শেয়ারবাজারের নাজুক পরিস্থতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য 'রাজনৈতিক' বলে মনে করেন সরকারদলীয় সাংসদ আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তবে তিনি এও মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য তদন্ত কাজে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
মঙ্গলবার সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্ব (পিপিপি) বিষয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংসদের মিডিয়া কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মত দেন মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)। তিনি অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি ও শেয়ারবাজারের নাজুক পরিস্থিতির জন্য বিরোধী দলকে দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সেদিনই বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ নাকচ করে বিএনপি।
পুঁজিবাজারের অস্বাভাবিক দরপতন ও কারসাজির কারণ খতিয়ে দেখতে গত জানুয়ারিতে খন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটি ইতোমধ্যে কার্যক্রমও শুরু করেছে।
'সূচক সাড়ে তিন বা চার হাজারে নামতে হবে' লোটাস কামাল জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় শেয়ারবাজারের সূচক ছিলো ২ হাজার ৬শ পয়েন্টের মতো। হঠাৎ তা বেড়ে ১০ হাজার পয়েন্ট হয়েছে।
"কিন্তু গত দু'বছরে দেশে এমন কোনো শিল্পায়ন হয়নি যে পুঁজিবাজারের সূচক এত বেড়ে যেতে পারে। সূচক বৃদ্ধির এই বিষয়টি পুরোপুরি আর্টিফিসিয়াল," বলেন তিনি।
শেয়ারের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে- উলে¬খ করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জানান, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা মাত্র ২ বছরে ১৪-১৫ লাখ থেকে ৩৩ লাখ হয়ে গেছে। আগে বছরে যে লেনদেন হতো এখন তা দুই দিনে হচ্ছে।
"পুঁিজবাজারের সূচক সাড়ে তিন বা চার হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত না নামলে কেউ না কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ পুঁজিবাজার অন্য বাজারের মতো না। এখানে একজনের লাভই অন্যজনের লোকসান।"
সংসদীয় কমিটি চেয়েছিল যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে এবং পিই রেশিও অতিমাত্রায় বেশি সেগুলোর ক্ষেত্রে প্রাইস ব্রেকার দেওয়া হোক- এ কথা জানিয়ে লোটাস কামাল বলেন, "এটা করলে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতো না।"
"কিন্তু নিয়ম না থাকায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ওই প্রস্তাব মেনে নেয়নি।"
'শুধু ম্যানেজমেন্ট দিয়ে কিছু হবে না' সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লোটাস কামাল মঙ্গলবার বলেন, "প্রধানমন্ত্রী কোন্ পারসপেক্টিভে এ কথা বলেছেন আমি তা বলতে পারবো না। এটি প্রধানমন্ত্রীর একটি পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট। ডেফিনেটলি সি ডিড নট মিন ইট।"
"প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্য তথ্যনির্ভর হবে" উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এমন বক্তব্য তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত করবে না।"
অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি লোটাস কামাল জানান, পুঁজিবাজারের চাহিদা বেশি ও সরবরাহ কম থাকায় বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।
"চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের সমন্বয় থাকলে এমন অবস্থা হতো না। শুধু ম্যানেজমেন্ট দিয়ে কিছু হবে না।"
"পুঁজিবাজারের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা আর সাদা টাকা আরো সাদা করার সুযোগ দেওয়ায়ও বাজারের এই অস্বাভাবিক অবস্থার কারণ," বলেন তিনি।
'পিপিপি'র বেশিরভাগই বিদ্যুৎ খাতে' মঙ্গলবারের বৈঠক বিষয়ে লোটাস কামাল জানান, সরকারি-বেসরকারি অংশদারিত্বে পিপিপি'র অধীনে সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রায় ৪২২ কোটি ব্যয়ে এসব প্রকল্পের অধিকাংশই বিদ্যুৎ খাতে। প্রকল্পগুলো থেকে ১৭৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
পিপিপি'র অধীনে আগামীতে বড় বড় প্রকল্প নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, "জুন থেকে পুরোদমে পিপিপি'র কার্যক্রম শুরু হবে। এ লক্ষ্যে একটি উচ্চ ক্ষমতাসমপন্ন কমিটি করা হয়েছে।"
পিপিপি ধারণা নিয়ে ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে প্রথমবারের মতো সরকার বরাদ্দ দেয়। ওই বছর কোনো কার্যক্রম এগোয়নি পিপিপি'র। কর্মপদ্ধতি ও কর্মকৌশল নির্ধাণের পর ২০১০-১ অর্থবছরে পিপিপি'র কার্যক্রম ছোট পরিসরে শুরু হয়।
