সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবরের বরাত দিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিমধ্যে সরকারি জোটের প্রায় সব নেতাই বিজয়ী হয়ে গেছেন। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য মহাজোট থেকে যাদেরকে বিরোধী দল বানানোর চেষ্টা হয়েছিল—সেই জাতীয় পার্টি প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বর্জন করার পরেও তাদের কোনো কোনো নেতা বিজয়ী হয়ে গেছেন। যাঁরা ইতিপূর্বে জামানত হারিয়েছেন—তাঁরাও বিজয়ী হয়েছেন। এ যেন বিজয়ের মহোত্সব। এ দেশের জনগণ কখনো এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা দেখেনি। বিশ্বে এমন ঘটনা বিরল। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী প্রহসন বর্জন করার ফলে প্রকৃতপক্ষে নির্বাচনের নামে যা হচ্ছে—তা আর যা-ই হোক, নির্বাচন নয়।’ নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ শুধু তার দল এবং জোটের জন্য আসন বরাদ্দ করেনি—তথাকথিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টির জন্যও সিট বরাদ্দ করে দিয়েছে। বিশ্বের কোথাও সরকারি দল সম্ভাব্য বিরোধী দলের জন্য আসন বরাদ্দ করে বলে আমাদের জানা নেই। এমন হাস্যকর ঘটনা গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের জন্য শুধু মর্মান্তিক নয়, আত্মবিধ্বংসী। ক্ষমতাসীন সরকারের জন্যও অনিবার্যভাবে এটা আত্মবিধ্বংসী হতে বাধ্য।’ নির্বাচন কমিশনকে ফরমায়েশি কমিশন আখ্যা দিয়ে এই বিএনপির নেতা বলেন, কমিশন এক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনের নামে প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করছে। জনগণ, বিরোধী রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট নাগরিক, সুশীল সমাজ কারোর মতামতকেই আমলে নিচ্ছে না সরকার ও নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক সমঝোতার আগেই তফসিল ঘোষণার কারণে সারা দেশে প্রতিরোধ ও প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে উল্লেখ করে এ জন্য বর্তমান সরকার এবং সরকারের নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেন তিনি।