,

ভিডিও যৌনতা ও সহিংসতা- Music Video-Sex-Violation

Sunday, November 10, 2013 Other
সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে আসা মিউজিক ভিডিওগুলোর, বিশেষ করে ইংরেজি ভাষার এ জাতীয় ভিডিওর বেশির ভাগই যৌনতা ও সহিংসতায় ঠাসা। অভিভাবকদের মতে, পপতারকারা তাঁদের গানের কাটতি বাড়াতে একটু বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলছেন। শিশুরা প্রতিনিয়ত এসব কুরুচিপূর্ণ ভিডিও দেখছে এবং এ বিষয়গুলোর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। প্যারেন্টিং-বিষয়ক ওয়েবসাইট নেটমামসের সিওভান ফ্রিগার্ড এ-সংক্রান্ত একটি সমীক্ষার পর এসব তথ্য জানিয়েছেন। দেড় হাজার অভিভাবকের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। এতে দেখা যায়, তাঁদের ৮২ শতাংশ শিশুই বুঝে বা না বুঝে যৌনতায় ভরা গান গায়, আবেদনপূর্ণ নাচ অনুকরণের চেষ্টা করে। তবে অভিভাবকদের দাবি, তাঁদের শিশুরা যে ওই বিষয়গুলো একেবারেই বোঝে না, এমন নয়। কারণ না বোঝা বিষয়গুলো নিয়ে তারা প্রতিনিয়ত মা-বাবাকে প্রশ্ন করে। সাম্প্রতিক মিউজিক ভিডিওগুলোর মধ্যে মাইলি সাইরাসের 'রেকিং বল' এবং রিহানার 'পোর ইট আপ' শীর্ষক অ্যালবাম দুটির বিরুদ্ধে প্রবলভাবে যৌনতার অভিযোগ উঠেছে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী তিন-চতুর্থাংশ অভিভাবকই জানান, পপতারকারা মেয়েদের শেখাচ্ছেন, 'অর্জন বা ব্যক্তিত্ব নয়; তারা কতটা আকর্ষণীয় তার ওপর ভিত্তি করে তাদের মূল্যায়ন করা হয়।' আর ছেলেদের উদ্দেশে বার্তা হচ্ছে, 'যৌনতা সহজলভ্য এবং নারীদের শারীরিক গঠন পর্ণতারকাদের মতোই হওয়া উচিত।' ফ্রিগার্ড বলেন, কিছু বিষয় অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গেছে। যৌনতা ও সহিংসতার ওপর ভিত্তি করে পপ ভিডিওগুলোতেও রেটিং ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। - See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2013/11/10/20003#sthash.9XDyTRxO.dpuf

সাবধান- ১ টন ওজনের উপগ্রহ পড়বে মাথার উপর এ সপ্তাহের কোনো এক সময়

Sunday, November 10, 2013 Other
এ সপ্তাহের কোনো এক সময় পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে এক টন ওজনের বিশাল এক কৃত্রিম উপগ্রহ। ২০০৯ সালে মহাকাশে পাঠানো কৃত্রিম উপগ্রহটির জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় এটি বিকল হয়ে পড়েছে। অবশ্য ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। দ্য গ্র্যাভিটি ফিল্ড অ্যান্ড স্টেডি-স্টেপ ওসান সারকুলেশন এক্সপ্লোরার (জিইওসি) নামের এই কৃত্রিম উপগ্রহটি ২০০৯ সালের মার্চ মাসে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও সামুদ্রিক পরিবর্তন এবং পৃথিবীর মহাকর্ষ বিষয়ে গবেষণার জন্য ইএসএ মহাকাশে পাঠিয়েছিল। জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় এটি এখন পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে। ইএসএ জানিয়েছে, এই কৃত্রিম উপগ্রহটি কখন বা কোথায় পড়তে পারে সে সম্পর্কে এখনই ধারণা করা যাচ্ছে না। তবে কৃত্রিম এই উপগ্রহটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়লেও এর কারণে কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই বা এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির জিইওসি মিশন পরিচালক রুনি ফ্লোবারগেজেন।

