(৩৬৩) (কেপিসিএল) এবং (ওসিএল)

Tuesday, April 12, 2011 Unknown
বুকবিল্ডিংয়ের মতো একটি আধুনিক পদ্ধতিকেও কলুষিত করেছে কারসাজিচক্র এই পদ্ধতিতে অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়িয়ে খুলনা পাওয়ার কম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল) এবং ওশেন কনটেইনার লিমিটেড (ওসিএল) বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দুটি কম্পানিই বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের ভাই আজিজ খানের মালিকানাধীন সামিট গ্রুপের! বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে দুটো কম্পানির প্রাথমিক শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেশি ধার্য করা হয়
কালের কণ্ঠের তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে, এই প্রক্রিয়ায় কম্পানি দুটি বিনিয়োগকারীদের পকেট থেকে প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কম্পানির পরিচালকরা নিজেরাই নিজেদের শেয়ার কিনে দাম বাড়িয়ে শেষে বিনিয়োগকারীদের বিপদে ফেলে মার্কেট থেকে টাকা নিয়ে শটকে পড়ে
বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে দাম নির্ধারণ করা হলেও কম্পানি দুটি সরাসরি তালিকাভুক্ত (ডাইরেক্ট লিস্টিং) হয়ে লেনদেন শুরু করে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে কেপিসিএল এবং ওসিএলের শেয়ারের অতিরিক্ত দাম ধার্য করা হয়, যা শেয়ারপ্রতি আয় (আর্নিং পার শেয়ার বা ইপিএস) এবং মূল্য অনুপাতে আয়েরও (প্রাইস আর্নিং বা পিই রেশিও) কয়েক গুণ বেশি সরাসরি তালিকাভুক্ত হওয়ায় প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বাদেই প্রথম থেকেই সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন শুরু হয় এর শেয়ারের প্রথম দিনই এর দাম হয়ে ওঠে আকাশ ছোঁয়া প্রথম তিন দিন কম্পানির পরিচালকরা তাঁদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা চড়া দামেই কিনতে থাকেন শেয়ার কিন্তু পরিচালকদের বিক্রির পরই দাম পড়তে শুরু করে
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে কেস স্টাডি হিসেবে কেপিসিএলে অতিরিক্ত নির্দেশক মূল্য নির্ধারণের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে পুঁজিবাজারে খুলনা পাওয়ার কম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল দুই টাকা ৭৯ পয়সা, নেট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) ছিল ১৮ টাকা ৫৩ পয়সা কিন্তু সরাসরি তালিকাভুক্তির সময় এর নির্দেশকমূল্য ধরা হয় ১৬২ টাকা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সর্বোচ্চ সীমায় উঠে (২০ শতাংশ) শেয়ারপ্রতি বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেন ১৯৪ টাকা ২৫ পয়সা, যা এর ইপিএসের চেয়ে ৬৯ গুণ এবং এনএভির চেয়ে ১০ গুণ বেশি এত বেশি নির্দেশকমূল্য সর্বোচ্চ সীমায় উঠে বিক্রয়মূল্য নির্ধারণের কোনো কারণ সাতটি প্রস্তাবকারী প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে জানতে চায়নি এসইসি তদন্ত কমিটি মনে করে, ধরনের দর হাঁকানো কারসাজি বা সহযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণকে নির্দেশ করে কমিটির কাছে অভিযোগ রয়েছে, মাত্রাতিরিক্তি নির্দেশকমূল্য নির্ধারণে সহায়তা করার পেছনে আর্থিক প্রণোদনা কাজ করেছে
কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেপিসিএলের শেয়ারের গড় বিক্রিমূল্য ২১১ টাকা ২৩ পয়সা হলেও সরাসরি তালিকাভুক্তির মাত্র এক মাসের পর তা ১৭০ টাকায় নেমে আসে, যা আর বাড়েনি কেপিসিএলের শেয়ারের নির্দেশকমূল্য নির্ধারণে দায় গোপন হিসাবের নীতি লঙ্ঘনেরও প্রমাণ পেয়েছে কমিটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল্যনির্ধারণের সময় তিন বা পাঁচ বছরের আয়কে আয়ের ভারিত গড়কে হিসাবে না ধরে শুধু এক বছরের (২০০৯) আয়কে ধরা হয়েছে ২০০৯ সালে কম্পানির অন্যান্য সূত্রের আয় অনেক বেশি ছিল, যা প্রতিবছর হবে না ওই বছর আয় বেশি হওয়ার কারণে নিট আয়ও বেশি হয়েছে ফলে আর্নিং বেজড্ ভ্যালু পার শেয়ার বেশি হয়েছে নেট অ্যাসেট ভ্যালু হিসাব করার সময় প্রায় এক কোটি টাকার দায় রিডিমেবল প্রিফারেন্স শেয়ায়ের বিপরীতে ১১ কোটি টাকার দায় হিসাব করা হয়নি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এগুলো হিসাবে নিলে শেয়ারপ্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু ১৮.৫৩ টাকার জায়গায় ১৩.২০ টাকা হত কমিটির প্রতিবেদনে কেপিসিএল' শেয়ারের বেশকিছু 'সন্দেহজনক' লেনদেনের তথ্য তুলে ধরা হয় এর একটি হল ২২ জুলাই, ২০১০ পর্যন্ত সালমান খান নামে একজন বিনিয়োগকারী প্রায় সাড়ে ৩৩ লাখ শেয়ার কেনেন এর মধ্যে ১৫ লাখ শেয়ার কিনেছেন ২৫ ২৬ মে তিনি কম্পানির একজন উদ্যোক্তার সন্তান প্রতিবেদনে ব্লক ট্রেডের কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরা হয় এবং বারবার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন এমন কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনা পরিস্থিতি ইঙ্গিত করে যে, বিক্রেতা এবং বাজার মধ্যস্থতাকারী এবং সম্ভবত কিছু ক্রেতা তাদের আর্থিক সুবিধার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক অথবা উদ্দেশ্যমূলক আচরণের মাধ্যমে বাজারে শেয়ারের মূল্য প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি রেখেছিল

The Anti-corruption Commission (ACC) plans to take legal measures against the officials of the Securities and Exchange Commission (SEC) found guilty in the investigation into the share-market scam.

ACC Chairman Ghulam Rahman and Commissioner Mohammad Shahabuddin disclosed the decision while talking to banglanews Monday, in the wake of a flurry of contentions over the stock-market manipulation unveiled by the government-formed probe body.

The ACC boss said, "The commission would take legal steps considering sufferings of almost 30 lakh investors."

He observed that the economy of the country as well as the investors is being affected by the share-market scam.

He also said, "We will take action against them if anyone of the incumbent or ex-officials of the SEC misused power or exerted their illegal influence over the market."

The ex-bureaucrat said the commission would look into the matter on its own as per its jurisdiction. But the commission is yet to get the probe report.

ACC Commissioner M Shahabuddin told banglanews, "Money laundering is one of the listed crimes in the law of ACC."

The probe committee directly blamed SEC Chairman Ziaul Haque Khandaker and two executive directors--Anwarul Kabir Bhuyan and Tarequzzaman--for the share-market manipulation and subsequent market crash.

On the other hand, the probe committee found allegation of laundering Tk 15 crore against BD-Thai Aluminum and JM Global.

Blog Archive