুর কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এখন থেকে যে পরিচালকই শেয়ার কেনার ঘোষণা দেবেন, তাঁদের এসইসি নির্ধারিত ২১ মের মধ্যেই কোটা পূরণ করতে হবে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবে আগামী কিছুদিন বাজারে পরিচালকদের অংশগ্রহণ বেড়ে যাবে। এতে বাজারের স্বাভাবিক গতিও ফিরে আসবে বলে মনে হচ্ছে।'
অবশ্য এ জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসিকে কঠোর হতে হবে বলে তিনি মনে করেন। ড. সালেহ জহুর বলেন, 'শেয়ার না কেনার জন্য এখনো নানাভাবে অনেক পরিচালক ছলচাতুরী করার চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে এসইসি ও সংশ্লিষ্টদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে হবে। এ ছাড়া পরিচালকরা আগে যেভাবে এসইসিকে না জানিয়ে হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে যাতে সেভাবে আর কোনো অনিয়ম করতে না পারেন, সে জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে কঠোর হতে হবে।'

Another rite against SEC

Friday, May 04, 2012 Unknown
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের এককভাবে কমপক্ষে ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণসংক্রান্ত সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আরেকটি রিট হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পিপলস ইনস্যুরেন্স কম্পানির পরিচালক আবুল বাশার বাদী হয়ে রিটটি করেন। ৭ মে বিচারপতি ফরিদ আহমেদ এবং বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের ডিভিশন বেঞ্চে এটি শুনানির কথা রয়েছে।
এদিকে গত ৮ এপ্রিল এ-সংক্রান্ত হাইকোর্টের জারি করা রুলের জবাব দাখিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এসইসি এবং দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে এ জবাব সেকশনে দাখিল করা হয়েছে। এসইসির পক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, রুলের জবাব সেকশনে দাখিল করা হয়েছে। ৭ মে এ রুলের শুনানি হবে। নতুন করে দাখিল করা আরেকটি রিটের জবাবও একই সঙ্গে শুনানি হবে বলে তিনি জানান।
গতকাল দায়ের করা রিটকারি আবুল বাশারের আইনজীবী তানজিদা মিলা জানান, পরিচালকদের শেয়ার ধারণসংক্রান্ত গত ২২ নভেম্বর এসইসির প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে তা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই সিদ্ধান্ত বাতিলেরও আবেদন জানানো হয়েছে। রিটে অর্থসচিব, বাণিজ্যসচিব, এসইসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জয়েন্ট স্টক কম্পানি অ্যান্ড ফার্মের রেজিস্টার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে বিবাদী করা হয়েছে। বাদীর আরেক কেঁৗসুলি শফিকুর রহমান বলেন, তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলোর পরিচালকদের ওই কম্পানিতে ২ শতাংশ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক করে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে এসইসি। অন্যথায় ছয় মাসের মধ্যে তাঁদের পরিচালক পদ শূন্য হয়ে যাবে বলেও ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এটি কোনো বিধান হতে পারে না। এসইসি এভাবে পরিচালক পদে থাকার জন্য শেয়ার থাকার শর্ত জুড়ে দিতে পারে না। কে পরিচালক থাকবেন আর কে থাকবেন না, তা নির্ধারিত হয় কম্পানি অ্যাক্ট, ব্যাংক কম্পানি অ্যাক্ট অনুযায়ী। তিনি বলেন, রুলসের সেকশন ২ এর গ (গ) এ পরিচালকদের এককভাবে কমপক্ষে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের কোনো নির্দেশনা নেই। বিধিবহির্ভূতভাবে গৃহীত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশের পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। শেয়ারের দাম আকস্মিকভাবে কমে কিংবা বেড়ে যেতে পারে। রিটকারীর পক্ষে ড. এম জহির শুনানিতে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে একই বিষয়ে রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ এপ্রিল বিচারপতি ফরিদ আহমেদ এবং বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের ডিভিশন বেঞ্চ এসইসিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের রুল জারি করে।

UCB announced capital

Friday, May 04, 2012 Unknown
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ঘোষিত মূলধনের পরিমাণ ৮০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দেড় হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে ২০১১ সালের জন্য ১৫ শতাংশ স্টক এবং ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড অনুমোদন হওয়ায় ঘোষিত মূলধনে এ পরিবর্তন হয়।
রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে গত ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ সিদ্ধান্ত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আখতারুজ্জামান চৌধুরী।
চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্যে গত বছরের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ইউসিবি আশানুরূপ সাফল্য অর্জনে সমর্থ হয়েছে বলে জানান। তিনি পরিচালন মুনাফা, ঋণ, জামানত প্রভৃতি ক্ষেত্রে ইউসিবির প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা জানিয়ে আরো বলেন, একটি লাভজনক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং পরিবেশবান্ধব গ্রিন ব্যাংকিংয়ে ইউসিবি আন্তরিক অনুশীলন করছে।
এজিএমে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান, ইসি চেয়ারম্যান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ছাড়াও পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কম্পানির সচিব উপস্থিত ছিলেন।