বিয়ে করবেন? - Before Marriage

Sunday, November 10, 2013 Other


আর কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো বাজবে অনেকের বিয়ের সানাই। শীতের এই আমেজটা সে কথারই জানান দিয়ে যায়। কারণ, বাঙালিদের মধ্যে শীতকালেই বিয়ের একটা ধুম পড়ে। অনেকেরই বিয়ে হবে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে, আবার কেউ বা শুভ কাজটি সেরে ফেলবেন পরিবারের পছন্দেই। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, যাঁকে বিয়ে করছেন, তাঁকে বিয়ে করাটা কতটুকু সঠিক হচ্ছে সেটা একটু ভেবে দেখবেন। শেষে না আবার বানরের গলায় মুক্তোর হার পরিয়ে বসেন। ভাবছেন, নিজের বিয়ে নিয়ে নিজেই ভাববেন, এ নিয়ে লেখালেখির কী আছে! লেখার কারণটি হচ্ছে, নিউ জার্সির পাদ্রি প্যাট কনর ৪০ বছর ধরে গবেষণা করে বানরের গলায় মুক্তোর হার না পরাবার জন্য একটি তালিকা তৈরি করেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন আট ধরনের পুরুষ, যাঁদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া নারীদের মোটেও উচিত নয়। এবার জেনে নেওয়া যাক ওই আট ধরনের পুরুষ সম্বন্ধে যাঁদের বিয়ে করা উচিত নয়। এঁদের মধ্যে রয়েছেন—মায়ের আঁচল ধরে থাকা ছেলে; যে পুরুষ ঠিকভাবে অর্থকড়ির ব্যবস্থাপনা করতে পারে না; যাঁর কোনো বন্ধু নেই; যে পুরুষ লোকজনের মাঝে প্রেমিকাকে একা ছেড়ে যায়; রেস্তোরাঁ বা ক্যাফেতে ওয়েটারদের সঙ্গে খারাপ আচরণকারী; যিনি হাসিখুশি থাকেন না; যিনি কর্তৃত্ব ভাগাভাগি করতে পারেন না এবং প্রেমিকার চাহিদার বিপরীতে যে পুরুষ নিজের চাহিদার কথা জানান না।
,

বিয়ে না করে শুক্রাণু গ্রহন-Sparm received to be Mother

Sunday, November 10, 2013 Other
মেয়ের জন্য পাত্র খুঁজলেন মা-বাবা। কিন্তু যথাযথ পাত্র পাওয়া গেল না। এবার মেয়েপক্ষ ব্যস্ত হলেন গুণগতমানে উপযুক্ত একজন যুবককে খুঁজে বের করতে যিনি শুক্রাণু দান করবেন। এটা পাওয়া গেলে মহাখুশী হবেন রিচা আনেজা। এজন্য তার পরিবার প্রকাশ্যভাবেই সমর্থন দিচ্ছে। অবিবাহিতা এই নারী কৃত্রিমভাবে মা হওয়াতে জীবনের সার্থকতা খুঁজছেন। অন্যের সন্তান ধারণ করে তা হস্তান্তর করা অথবা কৃত্রিমভাবে মা হওয়া বেশ আগে শুরু হলেও সামাজিক আড়ষ্টতা কাটতে সময় লাগছে। এসব বিষয় খোলামেলা আলোচনায় সামাজিক সংকোচ কমে আসায় অনেকেই মুখ খুলছেন। রিচা আনেজার পরিবার তেমন পরিবর্তনের উদাহরণ। এই পরিবার মেয়ের জন্য পাত্র খুঁজেছেন অনেক, তবে সে চেষ্টা সফল হয়নি। তাদের মেয়ে একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের মালিক। ৩৪ বছরের এই মেয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন, বিয়ে না করেও মা হবেন। আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হওয়ার এই ইচ্ছা মা-বাবাকে জানানোর পর তারা আশির্বাদ করলেন। ভাইও চেষ্টা করলেন উপযুক্ত 'শুক্রাণু দাতা' খুঁজতে। পছন্দসই দাতা পাওয়ার পর রিচা আনেজার ডিম্বাণু সংগ্রহ করে ভাড়া করা গর্ভে তা নিষিক্ত করা হয়। সেই নারীর গর্ভে বেড়ে উঠছে রিচার সন্তান। তার পরিবার মহাউৎসাহে অপেক্ষা করছে এই শিশুর জন্য। কীভাবে তার যত্ন নেওয়া হবে তার আয়োজন চলছে। ঠিক করা হচ্ছে নামও। ভারতে এ ধরনের প্রবণতার সঠিক তথ্য-উপাত্ত না থাকলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকে ঝুঁকছেন কৃত্রিমভাবে সন্তানের অধিকারী হতে। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2013/11/10/20070#sthash.q4X4VT2g.dpuf

