(৩৪১) আগেই সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

Sunday, April 10, 2011 Unknown
মন্ত্রণালয় অহেতুক কারো চরিত্র হননের দায়িত্ব নিতে চায় না জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, 'প্রয়োজনে' আংশিক সম্পাদনা করে শেয়ারবাজারের অস্থিরতা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন শিগগির প্রকাশ করা হবে সোমবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনা সভার ফাঁকে এক লিখিত বিবৃতিতে সাংবাদিকদের তিনি কথা বলেন মুহিত বলেন, "তদন্তের জন্য গঠিত কমিটির প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অধিকতর তদন্তক্রমে সার্বিক বিষয়াদি যথাশীঘ্র সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে" বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, "যে সব বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করা হবে সে সম্বন্ধে আংশিক তথ্য প্রয়োজনে সম্পাদনা করে উপস্থাপন করা হবে মন্ত্রণালয় অহেতুক চরিত্র হননে কোনো অবদান রাখতে চায় না বলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব নিয়েছে" তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ গত বৃহস্পতিবার সকালে হেয়ার রোডে অর্থমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে প্রতিবেদনটি জমা দেন ওইদিন সন্ধ্যায় মন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পুুঁজিবাজারের অস্থিরতার পেছনে প্রতিবেদনে কয়েকজন ব্যক্তির নাম এসেছে স্বল্প সময়ে তদন্ত করতে গিয়ে কমিটি এসব ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিতে পারেনি বলে এই মুহূর্তে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না বলে জানান তিনি তবে প্রতিবেদনটি পড়ার পর প্রয়োজনে নামগুলো বাদ দিয়ে তা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মুহিত অর্থমন্ত্রী নাম প্রকাশ না করলেও সেদিন বলেছিলেন, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার জন্য কোনো ব্যক্তি দায়ী হয়ে থাকলে তিনি যত ক্ষমতাধরই হোন না কেন, শাস্তি পেতেই হবে এদিকে গত তিন দিনে ওই অপ্রকাশিত প্রতিবেদন তদন্ত কমিটির প্রধান ইব্রাহিম খালেদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, অন্তত ৬০ জনের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবেদনে প্রশ্ন তুলেছে তদন্ত কমিটি এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন বিরোধী দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার নামও রয়েছে ওই দিনের সংবাদ সম্মেলনের প্রসঙ্গ টেনে রোববার অর্থমন্ত্রীর বিবৃতিতে বলা হয়, "আমার উদ্ধৃতি টেনে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদসমূহ সম্পূর্ণভাবে সঠিক নয় দুঃখের বিষয় যে, এই আংশিক খবরের ওপর নির্ভর করে দায়িত্বপূর্ণ অবস্থান থেকে নানা ধরনের মন্তব্য দাবি-দাওয়া উত্থাপন করা হচ্ছে" মন্ত্রী বলেন, "আমি বলেছিলাম, প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে, তবে সেটি পড়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে গুজব সম্বন্ধে আমার মন্তব্য করা সাজে না" সাংবাদিকদের মুহিত বলেন, সেদিন তিনি ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদনটি প্রকাশের ব্যবস্থা করার কথা বললেও বর্তমান পরিস্থিতিতে আরো আগেই সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
 Finance Minister AMA Muhith on Sunday reiterated that the parts of the probe report on stockmarket scam would be edited and investigated before making it public.
"The ministry has taken the responsibility to look into the whole report, as it does not needlessly want to play any role in humiliating anybody’s character," he said.
Muhith was talking with journalists after a pre-national budget meeting with the parliamentary standing committees on finance, planning, public accounts and government affairs at the auditorium of National Economic Council in the city.
The finance minister made the comments in an effort to appease criticisms that the government might erase names of the people widely suspected in the share market scam, as incumbent lawmakers and many pro-government businessmen were involved in it.
Muhith said: "On the day the probe committee submitted its report, I just said that the government, if necessary, might not publish unverified information."
"But without understanding my comments, it has been published and circulated that I would publish the report omitting the names, which is not correct and realistic,"
The minister said a large part of the comments attributed to him is not true. He however admitted some parts have been correctly attributed.
Muhith hinted that the probe report might be published next week.
He said the finance ministry would evaluate the probe report and conduct further investigation according to the recommendations put forward.
The minister also ruled out suggestions that the legality of the probe committee would be questioned after a new member, Supreme Court lawyer Nihad Kabir, joined the investigation team after the three-member body led by Bangladesh Krishi Bank Chairman Khondakar Ibrahim Khaled was initially formed.
Muhith categorically ruled out comments attributed to him that influential people of the stockmarkets are mightier than the state.

