(১০৯৪) অর্থনিতির ১২টা বাজতে পারে

Sunday, May 22, 2011 Unknown
শেয়ারবাজার :::: অবকাঠামোগত দুর্বলতা, জ্বালানির অভাব দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিনিয়োগ কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন অন্বেষণ ২০১১-১২ সালের প্রাক বাজেট পর্যালোচনায় সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, বিনিয়োগ কমে গেলে সরকারের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব না- হতে পারে
এক দশক ধরে দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির পরিবর্তনের হার .০৭ শতাংশ উল্লেখ করে উন্নয়ন অন্বেষণের পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, হার অব্যাহত থাকলে বছর প্রবৃদ্ধি হবে . শতাংশ
পর্যালোচনায় সঞ্চয়, বিনিয়োগ, উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন, বাণিজ্য ঘাটতি, মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের দুর্বল অবস্থা তুলে ধরা হয় তবে প্রতিবেদনে দেওয়া উপাত্তগুলো অর্থবছরের প্রথম আট মাসের
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০-১১ বাজেটে সরকার মোট আয় অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে ৯২ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অর্থবছরের আট মাসের উপাত্তে মোট লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৬৩ শতাংশ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে তাই বর্তমান সরকারকে তার মোট আয় অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে অবশিষ্ট ৩৭ শতাংশ বাকি চার মাসে সংগ্রহ করতে হবে, যা বর্তমান সরকারের জন্য একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ
এডিপি বাস্তবায়নে দুর্বল অবস্থার কথা উল্লেখ করে পর্যালোচনায় বলা হয়, বর্তমান অর্থবছরের শেষ প্রান্তিক পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি ২০১০-১১ অর্থবছরে এডিপির জন্য ৩৫ হাজার ১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার মোট এডিপির ৪০ শতাংশ মাত্র অর্থাৎ শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করতে হবে গতানুগতিক এডিপি বাস্তবায়নের এই ধীরগতি দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে
পর্যালোচনা অনুযায়ী, দেশের সার্বিক বাণিজ্য ঘাটতি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪৩. শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সময়কালে রপ্তানি আয়ে ১১ শতাংশের প্রবৃদ্ধির বিপরীতে আমদানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ অর্থাৎ বর্তমান অর্থবছরের গত আট মাসে বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ বাণিজ্য ঘাটতির এই অব্যাহত বৃদ্ধি একদিকে দেশীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটাচ্ছে, অন্যদিকে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে পর্যালোচনায় বলা হয়, বাজেটে সরকার মুদ্রাস্ফীতি . শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, দেশের মুদ্রাস্ফীতি চাহিদাভিত্তিক যার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর মুদ্রাসংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির পেছনের জোগানের অপ্রতুলতা এবং অধিক আমদানি মূল্যকে দায়ী করা যেতে পারে
চলমান জ্বালানি সংকট জনগণের ভোগান্তি বাড়ানোর পাশাপাশি শিল্প ক্ষেত্রে উৎপাদন বাণিজ্য সম্প্রসারণে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে বলে উল্লেখ করা হয় উন্নয়ন অন্বেষণের পর্যালোচনায়

Blog Archive