প্রেম-বিয়ে-সন্তান-বিচ্ছেদ-Love-Marriage-Baby-Break Up

Sunday, November 10, 2013 Other
২০১০ সালের ১৪ অক্টোবর একজন প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শামসুন্নাহারের (ছদ্মনাম)। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী চলে যান মধ্যপ্রাচ্যে তাঁর কর্মস্থলে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কোলজুড়ে সন্তান আসে শামসুন্নাহারের। কন্যাসন্তান। দীর্ঘ বিরতিতে একেকবার দেশে আসেন স্বামী কফিল (ছদ্মনাম)। কিন্তু এত দিন পর দেশে এলেও স্ত্রী-সন্তানের প্রতি কোনো টান যেন নেই। অন্য এক নারীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে ধারণা শামসুন্নাহারের। এমনকি তার মানিব্যাগেও এক দিন দেখতে পান সেই নারীর ছবি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় কলহ। একপর্যায়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন শামসুন্নাহার। কিন্তু স্বামীর মতিগতির পরিবর্তন নেই। অবশেষে অনন্যোপায় হয়ে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন শামসুন্নাহার। এর ঠিক উল্টো ঘটনাও আছে। সৌদি আরবের রিয়াদে থাকেন মাহমুদুল আলম (ছদ্মনাম)। ২০০৭ সালে দেশে ফিরে বিয়ে করেন শামীমাকে (ছদ্মনাম)। বিয়ের পর কর্মস্থলে ফিরে যান মাহমুদ। মাঝেমধ্যে দেশে আসেন। ২০১১ সালে দেশে ফিরে স্ত্রীর চালচলনে কেমন একটা পরিবর্তন দেখতে পান। লুকিয়ে মুঠোফোনে কার সঙ্গে যেন কথা বলেন শামীমা। এক দিন মুঠোফোনে সেই ব্যক্তির খুদে বার্তা এলে মাহমুদের সন্দেহ দৃঢ়মূল হয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর কলহের একপর্যায়ে উভয় পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে সমঝোতা হয়। শামীমা সব দোষ স্বীকার করে ভবিষ্যতে আর এ রকম ঘটবে না বলে কথা দেন। কিন্তু সমঝোতার মাত্র কয়েক দিন পর ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর নিখোঁজ হয়ে যান শামীমা। বাকলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন স্বামী। স্থানীয় তিনটি দৈনিক পত্রিকায় ছাপানো হয় নিখোঁজ সংবাদ। কিন্তু খোঁজ মেলে না শামীমার। স্বামী মাহমুদের ধারণা, প্রেমিকের আশ্রয়ে কোথাও লুকিয়ে আছে তাঁর স্ত্রী। অবশেষে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্ত্রীকে তালাকের নোটিশ দেন মাহমুদ। এভাবেই স্বামী বা স্ত্রীর অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া নিয়ে সন্দেহ-অবিশ্বাসের জন্ম। তাতে মন ভাঙে, সংসারও ভেঙে যায়। শুধু পরকীয়া নিয়ে সন্দেহ-অবিশ্বাস নয়। ব্যক্তিত্বর সংঘাত, যৌতুকের দাবি, মাদকাসক্তি নির্যাতন বা প্রতারণা ইত্যাদি নানা কারণে ভাঙছে সংসার। চট্টগ্রামে গড়ে প্রতি তিন ঘণ্টায় ভাঙছে একটি করে সংসার। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সালিশি আদালত থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সালিশি আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জমা পড়েছিল এক হাজার ৯৫২টি, ২০১০ সালে এর সংখ্যা দুই হাজার ১৬২, ২০১১ সালে দুই হাজার ৬১৫ এবং ২০১২ সালে দুই হাজার ৭৮২, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই এই সংখ্যা এক হাজার ৯৬০। অর্থাৎ প্রতিবছর সংখ্যাটি বেড়েই চলেছে। ২০০৯ সালে গড়ে প্রতি পাঁচ ঘণ্টায় একটি করে সংসার ভাঙত। সালিশি আদালত সূত্র জানায়, বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন পেলে আদালত এক মাসের নোটিশ দেন বাদী ও বিবাদীকে। তাঁরা হাজির না হলে বা কোনো সমঝোতায় উপনীত না হলে তিন মাসের মধ্যে কার্যকর হয় বিবাহ বিচ্ছেদ। বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনের পর কী পরিমাণ আবেদন প্রত্যাহার হয় বা কয়টি ক্ষেত্রে আপস মীমাংসা হয়?