(৩৪০) ব্যাংকিং খাত

Sunday, April 10, 2011 Unknown
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর . আতিউর রহমান।
সেই সঙ্গে শিল্পায়নের স্বার্থে সুদের হার ১৪ শতাংশের মধ্যে রাখার জন্য ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া আমানত ঋণের সুদের হার এবং বিভিন্ন ফি পূর্ণ তালিকা ব্যাংকগুলোর কার্যালয়ে টানিয়ে রাখারও নির্দেশ দেন গভর্নর।

তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় যারা মানছে না তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)’ নেতাদের বৈঠকে তিনি এসব আহ্বান জানান।

এবিবি সভাপতি কে মাহমুদ সাত্তারের নেতৃত্বে ১৩টি ব্যাংকের প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন।
আতিউর রহমান বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীরাই দায়ী। তাদের দ্রুত অধিক মুনাফা অর্জনের মানসিকতার কারণেই পরিস্থিতি হয়েছে।
এর ফলে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির পাশাপাশি ব্যাংকিং সেক্টরে অস্থিরতা বিরাজ করছে বলে দাবি করেন আতিউর রহমান।

সময় তিনি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহনশীলতাকে দুর্বলতা ভাবাটা ঠিক হবে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গতমাসে শিল্প খাতে ঋণের সর্বোচ্চ হার ১৩ শতাংশ তুলে দেয়। সুযোগে ব্যাংকগুলো খাতে ১৭ থেকে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার প্রভাব পড়ে দেশের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে।

কোনও কোনও ব্যাংকের বেলায় আমানত প্রবৃদ্ধির তুলনায় ঋণের প্রবৃদ্ধির হার মাত্রাতিরিক্ত হয়েছিল জানিয়ে আতিউর রহমান বলেন, ‘ ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণত মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া ছাড়াও সামগ্রিক আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতাকে চাপের মধ্যে ফেলতে পারে।

বিশ্ব মন্দার সুযোগ নিয়ে কোনও কোনও ব্যাংক বেশি লাভের আশায় অপ্রত্যাশিতভাবে আগ্রাসী ব্যাংকিং শুরু করে বলেও অভিযোগ করেন . আতিউর।

তিনি এর সমাধান হিসেবে বলেন, ‘ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেগুলেটরি নজরদারীর মাত্রা অনেকটাই বেড়ে গেছে। পুরো আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার স্বার্থেই অপ্রিয় হলেও এই নজরদারির মাত্রা আগামী দিনগুলোতে আরও বাড়ানো হবে। পাশাপাশি প্রতিটি ব্যাংকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মান আরও বাড়াতে হবে।

এক্ষেত্রে খুব শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংক একজন আন্তর্জাতিক পরামর্শকের সহায়তা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বলে জানান তিনি।

আতিউর রহমান বলেন, ঋণ সুদ হারের ওপর বিশ¡ মন্দার প্রেক্ষাপটে আরোপিত ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহারের প্রয়োজন অনুভূত হওয়ায় বিনিয়োগ উৎপাদন কার্যক্রমের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর (রপ্তানি, নিত্যপণ্যের আমদানি, মেয়াদি শিল্প ঋণ, কৃষি) ঊর্ধ্বসীমা অপরিবর্তিত রেখে অন্যান্য ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তবে ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করার ফলে শিল্পে চলতি মূলধন সুদহার ১৪/১৫ শতাংশেরও বেশি হারে আরোপ করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুযোগ করেছে বলে জানান তিনি।

আতিউর রহমান বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো অপেক্ষাকৃত কম মুনাফা করে। তাই তাদের তেমন তারল্য সংকট নেই। ফলে তাদের ঝুঁকির মাত্রাও কম। কারণে তারল্য ব্যবস্থাপনায় সামঞ্জস্য রক্ষায় আপনাদেরকে বৃহত্তর তারল্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ এবং স্বাভাবিক কারণে যদি কোনও ব্যাংক তারল্য সমস্যায় পড়ে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তারল্য সহায়তা (liquidity support) দিতে আমরা কোনও কার্পণ্য করবো না এবং নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন আমরা তেমনটি করিওনি।

সময় তিনি ঋণ-আমানতের অনুপাত (CDR) এখন অনেকটাই সহনশীল বলে দাবি করেন। গড়পড়তা তা ৮৪ শতাংশের মতো হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে সামগ্রিকভাবে দেশে আমদানি চাহিদা বেড়েছে। ফলে যে সকল ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার পর্যাপ্ততা রয়েছে তাদের আমদানি ঋণপত্র খুলতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।

তবে রপ্তানি মূল্য যাতে যথাসময়ে প্রত্যাবসিত হয় সে ব্যাপারে ব্যাংকগুলোকে দৃষ্টি দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
তাছাড়া কোন সময় কতটা বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে সে আগাম পরিকল্পনাও করার কথা বলেছেন গভর্নর।


 
Finance Minister AMA Muhith on Sunday reiterated that the parts of the probe report on stockmarket scam would be edited and investigated before making it public.
"The ministry has taken the responsibility to look into the whole report, as it does not needlessly want to play any role in humiliating anybody’s character," he said.
Muhith was talking with journalists after a pre-national budget meeting with the parliamentary standing committees on finance, planning, public accounts and government affairs at the auditorium of National Economic Council in the city.
The finance minister made the comments in an effort to appease criticisms that the government might erase names of the people widely suspected in the share market scam, as incumbent lawmakers and many pro-government businessmen were involved in it.
Muhith said: "On the day the probe committee submitted its report, I just said that the government, if necessary, might not publish unverified information."
"But without understanding my comments, it has been published and circulated that I would publish the report omitting the names, which is not correct and realistic,"
The minister said a large part of the comments attributed to him is not true. He however admitted some parts have been correctly attributed.
Muhith hinted that the probe report might be published next week.
He said the finance ministry would evaluate the probe report and conduct further investigation according to the recommendations put forward.
The minister also ruled out suggestions that the legality of the probe committee would be questioned after a new member, Supreme Court lawyer Nihad Kabir, joined the investigation team after the three-member body led by Bangladesh Krishi Bank Chairman Khondakar Ibrahim Khaled was initially formed.
Muhith categorically ruled out comments attributed to him that influential people of the stockmarkets are mightier than the state.

