(১০৭৩) প্রতিষ্ঠানটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা

Saturday, May 21, 2011 Unknown
শেয়ারবাজার :::: সংবিধানের মৌলিক নীতি আদর্শের আলোকে কর শুল্ক আইনের যথার্থতায় প্রতিষ্ঠানটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হয়নি একে এত দিন শুধু ব্যক্তি গোষ্ঠীস্বার্থে বিবেচনা করা হয়েছে এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ক্রমেই শুল্ক, ভ্যাট আয়কর আইন এবং বিধিবিধানের বিকৃতি সীমাবদ্ধতায় ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জের জন্য উপযুক্ত হতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটিতে মৌলিক সংস্কারমুখী সমন্বিত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি
বিষয়ে শুল্ক খাত বিশেষজ্ঞ এনবিআরের সাবেক সদস্য (শুল্ক) . রশিদ উল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রকৃত ভ্যাট বা করদাতার চেয়ে ভুয়ার সংখ্যা বেশি হওয়ার মূল কারণ হলো এনবিআরের নজরদারির সক্ষমতার অভাব প্রশাসনিক এনফোর্সমেন্টের দুর্বলতার সুযোগে যে পরিমাণ রাজস্ব আয় হয়, তার চেয়েও বেশি ফাঁকি হয় একসময় কাস্টমের হাতে অ্যান্টি স্মাগলিংয়ের ক্ষমতা থাকার পরও তা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে দেওয়ার ফলে শুল্ক ফাঁকি বেড়েছে বলেও তিনি মনে করেন তাঁর মতে, চোরাচালান বিষয়টি শুল্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাই এটি কাস্টমের হাতে থাকলে রাজস্ব আয় আরো বাড়ত তিনি বলেন, প্রতিবছরই ব্যক্তি গোষ্ঠীস্বার্থে এখানে নীতিমালা বদলানো হয়, যা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজস্ব খাতের জন্য প্রতিবন্ধক
ভ্যাটদাতা বা করদাতার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের দিকে মনোযোগ না দিয়ে বিদেশি পিএসআই সংস্থাকে দিয়ে শুল্ক ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করা হয়েছে বিনিময়ে সংস্থাগুলো সরকারের দেড় হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে
উল্লেখ্য, প্রায় এক যুগ ধরে দেশে পিএসআই সংস্থা আমদানিপণ্যের শুল্ক মূল্যায়নের কাজ করে আসছে শুল্ক বিভাগের সক্ষমতা না থাকায় পিএসআই সংস্থা সাময়িকভাবে নিয়োগ দেওয়া হলেও দফায় দফায় তাদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে
এসব নানা কারণকে দায়ী করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এনবিআরের সক্ষমতা দক্ষতা না হওয়ায় কর আদায়ের ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা দুর্বলতা তৈরি হয়েছে কর আদায়ে নজরদারি দক্ষতার মানও আশানুরূপ হয়নি অর্থনীতির ব্যাপক প্রসার সত্ত্বেও রাজস্ব খাতে প্রশাসনিক সংস্কার নেওয়া হয়নি ডিজিটালাইজেশন অটোমেশনের উদ্যোগ না নেওয়ায় রাজস্ব খাত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারেনি খাতে পর্যন্ত যা কাজ হয়েছে সবই বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্নভাবে বর্তমানে এনবিআরের শুল্ক, ভ্যাট আয়করের পলিসি এনফোর্সমেন্ট একসঙ্গে কাজ করে এতে নীতি প্রণয়ন বাস্তবায়নে আশানুরূপ দক্ষতা আসছে না রাজস্ব প্রশাসনের মর্যাদা ক্ষমতাও অস্পষ্ট এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে অকার্যকর মাঠপর্যায়ে নেই অবকাঠামো
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজস্ব খাত নানা দুর্বলতায় আক্রান্ত অথচ মাত্র চার বছরে দুই লাখ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এটা বাস্তবায়ন করতে হলে নানামুখী সংস্কার করতে হবে বিশেষ করে অটোমেশন ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, দক্ষতা নজরদারি বাড়িয়ে রাজস্ব ফাঁকি হয়রানি কমাতে হবে প্রতিবেদনে বৈষম্য কমিয়ে সম্পদের মালিকানায় ভারসাম্য আনতে সম্পদ কর বা প্রপার্টি ট্যাঙ্ আরোপেরও প্রস্তাব করা হয়েছে
জন্য যেসব প্রকল্প নেওয়া হবে তার পেছনে অন্তত ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে মাঠপর্যায়ে অবকাঠামো গড়ে তোলাসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় হবে আরো অন্তত ২০০ কোটি টাকা শুল্ক খাতে অত্যাধুনিক সফটওয়্যার কারিগরি সহায়তার জন্য প্রয়োজন হবে আরো ২৬ কোটি টাকা সব মিলিয়ে রাজস্ব খাতকে ঢেলে সাজিয়ে একটি পরিপূর্ণ রাজস্ব খাত হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আগামী তিন বছরে অন্তত ৭০০ কোটি টাকা দরকার হবে

Blog Archive