(১০৩০) খেলাপি ঋণের প্রকৃত হিসাব

Friday, May 20, 2011 Unknown
শেয়ারবাজার :::: কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে, মোট খেলাপি ঋণ থেকে সংরক্ষিত প্রভিশন (ঋণের নিরাপত্তা সঞ্চিতি) স্থগিত সুদ (যা খেলাপিদের হিসাবে যুক্ত আছে) বাদ দেওয়ার পর প্রাপ্ত নিট অঙ্কই প্রকৃতপক্ষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ
২০১১ সালের মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে সংরক্ষিত প্রভিশন দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৮২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, যা ২০১০ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ১৪ হাজার ২৩২ কোটি ৩১ লাখ টাকা
আবার মার্চ শেষে স্থগিত সুদের পরিমাণ প্রায় চার হাজার ৯২০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে গত বছরের ডিসেম্বর শেষে এর পরিমাণ ছিল চার হাজার ৭২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা
সংরক্ষিত প্রভিশন স্থগিত সুদের পরিমাণ মোট ১৯ হাজার ৯০২ কোটি ৯১ লাখ টাকা মোট খেলাপি ঋণ থেকে বাদ দিয়ে নিট খেলাপি ঋণের হিসাব করা হয়
প্রসঙ্গত, বিধি অনুযায়ী স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণ ক্ষুদ্রঋণ ছাড়া বাকি বিভিন্ন ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে অশ্রেণীকৃত ঋণে শতাংশ, নিম্নমান ঋণে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক পর্যায়ের ঋণে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ পর্যায়ের শ্রেণীকৃত ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে ১০০ শতাংশ হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়
অন্যদিকে কোনো ঋণ নিম্নমান পর্যায়ে পৌঁছালে তার বিপরীতে সুদকে আর আয় খাতে দেখানো যায় না কিন্তু খেলাপি গ্রাহকের মোট ঋণ হিসাব করতে গেলে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে (ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো) এই স্থগিত সুদ যুক্ত করা হয়
বাংলাদেশ ব্যাংকের মত হলো, যেহেতু প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয় এবং স্থগিত সুদ ব্যাংকের আয় হিসাবে নেওয়া হয়নি, তাই দুটি হিসাব বাদ দিয়েই খেলাপি ঋণের প্রকৃত হিসাব করা যুক্তিযুক্ত



Blog Archive