(৩৩৯) চরিত্র হননে অবদান

Sunday, April 10, 2011 Unknown
শেয়ারবাজারে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাদের যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করা বলে দৃঢ় মত ব্যক্ত করেন তিনি
প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন,‘শেয়ারবাজারে প্রভাবশালীরা রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী ধরনের কোনো মন্তব্য আমি করিনি।’

বাজেট আলোচনাকালেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব গোকুল চাঁদ দাস স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবাদলিপি উপস্থিত সাংবাদিকদের দেওয়া হয়
এতে বলা হয়েছে, ‘শেয়ারবাজারের অনিয়ম তদন্তের জন্য গঠিত কমিটির রিপোর্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ে পর্যালোচনা করে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে যেসব বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করা হবে সে সমন্ধে আংশিক তথ্য প্রয়োজনে সম্পাদনা করে উপস্থাপন করা হবে।‘

প্রতিবাদলিপিতে আরো বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রণালয় অহেতুক চরিত্র হননে অবদান রাখতে চায় না বলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব নিয়েছে।’

Finance Minister AMA Muhith on Sunday reiterated that the parts of the probe report on stockmarket scam would be edited and investigated before making it public.
"The ministry has taken the responsibility to look into the whole report, as it does not needlessly want to play any role in humiliating anybody’s character," he said.
Muhith was talking with journalists after a pre-national budget meeting with the parliamentary standing committees on finance, planning, public accounts and government affairs at the auditorium of National Economic Council in the city.
The finance minister made the comments in an effort to appease criticisms that the government might erase names of the people widely suspected in the share market scam, as incumbent lawmakers and many pro-government businessmen were involved in it.
Muhith said: "On the day the probe committee submitted its report, I just said that the government, if necessary, might not publish unverified information."
"But without understanding my comments, it has been published and circulated that I would publish the report omitting the names, which is not correct and realistic,"
The minister said a large part of the comments attributed to him is not true. He however admitted some parts have been correctly attributed.
Muhith hinted that the probe report might be published next week.
He said the finance ministry would evaluate the probe report and conduct further investigation according to the recommendations put forward.
The minister also ruled out suggestions that the legality of the probe committee would be questioned after a new member, Supreme Court lawyer Nihad Kabir, joined the investigation team after the three-member body led by Bangladesh Krishi Bank Chairman Khondakar Ibrahim Khaled was initially formed.
Muhith categorically ruled out comments attributed to him that influential people of the stockmarkets are mightier than the state.

(৩৩৮) অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত দাবি করেছেন

Sunday, April 10, 2011 Unknown
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত দাবি করেছেন, শেয়ারবাজার কেলেংকারি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে না এমন কথা তিনি বলেননি তিনি শুধু বলেছেন, এটি প্রকাশ করা হবে তবেএডিট করে এছাড়াশেয়ারবাজারে প্রভাবশালীরা রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী ধরনের কোনো মন্তব্য করেননি বলেও দাবি করেন অর্থমন্ত্রী
শেয়ারবাজার কারসাজি ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে তার বক্তব্য সঠিকভাবে গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়নি বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি কখনো বলিনি যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে না আমি শুধু বলেছি এটি প্রকাশ করা হবে তবে সম্পাদনা (এডিট) করে

রোববার রাজধানীর পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এক প্রাক বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী কথা বলেনFinance Minister AMA Muhith on Sunday reiterated that the parts of the probe report on stockmarket scam would be edited and investigated before making it public.
"The ministry has taken the responsibility to look into the whole report, as it does not needlessly want to play any role in humiliating anybody’s character," he said.
Muhith was talking with journalists after a pre-national budget meeting with the parliamentary standing committees on finance, planning, public accounts and government affairs at the auditorium of National Economic Council in the city.
The finance minister made the comments in an effort to appease criticisms that the government might erase names of the people widely suspected in the share market scam, as incumbent lawmakers and many pro-government businessmen were involved in it.
Muhith said: "On the day the probe committee submitted its report, I just said that the government, if necessary, might not publish unverified information."
"But without understanding my comments, it has been published and circulated that I would publish the report omitting the names, which is not correct and realistic,"
The minister said a large part of the comments attributed to him is not true. He however admitted some parts have been correctly attributed.
Muhith hinted that the probe report might be published next week.
He said the finance ministry would evaluate the probe report and conduct further investigation according to the recommendations put forward.
The minister also ruled out suggestions that the legality of the probe committee would be questioned after a new member, Supreme Court lawyer Nihad Kabir, joined the investigation team after the three-member body led by Bangladesh Krishi Bank Chairman Khondakar Ibrahim Khaled was initially formed.
Muhith categorically ruled out comments attributed to him that influential people of the stockmarkets are mightier than the state.

 

Sunday, April 10, 2011 Unknown
এখানে সব গুলো খবরই শেয়ার মার্কেট রিলেটড...আর কিছুনা...