—এ রকম প্রশ্নের জবাবে আদালত সূত্র জানায়, এর সংখ্যা শতকরা পাঁচ ভাগেরও কম। আদালতে জমা দেওয়া বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনের বিষয় পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গার্মেন্টসে কর্মরত মেয়েদের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন সবচেয়ে বেশি। বিয়ের পর স্বামীরা তাঁদের বেতনের টাকা হাতিয়ে নেন, মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন, নির্যাতন করেন, অন্য নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রাখেন বা গোপনে অন্যত্র বিয়ে করেন বলেও অভিযোগও করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া প্রবাসে কর্মরত পুরুষেরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন তাঁদের অনুপস্থিতিতে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে। উচ্চবিত্ত ও শিক্ষিত পরিবারে দেখা যাচ্ছে ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব, যৌতুক, শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে বোঝাপড়ায় সমস্যা ও পরকীয়া প্রেম প্রভৃতি কারণ দেখিয়ে নারী-পুরুষ উভয়ের দিক থেকে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করা হয়। মোহিত কামালনৈতিক স্খলনে বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ মোহিত কামাল, মনোরোগ চিকিৎসক মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামালের মতে, নৈতিক স্খলনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা। তাঁর মতে, প্রবাসীদের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে বাড়ছে মূলত সন্দেহ-অবিশ্বাস থেকে। বিদেশে হাড়ভাঙা খাটুনির পর স্ত্রীর সঙ্গ পান না তাঁরা। এমনকি তাঁদের জীবনে অন্য কোনো বিনোদনও নেই। দেশে স্ত্রী কী করছে এই চিন্তায় অস্থির থাকেন তাঁরা। তার ওপর দেশ থেকে অনেক সময় বাবা-মা বা ভাইয়েরা তাঁর স্ত্রীর আচরণ সম্পর্কে নানা অভিযোগ করেন। এগুলো তাঁর মনকে বিষিয়ে দেয়। স্ত্রীকে ফোন করে তাঁরা তখন কটুকাটব্য করতে থাকেন। এতে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে পড়ে। তবে এ কথাও ঠিক, দীর্ঘকাল স্বামীর অনুপস্থিতিতে অনেকে বিবাহ- বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এটা একটা জৈবিক কারণ। স্বামীর অনুপস্থিতিতে এই জৈবতাড়নাই তাঁকে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে প্ররোচিত করে। পোশাক-কর্মীদের মতো যাঁরা নিম্নআয়ের মহিলা, অনেক দরিদ্র পুরুষই তাঁদের বিয়ে করেন অর্থনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য। অনেক সময় স্ত্রীর টাকায় নেশা করেন অনেকে, কেউ বা গোপনে অন্য নারীতে আসক্ত হয়ে পড়েন। এই মেয়েরা এখন অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা হলেও স্বাবলম্বী। তাঁরা এ অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করেন না। তাই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটানোর মতো সিদ্ধান্ত নেন। উচ্চবিত্ত পরিবারের ক্ষেত্রে দেখা যায় স্বামী ব্যবসা বা বড় চাকরি করেন। নিয়মিত মদ্য পান করাকে সোশ্যাল স্ট্যাটাসের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন। মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীর ওপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করেন। এ ছাড়া এ শ্রেণীর মেয়েদের মধ্যেও নানা হতাশা থেকে বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপনের অনেক নজির আছে। সব মিলিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে চিড় ধরে, যার অনিবার্য ফল বিবাহবিচ্ছেদ। মাদকাসক্তি ও যৌতুকের মতো সামাজিক ক্ষত সারানো গেলে বিবাহবিচ্ছেদ অনেকাংশে কমবে বলে মনে করেন মোহিত কামাল। তাঁর মতে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো নিদান নেই।
,

