বৈঠকে যা হল

Sunday, January 23, 2011 Unknown
পুঁজিবাজারে স্থিতিবস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকার সাম্প্রতিক সময়ে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপই স্থগিত করছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সূচকের সার্কিট ব্রেকার স্থগিত করা হবে, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিও আপাতত থাকবে না রোববার এসইসি, ডিএসই, সিএসই’র প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন তিনি বলেন, মঙ্গলবার পুঁজি বাজার নতুন উদ্যমে শুরু হবে পুঁজি বাজারে ব্যাপক সংস্কার আনা হচ্ছে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিপুল অংকের অর্থ বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, মোটেই বিপুল অংকের অর্থ উধাও হয়নি সামান্য কিছু অর্থ সরে গেছে যা সংশোধন করা সম্ভব তবে ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিগগিরই তদন্ত কমিটি হচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী তিনি বলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যেই বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আরেকটু সাবধান হতে হবে দশ টাকা খাটিয়ে ৫০ টাকা হয়ে যাবে এটা এমন নয় অনেক বিনিয়োগকারী পুজিবাজারের বিষয়গুলো জানেইই না তাদের প্রশিক্ষণ সচেতন করা আমাদের কর্তব্য একই সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তাদেরও।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করে তোলা সম্ভব এবং সরকার সে লক্ষেই কাজ করছে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না? এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন,
বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষা করাই আমাদের উদ্দেশ্য তবে কি পদক্ষেপ তা মুহুর্তে বলা কঠিন।’
মঙ্গলবারে বাজার খোলার সময় বাজার অনেক গোছানো হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি এর আগে প্রধামন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর . আতিউর রহমান, এসইসি চেয়ারম্যান, ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবসহ অর্থ বিভাগের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবনপদ্মা’য় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা, বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, এসইসি, মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরি বেঠক করেন অর্থমন্ত্রী তারপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি
এরপর শেয়ারবাজারের চলমান সঙ্কট থেকে উত্তরণের উপায় নির্ধারণে বিকেল চারটায় জরুরি বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ছ’টায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি
Trading on Dhaka Stock Exchange and Chittagong Stock Exchange will resume on Tuesday.
The trading, however, will remain closed on Monday on both the DSE and CSE.
Finance Minister AMA Muhith announced the decision at a press conference at his ministry in the evening. The announcement came after a marathon meeting with the stockmarket stakeholders earlier in the day.
He said all the stakeholders including the government, Securities and Exchange Commission (SEC), the bourses, merchant banks, institutional investors and general investors all had had ‘special role’ behind the market debacle.
"There is still enough scope to look at it," he said, expressing his hope that many things will come out from an investigation.
The minister admitted that shutting down the markets is not any good decision. "The markets should be allowed to run on its own course for its stability," he said.
Muhith said the markets would open on Tuesday rather than Monday for taking times to adopt some steps. "To restore confidence of the investors, we want to adopt some regulations, which will be effective from Tuesday."

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়

Sunday, January 23, 2011 Unknown
পুঁজিবাজারে সঙ্কটের কারণ এবং তার থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রোববার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় শুরু হয়েছে
বৈঠকে সংবাদ কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি
বৈঠকে অংশ নিতে সকাল পৌনে ৯টার দিকে অর্থমন্ত্রীর পাশাপাশি পদ্মায় ঢুকেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খালেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খন্দকার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান, বর্তমান সভাপতি শাকিল রিজভী, বাংলাদেশ শিল্প বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি কে আজাদ, সাবেক সভাপতি আনিসুল হক প্রমুখ
টানা দরপতনে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার সরকারের উদ্যোগে বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানান
এদিকে রোববার ঢাকা চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন হচ্ছে না সোমবার লেনদেন হবে কি না, তা রোববারই জানানোর কথা

The finance minister has sat with a delegation of major stock market players including DSE officials to decide on the course of action in the prevailing share market crisis.

The meeting kicked off around 8.45am on Sunday at the government guest house, Padma, in the capital.

The delegation includes Securities and Exchange Commission (SEC) chief Ziaul Haque Khandkar, the prime minister's financial advisor Moshiur Rahman, Awami League chairperson's advisor on private sector development Salman F Rahman.