(৩৩৭) কী পরিমাণ বিনিয়োগ করা হবে তার সীমা

Sunday, April 10, 2011 Unknown

নজরুল হুদা বলেন, পুঁজিবাজারে কেলেঙ্কারির তদন্ত প্রতিবেদন এখনো আমাদের হাতে পৌঁছেনি তবে পত্রিকার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম শোনা যাচ্ছে

তিনি বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুনরায় তদন্ত করা হবে তদন্তে যে যেরকম দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে সে রকমই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ডেপুটি গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিভিন্ন ব্যাংক আমানতের ১০ শতাংশ বিনিয়োগ করার বিধান রয়েছে তবে ২০১০ সালে ১৬টি ব্যাংক আমানতের চেয়েও অধিক বিনিয়োগ করেছে তবে আমরা বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপের মাধ্যমে তা ১০ শতাংশের নীচে আনতে সক্ষম হয়েছি এরপরও /১টি ব্যাংক ওই সীমার ওপরে রয়েছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে

তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যকোনো দেশের ব্যাংকে আমানতের ১০ শতাংশ বিনিয়োগ করার নিয়ম নেই এর চেয়ে অনেক কম বিনিয়োগ করার বিধান রয়েছে তাই ব্যাংক আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে কেন্ত্রীয় ব্যাংক এক্ষেত্রে শেয়ার মার্কেটে কী পরিমাণ বিনিয়োগ করা হবে তার সীমা নির্ধারণ করা হবে


 The central bank has launched an in-depth investigation into the financial institutions named in a probe report on the recent stockmarket crash, top officials of Bangladesh Bank (BB) said yesterday.
The BB has also written a letter to the government to amend a section of the Banking Companies Act 1991 that allows a bank to invest 10 percent of its liabilities (deposits) in the stockmarket.
If the proposal gets through, the new law will restrict banks' investment in the stockmarket by reducing the percentage of the deposits or fixing the rate in terms of equities (not deposits), which is an international standard practice.
"We have already ordered the related department to carry out a detailed investigation into the banks and non-banks that were found responsible by the probe committee in the alleged scam," a top BB official told The Daily Star.
The central bank's decision came hours after the probe committee led by Bangladesh Krishi Bank Chairman Khondkar Ibrahim Khaled submitted its report to Finance Minister AMA Muhith on Thursday. The report recommended that the BB take action against the financial institutions in question.
The probe report said some banks pocketed huge profits violating the rules and regulations. Some of the banks were also involved in fuelling the stock prices last year.
Allegations have been made against some banks for taking high premium for rights and preference shares.
During the two-month investigation, the committee had talked to over 500 traders, including all members of Dhaka and Chittagong stock exchanges, journalists, professors and researchers.
The probe panel has made a series of recommendations, including a major overhaul of the Securities and Exchange Commission (SEC) and an amendment to section 26 (2) of the Banking Companies Act 1991.
"We have responded promptly on our part," said the BB official on the investigation order against the financial institutions.
BB Governor Atiur Rahman confirmed the central bank's move.
"We have written to the government to amend section 26 (2) of the Banking Companies Act to restrict a bank's investment in the stockmarket," Rahman said.
"Ideally, it should be related with the capital, not with the liabilities," said the governor, citing examples of other countries.
According to the existing laws, if a bank has Tk 10,000 crore deposits, it can invest Tk 1,000 crore in the share market.
The BB found many banks were overexposed into the capital market last year. Some banks invested more than 10 percent of their liabilities and helped fuel the stock prices. Still a bank has more than 10 percent of its liabilities into the stockmarket, according to a senior official of the central bank



(৩৩৬) করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

Sunday, April 10, 2011 Unknown
শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় তদন্ত কমিটির রিপোর্টে যেসব ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে পুনরায় তদন্ত করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক
রোববার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নজরুল হুদা সাংবাদিকদের কথা জানান
সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন
এবিবি সভাপতি কে মাহমুদ সাত্তারের নেতৃত্বে ১৩টি ব্যাংকের প্রতিনিধি বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর . আতিউর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন
বৈঠকে মোট ৭টি বিষয়ে আলোচনা হয়


The central bank has launched an in-depth investigation into the financial institutions named in a probe report on the recent stockmarket crash, top officials of Bangladesh Bank (BB) said yesterday.
The BB has also written a letter to the government to amend a section of the Banking Companies Act 1991 that allows a bank to invest 10 percent of its liabilities (deposits) in the stockmarket.
If the proposal gets through, the new law will restrict banks' investment in the stockmarket by reducing the percentage of the deposits or fixing the rate in terms of equities (not deposits), which is an international standard practice.
"We have already ordered the related department to carry out a detailed investigation into the banks and non-banks that were found responsible by the probe committee in the alleged scam," a top BB official told The Daily Star.
The central bank's decision came hours after the probe committee led by Bangladesh Krishi Bank Chairman Khondkar Ibrahim Khaled submitted its report to Finance Minister AMA Muhith on Thursday. The report recommended that the BB take action against the financial institutions in question.
The probe report said some banks pocketed huge profits violating the rules and regulations. Some of the banks were also involved in fuelling the stock prices last year.
Allegations have been made against some banks for taking high premium for rights and preference shares.
During the two-month investigation, the committee had talked to over 500 traders, including all members of Dhaka and Chittagong stock exchanges, journalists, professors and researchers.
The probe panel has made a series of recommendations, including a major overhaul of the Securities and Exchange Commission (SEC) and an amendment to section 26 (2) of the Banking Companies Act 1991.
"We have responded promptly on our part," said the BB official on the investigation order against the financial institutions.
BB Governor Atiur Rahman confirmed the central bank's move.
"We have written to the government to amend section 26 (2) of the Banking Companies Act to restrict a bank's investment in the stockmarket," Rahman said.
"Ideally, it should be related with the capital, not with the liabilities," said the governor, citing examples of other countries.
According to the existing laws, if a bank has Tk 10,000 crore deposits, it can invest Tk 1,000 crore in the share market.
The BB found many banks were overexposed into the capital market last year. Some banks invested more than 10 percent of their liabilities and helped fuel the stock prices. Still a bank has more than 10 percent of its liabilities into the stockmarket, according to a senior official of the central bank