৯ কোম্পানির লেনদেন স্পট ও ব্লক মার্কেটে-this 9 Company is in Spot Market

Sunday, November 10, 2013 Other
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৯ কোম্পানির লেনদেন স্পট ও ব্লক মার্কেটে শুরু হবে আজ। চলবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। ১৩ নভেম্বর রেকর্ড ডেটের কারণে এসব শেয়ারের লেনদেন বন্ধ থাকবে। কোম্পানিগুলো হলো— ফু-ওয়াং সিরামিক, মালেক স্পিনিং, সায়হাম টেক্সটাইল, গোল্ডেন হারভেস্ট, দেশ গার্মেন্টস, অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড, বিডি অটোকারস, হাক্কানি পাল্প এবং মুন্নু সিরামিকস। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ফু-ওয়াং সিরামিক: পরিচালনা পর্ষদ ২০১৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭২ পয়সা, শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ১৩ টাকা ৯৭ পয়সা ও কর-পরবর্তী মুনাফা ৫ কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার টাকা। মালেক স্পিনিং: ২০১৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। এছাড়া কোম্পানিটির সংঘস্মারক ও সংঘবিধি পরিবর্তনের মাধ্যমে অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি থেকে ৩০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ট্রাস্ট মিলনায়তনে এর এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। সায়হাম টেক্সটাইল: ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাব বছরে এর ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১২ পয়সা ও এনএভি ৩০ টাকা ৯২ পয়সা। আগামী ২ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় হবিগঞ্জের মাধবপুর সায়হামনগরে কারখানা প্রাঙ্গণে এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। গোল্ডেন হারভেস্ট: ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। সমাপ্ত হিসাব বছরে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪৩ পয়সা ও এনএভি ২৫ টাকা ৫৮ পয়সা। আগামী ১২ ডিসেম্বর গাজীপুরের বোরকানে কারখানা প্রাঙ্গণে এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। দেশ গার্মেন্টস: ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। সমাপ্ত হিসাব বছরে ইপিএস হয়েছে ৮৮ পয়সা ও এনএভি ১২ টাকা ১২ পয়সা। আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড: ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নেট মুনাফা হয়েছে ৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ইপিএস ১ টাকা ৬ পয়সা ও এনএভি ১৬ টাকা ৩৯ পয়সা। আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় রাজধানীর গুলশান-১-এ স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। বিডি অটোকারস: কোম্পানিটির এজিএম আগামী ২৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টায়, রেজিস্টার্ড অফিস, ১১০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে এর শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪৩ পয়সা এবং এনএভি ৫ টাকা ৬৮ পয়সা। হাক্কানি পাল্প: ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত হিসাব বছরে এর ইপিএস হয়েছে ৫১ পয়সা, পুনর্মূল্যায়ন শেষে কোম্পানিটির এনএভি ৩১ টাকা ১ পয়সা। আগামী ৩০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে ইডেন গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টারে এর এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। মুন্নু সিরামিক: ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য। কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক এ লভ্যাংশ পাবেন না। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৮৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ইপিএস ৩৫ পয়সা ও এনএভি ৯৫ টাকা ৩০ পয়সা। আগামী ২৬ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জে মুন্নু সিটিতে এর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। - See more at: http://bonikbarta.com/sharemarket/2013/11/10/21853#sthash.xn5wLowq.dpuf
,

