,

লেনদেন দেরি হবার কারন বের হল-Reason of late trading

Monday, November 11, 2013 Other
আবারও কারিগরি ত্রুটির কারণে গতকাল রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন পিছিয়েছে। এ জন্য নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ১০টার পরিবর্তে বেলা ১১টায় লেনদেন শুরু হয়ে চলে বেলা তিনটা পর্যন্ত। ডিএসইর জনসংযোগ বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) নির্ধারিত সময়ে লেনদেন শুরু ও শেষ হয়েছে। সাধারণত দুই বাজারে সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে একটানা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলে। কিন্তু গতকাল ডিএসইতে এর ব্যতিক্রম ঘটেছে। ডিএসইর সদস্যভুক্ত একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল সকাল থেকে তাঁরা ডিএসইর লেনদেনযন্ত্র বা ট্রেড সার্ভারে প্রবেশ করতে (লগইন) পারছিলেন না। সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সার্ভারে লগইন করতে পারেননি অধিকাংশ সদস্য। এ সময় ডিএসইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সার্ভারে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে। এ কারণে লেনদেন ৩০ মিনিট পিছিয়ে যাওয়ার কথাও জানানো হয়। এর আগে একাধিকবার ডিএসইর সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। এ জন্য লেনদেনও পিছিয়ে দিতে হয়। বারবার এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় এ বিষয়ে একাধিক তদন্তও হয়েছে। গঠন করা হয়েছিল বিশেষজ্ঞ কমিটি। কমিটি বেশ কিছু সুপারিশও করে। কিন্তু সেগুলোর অগ্রগতি ও এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে ডিএসইর পক্ষ থেকে সব সময় লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ ধরনের কারিগরি ত্রুটির বিষয়ে বারবার জানতে চাইলেও ডিএসইর পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। এক কর্মকর্তা অন্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর জনসংযোগ বিভাগ থেকে সুস্পষ্টভাবে কিছুই জানানো হয়নি। পরে ডিএসইর প্রধান কারিগরি কর্মকর্তার (সিটিও) সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে কিছুদিন পর পর সার্ভারে এ ধরনের ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এ নিয়ে ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে কারিগরি ত্রুটির কারণে লেনদেনে বিলম্ব ঘটায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ডিএসইকে শোকজ করেছিল। বাজার পরিস্থিতি : বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকা চারদিনের হরতালের প্রথমদিনে গতকাল শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের দরবৃদ্ধি সূচক ও লেনদেনের এই গতি ধরে রেখেছে। ঢাকার বাজারের দিনশেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৯৮ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৪ কোটি টাকা বেশি। চট্টগ্রামের বাজারের দিনশেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৩ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে প্রায় নয় কোটি টাকা বেশি।

Blog Archive