তবে তিনি এও মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য তদন্ত কাজে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
মঙ্গলবার সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্ব (পিপিপি) বিষয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংসদের মিডিয়া কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মত দেন মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)। তিনি অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি ও শেয়ারবাজারের নাজুক পরিস্থিতির জন্য বিরোধী দলকে দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সেদিনই বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ নাকচ করে বিএনপি।
পুঁজিবাজারের অস্বাভাবিক দরপতন ও কারসাজির কারণ খতিয়ে দেখতে গত জানুয়ারিতে খন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটি ইতোমধ্যে কার্যক্রমও শুরু করেছে।
'সূচক সাড়ে তিন বা চার হাজারে নামতে হবে' লোটাস কামাল জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় শেয়ারবাজারের সূচক ছিলো ২ হাজার ৬শ পয়েন্টের মতো। হঠাৎ তা বেড়ে ১০ হাজার পয়েন্ট হয়েছে।
"কিন্তু গত দু'বছরে দেশে এমন কোনো শিল্পায়ন হয়নি যে পুঁজিবাজারের সূচক এত বেড়ে যেতে পারে। সূচক বৃদ্ধির এই বিষয়টি পুরোপুরি আর্টিফিসিয়াল," বলেন তিনি।
শেয়ারের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে- উলে¬খ করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জানান, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা মাত্র ২ বছরে ১৪-১৫ লাখ থেকে ৩৩ লাখ হয়ে গেছে। আগে বছরে যে লেনদেন হতো এখন তা দুই দিনে হচ্ছে।
"পুঁিজবাজারের সূচক সাড়ে তিন বা চার হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত না নামলে কেউ না কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ পুঁজিবাজার অন্য বাজারের মতো না। এখানে একজনের লাভই অন্যজনের লোকসান।"
সংসদীয় কমিটি চেয়েছিল যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে এবং পিই রেশিও অতিমাত্রায় বেশি সেগুলোর ক্ষেত্রে প্রাইস ব্রেকার দেওয়া হোক- এ কথা জানিয়ে লোটাস কামাল বলেন, "এটা করলে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতো না।"
"কিন্তু নিয়ম না থাকায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ওই প্রস্তাব মেনে নেয়নি।"
'শুধু ম্যানেজমেন্ট দিয়ে কিছু হবে না' সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লোটাস কামাল মঙ্গলবার বলেন, "প্রধানমন্ত্রী কোন্ পারসপেক্টিভে এ কথা বলেছেন আমি তা বলতে পারবো না। এটি প্রধানমন্ত্রীর একটি পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট। ডেফিনেটলি সি ডিড নট মিন ইট।"
"প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্য তথ্যনির্ভর হবে" উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এমন বক্তব্য তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত করবে না।"
অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি লোটাস কামাল জানান, পুঁজিবাজারের চাহিদা বেশি ও সরবরাহ কম থাকায় বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।
"চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের সমন্বয় থাকলে এমন অবস্থা হতো না। শুধু ম্যানেজমেন্ট দিয়ে কিছু হবে না।"
"পুঁজিবাজারের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা আর সাদা টাকা আরো সাদা করার সুযোগ দেওয়ায়ও বাজারের এই অস্বাভাবিক অবস্থার কারণ," বলেন তিনি।
'পিপিপি'র বেশিরভাগই বিদ্যুৎ খাতে' মঙ্গলবারের বৈঠক বিষয়ে লোটাস কামাল জানান, সরকারি-বেসরকারি অংশদারিত্বে পিপিপি'র অধীনে সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রায় ৪২২ কোটি ব্যয়ে এসব প্রকল্পের অধিকাংশই বিদ্যুৎ খাতে। প্রকল্পগুলো থেকে ১৭৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
পিপিপি'র অধীনে আগামীতে বড় বড় প্রকল্প নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, "জুন থেকে পুরোদমে পিপিপি'র কার্যক্রম শুরু হবে। এ লক্ষ্যে একটি উচ্চ ক্ষমতাসমপন্ন কমিটি করা হয়েছে।"
পিপিপি ধারণা নিয়ে ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে প্রথমবারের মতো সরকার বরাদ্দ দেয়। ওই বছর কোনো কার্যক্রম এগোয়নি পিপিপি'র। কর্মপদ্ধতি ও কর্মকৌশল নির্ধাণের পর ২০১০-১ অর্থবছরে পিপিপি'র কার্যক্রম ছোট পরিসরে শুরু হয়।