(৩৩৫) জোরালোভাবে এসেছে

Sunday, April 10, 2011 Unknown
পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারি তদন্তে বাজারের উত্থান-পতনে ঘুরেফিরে গুটিকয় ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নাম বেরিয়ে এসেছে জোরালোভাবে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান আইসিবির নাম প্রতিষ্ঠানটি একাই সাতটি অমনিবাস অ্যাকাউন্টে শত শত কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে তদন্তে দৈবচয়নের মাধ্যমে তিনটি মার্চেন্ট ব্যাংকের কয়েকজন শীর্ষ হিসাবধারীর অ্যাকাউন্ট (অমনিবাস) পরীক্ষা করে লেনদেনের অনিয়ম পাওয়া যায় এসব হিসাবে মোসাদ্দেক আলী ফালু, ডা. এইচ বি এম ইকবাল, মুনিরউদ্দিন আহমদ, ইয়াকুব আলী খন্দকার, লুৎফর রহমান বাদলসহ অনেক খ্যাত-অখ্যাত ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে প্রতিবেদনে এদের বলা হয়েছে 'খেলোয়াড়'
তদন্ত প্রতিবেদনে ৩০ জন শীর্ষ 'খেলোয়াড়ের' নাম উল্লেখ করে বলা হয়, এঁরা সেকেন্ডারি পুঁজিবাজার প্রাক আইপিওর আকাশচুম্বী মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন প্রতিবেদন মতে, সব উত্থান-পতনের সময়ই শীর্ষ ১৫-১৬ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেছে, যারা বাজারের বড় অংশ লেনদেন করেছে ২০০৯ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে যখন সূচক ২৮০০ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৪৫০০ হয়েছিল, তখন তাঁরা শীর্ষ খেলোয়াড় ছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানসহ কয়েকজনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে
তাঁদের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সন্দেহজনক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়
অক্টোবর ২০০৯ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১০ : প্রতিবেদনে সময়টিকে প্রথম 'পুশ পিরিয়ড' চিহ্নিত করে বলা হয়, ২০০৯ সালের অক্টোবরে গোলাম মোস্তফা নামের এক ক্রেতার অ্যাকাউন্টে টার্নওভার পাওয়া যায় ১৩১ কোটি টাকার নভেম্বরে তাঁর টার্নওভার দাঁড়ায় ১৪০ কোটি টাকা ২০১০ সালের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ক্রেতার টার্নওভার ১৬৮ কোটি টাকা একইভাবে অক্টোবরে আইসিবি অমনিবাসের (আইসিএমএল) টার্নওভার ১২৮ কোটি, নভেম্বরে ৯৫ কোটি, ২০১০ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে টার্নওভার ছিল ২৮৭ কোটি টাকা শাহজালাল ব্যাংকের ২০০৯ সালের অক্টোবরে ১০৩ কোটি, পরের মাসে ১৩২ কোটি এবং ২০১০ সালের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে ১৩৬ কোটি টাকার টার্নওভার ধরা পড়ে আইসিবির (এসওবি) অ্যাকাউন্টে ২০০৯ সালের অক্টোবরে ৯৬ কোটি, নভেম্বরে ১২৩ কোটি এবং ২০১০ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ৩৬৮ কোটি টাকার টার্নওভার হয় পূবালী ব্যাংকের ২০০৯ সালের অক্টোবরে ৭৮ কোটি, নভেম্বরে ৫৪ কোটি এবং ২০১০ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ৭৪ কোটি টাকার টার্নওভার ছিল রেজাউল করিম নামের ক্রেতার অ্যাকাউন্টে ২০০৯ সালের অক্টোবরে ৬৫ কোটি, নভেম্বরে ৭৪ কোটি এবং ২০১০ সালের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে ৬৩ কোটি টাকার টার্নওভার পাওয়া গেছে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম নামের একজনের অ্যাকাউন্টে ২০০৯ সালের অক্টোবরে ৬১ কোটি, নভেম্বরে ৭২ কোটি এবং ২০১০ সালের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে ১৪৫ কোটি টাকার টার্নওভার ছিল ইয়াকুব আলী খন্দকারের অ্যাকাউন্টে ২০০৯ সালের অক্টোবরে ৫২ কোটি, নভেম্বরে ৫২ কোটি এবং ২০১০ সালের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে ৭৭ কোটি টাকার টার্নওভার হয় উত্তরা ফাইন্যান্সের অ্যাকাউন্টে ২০০৯ সালের অক্টোবরে ৩৬ কোটি, নভেম্বরে ৭২ কোটি এবং ২০১০ সালের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে ১৪৪ কোটি টাকার টার্নওভার হয় আইসিবির (আরএজেআইসিএমএল) অ্যাকাউন্টে ২০০৯ সালের অক্টোবরে ৩৬ কোটি, নভেম্বরে ৩০ কোটি এবং ২০১০ সালের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে ৯৬ কোটি টাকার টার্নওভার ছিল আইসিবির (কেএইচএলআইসিএমএল) অ্যাকাউন্টে ২০০৯ সালের অক্টোবরে ৩৫ কোটি, নভেম্বরে ৩৩ কোটি এবং ২০১০ সালের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে ৯২ কোটি টাকার টার্নওভার হয় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ২০০৯ সালের অক্টোবরে ৬৩ কোটি, নভেম্বরে ৬০ কোটি এবং ২০১০ সালের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে ৮০ কোটি টাকার টার্নওভার হয়
