BUSINESS OPPORTUNITY
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ এ বিষয়ে বলেন, কারসাজির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এরই মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন এবং তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে সরকারের উচ্চমহলে তদবির শুরু করেছেন। সরকার যদি এসব তদবিরে সমর্থন দেয়, তাহলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে না। তিনি আরও বলেন, এই গ্রুপটি এতটাই শক্তিশালী যে, প্রয়োজনে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে শেয়ারবাজারের পতন ঘটাতেও সক্রিয় থাকবে। ডিএসইর অনেক সদস্যকেও তারা পাশে পাবে। কেননা, তদন্ত কমিটি স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করতে সুপারিশ করেছে। এ নিয়েও স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের মধ্যে তীব্র বিরোধিতা রয়েছে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেছেন, ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির জন্য এখনো কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আবার একটি কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। সুতরাং এবারও ব্যবস্থা না নিলে আবারও একই ধরনের ঘটনা ঘটবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ এবং প্রয়োজনমতো আরও অনুসন্ধানের তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দোষীদের এই বার্তা দিতে হবে যে, অন্যায় করলে পার পাওয়া যাবে না।
তদন্ত প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বাস্তবায়ন দূরের কথা, বিবেচিত হয়েছে কি না, সে প্রশ্ন রয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতো। বর্তমান কমিটি অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও উল্লেখযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করেছে, দুর্নীতি-অনিয়ম সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করেছে, নমুনা পরিদর্শন করেছে এবং সে অনুযায়ী সুপারিশ প্রণয়ন করেছে। এসবের যুক্তিযুক্ত পরিণতি থাকা উচিত।
সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে অর্থমন্ত্রী একটি বিবৃতি দিতে পারেন। এ জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কাজ করছে। গতকাল শনিবার ছুটির দিনেও সচিবালয়ে দিনভর কাজ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
An influential section of businessmen and politicians, who allegedly siphoned off large sums of money from the share market, is now trying to discredit the government's probe committee report on the securities market scam to avert punishment.
The section is also lobbying hard to ensure that the government agencies do not go head with further investigations beyond the primary findings. Finance ministry sources said the section has even threatened different policymakers with putting the stock market through another turmoil if the government proceeds with any investigation.
A four-member probe committee led by Krishi Bank Chairman Khondker Ibrahim Khaled had prepared the report.
The group has targeted Khondker Ibrahim Khaled. It wants to make him controversial.
This was evident in a news item of a news agency Friday where Ibrahim Khaled was quoted as saying on a television channel that he wanted share-market scamsters tried under martial law.
Khaled had given an interview to Bangla Vision television channel which was broadcast Thursday night. He was discussing legal difficulties in trying the scamsters.
"But I had not said anything like that. I was saying under a democratic system if we take someone to the court, we need to take very hard evidence and proof of allegations. Otherwise, we cannot get justice properly. But, this does not happen under the martial law, where you don't need much evidence or proof," he said clarifying his position on the matter.
"Since we are operating under a democratic government, we have submitted our report with substantial evidence and proof. Now in order to prosecute the accused people, the government should gather more hard evidence so that the guilty cannot get away," he said.
The veteran banker added that the probe committee report had enough ammunition to prove manipulation by certain share-market players in the court of law. But there were some cases of manipulation that needed to be investigated deeper before going to court.
Talking to The Daily Star Saturday, Khaled noted that a quarter was hatching a conspiracy over the report. Some people do not want the report's recommendations to be carried out. "If these recommendations are implemented, it would be very difficult to manipulate the share market in the future," he said.
Those who want to manipulate the market have a lot of money and power. They are using money to divert the focus on the recommendations and make the probe committee report controversial. "They are also trying to make the government take a coercive stance against the probe committee," Ibrahim Khaled pointed out.
Khaled's committee had only two months to dig into the scam in which small investors lost around Tk 20,000 crore in the primary share market. The committee pinpointed around 60 players responsible for manipulating the market for their own gain. Interestingly, these 60 players represent businessmen and politicians from Awami League and BNP as well as civil and military officials and those in the regulatory authority.
Some of these players are also involved in the media.
The report submitted on April 7 had recommended immediate removal of the chairman of the Securities Exchange Commission. The government has not removed him. The government had earlier said it would release the probe report sometime this week but on April 13, Finance Minister AMA Muhith told journalists that it would not be possible to do so as the government would need more time to scrutinise the content.
Meanwhile, Gono Forum President Dr Kamal Hossain yesterday demanded the government take immediate action against share-market plunderers.