Bangladesh Bank governor Atiur Rahman, deputy governor Ziaul Hasan Siddique, Dhaka Stock Exchange (DSE) chief Shakil Rizvi, former chief Rakibur Rahman, Bangladesh Krishi Bank chairman Khondker Ibrahim Khaled were also present.

The meeting was also attended by Federation of Bangladesh Chambers of Commerce and Industry (FBCCI) chief A K Azad and former chief Anisul Huq.

On Friday, finance minister Abul Maal Abdul Muhith admitted that he along with the share market regulator made mistakes in handling the market and said that he would be meeting the stakeholders.

He also expressed hope that the market would be stabilised within two to three days.

On Thursday, trading at the country's premier bourse began at 1pm instead of 11am, in line with a new decision, and it halted within five minutes even as the market circuit breaker got activated to prevent sharp fall index. Nonetheless, the index quickly shed almost 600 points.

The SEC also halted activities of six brokerage houses for 30 days and ordered that there be no trading on the next business day (Sunday) after prices plunged to new depths.

Sunday, January 23, 2011 Unknown
কম্পিউটার চালু করার সাথে সাথে অটুমেটিক্যালি খবরগুলু পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করে YES  করুন

Sunday, January 23, 2011 Unknown
How to lose...Lose weights...How to lose weight...To lose weight...Businesses

দ্রুত এবং কঠোর ব্যবস্থা

Sunday, January 23, 2011 Unknown
দ্রুত এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া শেয়ারবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) পুনর্গঠন সক্ষমতা বৃদ্ধি, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তি প্রদান, বাজার ধসের কারণ অনুসন্ধানে টাস্কফোর্স গঠন এবং বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে যাঁরা ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা সূত্র জানায়, সরকারও আস্থা ফিরিয়ে আনতে নতুন কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছেন এসইসিতে নতুন দুজন সদস্য নিয়োগ দেওয়াসহ পুনর্গঠন এবং দায়দায়িত্ব নিরূপণ করতে একটি কমিটি গঠন করা হতে পারে বলেও জানা গেছে অর্থমন্ত্রী আজ রোববার সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে শেয়ারবাজার পরিস্থিতি বিষয়ে বৈঠক করবেন ৩০ লাখেরও বেশি বিনিয়োগকারী এখন এই বৈঠকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় তাঁরা আস্থা ফিরে পেতে চান তবে সবকিছুই নির্ভর করছে সরকারের ওপর আজ শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে
অর্থমন্ত্রী গত শুক্রবার তাঁর এসইসির নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে স্বীকার করেছেন বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও মনে করেন, অনেক সিদ্ধান্ত ভুল ছিল যথাযথ মূল্যায়ন ছাড়াই এমন অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার ফলে কৃত্রিমভাবে বাজার চাঙা থেকেছে এবং শেয়ারের দর বেড়েছে এতে অতি লাভের লোভে বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও বেড়েছে

The government sits with stakeholders today to find ways to help stocks bounce back from the current slump and take steps to reform the markets.
Finance Minister AMA Muhith will preside over the meeting with officials of Securities and Exchange Commission, Dhaka and Chittagong stock exchanges, two former SEC chairmen and representatives of brokerage houses at state guesthouse Padma, said finance ministry officials.
Prime Minister's Economic Affairs Adviser Mashiur Rahman said the finance minister would discuss the present situation with the stakeholders. It will help the government know about the facilities or reforms required to boost the stockmarket, Rahman told reporters after a programme organised by the Policy Research Institute of Bangladesh at Banani in Dhaka.
The country's apex trade body -- Federation of Bangladesh Chambers of Commerce and Industry (FBCCI) -- sat at the Westin hotel last night and prepared a set of recommendations to present to the finance minister at today's meeting.
Top officials of the chamber, SEC, two bourses, bankers, merchant bankers and publicly-listed companies' association, attended the two-hour meeting.
Their recommendations include: Companies that saw their prices slump must buy back their stocks; the regulator must find and punish the culprits responsible for the crisis; the last four years' earnings of merchant banks must be reinvested into the market; and the SEC must find out how three companies entered the market through direct listings by breaching rules and reportedly made away with Tk 1,500 crore, said a businessman, who was present at the meeting.
Meanwhile, experts suggested formation of a high-level probe committee to look into what went wrong in the stockmarket, and restore confidence to the investors.
The committee will try to find out who were responsible for the recent crash in the market, determine how much the stock index can go up, and how much a share price can rise, they said.
The committee will also see whether the central bank and the SEC had any flaw on their part in the recent fall, they said.
Given the depth of the country's capital market, according to an unofficial study of the central bank, the share market index can reach a maximum of 6,000 points, whereas the benchmark General Index on the Dhaka Stock Exchange came close to 9,000 points.
Examples in many countries show that if the index goes up beyond the depth of the market, the index is bound to plummet.
In Bangladesh, the rise in the index was due to arrival of many new companies. In 2009, SEC approved issuance of shares worth Tk 750 crore. Till October 12 of last year, shares worth Tk 4,063 crore were approved, which was about 441 percent higher than in the same month of the previous year. Share prices jumped many times.