তদন্ত প্রতিবেদনে আরো যাঁদের নাম তুলে ধরা হয়েছে তাঁরা হলেন_সুবর্ণা মোস্তফা, ফজলুর রহমান, আইসিবি অমনিবাস (জেবিএম), আমজাদ হোসেন ফকির, মো. শহীদুল্লাহ, আরিফুর রহমান প্রমুখ
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সালের অক্টোবর নভেম্বর মাসে প্রায় একই সংস্থা ব্যক্তিই শীর্ষ ক্রেতা ছিলেন আইসিবি সরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হওয়ার পরও বড় মাপে ট্রিগার ক্রয় করে ২০০৯ সালের অক্টোবরে আইসিবি সাতটি অমনিবাস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ক্রয় করেছে ৪০০ কোটি টাকার শেয়ার নভেম্বরে ছয়টি অমনিবাস অ্যাকাউন্টে আইসিবি ক্রয় করেছে ৩৪০ কোটি টাকার শেয়ার নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০১০ : প্রতিবেদনে সময়টিকে দ্বিতীয় 'পুশ পিরিয়ড' চিহ্নিত করে বলা হয়, আইসিবি ২০১০ সালের নভেম্বরে ৯টি অমনিবাস অ্যাকাউন্টে ১৩৭১ কোটি টাকা এবং ডিসেম্বরে ৯টি অ্যাকাউন্টে ৯৭৭ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে পতনের দুই মাসে আইসিবির মোট বিক্রি দাঁড়ায় ২৩৪৮ কোটি টাকা তদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টিকে তুলনা করে বলা হয়, দুটি উত্থান পর্বে আইসিবি অমনিবাস অ্যাকাউন্টে মোট ক্রয় করা হয় ২২০০ কোটি টাকা কাজেই বাজারের ঊর্ধ্বমুখী ধস_উভয় সময়েই সিন্ডিকেট সদস্যরা আইসিবির অমনিবাস অ্যাকাউন্টের আড়ালে খেলা করেছিলেন, এটা প্রায় নিশ্চিত বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়
প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্থান-পতন উভয় সময়েই উত্তরা ফাইন্যান্স, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ইনস্যুরেন্স, পূবালী ব্যাংক প্রভৃতি সংস্থার পাশাপাশি আরিফুর রহমান, সৈয়দ সিরাজুদ্দৌলা, আমজাদ হোসেন ফকির প্রমুখ উভয় সময়েরই শীর্ষ সক্রিয় ব্যক্তি আইসিবি অমনিবাস (এজিবি) ২০১০ সালের নভেম্বরে বিক্রি করেছে ৪৯৪ কোটি এবং ডিসেম্বরে ৩১৪ কোটি টাকার শেয়ার আইসিবি অমানিবাস (এবিএমইউএফ) নভেম্বরে ২১৬ কোটি ডিসেম্বরে ১৫৭ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে ব্র্যাক ব্যাংক নভেম্বরে ২০৪ কোটি ডিসেম্বরে ১৫৯ কোটি, আইসিবি (আইসিএমএল) নভেম্বরে ১৯৫ কোটি ডিসেম্বরে ১৪২ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক নভেম্বরে ১৮৫ কোটি ডিসেম্বরে ১৭১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে সাইথইস্ট ব্যাংক নভেম্বরে ১০৪ কোটি ডিসেম্বরে ১৫৫ কোটি, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স নভেম্বরে ১২২ কোটি ডিসেম্বরে ৮২ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক নভেম্বরে ৮৪ কোটি ডিসেম্বরে ৮২ কোটি, পূবালী ব্যাংক নভেম্বরে ৭৬ কোটি ডিসেম্বরে ৫৭ কোটি, উত্তরা ফাইন্যান্স নভেম্বরে ১০০ কোটি ডিসেম্বরে ১৩৬ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়
'
বুদ্বুদ্ ক্রেতা' : প্রতিবেদন মতে, শীর্ষ ৩০টি অ্যাকাউন্টেই শেয়ার ক্রয় হয়েছে ৭৪০ কোটি টাকারও বেশি অঙ্ক এক হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করে থাকতে পারে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয় আবার ২০১০ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতেও প্রায় তাঁরাই শেয়ার ক্রয়ে শীর্ষে ছিলেন সময়ে আইসিবি আটটি অমনিবাস অ্যাকাউন্টে ১১৪৩ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে ব্যক্তিদের মধ্যে আবারও আসে গোলাম মোস্তফা, আরিফুর রহমান, সৈয়দ সিরাজুদৌল্লা, ইয়াকুব আলী খন্দকার প্রমুখের নাম প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক, উত্তরা ফাইন্যান্স, শাহজালাল ব্যাংক, ফারইস্ট ইসলামী ইনস্যুরেন্স, প্রিমিয়ার ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক প্রভৃতি ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম হলেন_আবু সাদত মো. সায়েম, ইয়াকুব আলী খন্দকার, গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ সিরাজুদ্দৌলা, মো. খলিলুজ্জামান, মো. শহীদুল্লাহ, আরিফুর রহমান প্রমুখ ওই সময় এবি ব্যাংক, উত্তরা ফাইন্যান্স, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এবং পূবালী ব্যাংকও প্রতিবেদনের ভাষায় 'বুদ্বুদ্' সৃজনকারী ক্রয়ে অংশ নেয়
শেয়ারবাজারের দুটি 'পুশ' পিরিয়ডেই একই সম্ভাব্য সিন্ডিকেট কাজ করেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় এতে বলা হয়, পুঁজিবাজার ধসের সময় মাত্র দুই মাসে কম-বেশি ৮৩০০ পয়েন্ট লেনদেন হয়েছে সময়কে 'আনইজি ক্লেইম' হিসেবে চিহ্নিত করা যায় একে ঝড়ের পূর্ব সময় হিসেবেও দেখা যায় সময়েও লক্ষণীয়ভাবে দেখা যায়, যাঁরা উত্থানের সময় শীর্ষ ক্রেতা ছিলেন, এবার পতনের সময়ও তাঁরাই শীর্ষ বিক্রেতা
