(১০৪৫) বিষয়ঃ ঋণ খেলাপি

Friday, May 20, 2011 Unknown
শেয়ারবাজার :::: গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের মার্চে এসে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ খানিকটা বেড়েছে
২০১০ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ যেখানে দাঁড়িয়েছিল ২২ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা, সেখানে বছরের মার্চ শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ হয়েছে ২৩ হাজার ৭৫১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকেরশ্রেণীকৃত ঋণ প্রভিশনিং’ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে
প্রতিবেদন অনুসারে, মার্চ শেষে যে পরিমাণ খেলাপি ঋণ হয়েছে, তা এই সময়ে বিতরণ করা মোট ঋণের স্থিতির দশমিক ২৭ শতাংশ মার্চ শেষে বিতরণ করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ২৬ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা
আবার মার্চ শেষে নিট হিসাবে খেলাপি ঋণ হয়েছে তিন হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের দশমিক ২৬ শতাংশ ডিসেম্বর শেষে নিট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৭৫৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের দশমিক ২৮ শতাংশ
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে, মোট খেলাপি ঋণ থেকে সংরক্ষিত প্রভিশন (ঋণের নিরাপত্তা সঞ্চিতি) স্থগিত সুদ (যা খেলাপিদের হিসাবে যুক্ত আছে) বাদ দেওয়ার পর প্রাপ্ত নিট অঙ্কই প্রকৃতপক্ষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ
২০১১ সালের মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে সংরক্ষিত প্রভিশন দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৮২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, যা ২০১০ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ১৪ হাজার ২৩২ কোটি ৩১ লাখ টাকা
আবার মার্চ শেষে স্থগিত সুদের পরিমাণ প্রায় চার হাজার ৯২০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে গত বছরের ডিসেম্বর শেষে এর পরিমাণ ছিল চার হাজার ৭২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা
সংরক্ষিত প্রভিশন স্থগিত সুদের পরিমাণ মোট ১৯ হাজার ৯০২ কোটি ৯১ লাখ টাকা মোট খেলাপি ঋণ থেকে বাদ দিয়ে নিট খেলাপি ঋণের হিসাব করা হয়
প্রসঙ্গত, বিধি অনুযায়ী স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণ ক্ষুদ্রঋণ ছাড়া বাকি বিভিন্ন ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে অশ্রেণীকৃত ঋণে শতাংশ, নিম্নমান ঋণে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক পর্যায়ের ঋণে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ পর্যায়ের শ্রেণীকৃত ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে ১০০ শতাংশ হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়

Blog Archive