ধসের প্রথম সূত্র

Sunday, January 23, 2011 Unknown
প্রাথমিক বাজারে শেয়ারের গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মূল্য নির্ধারণের মধ্যেই বড় ধরনের ধসের প্রথম সূত্র নিহিত ছিল ২০০৯ ২০১০ সালে বাজারে আসা অধিকাংশ আইপিওই ছিল অতিমূল্যায়িত তা যেমন ছিল এসইসি থেকে প্রিমিয়ামসহ আইপিও ছাড় করার ক্ষেত্রে, তেমনই বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতেও পাশাপাশি গত কয়েক বছরে শেয়ারের সরবরাহের বিষয়টি যত না গুরুত্ব পেয়েছে, তার চেয়ে ঢের বেশি চাহিদা তৈরি করা হয়েছে সেকেন্ডারি বাজারকে চাঙা করে তুলতে আর এর ফায়দা তুলতে প্রাথমিক শেয়ারকে অতিমূল্যায়ন করে কিছু কোম্পানিকে অতিরিক্ত অর্থ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও হয়েছে
কয়েক বছর ধরে এগুলো ক্ষেত্রবিশেষে জেনে-বুঝেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) অনুমোদন দিয়ে গেছে এমনকি নজিরবিহীন উদ্ভাবনীর ফাঁদ তৈরি করে আইপিওতেই বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা চাঙা সেকেন্ডারি বাজারে প্রাথমিক বাজারের এই অতিমূল্যায়নের প্রভাবে নতুন বুদ্বুদ তৈরি হয়েছে এসইসি ক্ষেত্রবিশেষে নীতি-সহায়তা তৈরি করেও তাকে উৎসাহ জুগিয়েছে
এর ফলে শেয়ারবাজারে যে বড় বিপর্যয় আসবে, আশঙ্কা দেশি-বিদেশি সংস্থা বিশেষজ্ঞ অনেকেই সরকার এসইসিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কিন্তু বাজারে নতুন কারসাজির সিদ্ধান্তই আসতে দেখা গেছে বারবার
স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানির সরাসরি তালিকাভুক্তির (ডাইরেক্ট লিস্টিং) ক্ষেত্রে এসইসি নজিরবিহীন ছাড়ের দৃষ্টান্ত তৈরি করে সরাসরি তালিকাভুক্তিতেও প্লেসমেন্ট শেয়ারের সুযোগ দেওয়া এবং এই শেয়ারগুলোর হাত বদলে কোনো বাধানিষেধ ছিল না অর্থাৎ একটি কোম্পানি ডিএসইতে সরাসরি তালিকাভুক্ত হলে এই কোম্পানির শেয়ারের বাজারদর শুরুতে কী হবে, সেটা নির্ধারণ করার দায়িত্ব যাদের দেওয়া হয়েছে, তাদেরও কোম্পানি আগাম শেয়ার বরাদ্দ দিয়ে রেখেছে ছাড়া কোম্পানির শেয়ারের প্লেসমেন্ট বিক্রি করতে ডিএসইর ব্রোকার মার্চেন্ট ব্যাংককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংক বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর কাছে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি প্রিমিয়াম নিয়ে তা বিক্রি করেছে এদেরই কোনো কোনো বিনিয়োগকারী আরেক বিনিয়োগকারীর কাছে আরও উচ্চ মূল্যে শেয়ার বেচার একধরনের অলিখিত চুক্তি করে টাকা নিয়ে গেছে এসবের মাধ্যমে কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই ফরোয়ার্ড সেলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের মুনাফা তুলে নিয়েছে অনেকেই প্রাথমিক শেয়ারের দর নির্ধারণে হিসাবে কারসাজি (অ্যাকাউন্টিং জাগলিং) যেমন ছিল, তার চেয়ে ভয়াবহ ছিল এই প্রাথমিক বাজারের প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধকার্ব’ ব্যবসা কাজে ডিএসইর নেতৃত্বের অনেকেই যুক্ত ছিলেন এমনকি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে এসইসির কোনো কোনো কর্মকর্তা এতে জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে এসেছে এতে বাজার নিয়ন্ত্রণের কাজটিই কেবল বাধাগ্রস্ত হয়নি, বরং নতুন বুদ্বুদ তৈরি করতে ক্ষেত্রবিশেষে সরকার, এসইসি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি থেকে ম্যানিপুলেটিভ (মূল্য কারসাজি) সিদ্ধান্ত এসেছে বারবার