তদন্ত প্রতিবেদনের পুঁজিবাজারে ব্যক্তি সংস্থার লক্ষণীয় ভূমিকা শীর্ষক অধ্যায়ে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের উত্থান-পতনের ঘটনাটি কোনো স্বাভাবিক ঘটনা ছিল না বাজারে বুদ্বুদ্ তৈরি করা বিস্ফোরণ উভয় প্রক্রিয়াতেই ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলো প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বুদ্বুদ্ বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য স্বাভাবিকভাবেই কিছুসংখ্যক 'খেলোয়াড়' পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে একটি নেঙ্াস তৈরি করেছিলেন নেঙ্াস প্রমাণ করা কষ্টসাধ্য হলেও কিছু টপ খেলোয়াড়ের সম্পৃক্ততা তাঁদের লেনদেন কার্যক্রম দেখলেও বোঝা যায় তদন্ত প্রতিবেদনে এবারের ঘটনাটিকে ১৯৯৬ সালের ঘটনার চেয়ে ভিন্ন বলে অভিহিত করা হয়েছে সম্ভাব্য কারসাজি : তদন্ত প্রতিবেদনে কারসাজির জন্য সম্ভাব্য একটি তালিকাও তুলে ধরা হয়েছে এতে তালিকাভুক্তদের 'গ্রাহকের তথ্য জানা' বা কেওয়াইসি পরীক্ষা করার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে এসইসির মাধ্যমে তা করার পরামর্শ দেওয়া হয় তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক গত ১২ ডিসেম্বর জানুয়ারি এই দুই দিনে শেয়ার বিক্রি করেছে ৪৪৩ কোটি টাকা কে এম আরিফুর রহমান গত ডিসেম্বর এবং , ১৬, ১৭ ১৮ জানুয়ারি এই পাঁচ দিনে শেয়ার বিক্রি করেছেন ৩৫০ কোটি টাকার আমিন রেজওয়ানি গত , ১৮ জানুয়ারি তিন দিনে শেয়ার বিক্রি করেছেন ৯৪ কোটি টাকার খলিলুজ্জামান গত ডিসেম্বর ২০ জানুয়ারি ১০৭ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন নৃপেন চৌধুরী ডিসেম্বর ১২ জানুয়ারি ১৬৬ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন সারা খন্দকার, ইয়াকুব আলী খন্দকার, ড্রিম হোল্ডিং ড্রিমল্যান্ড হোল্ডিং ১২ ডিসেম্বর জানুয়ারি ১৫৮ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন এটাকে তদন্ত প্রতিবেদনে সিন্ডিকেট হিসেবে সন্দেহ করা হয়েছে সৈয়দ সিরাজুদ্দৌলা, রাশেদা আখতার মায়া ১২ ডিসেম্বর জানুয়ারি এই দুই দিনে ২৯০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন
প্রতিবেদনে আরো যেসব শীর্ষ শেয়ার বিক্রেতার ব্যাংক তথ্য যাচাইয়ের জন্য বলা হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এলিজা রহমান তিনি ডিসেম্বর, ১০ জানুয়ারি ৩৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রির তথ্য রয়েছে রিচার্ড ডি রোজারিও ১২ ডিসেম্বর জানুয়ারি ৭৭ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন সৈয়দ আবু জাফর ১৯ ডিসেম্বর ১৮ জানুয়ারি ৪৭ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন
তদন্ত প্রতিবেদনে চিটাগাং ভেজিটেবলের শেয়ারের দর ২০০৯ সালে ২৫১ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ৪১৪৮ শতাংশ বৃদ্ধির বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে তা পরীক্ষার সুপারিশ করা হয়েছে একইভাবে বিচ হ্যাচারি, আফতাব অটোমোবাইল, সাফকো স্পিনিং, ওরিয়ন ইনফিউশন, পদ্মা সিমেন্ট, বেঙ্টেঙ্, সিএমসি কামাল, বিডি ওয়েল্ডিং, সিঙ্গার বিডিসহ জেড ক্যাটাগরির, উৎপাদনবিহীন এবং অবিশ্বাস্য হিসাবায়নকৃত কম্পানির তথ্যও এসইসি কর্তৃক নিবিড় পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়
বাজার ধসের সঙ্গে জড়িত শীর্ষ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসের নামও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে ২০১০ সালের জানুয়ারির হিসাবে ব্রোকারেজ হাউসগুলো হলো_এমটিবি সিকিউরিটি, ব্র্যাক ইপিএল, আইডিএলসি, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক, এলায়েন্স সিকিউরিটিজ, এরিজ সিকিউরিটিজ, ফরিদা রকিব সিকিউরিটিজ, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, আল মুন্তাহা ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজ
কেস স্টাডি : প্রতিবেদনের কেস স্টাডি অংশে বলা হয়েছে, মোস্তফা কামালের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সিএমসি কামাল টেঙ্টাইল ২০০৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৪০ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছিল এবং কম্পানির ইপিএসও ছিল ঋণাত্মক ২০০৯ সালে কম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার সুপারিশ করে ২০১০ সালের প্রথম থেকেই কম্পানির শেয়ারের বাজার মূল্য অভিহিত মূল্যকে অতিক্রম করে সে বছরের অক্টোবরে ১৬০০ টাকায় পেঁৗছে যায় ২০০৯ সালের লোকসানে পরিচালিত একটি কম্পানির শেয়ার এক বছরের মাথায় কিভাবে অভিহিত মূল্যের ১৬ গুণ বেশি দামে বাজারে বিক্রি হয়, সেটি বিস্মিত করেছে তদন্ত কমিটিকে মোস্তফা কামাল তাঁর পরিবারের সদস্য যাঁরা কম্পানির পরিচালকও, তাঁরা অতিমূল্যায়িত শেয়ার বেচাকেনা করে প্রচুর মুনাফা করেছেন বলেও তদন্ত কমিটি প্রমাণ পায়
