পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন - Garment Owners are worried about October-25

Sunday, October 13, 2013 Other

২৫ অক্টোবর ঘিরে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। তাঁরা দাবি করেছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশে ক্রয় আদেশ দিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে বিদেশি ক্রেতাদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু করবে না বিএনপি—এমন আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার বাটেক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে পোশাকশিল্পের মালিকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করলে বিএনপির নেতারা এসব আশ্বাস দেন। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাটেক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ওসমান ফারুক, তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি এস এম মান্নান, শহীদুল্লাহ আজিম প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আতিকুল ইসলাম। বিজিএমএইর নেতারা তাঁদের বক্তব্যে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘২৫ অক্টোবরের পর কী হবে, তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। বিদেশি ক্রেতারা আমাদের জিজ্ঞাসা করেন, কী হতে যাচ্ছে।’ তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিরোধী দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আশা করি, আপনারা একটি দিকনির্দেশনা দেবেন।’ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে এস এম মান্নান জানতে চান, ২৫ অক্টোবরের পর দেশের রাজনীতিতে কী হবে? বিদেশি ক্রেতারা তাঁদের ক্রয় আদেশ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে তিনি জানান। এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘২৫ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির একটি পূর্বনির্ধারিত সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। এখন সরকারি দল বলছে, সেদিন তারাও সমাবেশ করবে। পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সরকারই বরং ক্রেতাদের ভয় পাইয়ে দিচ্ছে।’ তবে তিনি বলেন, বিএনপি কখনো অর্থনীতির ক্ষতি হয় এমন কিছু করবে না। তবে ২৫ অক্টোবর বিএনপি নতুন কর্মসূচি দেবে। ওসমান ফারুক বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে যে ভয়াবহ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট তৈরি হয়েছে, তা উত্তরণে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট দরকার। ভবিষ্যৎ আশঙ্কার কারণে এই অনুষ্ঠান অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে বলে তিনি মনে করেন। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেলে অর্থনীতি এগিয়ে যেতে পারবে না। বিরোধীদলীয় নেত্রী যে গণতন্ত্রের ডাক, ভোট রক্ষার ডাক দিয়েছেন, তাতে আপনাদের (ব্যবসায়ী) এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি অভিযোগ করেন, মালিক ও শ্রমিকদের মাধ্যমে সমাধানযোগ্য সমস্যায় এখন সরকারের মন্ত্রীরা হস্তক্ষেপ করছেন। এই খাতকে তিনি রাজনীতির বাইরে রাখার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি রিয়াজ বিন মাহমুদ, বাটেক্সপোর প্রধান সমন্বয়কারী আবু মোহাম্মদ খান, সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী, ফজলুল হক, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা প্রমুখ।

Blog Archive