(২০০৭) প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে একটি

Tuesday, September 20, 2011 Unknown

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ডিমিউচুয়ালাইজেশন বা পরিচালন ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। এ জন্য শিগগিরই বিভিন্ন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আবেদন নেয়া হবে। ডিমিউচুয়ালাইজেশনের আইনি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে টাস্কফোর্স।
জানা গেছে, টাস্কফোর্সে অর্থনীতিবিদ, আইনজীবী ও বিভিন্ন পেশার বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। এ টাস্কফোর্সের কাজ তদারকি করবে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।
এ প্রসঙ্গে সিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ সাজিদ হোসেন  বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর আমরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। অর্থমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা চেয়েছেন। এ জন্য আমরা অর্থনীতিবিদ ও আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করব।
সিএসইর প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ও কোম্পানি সচিব আহমেদ দাউদ বলেন, আমরা বিভিন্ন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করব।এরপর যোগ্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে ডিমিউচুয়ালাইজেশনের দায়িত্ব দেব।
৫ সেপ্টেম্বর দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে ডিমিউচুয়ালাইজেশন নিয়ে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৈঠকে তিনি দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন। এ জন্য আইনি কাঠামো চূড়ান্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।
ওই বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিন্যস্তকরণের জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীর কাছে সামগ্রিক পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। ২০১২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বিন্যস্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য কোন ধাপে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন হবে— সে বিষয়ে অবহিত করা হয়।
স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের অনেক কার্যক্রমই বর্তমানে আংশিকভাবে বিকেন্দ ীকরণ (সেমি-ডিমিউচুয়ালাইজড) করা হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদে সদস্যদের (ব্রোকারেজ হাউস) সরাসরি ভোটে নির্বাচিত পরিচালকের পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায় থেকে মনোনীত ব্যক্তিরাও রয়েছেন। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাজে পরিচালনা পর্ষদ সরাসরি কোনো হস্তক্ষেপ করে না। বিন্যস্তকরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণভাবে পৃথক হয়ে যাবে। ফলে সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে পরিচালনা পর্ষদের প্রত্যক্ষ কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদে বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২৫। এর মধ্যে সদস্যদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন ১২ জন। বিভিন্ন পর্যায় থেকে ১২ জন পরিচালক মনোনীত করা হয়। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ, তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত হন। এ ছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য।
বিন্যস্তকরণের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা পুনর্বিন্যাস করা হবে। বর্তমান সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায়ের শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা বিভাজন করা হবে। স্টক এক্সচেঞ্জকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করে প্রতিষ্ঠানের মোট শেয়ারের একটি নির্দিষ্ট অংশ বর্তমান সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বাকি শেয়ারের একাংশ ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। বাকি অংশ সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
বর্তমান ব্যবস্থায় স্টক এক্সচেঞ্জ সম্পূর্ণ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হয়। সদস্যরা এর মালিক হলেও এখান থেকে তারা কোনো মুনাফা পান না। সামগ্রিক কর্মকাণ্ড থেকে অর্জিত মুনাফা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজে ব্যয় হয়। এ ছাড়া উদ্বৃত্ত অর্থ ব্যাংকে সঞ্চিত থাকে। বিন্যস্তকরণের পর পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির মতোই স্টক এক্সচেঞ্জের মুনাফা থেকে শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ বণ্টন করা যাবে।

Blog Archive