ঊর্ধ্বমুখী রাখাই শ্রেয়

Tuesday, February 01, 2011 Unknown
অর্থবছরের প্রথমার্ধজুড়েই অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ব্যাপক হারে ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ আমানত সংগ্রহ করেছে, তার চেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে কিন্তু উৎপাদনে তার তেমন প্রভাব পড়েনি কারণ ঋণের পর্যাপ্ত তদারকি না থাকায় এবং গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের কারণে শিল্পঋণের একটা বড় অংশ চলে গেছে পুঁজিবাজারে ঋণের অপব্যবহার মূল্যস্ফীতিকেও উসকে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ মুদ্রানীতি পর্যালোচনায় তথ্য পাওয়া গেছে রবিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাদশ মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, গত বছরের জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১৭. শতাংশ বেড়েছে বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণও জুন থেকে নভেম্বরের মধ্যে তা বেড়েছে ২৪. শতাংশ

কম্পিউটার চালু করার সাথে সাথে অটুমেটিক্যালি খবরগুলু পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করে YES  করুন

 বেসরকারি খাতের ঋণের পরিমাণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিগত মুদ্রানীতির প্রক্ষেপণ এবং মোট দেশজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের তুলনায় অনেক বেশিই ছিল
গত ২০০৯-১০ অর্থবছরের নভেম্বরের তুলনায় চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের নভেম্বরে শিল্পঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৮. শতাংশ, এসএমই ঋণ বেড়েছে ৪২. শতাংশ এবং কৃষিঋণ বেড়েছে ১৮. শতাংশ এই বিপুল পরিমাণে ঋণ ব্যাপক উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা জাগালেও এসব ঋণের কিছু কিছু, বিশেষভাবে শিল্প খাতের ঋণ গেছে পুঁজিবাজারে এর অন্যতম কারণ ছিল গ্যাস এবং বিদ্যুৎ গ্যাসের সংযোগ না পাওয়া এবং ব্যাংকগুলোর পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ের অভাব ছাড়া এই ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল ব্যাংকগুলোর আমানত সংগ্রহের তুলনায় অনেক বেশি আমানত সংগ্রহের হার যেখানে ছিল ২১. শতাংশ, সেখানে ঋণ বিতরণের হার ছিল ২৮. শতাংশ বিশ্লেষকদের মতে, বেসরকারি খাতের এই বিপুল ঋণের প্রবাহ এবং ঋণের অপব্যবহার মূল্যস্ফীতিতে ইন্ধন জুগিয়েছে এবারের মুদ্রানীতির চ্যালেঞ্জ হবে_মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, উৎপাদনশীল খাতে ঋণের ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর . সালেহউদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, উৎপাদনশীল খাতে ঋণের জোগান নিশ্চিত করা এবং বিদেশে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে রেমিট্যান্সের উচ্চপ্রবাহ ধরে রাখাই হচ্ছে মুদ্রানীতির বড় চ্যালেঞ্জ ঘোষিত মুদ্রানীতি সময়োপযোগী হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'যদিও মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি শতাংশের আশপাশে থাকবে বলা হয়েছে, তবে আমার হিসেবে তা শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে এই মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে মুদ্রানীতির বড় চ্যালেঞ্জ
সহনীয় রাখার উপায় সম্পর্কে তিনি বলেন, 'যদি উৎপাদনশীল খাতে ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়, তাহলে কর্মসংস্থান বাড়বে বাড়বে প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাত্রাও এতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়লেও তা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে যদিও কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাংলাদেশ ব্যাংকের একার কাজ নয় তার পরও বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ঋণ উৎপাদনশীল খাতে যেমন, গার্মেন্টস, সার্ভিস সেক্টর, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি খাতে বিতরণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার জন্য পরামর্শ দিতে পারে অপরদিকে জমি ক্রয়, আবাসন, ভোগ্যপণ্য ক্রয় ইত্যাদি খাতে ঋণের জোগান কমাতে নিরুৎসাহিত করতে পারে' তিনি বলেন, 'মুদ্রাবাজারে সাম্প্রতিক সময়ের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার পেছনে কাজ করেছে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা তাদের দায়-সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি ছিল ভবিষ্যতে বাজারে তারল্য প্রবাহ যথাযথ তদারকি করতে হবে পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ ঠিক রাখতে ডলার বিক্রয়ের পরিবর্তে ওভারড্রাফট দিতে পারে এতে ব্যাংকের তারল্য যেমন ঠিক থাকবে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রার বাজারও স্থিতিশীল থাকবে রেমিটেন্স প্রবাহের উচ্চ ধারা অব্যাহত রাখার প্রতি জোর দেন . সালেহউদ্দিন আহমেদ তিনি বলেন, 'বর্তমানে প্রবাসে কর্মরত আমাদের জনশক্তির ৭৩ শতাংশই অদক্ষ সরকারের উচিত বিদেশে দক্ষ লোকবল পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া কারণ ভবিষ্যতে আমাদের রপ্তানির চেয়ে আমদানি ব্যয় বাড়বে সে ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঊর্ধ্বমুখী রাখাই শ্রেয়'

Non-bank financial institutions (NBFIs) have logged huge profits from the booming stockmarket in step with banks, meandering away from their core business.
NBFIs recorded 25 percent growth in operating profits in 2010, statistics show. On average, 60 percent of the profits were generated through the capital market operations alone. Some institutions earned as high as 80-90 percent of their profits from the stock business.
"This is alarming that non-banks are earning a majority of their profits from the capital market, which is not their core business," said Mafizuddin Sarker, president of Bangladesh Leasing and Finance Companies Association (BLFCA). But he said it was "very natural and happened automatically".
Sarker, also the managing director of LankaBangla Finance, said NBFIs had no alternative avenue for investment other than stockmarket as the energy crisis slowed demand for industrial loans.
Twenty-nine non-bank financial institutions are operating in the market and 21 of them are listed on the stockmarket.
All these 29 NBFIs made combined operating profits worth Tk 862 crore in 2010, 25 percent more than the profit in 2009. Their operating profits were only Tk 489 crore in 2008.
But all the companies did not make equal profits from the stockmarket, according to industry insiders.
IDLC, LankaBangla and Prime Finance, which are the market leaders in terms of business size, made most of their profits from the capital market operations. Companies such as United Leasing and Uttara Finance pocketed the least from stockmarket business.
High concentration of NBFIs in the capital markets has been shrinking their exposure to the core business, such as lease financing.
"Lease financing has come down to 40 percent of total business in 2010 from 55 percent a year ago," said the BLFCA president. But he blamed the decline of lease financing on withdrawal of depreciation allowance in 2007.
Sensing increasing restrictions on NBFI's exposure to the stockmarket, the companies are now thinking of alternative windows for income.
"Small and medium enterprises and housing sector could be the potential areas to sustain our business growth," said Sarker.
LankaBangla has set a target to lend Tk 100 crore to small and medium enterprises and another Tk 125 crore to the housing sector in 2011, he said.

Blog Archive