ACI Limited share 388 crores in reserve Fund

Saturday, May 05, 2012 Unknown
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের পরিশোধিত মূলধন কিংবা অনুমোদিত মূলধনের তুলনায় রিজার্ভ ফান্ডে থাকা অর্থের পরিমাণ বেশি। তেমনি এক প্রতিষ্ঠান এসিআই লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ’র (ডিএসই) তালিকাভুক্ত শীর্ষ-২০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা এ প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আর রিজার্ভ ফান্ডে রয়েছে ৩৮৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

সাধারণ বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মতে, এ ধরনের রিজার্ভ থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। এতে করে প্রতিষ্ঠানও কোনোভাবে লাভবান হচ্ছে না। সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও লাভবান হচ্ছে না। বছরের পর বছর কোম্পানির লাভের টাকা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের না দিয়ে তা দিয়ে টাকার পাহাড় গড়া হচ্ছে। এর কোনো মানে নেই।

এ বিষয়ে সাউথ ইস্ট কেপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেডের এভিপি আলমগীর হোসেন বাংলানিউজক বলেন, ‘প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের যে কোনো ধরনের ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য রিজার্ভ মানি বা সম্পদ থাকা প্রয়োজন। কোম্পানির নিজের যে পরিমাণ সম্পদ বা পরিশোধিত মূলধন রয়েছে তার বেশি রিজার্ভ ফান্ডে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। মূলত কোনো ধরনের আইন না থাকার কারণে এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। দিনশেষে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কাঙ্খিত লভ্যাংশ পাচ্ছেন না।

প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এসিআই লিমিটেডের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৫০টি শেয়ারে একটি মার্কেট লট। গত ৫২ সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার উঠা-নামা করেছে ১৫৮.৭০ টাকা থেকে ৩১৩ টাকার মধ্যে। সর্বশেষ কার্যদিবসে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪৪.৩০ টাকা থেকে ২৪৮.৮০ টাকার মধ্যে।

২০১০ সালে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দেখানো হয়েছে ২২৩.০৪ টাকা। আর মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দেখানো হচ্ছে ৫১২.২৯।

১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির এ প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৩২.০৬ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩১.১৮ শতাংশ। আর প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩৬.৭৬ শতাংশ শেয়ার।

১৯৯৭ সালে এসিআই লিমিটেডের একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি অধিকার শেয়ার বা রাইট শেয়ার প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি।

Blog Archive