সুপারিশ : প্রতিবেদনের সুপারিশ অংশে বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সালের তদন্ত প্রতিবেদনে সন্দেহের তালিকায় ছিলেন ইমতিয়াজ হোসেন, খোরশেদ আলম, সালমান এফ রহমান, এনায়েতুর রহিম, রকিবুর রহমান, শাকিল রিজভি প্রমুখ বর্তমান তদন্তে তাঁদের মধ্যে সালমান এফ রহমান রকিবুর রহমানের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক মতামত এসেছে এবং কিছু তথ্যও পরিবেশিত হয়েছে এসইসিকে প্রভাবিত করতে দুজনই সক্রিয় ছিলেন মর্মে অনেকেরই ধারণা এসইসির বর্তমান চেয়ারম্যানের নিয়োগ এবং সদস্য মনসুর আলমের পুনর্নিয়োগে সালমান রহমান রকিবুর রহমানের জোরালো তদবির সমর্থন ছিল বলে অনেকের বিশ্বাস
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের অস্বচ্ছ কেসটির তদবিরে সালমান এফ রহমান নিজেই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে ধরনা দিয়েছেন জিএমজি ইউনিক হোটেল প্রভৃতি কেসেও তিনি সম্পৃক্ত এবং কেসগুলো অস্বচ্ছ এসইসি পরিচালনায় দুজনেরই অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব ছিল বলে জনসাধারণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয়েছে পুঁজিবাজার লেনদেন পরিচালনায় এই দুজনের প্রভাব বিস্তারের বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে তদন্ত কমিটি মনে করে 
The central bank has launched an in-depth investigation into the financial institutions named in a probe report on the recent stockmarket crash, top officials of Bangladesh Bank (BB) said yesterday.
The BB has also written a letter to the government to amend a section of the Banking Companies Act 1991 that allows a bank to invest 10 percent of its liabilities (deposits) in the stockmarket.
If the proposal gets through, the new law will restrict banks' investment in the stockmarket by reducing the percentage of the deposits or fixing the rate in terms of equities (not deposits), which is an international standard practice.
"We have already ordered the related department to carry out a detailed investigation into the banks and non-banks that were found responsible by the probe committee in the alleged scam," a top BB official told The Daily Star.
The central bank's decision came hours after the probe committee led by Bangladesh Krishi Bank Chairman Khondkar Ibrahim Khaled submitted its report to Finance Minister AMA Muhith on Thursday. The report recommended that the BB take action against the financial institutions in question.
The probe report said some banks pocketed huge profits violating the rules and regulations. Some of the banks were also involved in fuelling the stock prices last year.
Allegations have been made against some banks for taking high premium for rights and preference shares.
During the two-month investigation, the committee had talked to over 500 traders, including all members of Dhaka and Chittagong stock exchanges, journalists, professors and researchers.
The probe panel has made a series of recommendations, including a major overhaul of the Securities and Exchange Commission (SEC) and an amendment to section 26 (2) of the Banking Companies Act 1991.
"We have responded promptly on our part," said the BB official on the investigation order against the financial institutions.
BB Governor Atiur Rahman confirmed the central bank's move.
"We have written to the government to amend section 26 (2) of the Banking Companies Act to restrict a bank's investment in the stockmarket," Rahman said.
"Ideally, it should be related with the capital, not with the liabilities," said the governor, citing examples of other countries.
According to the existing laws, if a bank has Tk 10,000 crore deposits, it can invest Tk 1,000 crore in the share market.
The BB found many banks were overexposed into the capital market last year. Some banks invested more than 10 percent of their liabilities and helped fuel the stock prices. Still a bank has more than 10 percent of its liabilities into the stockmarket, according to a senior official of the central bank

Blog Archive