New মার্জিন ঋণ নীতিমালা - Margine Loan

Sunday, November 10, 2013 Other
মার্জিন ঋণ নীতিমালা তৈরির পর এক বছর পার হলেও এর কার্যকারিতা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। গ্রাহকদের দেয়া নতুন ঋণের ক্ষেত্রে নীতিমালা কার্যকর হলেও পুরনো ঋণের ক্ষেত্রে তা সমন্বয় করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে শেয়ারের দর কমে গিয়ে ঋণসীমা অতিক্রম করলেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। বাজারের নেতিবাচক পরিস্থিতিতে মার্জিন ঋণ নেয়া পোর্টফোলিও ঋণাত্মক হয়ে পড়ায় সমন্বয় কঠিন হয়ে পড়ছে বলে ঋণপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে। এতে নতুন করে বিনিয়োগ ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। মার্জিন ঋণ নীতিমালার বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এটি নতুন ও পুরনো— দুই ধরনের ঋণের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। ২০১৪ সালের জুলাইয়ের মধ্যে মার্জিন ঋণ ধাপে ধাপে বিএসইসির নির্ধারিত সীমায় নামিয়ে আনতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি কেউ নির্দেশনা মানতে না পারেন, তাহলে সেটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা। আমরা দেখব নীতিমালা পরিপালন হয়েছে কিনা।’ গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর দাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) শর্তানুযায়ী মার্জিন ঋণ নীতিমালার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মার্জিন ঋণের তত্কালীন হার (১:২) বহাল রেখে ধাপে ধাপে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে এডিবির শর্তানুযায়ী মার্জিন ঋণের হার ১ অনুপাত দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। নীতিমালা অনুযায়ী ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মার্জিন ঋণের হার ১ অনুপাত ১ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকরের নির্দেশনা রয়েছে। তবে নতুন ঋণের ক্ষেত্রে এ হার কার্যকর হলেও পুরনো ঋণের ক্ষেত্রে তা সমন্বয় হচ্ছে না। জানা গেছে, বর্তমানে শেয়ারবাজারে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার মার্জিন ঋণ রয়েছে। এ ঋণের উল্লেখযোগ্য অংশই বিতরণ করা হয়েছে ১ অনুপাত ২ হারে (গ্রাহকের তহবিলের দুই গুণ মার্জিন ঋণ)। আগামী বছরের জুলাই থেকে ঋণ প্রদানের হার হবে ১ অনুপাত দশমিক ৫। এক্ষেত্রে ধীরে ধীরে পুরনো ঋণ সমন্বয় করতে না পারলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সক্ষমতাও কমে আসবে। এ প্রসঙ্গে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘বাজার পরিস্থিতির কারণে বিতরণ করা পুরনো ঋণ সমন্বয় কঠিন হয়ে পড়ছে। যদিও নতুন ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী বিতরণ করা যাচ্ছে। আর পুরনো ঋণ সমন্বয়ের জন্য আমরা গ্রাহক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়েছি। আশা করছি, বাজার ভালো হলে ঋণ সমন্বয় করা যাবে। তবে আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, ২০১৪ সালের জুলাইয়ে ঋণ অনুপাত কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নামিয়ে আনা।’ ঋণ প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনায় জানা গেছে, ২০১০ সালের বিপর্যয়ের পর এমনিতেই মার্জিন ঋণের একটি বড় অংশ আটকে গেছে। সময়মতো বাধ্যতামূলক বিক্রির (ফোর্সড সেল) মাধ্যমে ঋণ সমন্বয় করতে না পারায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে রয়েছে ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ অবস্থায় নীতিমালা তৈরির পর বিতরণ করা মার্জিন ঋণ ধাপে ধাপে সমন্বয় না হলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ ঝুঁকি আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। পুরনো ঋণ হালনাগাদ না করায় এরই মধ্যে ঋণ বিতরণকারী অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই তারল্য সংকটে ভুগছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ঋণ বিতরণও বন্ধ করে দিয়েছে। তারল্যসংকট কাটাতে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে অর্থ সংগ্রহ করা যায়নি। এ ব্যাপারে মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনজুম আলী বলেন, ‘পুরনো ঋণের ক্ষেত্রেও কমিশনের নিদের্শনা প্রযোজ্য। তবে বর্তমান বাজার পরিস্থিতির কারণে পুরনো ঋণ সমন্বয় করা কঠিন। বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে ধারাবাহিকভাবে সমন্বয় করতে হবে।’ মার্জিন ঋণের সংকট নিয়ে তিনি বলেন, মার্জিন পোর্টফোলিওতে বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে থাকায় বর্তমানে ব্রোকারেজ হাউসগুলো নতুন করে ঋণ দিতে পারছে না। