(১৪৯৬) দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত

Monday, June 06, 2011 Unknown
শেয়ারবাজার :::: দেশের পুঁজিবাজারের পরিবেশ স্বাভাবিক বা স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন- 'বিশ্বের অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজারের পরিসংখ্যান বিবেচনায় বাংলাদেশের বর্তমান পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রয়েছে বলে সরকার মনে করে'
আজ সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরপর্বে মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভঁূইয়ার প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা জানান একই প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন- '২০১০ সালের ডিসেম্বরের বাজার পরিস্থিতিই ছিলো অস্বাভাবিক' মন্ত্রী জানান ওই দিন ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের সাধরণ সূচক ছিল ৮৯১৮.৫১, বাজার মূলধন ছিল ৩৬৮০.৭১ বিলিয়ন টাকা এবং জিডিপির অনুপাতে বাজারের মূলধন ছিল ৫৩.১৬
সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'শেয়ার বাজার কেলেংকারী রোধ করতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে' সময় তিনি পুঁজিবাজারের কারসাজি রোধে সরকাকের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ বর্ণনা করেন
নূর আফরোজ আলীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ-বছরের মার্চ পর্যন্ত ২৩ হাজার ৩শ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে মাত্র হাজার ১শ ৬৫ কোটি টাকা আদায় হয়েছে গিয়াস উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, 'বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২৬ ভাগ মানুষ ক্ষুদ্র ঋণ সুবিধা পাচ্ছে এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সাড়ে ভাগ এনজিওদের পক্ষ থেকে সাড়ে ২২ ভাগ মানুষ এই সুবিধা পায়' এবিএম গোলাম মোস্তফার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ দাতা সংস্থার সাথে হাজার ৮শ ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছে এর মধ্যে হাজার ৮শ ২৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ হাজার ১৬ মিলিয়ন ডলার অনুদান একই প্রশ্নের জবাবে মুহিত আরো জানান, একই সময়ে হাজার ২শ ৫৫ মিলিয়ন ডলার ছাড় পাওয়া গেছে এর মধ্যে হাজার ৮শ ৬৬ মিলিয়ন ডলার ঋণ এবং হাজার ৩শ ৮৯ মিলিয়ন ডলার অনুদান একই বিষয়ে জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মোট হাজার ৮শ ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অঙ্গীকার পাওয়া গেছে এর মধ্যে হাজার ৪শ ৭০ মিলিয়ন ডলার ঋণ ৩শ ৭০ মিলিয়ন ডলার অনুদান' তিনি আরো জানান, এর মধ্যে ৮শ ৭৫ মিলিয়ন ডলারের ঋণ ৫শ ৩১ মিলিয়ন ডলারের অনুদান ছাড় পাওয়া গেছে
সাধনা হালদারের প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, 'গত অর্থবছরের এই সময়ের চেয়ে চলতি অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে চলতি অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিলো হাজার ৬১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ভাগ বেশি'
রেহানা আক্তার রানুর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'চলতি বছরের ৩০ মে পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিলো ১০ হাজার ৫শ ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার'
জয়নুল আবদিন ফারুকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কপর্োরেশনের অনাদায়ী ঋণের পরিমান ২শ ৭১ কোটি টাকা'
অপু উকিলের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান- বর্তমানে বাজারে টাকার ৫৭ কোটি টাকা টাকার ১১০ কোটি টাকার কাগুজে ধাতব মুদ্রা বাজারে রয়েছে একই প্রশ্নের জবাবে মুহিত আরো জানান, আগামী ২০১১-১২ ২০১২-১৩ অর্থ-বছরের জন্য হাজার মিলিয়ন পিস করে টাকা টাকা মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে

Blog Archive