সামিট পাওয়ার

Friday, January 07, 2011 Unknown
বেসরকারি খাতে ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরও দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ পেল বাণিজ্যমন্ত্রীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার দুটি কেন্দ্র থেকে উচ্চদরে বিদ্যুত্ কিনতে হবে সরকারকে ১৫ বছর মেয়াদে দুই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুত্ ক্রয় বাবদ সরকারকে পরিশোধ করতে হবে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকারও বেশি এর মধ্যে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন  স্থাপন করা হবে সৈয়দপুরে এবং ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণ করা হবে শান্তাহারে উভয় বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপন করবে কনসোর্টিয়াম অব সামিট ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড মার্কেন্টাইল করপোরেশন লিমিটেড অ্যান্ড সামিট পাওয়ার লিমিটেড গতকাল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভর্তুকি কমানোর ব্যাপারে আমরা চিন্তাভাবনা করছি ব্যাপারে একটি নীতিমালা বানাতে হবে নীতিমালায় কারিগরি এবং দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন করা হবে যাতে দরপ্রস্তাব খোলার পর কারিগরিভাবে অযোগ্যতার সমস্যা দেখা না দেয়
অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ ১৫০ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে দুই বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপন করবে সামিট পাওয়ার তারা সর্বনিম্ন দরদাতা এবং যোগ্য কোম্পানি তাদের আরও ৪টি বিদ্যুেকন্দ্র আছে এর ৩টি বিবিয়ানায় এবং একটি মদনগঞ্জে
প্রসঙ্গত, আইপিপির আওতায় সৈয়দপুরে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের প্রাকযোগ্যতার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হলে সর্বশেষ সময়সীমা মে-২০১০ পর্যন্ত ৯টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করে প্রাকযোগ্যতায় ৮টি কোম্পানি টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির কাছে যোগ্য বলে বিবেচিত হয় এদের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৬টি কোম্পানি দরপ্রস্তাব জমা দেয় এদের মধ্যে সামিট সর্বনিম্ন দরদাতা বিবেচিত হওয়ায় তা অনুমোদনের জন্য ক্রয় কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয় কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য সামিটকে পরিশোধ করতে হবে দশমিক ৯৯ টাকা
শান্তাহারে ৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রাকযোগ্যতায় অংশগ্রহণ করে ১১টি প্রতিষ্ঠান মূল্যায়ন কমিটির কাছে ৮টি প্রতিষ্ঠান যোগ্য বলে বিবেচিত হয় ৮টি প্রতিষ্ঠানের কাছে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে এদের মধ্যে কনসোর্টিয়াম অব সামিট ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড মার্কেন্টাইল করপোরেশন লিমিটেড অ্যান্ড সামিট পাওয়ার লিমিটেড সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয় তাদের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুত্ ক্রয় করতে হবে দশমিক শূন্য ৬৭ টাকায়
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের

৯ টি সুপারিশ করা হয়েছে

Friday, January 07, 2011 Unknown
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের শেয়ারবাজারের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারল্য-সংকটের পাশাপাশি দুর্বল ব্যবস্থাপনা বাজার কারসাজি এবং আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খলাকেও বিবেচনায় আনতে হবে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)
বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত সিপিডির এক প্রতিবেদনে শেয়ারবাজার অংশে কথা বলা হয়েছে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নয়টি সুপারিশ করা হয়েছে সিপিডির প্রতিবেদনে এগুলো হলো: স্বল্পকালীন কারবারকে নিরুৎসাহিত করতে ব্যক্তির মূলধনি মুনাফায় করারোপ; নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির তদারকি পদ্ধতি শক্তিশালী করা; কার্যকর বাজার পরিচালনার জন্য এসইসির সঠিক উদ্যোগ নেওয়া; গুজব ছড়িয়ে শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া; নতুন বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার সম্পর্কে শিক্ষামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া; অভিজ্ঞ, দুর্নীতির অভিযোগমুক্ত দৃঢ় নৈতিক মানসিকতার লোকবল দিয়ে এসইসিকে শক্তিশালী করা; ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নীতিনির্ধারণী ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পৃথক করা; সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দ্রুত ছেড়ে দেওয়া এবং তালিকাভুক্ত তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির ওপর আরোপিত প্রাতিষ্ঠানিক করের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানো
শেয়ারবাজার এর প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দরকার রয়েছে বলেও মনে করছে সিপিডি
সংস্থাটির মতে, শেয়ারবাজারের মূল উদ্দেশ্য হলো শিল্প খাতের জন্য অর্থের জোগান দেওয়া কিন্তু শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক বৃদ্ধির সঙ্গে এই উদ্দেশ্যের সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন
শেয়ারবাজারকে টেকসই করতে সরকারকে চারটি বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো হলো: উৎপাদন খাতে বিনিয়োগে সুযোগের অভাব; শেয়ারবাজারে সুশাসনের অভাব; বাজার কারসাজি এবং আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা
সিপিডি উৎপাদন খাতে বিনিয়োগে সুযোগের অভাবকে দুইভাবে ব্যাখ্যা করেছে একদিকে বিশ্বমন্দার প্রভাব জ্বালানি-সংকটে দেশে নগদ অর্থের জোগান থাকার পরও উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি কমেছে অন্যদিকে সুদের হার কমানোয় ছোট বিনিয়োগকারীরা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে ব্যাংকে আমানত রাখতে উৎসাহিত হচ্ছেন না বরং তাঁরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে উৎসাহিত হয়েছেন আর এসব ছোট বিনিয়োগকারী দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের পরিবর্তে স্বল্পকালীন কারবারকেই বেশি লাভজনক হিসেবে বিবেচনা করেছেন ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব খোলার হার ১৫৪ শতাংশ বাড়ার মাধ্যমে এর প্রতিফলন ঘটেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বল কার্যক্রম দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা শেয়ারবাজারে সুশাসনের অভাবের একটি বড় কারণ বলে উল্লেখ করেছে সিপিডি দ্রুত ঋণ অনুপাত পরিবর্তন, সার্কিট ব্রেকারের ব্যবহার, বাজারের সক্রিয় গোষ্ঠীর অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতা, কোম্পানির তালিকাচ্যুতি যথাযথ না হওয়াকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে সিপিডি আরও বলছে, প্রয়োজনের তুলনায় কম লোকবল দিয়ে এসইসি চলছে এমনকি এসইসির কোনো নিজস্ব তদারকি সফটওয়্যার নেই তদারকির জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয় এতে প্রকৃত তদারকিতে বিঘ্ন ঘটে সিপিডির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, একাধিক অসাধু চক্রের মাধ্যমে বাজার কারসাজির মতো অনৈতিক ঘটনা ঘটছে বলে দেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আর এসব অসাধু চক্রের সঙ্গে ডিএসই/সিএসইর একাধিক সদস্য, এসইসির কর্মকর্তা, রাজনীতিক, বড় ব্যবসায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ব্রোকারেজ হাউসের মালিকেরা জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে
দুর্বল তদারকির পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির জন্য এসইসি এসব অনৈতিক কার্যক্রমের ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলে সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে
ঋণবাজার, মুদ্রাবাজার বন্ড বাজারের সঙ্গে পারস্পরিক সমন্বয়হীনতা শেয়ারবাজারের টেকসই উন্নয়নের অন্যতম বাধা বলে মনে করছে সিপিডি এই সম্পর্কে সিপিডির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এসব বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কিছু সিদ্ধান্ত কিছু সিদ্ধান্তহীনতা শেয়ারবাজারকে প্রভাবিত করেছে

Blog Archive