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রাহকের একক ঋণসীমা (সিঙ্গেল পার্টি এক্সপোজার) থাকায় সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসেবে মূল কোম্পানি থেকে ঋণ পাওয়াও যাচ্ছে না। অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হলে ওই ব্যাংককে কাউন্টার গ্যারিন্টি দিতে হয়। সেক্ষেত্রে নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসারে ওই ঋণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শেয়ারবাজারের এক্সপোজারে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এতে ব্রোকারেজ হাউসগুলো নতুন ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে অর্থ সংকটে পড়ছে। তারল্যসংকট থেকে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে উদ্ধারের জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকের মতো স্থায়ী আমানত (এফডিআর) সংগ্রহের অনুমোদন দেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন মনজুম আলী। এতে ব্রোকরেজ হাউসগুলোর নতুন অর্থ সংস্থান হবে, যা ঋণ আকারে গ্রাহকদের বিতরণ করা যাবে। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে শেয়ারবাজার অতিমূল্যায়িত হওয়ায় বিএসইসি ১০ বার মার্জিন ঋণের হার পরিবর্তন করে। এতে বাজার প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগে একটি নীতিমালা তৈরির দাবি ওঠে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নির্দেশনার দেড় বছর পর ২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মার্জিন ঋণ নীতিমালার অনুমোদন দেয় বিএসইসি। - See more at: http://bonikbarta.com/sharemarket/2013/11/10/21852#sthash.3QPhH3QK.dpuf
,

শেয়ারবাজারে আজ কি হচ্ছে-Share Market Today

Sunday, November 10, 2013 Other
দেশের শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান-পতন চলছে। এর আগে গত সপ্তাহের পাঁচ দিনই সূচক বেড়েছে। আজ রোববার বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা চার দিনের হরতারের প্রথম দিনে সূচকের ওঠানামার মধ্যে লেনদেন শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচকের ওঠানামা আরও দ্রুত গতিতে চলতে থাকে। বর্তমানেও প্রধান দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে(সিএসই) এই ধারা বজায় রয়েছে। অর্থ্যাত্ সূচক কখনও বাড়ছে আবার কখনও কমছে। সূচকের ওঠানামা সত্ত্বে দেড় ঘণ্টা শেষে উভয় বাজারে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবে সার্বিক লেনদেনে মন্দাভাব দেখা যাচ্ছে। দেড় ঘণ্টায় প্রধান বাজার ডিএসইতে ১১৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টায় ডিএসইএক্স সূচক ১৮ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ২০৬ দশমিক ৭১ পয়েন্টে গিয়ে পৌছেছে। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় সূচক ২২ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ২২২ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়ায়। এ প্রতিবেদন তৈরির সময় পর্যন্ত ডিএসই’তে লেনদেন হয়েছে ২৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ডিবেঞ্চার। এদের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫০টির, কমেছে ৭৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। মোট লেনদেন হয়েছে ১১৯ কোটি ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। শেয়ার, ডিবেঞ্চার ও মিচ্যুয়াল ফান্ড বিক্রি হয়েছে ৪ কোটি ১২ লাখ ২৪ হাজার ৪৪৬টি।এই সময়ের মধ্যে ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষ দশে রয়েছে- মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, যমুনা অয়েল, অ্যাক্টিভফাইন কেমিক্যাল, বেক্সিমকো, সিটি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও পদ্মা অয়েল। এদিকে, দেশের আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে(সিএসই)ও একইভাবে লেনদেন চলছে। দুপুর ১২টায় সিএসসিএক্স সূচক ১৮ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ২০৬ দশমিক ৭১ পয়েন্টে গিয়ে পৌছেছে। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় সূচক ১ দশমিক ৮১ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ১৮৬ দশমিক শুন্য ৬ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়ায়। এ সময় পর্যন্ত সিএসই’তে লেনদেন হয়েছে মোট ১৭৫টি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ৬৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম। টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৩১ লাখ ৯ হাজার ৯৫৮ টাকা। হাতবদল হওয়া শেয়ার, ডিবেঞ্চার ও মিচ্যুয়াল ফান্ডের পরিমাণ ৭২ লাখ ৪০ হাজার ৮৮৫টি।এই সময়ের মধ্যে সিএসই’র লেনদেনের শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, বেক্সিমকো, পদ্মা অয়েল, সিটি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও ফার্স্ট লিজ ফিন্যান্স। - See more at: http://bonikbarta.com/sharemarket/2013/11/10/21888#sthash.tswkpZBH.dpuf
, ,

