(১৬৩৫) বেসরকারি খাতগুলো...২।Budget lacks clear focus

Tuesday, June 21, 2011 Unknown

শেয়ারবাজার :::: প্রস্তাবিত বাজেট বেসরকারি খাত সহায়ক নয় বলে মত দিয়েছেন দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ব্যবসায়ীরা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা খুবই জরুরি সমঝোতার মাধ্যমে পথ খুঁজতে হবে সমাধানের বক্তারা মনে করেন, বেসরকারি খাতই হচ্ছে প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রধান চালিকাশক্তি উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য প্রয়োজন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা অথচ নতুন বাজেটে বিষয়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেই তাদের মতে, প্রতিবছর শ্রমবাজারে ৩০ লাখ নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে বিশাল শ্রমশক্তিকে কাজের সুযোগ তৈরি করে না দিতে পারলে বাজেটের সুফল জনগণ পাবে না
গতকাল অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) আয়োজিত 'বাজেট ২০১১-১২ : ভিন্ন দৃষ্টিকোণে দেখা' শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা সভায় নতুন বাজেটের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেন তারা সমালোচনার পাশাপাশি কিছু বিষয়ে প্রশংসাও করেন ঘাটতি অর্থায়নের জন্য ব্যাংকিং খাত থেকে অতিমাত্রায় ঋণ গ্রহণের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, এর ফলে বেসরকারি খাতে ঋণ গ্রহণ সংকুচিত হবে, ব্যাহত হবে বিনিয়োগ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপির আকার সম্পর্কে বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা না বাড়িয়ে এত বড় এডিপি গ্রহণ করা ঠিক হয়নি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেই বলেও মনে করেন বক্তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত ইআরএফ সভাপতি মনোয়ার হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক অর্থ উপদেষ্টা . এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, সাবেক গভর্নর . সালেহ উদ্দিন, মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর হোসেন, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিআইবিএমের জিজি . তৌফিক চৌধুরী প্রমুখ ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবু কাওসার সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন
নতুন বাজেট সম্পর্কে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য উচ্চ প্রবৃদ্ধি কথা বলা হলেও তা অর্জনে কোনো দিকনির্দেশনা নেই প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতেই হবে কিন্তু বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি প্রস্তাবিত বাজেটে বৈদেশিক ঋণের প্রাপ্তি চলতি অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি ধরা হয়েছে উলেল্গখ করে মির্জ্জা আজিজ বলেন, বৈদেশিক ঋণ প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় না; কিন্তু ঠিক সময়ে পাওয়া যাবে কি-না, সেটা একটা বড় প্রশ্ন আর বৈদেশিক ঋণের অর্থ ছাড় সঠিক সময়ে না হলে সরকারকে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে তা ধার করতে হবে সে ক্ষেত্রে ব্যাংক একটি বড় উৎস; কিন্তু ব্যাংকে ইতিমধ্যে তারল্য সংকটের কথা বলা হচ্ছে তাই ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হলে বেসরকারি খাত বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর . সালেহ উদ্দিন আহমেদ প্রস্তাবিত বাজেটকে 'মোর অব দ্য সেইম' বা গতানুগতিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এতে কোনো গুণগত পরিবর্তন নেই ঘোষিত বাজেট বেসরকারি খাত সহায়ক নয় বলে মনে করেন তিনি সমন্বয়ের অভাবে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক প্রচেষ্টায় মূল্যস্ফীতি মোকাবেলা করা যাবে না সরকারের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে আসতে হবে
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান বলেন, দেশের কর্মক্ষম জনশক্তির ব্যাপক কর্মসংস্থান করতে না পারলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না; কিন্তু বাজেটে কর্মসংস্থান কিভাবে সৃষ্টি হবে, তার কোনো উল্লেখ নেই অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ডেইরি, পোলট্রি , হর্টিকালচার মৎস্য খাতকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার দাবি জানান তিনি
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন উত্তপ্ত রাজনীতি আমাদের মনে শঙ্কার জন্ম দিচ্ছে বিআইবিএমের ডিজি . তৌফিক চৌধুরী বলেন, পূঁজিবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়ালেই আস্থা ফিরে আসবে না আস্থার জন্য প্রয়োজন একটি সামগ্রিক সংস্কার নতুন বাজেটে বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি




Budget lacks clear focus

Experts say it is not much friendly to private sector



The proposed budget for fiscal 2011-12 gives no clear-cut indication on how the government will address issues like employment, investment, price stability and exchange rate that pose a threat to macroeconomic stability, senior economists and businessmen said yesterday.
They have also termed the proposed budget as less private sector-friendly amid costlier credit, tight money supply, government's huge bank borrowing, uncertainty in gas supply and growing instability in politics.
Their comments came at a post-budget discussion organised by Economic Reporters' Forum (ERF) with its President Monwar Hossain in the chair.
“Many issues remain unclear in the budget,” said AB Mirza Azizul Islam, former finance adviser to a caretaker government.
Islam talked about investments required to accelerate growth, depreciation of the taka against the US dollar and a slowdown in remittance flow.
“I don't know how the government will manage exchange rate,” he said.
He also criticised the finance minister for not giving an outline for raising non-tax revenue and controlling non-development expenditure.
“I've seen nothing specific about employment generation in the budget,” said Salehuddin Ahmed, former governor of the Bangladesh Bank.
Ahmed said higher revenue mobilisation target would be quite tough in the face of a growing pressure on the economy from different sides.
“The budget could be more private sector-friendly,” added the former governor.
Towfiq Chowdhury, general secretary of Bangladesh Economic Association, found vulnerability in economic assumptions, including growth and inflation rates.
“I don't see growth rate (6.7 percent) is predictable. Inflation rate set at 7.5 percent may not be achievable,” said Chowdhury.
He said the capital market is not facing liquidity crisis, rather a lack of confidence is affecting the market much.
Two leading businessmen Mir Nasir Hossain and Amjad Khan Chowdhury said they are concerned with the growing problems in the economy.
“How will the economy grow by 7 percent when there are liquidity and energy crises? Government information on gas also makes me puzzled,” said Hossain, former president of the Federation of Bangladesh Chambers of Commerce and Industry.
“Though the BB says there is no liquidity crisis, as a borrower I face it,” he said.
Hossain said 1.5 percent tax proposed on exports is 'too high' at the moment when interest rate and cost of doing business have gone up significantly. Economists supported the businessmen in their demand for reducing the tax on exports.
Maj Gen (retd) Amjad Khan Chowdhury, president of Metropolitan Chamber of Commerce and Industry (MCCI), said the budget protects the interests of powerful lobbyists, not the smaller sections of businessmen.
He came down on double taxation -- corporate tax and income tax -- that he said eat up more than half of the profits.
Chowdhury also criticised the government for increasing furnace oil prices several times since January.

Blog Archive