একটি কোম্পানির উদাহরণ দেওয়া যাক বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে এই কোম্পানির শেয়ারের নির্দেশক মূল্য ছিল ১৬২ টাকা এটা ধরে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম প্রথম দিনে ৩৪১ টাকা উঠেছিল আর বাজারে ধসের আগে গত ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা এর মধ্যেই কোম্পানিটি ২০ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ারও দিয়েছে
বাইরে থেকে ভুয়া বিনিয়োগকারীদেরও ডেকে আনা হয়েছে যেমন, কেম্যান আইল্যান্ডের বিনিয়োগ কোম্পানি জেম গ্লোবালকে (যার পরিশোধিত মূলধন মাত্র এক সেন্ট) শেয়ারে ঋণ দেওয়ার অভিনব চুক্তি হয়েছে একাধিক কোম্পানির সঙ্গে অল্প কিছু অর্থ এনে জেম গ্লোবাল চাঙা বাজারে ঋণের শেয়ার নিয়ে তা বিক্রি করেছে আবার বিক্রির টাকায় নতুন শেয়ার নিয়েছে জেম গ্লোবাল পরে শেয়ার বিক্রির অর্থ নিয়ে গেছে বিদেশে ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রাবিনিময় আইন ভঙ্গ করা হয়েছে
গত দুই বছরে বহুসংখ্যক কোম্পানি সম্পদের পুনর্মূল্যায়ন করেছে শেয়ারের মূল্য বাড়াতে কোম্পানিগুলো তাদের জায়গাজমি, দালান, যন্ত্রপাতির পুনর্মূল্যায়ন করিয়েছে এগুলোও বাজারকে স্ফীত করতে ভূমিকা রেখেছে
আবার শেয়ারবাজারকে উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ব্রোকারেজ হাউস খুলে রোড শো করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে বাজারে ঢোকাতে ডিএসই-সিএসইর দিক থেকে প্রাণান্তকর চেষ্টা প্রলোভন তৈরি করা হয়েছে এভাবে শেয়ারের ব্যবসায় প্রলুব্ধ করা হয়েছে দেশের তুলনামূলক অন্ধকারে থাকা লাখ লাখ বিনিয়োগকারীকে মানুষ জমি বিক্রি করে, ধার করে অর্থ নিয়ে বাজারে ঢুকেছেন ঢালাওভাবে ব্রোকারেজ হাউস খোলার কাজটি যখন চলেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোন কারণে সেদিকে নজর দেয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সরকার গত বছর জুলাই মাসে সঞ্চয়পত্রের সুদ কমিয়েছে আর বাজেটে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর উৎসে কর বসিয়েছে ১০ শতাংশ হারে ওয়েজ আর্নার্স বন্ডেও সুদ কমানো হয়েছে, আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বিনিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে স্বল্প আয়ের পেনশনভোগীদের একবারেই নির্ধারিত কিছু অর্থপ্রাপ্তিতে করারোপ হলো, অথচ শেয়ারবাজারে মূলধনি মুনাফার ওপর কোনো কর বসানো হয়নি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর বসানোর প্রস্তাব করলেও ডিএসইর প্রভাবে শেষ পর্যন্ত শুধু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের