Another rite against SEC

Friday, May 04, 2012 Unknown
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের এককভাবে কমপক্ষে ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণসংক্রান্ত সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আরেকটি রিট হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পিপলস ইনস্যুরেন্স কম্পানির পরিচালক আবুল বাশার বাদী হয়ে রিটটি করেন। ৭ মে বিচারপতি ফরিদ আহমেদ এবং বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের ডিভিশন বেঞ্চে এটি শুনানির কথা রয়েছে।
এদিকে গত ৮ এপ্রিল এ-সংক্রান্ত হাইকোর্টের জারি করা রুলের জবাব দাখিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এসইসি এবং দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে এ জবাব সেকশনে দাখিল করা হয়েছে। এসইসির পক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, রুলের জবাব সেকশনে দাখিল করা হয়েছে। ৭ মে এ রুলের শুনানি হবে। নতুন করে দাখিল করা আরেকটি রিটের জবাবও একই সঙ্গে শুনানি হবে বলে তিনি জানান।
গতকাল দায়ের করা রিটকারি আবুল বাশারের আইনজীবী তানজিদা মিলা জানান, পরিচালকদের শেয়ার ধারণসংক্রান্ত গত ২২ নভেম্বর এসইসির প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে তা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই সিদ্ধান্ত বাতিলেরও আবেদন জানানো হয়েছে। রিটে অর্থসচিব, বাণিজ্যসচিব, এসইসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জয়েন্ট স্টক কম্পানি অ্যান্ড ফার্মের রেজিস্টার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে বিবাদী করা হয়েছে। বাদীর আরেক কেঁৗসুলি শফিকুর রহমান বলেন, তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলোর পরিচালকদের ওই কম্পানিতে ২ শতাংশ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক করে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে এসইসি। অন্যথায় ছয় মাসের মধ্যে তাঁদের পরিচালক পদ শূন্য হয়ে যাবে বলেও ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এটি কোনো বিধান হতে পারে না। এসইসি এভাবে পরিচালক পদে থাকার জন্য শেয়ার থাকার শর্ত জুড়ে দিতে পারে না। কে পরিচালক থাকবেন আর কে থাকবেন না, তা নির্ধারিত হয় কম্পানি অ্যাক্ট, ব্যাংক কম্পানি অ্যাক্ট অনুযায়ী। তিনি বলেন, রুলসের সেকশন ২ এর গ (গ) এ পরিচালকদের এককভাবে কমপক্ষে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের কোনো নির্দেশনা নেই। বিধিবহির্ভূতভাবে গৃহীত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশের পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। শেয়ারের দাম আকস্মিকভাবে কমে কিংবা বেড়ে যেতে পারে। রিটকারীর পক্ষে ড. এম জহির শুনানিতে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে একই বিষয়ে রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ এপ্রিল বিচারপতি ফরিদ আহমেদ এবং বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের ডিভিশন বেঞ্চ এসইসিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের রুল জারি করে।

Blog Archive