Opportunity to whitenong black money in share market will be continued

Friday, May 04, 2012 Unknown
কালোটাকা সাদা করাসহ শেয়ারবাজারে বিদ্যমান সব ধরনের প্রণোদনা অব্যাহত রাখবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় গতকাল বুধবার এনবিআরের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ এ আভাস দেন। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের জন্য আগের সব সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত থাকবে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না নন, সেদিকে নজর দেওয়া হবে।
শেয়ারবাজারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন আরও জানান, এ-সংক্রান্ত সব সুবিধা অব্যাহত থাকবে। এখন যা আছে তাই থাকবে। সরকার শেয়ারবাজারবান্ধব।
ডিএসইর সভাপতি রকিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এনবিআরের সঙ্গে গতকাল প্রাক-বাজেট আলোচনা করে। ডিএসইর ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বাজেট প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করেন। এনবিআরের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনায় এনবিআরের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শেয়ার, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড অথবা সিকিউরিটিজ লেনদেনের ওপর এখন দশমিক ০৫ শতাংশ হারে কর কর্তন করা হয়। আগামী বাজেটে এই হার দশমিক ০১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে ডিএসই।
কোম্পানি ছাড়া ব্যক্তিশ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের ওপর ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কর অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে ডিএসইর। তবে আবাসী ও অনাবাসী বাংলাদেশিদের লভ্যাংশের অগ্রিম আয়কর কর্তনকে চূড়ান্ত করদায় বলে বিবেচনা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কর কমিয়ে সাড়ে ৩৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে এই হার সাড়ে ৪২ শতাংশ। আবার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে তা সাড়ে ৩২ শতাংশে কমিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
রাজস্বসংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে পৃথক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পরামর্শ দিয়েছে ডিএসই। ভারতেও এ ধরনের ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। এ ছাড়া আপিল করার জন্য দাবি করা রাজস্বের একাংশ জমা দেওয়ার বিধান প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে ডিএসই।

Blog Archive