(৫০৪) টাকার পরিমাণ বিশ্লেষণেও একই রকম তথ্য

Wednesday, April 27, 2011 Unknown
 গত বছরের শেষ ভাগে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে। এ বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়ে তা তীব্র হয়। আবার বেশির ভাগ ব্যাংকই আগে থেকে ঋণযোগ্য সব অর্থ বিনিয়োগ করায় সংকট আরও গভীর হয়েছিল। নিয়ম হচ্ছে, কোনো ব্যাংক তাদের সংগৃহীত আমানতের নিরাপত্তা হিসাবে বিধিবদ্ধ জমা ১৯ শতাংশ সংরক্ষণ করে বাকি ৮১ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ ঋণ দিতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাস শেষে ব্যাংকগুলোর ঋণ-আমানত অনুপাত দাঁড়ায় ১০৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত ঋণ দিয়েছে ব্যাংকগুলো। ফলে দেখা দেয় নগদ অর্থের সংকট। যদিও অতীতে ব্যতিক্রম ছাড়া ব্যাংক খাতে ঋণ-আমানত অনুপাত ১০০ শতাংশই ছিল। কিন্তু এত নগদ অর্থের ঘাটতি হয়নি কখনো।
ব্যাংকের বাইরে বিপুল টাকা: মুদ্রা সরবরাহের সঙ্গেও মানুষের হাতে টাকা বাড়ার গতি মিলছে না। অর্থ সরবরাহ যতটা বেড়েছে, মানুষের হাতে থাকা টাকার পরিমাণ তার চেয়ে বেশি বেড়েছে। গত জুন থেকে অক্টোবর সময়ে মানুষের হাতে টাকা থাকার পরিমাণ বৃদ্ধির গতি ছিল বেশি। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি সময়ে তা আরও তীব্র হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছে ২০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে বৃদ্ধির হার ছিল ২৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে ফেব্রুয়ারিতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মানুষের হাতে অতিরিক্ত টাকা থেকেছে ২৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। যদিও আগের বছরের ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ। গত দুই বছরের জানুয়ারি মাসের মুদ্রা সরবরাহ ও মানুষের হাতে থাকা টাকার পরিমাণ বিশ্লেষণেও একই রকম তথ্য মেলে।

Blog Archive