১০টার পরিবর্তে বেলা ১১টায় লেনদেন- Trade Start after 1 hours

Sunday, November 10, 2013 Other


দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন আজ রোববার নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা পরে শুরু হয়েছে। ফলে সাড়ে ১০টার পরিবর্তে বেলা ১১টায় লেনদেন শুরু হয়। ডিএসইর জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ইশতিয়াক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, কিছু কারিগরি ত্রুটির কারণে আজ লেনদেন আধা ঘণ্টা পেছানো হয়েছে। বেলা ১১টায় লেনদেন শুরু হয়েছে। বেলা তিনটা পর্যন্ত লেনদেন চলবে বলে জানান তিনি।
, ,

এই বাজার দেড় হাজার কটি টাকা্- This Market is of 1.5 Crores

Sunday, November 10, 2013 Other
কামারশালায় কৃষি যন্ত্রাংশ সারাইয়ের কাজ করতে যাওয়া হাতে গোনা কয়েকজন কারিগরের হাত ধরে ছোট ছোট যন্ত্রাংশ উদ্ভাবন ও তৈরির মধ্য দিয়ে বগুড়ায় ছোট্ট পরিসরে একটি শিল্পের সূচনা হয়েছিল। ছয় দশকের ব্যবধানে সেই শিল্পই এখন দেশের অন্যতম বড় রপ্তানি খাতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে ঘটে গেছে কৃষি ও হালকা প্রকৌশল শিল্পের এক অভাবনীয় বিপ্লব। ছোট-বড় প্রায় এক হাজার কলকারখানাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রাংশ এবং হালকা শিল্পের বাজার। এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা। কর্মসংস্থান হয়েছে লাখো শ্রমিকের। কৃষি যন্ত্রপাতির জাতীয় চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ পূরণ হচ্ছে বগুড়া থেকে। বগুড়ার কৃষি ও হালকা প্রকৌশল শিল্প বিদেশেও বাজার সৃষ্টি করছে। এখানকার তৈরি কৃষি যন্ত্রপাতি, হালকা প্রকৌশল পণ্য ও ফাউন্ড্রি শিল্প বিদেশের বাজারে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। স্থানীয় হিসাবে বগুড়ায় ছোট-বড় প্রায় এক হাজার কৃষি ও হালকা প্রকৌশল শিল্পের কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ৫০০টি কৃষি যন্ত্রাংশ, ৪৫০টি হালকা প্রকৌশল এবং ৪২টি ফাউন্ড্রি শিল্প। ঢালাই কারখানাগুলোয় পুরোনো লোহা গলানোর পর তৈরি করা হয় নানা ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি ও হালকা প্রকৌশল পণ্য। লোহা ও ফাউন্ড্রির সমন্বয়ে তৈরি হচ্ছে পানির পাম্প। লেদ মেশিনে লোহা কেটে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি। পুরোনো লোহালক্কড় (ভাংরি লোহা), জাহাজভাঙার ও ঢালাই লোহা (পিগ আয়রন), সিলিকন পাত, কয়লা (হার্ডকোক) ও ফার্নেস তেল ফাউন্ড্রি শিল্পের প্রধান কাঁচামাল। বাংলাদেশ ফাউন্ড্রি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আইনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সব ধরনের কাঁচামালের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ-সংকটে সম্ভাবনাময় এ শিল্প হুমকির মুখে। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে ফার্নেস তেলের মতো কাঁচামাল আমদানি কর মওকুফ করা দরকার। বগুড়া শহর ও শহরতলির আশপাশে রয়েছে অসংখ্য ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ বা কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা। শহরের সূত্রাপুর, ফুলবাড়ী, গোহাইল সড়ক, রেলওয়ে মার্কেট, শাপলা মার্কেট, বিআরটিসি শপিং কমপ্লেক্স, ঠনঠনিয়া, চারমাথা, ভবেরবাজার, চেলোপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বড় কারখানার পাশাপাশি ছোট ছোট লেদ ওয়ার্কশপে দিনে-রাতে যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ করছেন কারিগরেরা। কারখানাগুলো ঘিরে শহরের গোহাইল সড়ক ও স্টেশন সড়কে গড়ে উঠেছে কৃষি যন্ত্রাংশ ব্যবসার এক বিশাল বাজার। বিসিক শিল্পনগরে বর্তমানে চালু ৮৭টি শিল্পপ্লটের মধ্যে ৭১টিই কৃষি যন্ত্রাংশ ও হালকা প্রকৌশল শিল্পকারখানা। এর মধ্যে নয়টি ফাউন্ড্রি কারখানায় তৈরি হচ্ছে সেচ পাম্প ও টিউবওয়েলের মতো পণ্য। আর ৬২টি কারখানায় তৈরি হয় কৃষি যন্ত্রাংশ ও হালকা প্রকৌশল পণ্য। এখানকার সবচেয়ে বড় কারখানা মিলটন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজার রহমান বলেন, দেশে-বিদেশে বগুড়ায় উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রাংশের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত টিউবওয়েল সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের নামিদামি বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানে, যাচ্ছে বিদেশেও। ১৯৯৫ সালে ভারতে নিচ থেকে পানি ওপরে তোলার সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প রপ্তানির মধ্য দিয়ে বিদেশের বাজারে প্রবেশ করে বগুড়ার কৃষিশিল্প। এরপর ভারত, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটানে টিউবওয়েল রপ্তানি হয় কয়েক বছর ধরে। সম্প্রতি নেপালে টিউবওয়েল রপ্তানির জন্য চুক্তি করে ফিরেছেন আইনুল হক। বেলারুশের একটি বিনিয়োগকারী দল বগুড়া ঘুরে গেছে। বেলারুশ বগুড়ায় ট্রাক্টর, কম্বাইন্ড হারভেস্টর, পাওয়ার টিলারসহ বিশ্বমানের কৃষিযন্ত্র উৎপাদন করতে আগ্রহী। তুরস্কের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল এখানকার শিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিদর্শনে এসে যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। ভুটানের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল এসে এখানকার শিল্পবিপ্লব দেখে অভিভূত হয়েছে। নেপালের সচিব ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল ফিরে গিয়ে টিউবওয়েল কেনার চুক্তি করেছে। বগুড়ার ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টিভিএস আমিরের উদ্ভাবিত জ্বালানিবিহীন গাড়ি বাজারজাতকরণের প্রস্তাব দিয়েছে। পাহক নামে একটি প্রতিষ্ঠান জৈব সার তৈরির যন্ত্র বাজারজাত করার আগ্রহ দেখিয়েছে। ইতালিও জ্বালানিবিহীন গাড়ি বাজারজাত ও সে দেশের নাগরিকত্বের প্রস্তাব দিয়েছে। একই প্রস্তাব দিয়েছে সুইজারল্যান্ডও। মালয়েশিয়া আমিরের উদ্ভাবিত পাম তেলের যন্ত্র বাজারজাতের আগ্রহ দেখিয়েছে। ব্যবসায়ীরা অবশ্য বলছেন, বগুড়ায় পরিকল্পিতভাবে এ শিল্প গড়ে না ওঠায় একসময় এর অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে। বর্তমানে শহরের আবাসিক এলাকাসহ যত্রতত্র ছোট ছোট শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। ফোরাম অব এগ্রিকালচারাল মেশিনারিজ ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্রসেসিং জোনের সভাপতি গোলাম আজম বলেন, শহরতলির ভারী শিল্পের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গায় ‘কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদন অঞ্চল (এপিজেড)’ ঘোষণা এবং সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত ও রাস্তাঘাট উন্নয়ন, গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ, মান নিয়ন্ত্রণের জন্য পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠা করে একটি শিল্পবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছি আমরা।’ বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল মেশিনারিজ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার বাদল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্যোক্তাদের ১০ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নিলেও সেটি এখন প্রায় বন্ধের পথে।

Blog Archive