"Those who plundered Tk 20,000 crore from the share market and siphoned the money out of the country are the evil spirits of West Pakistani exploiters," he said at his party standing committee meeting
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ এ বিষয়ে বলেন, কারসাজির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এরই মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন এবং তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে সরকারের উচ্চমহলে তদবির শুরু করেছেন। সরকার যদি এসব তদবিরে সমর্থন দেয়, তাহলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে না। তিনি আরও বলেন, এই গ্রুপটি এতটাই শক্তিশালী যে, প্রয়োজনে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে শেয়ারবাজারের পতন ঘটাতেও সক্রিয় থাকবে। ডিএসইর অনেক সদস্যকেও তারা পাশে পাবে। কেননা, তদন্ত কমিটি স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করতে সুপারিশ করেছে। এ নিয়েও স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের মধ্যে তীব্র বিরোধিতা রয়েছে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেছেন, ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির জন্য এখনো কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আবার একটি কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। সুতরাং এবারও ব্যবস্থা না নিলে আবারও একই ধরনের ঘটনা ঘটবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ এবং প্রয়োজনমতো আরও অনুসন্ধানের তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দোষীদের এই বার্তা দিতে হবে যে, অন্যায় করলে পার পাওয়া যাবে না।
তদন্ত প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বাস্তবায়ন দূরের কথা, বিবেচিত হয়েছে কি না, সে প্রশ্ন রয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতো। বর্তমান কমিটি অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও উল্লেখযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করেছে, দুর্নীতি-অনিয়ম সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করেছে, নমুনা পরিদর্শন করেছে এবং সে অনুযায়ী সুপারিশ প্রণয়ন করেছে। এসবের যুক্তিযুক্ত পরিণতি থাকা উচিত।
সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে অর্থমন্ত্রী একটি বিবৃতি দিতে পারেন। এ জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কাজ করছে। গতকাল শনিবার ছুটির দিনেও সচিবালয়ে দিনভর কাজ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
An influential section of businessmen and politicians, who allegedly siphoned off large sums of money from the share market, is now trying to discredit the government's probe committee report on the securities market scam to avert punishment.
The section is also lobbying hard to ensure that the government agencies do not go head with further investigations beyond the primary findings. Finance ministry sources said the section has even threatened different policymakers with putting the stock market through another turmoil if the government proceeds with any investigation.
A four-member probe committee led by Krishi Bank Chairman Khondker Ibrahim Khaled had prepared the report.
The group has targeted Khondker Ibrahim Khaled. It wants to make him controversial.
This was evident in a news item of a news agency Friday where Ibrahim Khaled was quoted as saying on a television channel that he wanted share-market scamsters tried under martial law.
Khaled had given an interview to Bangla Vision television channel which was broadcast Thursday night. He was discussing legal difficulties in trying the scamsters.
"But I had not said anything like that. I was saying under a democratic system if we take someone to the court, we need to take very hard evidence and proof of allegations. Otherwise, we cannot get justice properly. But, this does not happen under the martial law, where you don't need much evidence or proof," he said clarifying his position on the matter.
"Since we are operating under a democratic government, we have submitted our report with substantial evidence and proof. Now in order to prosecute the accused people, the government should gather more hard evidence so that the guilty cannot get away," he said.
The veteran banker added that the probe committee report had enough ammunition to prove manipulation by certain share-market players in the court of law. But there were some cases of manipulation that needed to be investigated deeper before going to court.
Talking to The Daily Star Saturday, Khaled noted that a quarter was hatching a conspiracy over the report. Some people do not want the report's recommendations to be carried out. "If these recommendations are implemented, it would be very difficult to manipulate the share market in the future," he said.
Those who want to manipulate the market have a lot of money and power. They are using money to divert the focus on the recommendations and make the probe committee report controversial. "They are also trying to make the government take a coercive stance against the probe committee," Ibrahim Khaled pointed out.
Khaled's committee had only two months to dig into the scam in which small investors lost around Tk 20,000 crore in the primary share market. The committee pinpointed around 60 players responsible for manipulating the market for their own gain. Interestingly, these 60 players represent businessmen and politicians from Awami League and BNP as well as civil and military officials and those in the regulatory authority.
Some of these players are also involved in the media.
The report submitted on April 7 had recommended immediate removal of the chairman of the Securities Exchange Commission. The government has not removed him. The government had earlier said it would release the probe report sometime this week but on April 13, Finance Minister AMA Muhith told journalists that it would not be possible to do so as the government would need more time to scrutinise the content.
Meanwhile, Gono Forum President Dr Kamal Hossain yesterday demanded the government take immediate action against share-market plunderers.
"Those who plundered Tk 20,000 crore from the share market and siphoned the money out of the country are the evil spirits of West Pakistani exploiters," he said at his party standing committee meeting