শরীর সুস্থ রাখতে দৌড় দারুণ এক উপকারী ব্যায়াম। কিন্তু শুধু দৌড়ালে তো হবে না, এর জন্য কিছু নিয়ম-কানুন মানাও জরুরি। এতে করে একদিকে যেমন নিজেকে ইনজুরি থেকে মুক্ত রাখা যাবে, তেমনি তুলনামূলক বেশি উপকারও পাওয়া যাবে।
হাত : দুই হাতকে শরীরের কাছে রেখে সামনে ও পেছনে চলমান রেখে দৌড়াতে হবে। কনুইয়ের ভাঁজটা এমনভাবে করতে হবে, যেন সেখানে ৯০ ডিগ্রি কোণ উৎপন্ন হয়। হাত দুটি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে।
গোড়ালি ও পায়ের পাতা : দৌড়ানোর সময় পায়ের গোড়ালি কখনো শক্ত করে রাখা যাবে না। দৌড়ের সময় সরাসরি গোড়ালি মাটিতে রাখা যাবে না। গোড়ালি ও পায়ের মাঝখানের মাঝামাঝি অংশ মাটিতে রাখতে হবে। শুরুতে এটা করতে একটু সমস্যা হতে পারে, তবে একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে কোনো রকম অতিরিক্ত চেষ্টা ছাড়াই এটা সহজে করা যাবে। এটা সহজে করার জন্য দৌড়ের সময় একজন সহযোগী নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া দৌড়ের একটি ভিডিও করা যেতে পারে। এতে করে নিজের ভুলগুলো নিজের কাছেই ধরা পড়বে।
মাথা ও কাঁধ : দৌড়ের সময় কখনো নিচের দিকে এমনকি নিজের পায়ের দিকে নজর রাখা ঠিক নয়। বরং সামনের দিকে মনোযোগী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে দৌড়ের সময় মাথা, ঘাড় ও স্পাইনের সঠিক অবস্থান নিশ্চিত হয়।
ধীরগতি : দৌড়ের শুরুতে দ্রুতগতিতে দৌড়ানো উচিত নয়, বরং শুরুতে ধীরে ধীরে দৌড়ানো উচিত। এতে করে স্টামিনা বাড়বে। দৌড়ের গতি এমন হওয়া উচিত, যেন দৌড়ানোর সময় আপনি স্বাভাবিকভাবে কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারেন।
লম্বা দৌড় : দীর্ঘ দূরত্বের পথ সপ্তাহে এক দিন দৌড়ানো ভালো। সাধারণত দীর্ঘ দূরত্বের দৌড় ছুটির দিনে দৌড়ানো উচিত। এতে করে ওয়ার্মআপ, স্ট্রেচ ও কুল ডাউনের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়।
দ্রুতগতিতে দৌড় : শুরুতেই দ্রুতগতিতে দৌড়ানো উচিত নয়। সপ্তাহে তিন দিন দৌড়ানোয় যখন অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন, তখন দ্রুতগতিতে দৌড়ানোর পরিকল্পনা নিতে পারেন। শুরুতে অল্প দূরত্ব দ্রুতগতিতে দৌড়ানো উচিত।