(১৫০২) ইচ্ছে হয় এমন কিছু করি, যেন আমার ফাঁসি হয়

Monday, June 06, 2011 Unknown
শেয়ারবাজার :::: প্রেমিকের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর (প্রেমিকের) তিন বছরের শিশু কন্যাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন এক তরুণী আজ সোমবার সকালে রাজধানীর কলাবাগানের ক্রিসেন্ট রোডে ঘটনা ঘটে আহত শিশু তাসকিয়া মুনতাহা লাবণ্যকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে শিশুটির গলায় ১৭টি সেলাই দেওয়া হয়েছে
অভিযুক্ত বিলকিস খাতুন নাদিয়া (২৫) গ্রেপ্তার হয়েছেন নাদিয়ার দাবি, শিশুটির বাবা আবদুল মতিনের সঙ্গে তাঁর দুই বছর ধরে সম্পর্ক মতিন যে বিবাহিত, তা তিনি জানতেন না জানার পর রাগে-ক্ষোভে শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা করেন নাদিয়া তবে মতিন সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন
মতিন লালমাটিয়ার একটি ফার্মাসিউটিক্যালসের সহকারী ব্যবস্থাপক আর বিলকিস ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স
জানা যায়, ক্রিসেন্ট রোডের একটি বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাস করেন মতিন আজ সকালে তিনি বের হয়ে যাওয়ার পর ওই বাসায় যান নাদিয়া সময় বাসায় ছিলেন মতিনের ছোট ভাই আজাদ, গৃহকর্মী লায়লা মতিনের তিন বছরের মেয়ে এক বছরের ছেলে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লায়লা জানায়, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এক মহিলা ওই বাসায় এসে নিজেকে মতিনের সহকর্মী পরিচয় দেন লায়লা তাঁকে ড্রইংরুমে বসতে দেয় সময় লাবণ্য খেলতে খেলতে ড্রয়িংরুমে আসে ওই মহিলা লাবণ্যকে কোলে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মতিনের শয়নকক্ষে যান লায়লাও সঙ্গে ছিল তখন লায়লার কাছে এক গ্লাস পানি চান নাদিয়া রান্নাঘর থেকে পানি নিয়ে ঘরে এসে লায়লা দেখে, ওই মহিলা লাবণ্যর ওপর চেপে বসে গলা কাটার চেষ্টা করছেন লায়লা চিৎকার করলে বাথরুমে থাকা আজাদ (মতিনের ভাই) এসে নাদিয়াকে ধরে ফেলেন শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়
কলাবাগান থানা হেফাজতে নাদিয়া প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হাসপাতালে কাজ করেন ওই হাসপাতালের নিচে একটি দোকানে মোবাইল ফোনে ফ্লেক্সিলোড করতেন তিনি দুই বছর আগে ওই দোকান থেকে নম্বর সংগ্রহ করে তাঁকে ফোন করা শুরু করেন মতিন কিছু দিনের মধ্যে তাঁদের মধ্যে ভাব হয় তিন-চার মাস আগে তাঁরা কক্সবাজার বেড়াতে যান স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে থাকেন কক্সবাজার থেকে ফিরে নাদিয়া জানতে পারেন, মতিন বিবাহিত গতকাল রোববার মতিন নাদিয়াকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি তাঁকে বিয়ে করবেন না
নাদিয়া বলেন, ‘ ঘটনার পর আমার ইচ্ছে হয় এমন কিছু করি, যেন আমার ফাঁসি হয় কারণ সে আমার জীবন নষ্ট করেছে আমি মতিনের স্ত্রী আর দুই সন্তানকে হত্যার পরিকল্পনা করি।’ মতিনের বাসায় তিনি এর আগে গিয়েছিলেন বলে জানান
মতিন বলেন, ‘আমি তাঁকে (নাদিয়া) চিনি না সে প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত কয়েক দিন ধরে আমার কাছে তারা চাঁদা চাইছিল চাঁদা দিইনি বলেই অবস্থা করেছে তারা।’
কলাবাগান থানার পুলিশ জানায়, ঘটনায় আহত শিশুটির মা রিতা শবনম হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন

Blog Archive