(১৪৩৩) ব্যাংকের

Friday, June 03, 2011 Unknown
শেয়ারবাজার :::: শেয়ারবাজারে অনিয়ম উদ্ঘাটনে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোকবল নিয়ে তদন্তকাজ চালাবে
শেয়ার বিনিয়োগে ঋণ জোগানকারী প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট ব্যাংক শেয়ার কেনাবেচায় মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউসগুলো পরিদর্শনের ক্ষেত্রে দুই সংস্থা প্রয়োজন অনুসারে এভাবে সমন্বিতভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
মুদ্রা শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট চারটি সরকারি সংস্থার প্রধানদের মধ্যে এক বৈঠকে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এই বৈঠকের আহ্বান করেন বৈঠকে এসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন, বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ এবং যৌথ মূলধনি কোম্পানি ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের নিবন্ধকের প্রতিনিধিসহ সংস্থাগুলোর শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন
সূত্র জানায়, বৈঠকে বলা হয়, মার্চেন্ট ব্যাংক ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনগত কোনো অধিকার নেই এসইসি এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ দেখভাল করে কিন্তু এসইসিতে লোকবল অনেক কম উপরন্তু, বর্তমান লোকবল দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানে ঠিকমতো দেখভাল করা যাচ্ছে না আবার যে লোকবল এসইসিতে আছে, তা অন্য কাজের মধ্যে যুক্ত হয়ে রয়েছে ফলে এখন থেকে প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লোক নিয়ে তদন্ত করা হবে প্রয়োজনে যৌথ তদন্ত হবে
ছাড়া বৈঠকে বিমা কোম্পানির অলস পড়ে থাকা অর্থ তালিকাভুক্ত সরকারি বন্ডে বিনিয়োগের আলোচনা হয়েছে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের বিধিবিধান দেখে বিষয়টি কীভাবে করা যায়, তার সিদ্ধান্ত নেবে এটা করা গেলে দ্বিতীয় স্তরের (সেকেন্ডারি) বন্ড বাজারে গতিশীলতা আসবে বলে ধারণা করা যায়
উল্লেখ্য, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত সরকারি বন্ডের সংখ্যা ২১২টি কিন্তু এগুলো কেনাবেচা হয় না বিমা কোম্পানির অর্থ এখানে বিনিয়োগ করা হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও নিয়ে আগ্রহ তৈরি হবে
বৈঠক সূত্র আরও জানায়, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর বৈঠকে নিজেদের সমন্বয় বৃদ্ধির তাগিদ আসে বলা হয়েছে, জন্য প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার সমন্বয় সভা করা হবে প্রয়োজনে দুই মাসেও সমন্বয় সভা হতে পারে
অন্যদিকে মুদ্রা পুঁজিবাজার-সম্পর্কিত স্পর্শকাতর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে নেবে তাতে শেয়ার মুদ্রাবাজার—উভয় ক্ষেত্রেই ইতিবাচক উন্নয়ন হবে
বৈঠকে মাল্টি লেবেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানিগুলোর নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে ভালোভাবে হিসাবপত্র নিরীক্ষা করে বুঝে-শুনে নিবন্ধন দেওয়ার কথা বলা হয় বলা হয়েছে, এমএলএম কোম্পানির নিবন্ধন নিয়ে নানাভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে অনেকেই এসব কোম্পানিতে টাকা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন
যৌথ মূলধনি ফার্মসমূহের নিবন্ধকের পক্ষ থেকে বিষয়টি ভালোভাবে পরখের ব্যাপারে একমত প্রকাশ করা হয়
বৈঠক শেষে এসইসির সদস্য হেলাল উদ্দিন নিজামী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের জানান, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর জন্য এই সভা করা হয়েছে এখন থেকে প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার আর প্রয়োজন হলে দুই মাসে একবার সভা করা হবে

Blog Archive