New Index within four months

Friday, May 04, 2012 Unknown
আগামী চার মাসের মধ্যে নতুন সূচক চালু করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সূচক প্রবর্তনকারী কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান এস এন পিকে এ কাজের জন্য সম্পতিপত্র দিয়েছে ডিএসই। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইর পরিচালনা পরিষদ এস এন পিকে এ সম্মতিপত্র দেয়। এর আগে ডিএসই কর্তৃপক্ষের সামনে সূচক গণনাপদ্ধতিসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করে এস এন পি। এরপর দুই পক্ষ বৈঠকে মিলিত হয়।
বৈঠক শেষে ডিএসইর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আহমেদ রশীদ লালী সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে যেভাবে সূচক গণনা করা হচ্ছে, তা আগামী এক মাস পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করবে কনসালটেন্সি ফার্মের বিশেষজ্ঞরা। পরবর্তী সময়ে পুরনো পদ্ধতি বহাল রেখেই নতুন সূচক চালু করা হবে। নতুন পদ্ধতি সবার বোধগম্য হওয়ার পর পুরনো পদ্ধতি বাতিল করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এস এন পির ম্যাথেডোলজি পাওয়ার পর আমরা তা নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির কাছে পাঠাব। এসইসির অনুমোদনের পর নতুন সূচক চালু করা হবে। তিনি আরো বলেন, ডিএসই দীর্ঘদিন ধরে সূচক নিয়ে কাজ করছে। এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ডিএসইকে একটা গাইড লাইন দিয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নতুন সূচক চালু করতে চার মাস লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
এস এন পির প্রতিনিধি কোয়েল ঘোষ বলেন, সূচক সংস্কারের বিষয়ে আমরা উভয় পক্ষ একমত হয়েছি। ডিএসইতে নুতন সূচক চালু হলে দেশের পুঁজিবাজার আরো সমৃদ্ধ হবে। সব মিলিয়ে নতুন সূচক চালু করতে তিন-চার মাস লাগতে পারে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এ লক্ষ্যে ডিএসইর কাছে গত পাঁচ বছরের সূচক ও লেনদেনের যাবতীয় তথ্য চেয়েছে এস এন পি। এসব তথ্যের ভিত্তিতে নতুন কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করবে কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান এস এন পি।

Opportunity to whitenong black money in share market will be continued

Friday, May 04, 2012 Unknown
কালোটাকা সাদা করাসহ শেয়ারবাজারে বিদ্যমান সব ধরনের প্রণোদনা অব্যাহত রাখবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় গতকাল বুধবার এনবিআরের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ এ আভাস দেন। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের জন্য আগের সব সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত থাকবে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না নন, সেদিকে নজর দেওয়া হবে।
শেয়ারবাজারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন আরও জানান, এ-সংক্রান্ত সব সুবিধা অব্যাহত থাকবে। এখন যা আছে তাই থাকবে। সরকার শেয়ারবাজারবান্ধব।
ডিএসইর সভাপতি রকিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এনবিআরের সঙ্গে গতকাল প্রাক-বাজেট আলোচনা করে। ডিএসইর ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বাজেট প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করেন। এনবিআরের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনায় এনবিআরের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শেয়ার, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড অথবা সিকিউরিটিজ লেনদেনের ওপর এখন দশমিক ০৫ শতাংশ হারে কর কর্তন করা হয়। আগামী বাজেটে এই হার দশমিক ০১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে ডিএসই।
কোম্পানি ছাড়া ব্যক্তিশ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের ওপর ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কর অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে ডিএসইর। তবে আবাসী ও অনাবাসী বাংলাদেশিদের লভ্যাংশের অগ্রিম আয়কর কর্তনকে চূড়ান্ত করদায় বলে বিবেচনা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কর কমিয়ে সাড়ে ৩৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে এই হার সাড়ে ৪২ শতাংশ। আবার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে তা সাড়ে ৩২ শতাংশে কমিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
রাজস্বসংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে পৃথক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পরামর্শ দিয়েছে ডিএসই। ভারতেও এ ধরনের ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। এ ছাড়া আপিল করার জন্য দাবি করা রাজস্বের একাংশ জমা দেওয়ার বিধান প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে ডিএসই।

Phonix Insurance cash dividend

Friday, May 04, 2012 Unknown
ফনিক্স ইনস্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সময়কাল পর্যন্ত ১৫ শতাংশ (প্রতি ১০ টাকার শেয়ারের বিপরীতে দেড় টাকা) নগদ লভ্যাংশ এবং পাঁচ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ট বা বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২০ জুন সকাল সাড়ে ১১টায় কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে অনুষ্ঠিত হবে। রেকর্ড ডেট আগামী ১৭ মে। ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সময়কাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির কর পরবর্তী লভ্যাংশ ১০ কোটি টাকারও বেশি, শেয়ারপ্রতি আয় ৩.২৭ টাকা, প্রতি শেয়ারে প্রকৃত সম্পদমূল্য ২৫.৪০ টাকা এবং নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ০.৫৮ টাকা। ডিএসই ওয়েবসাইট অবলম্বনে।

Blog Archive