মূলধনি মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ করারোপ করা হয় ডিএসইর তৎকালীন সভাপতি রকিবুর রহমান বিভিন্ন সময় গর্ব করতেন করারোপ করতে না দেওয়ায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে একইভাবে তিনি ২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে এসইসির দুই কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, তফসিলি ব্যাংকগুলোকে পোর্টফোলিও-সংক্রান্ত মাসিক রিপোর্ট পাঠানোর যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা কার্যকর করা হবে না কোনো তথ্য প্রয়োজন হলে এসইসির মাধ্যমে তা সংগ্রহ করা হবে তিনি আরও বলেছিলেন, বিনিয়োগসীমা লঙ্ঘনের দায়ে কয়েকটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে মর্মে একটি সংবাদপত্রে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা- সঠিক নয়
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সেকেন্ডারি বাজারে প্রলুব্ধ করতে ভুলভাবেও সূচক গণনা করা হয়েছে ডিএসইতে এতে বাজারের প্রকৃত পরিস্থিতির চেয়ে অনেক উচ্চ অবস্থার তথ্য দেওয়া হয় বিনিয়োগকারীদের কাছে তাতে তেজি অবস্থায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা দ্রুত মুনাফা লাভের আশায় বাজারে ঢুকে পড়েন ডিএসইতে যখন সাধারণ মূল্যসূচক চার হাজার ৫৩৫ পয়েন্ট ছিল, তখন আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে সূচক হতো তিন হাজার পয়েন্টের মতো
গ্রামীণফোনের শেয়ার লেনদেন শুরুর দিন বাজারের প্রবৃদ্ধিকে বড় করে দেখানোর জন্য আন্তর্জাতিক সূত্র না মানা ছাড়াও প্রারম্ভিক মূল্য ৭০ (অভিহিত মূল্য-১০ টাকা প্রিমিয়ার-৬০ টাকা) টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা ধরে সূচক হিসাব করা হয় এতে বাজারে সূচক কয়েক পয়েন্ট বেশি বেড়ে যায় এর বাইরেও সূচক গণনায় অনেক স্বেচ্ছাচারিতা করেছে ডিএসই যেমন, সরাসরি তালিকাভুক্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হয় ২০০৮ সালের জানুয়ারি কিন্তু এর তিন দিন পর ১৩ জানুয়ারি কোম্পানিটির লেনদেনের তথ্য সূচকে যুক্ত হয় একই ঘটনা ঘটে সরাসরি তালিকাভুক্ত এসিআই ফর্মুলেশন শাইনপুকুর সিরামিকসের ক্ষেত্রে দুই কোম্পানি সূচকে যুক্ত হয় চতুর্থ লেনদেন দিবসে অথচ মেঘনা পেট্রোলিয়াম নাভানা সিএনজি লেনদেনের প্রথম দিনেই সূচকে যুক্ত হয় আবার ডিএসই একপর্যায়ে এসইসির অনুমোদন ছাড়াই নতুন তালিকাভুক্তসহ মোট ২৪ কোম্পানির কেবল লেনদেনযোগ্য (ফ্রি ফ্লোট) শেয়ার নিয়ে সূচক গণনা শুরু করে পর্যায়ে উদ্যোক্তাদের বা ব্যক্তি প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া যেসব শেয়ার সাময়িকভাবে বিক্রি নিষিদ্ধ (লক ইন) থাকে, তা সূচক গণনায় নেওয়া হয়নি পরিষ্কার ইঙ্গিত মেলে যে, ডিএসই কখনো সূচককে বেশি দেখিয়ে সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগকারীকে প্রলুব্ধ করেছে, আবার যখন সূচক অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়েছে, তখন তা নীতিনির্ধারকদের কাছে আড়াল করতে সূচক কম দেখানোর কৌশল নিয়েছে

Blog Archive