business opportunity
সাম্প্রতিককালে যে কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, তার মধ্যে অপেক্ষাকৃত দুর্বল মৌল ভিত্তির কোম্পানি বিচ হ্যাচারি অন্যতম। এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম গত এক বছরে দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। গত বছরের শুরুতে শেয়ারটি মাত্র ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে। সেখানে একই বছরের শেষ মাসে তা বেড়ে ১২০ টাকায় পৌঁছায়।
শেয়ারবাজারের অনিয়ম তদন্তে গঠিত কমিটি প্রতিবেদনে হিসাবের অস্বচ্ছতা এবং কোম্পানি সংশ্লিষ্টদের সুবিধাভোগী লেনদেন (ইনসাইডার ট্রেডিং) দিয়েই শেয়ারের মূল্য উল্লম্ফন ঘটানো হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আবার এ পর্যায়ে যাওয়ার পর চাপ সৃষ্টি করে মূল্যধস নামানো হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছে কমিটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচ হ্যাচারি ২০০৬ সালে এক কোটি ৮৬ লাখ টাকা লোকসান করেছে। তবে ২০০৪, ২০০৫ ও ২০০৭ সালে প্রকৃত লাভ ছিল যথাক্রমে নয় লাখ ৯০ হাজার, পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ও তিন লাখ ২০ হাজার টাকা। এরপর ২০০৮ ও ২০০৯ সালে প্রকৃত মুনাফা দেখানো হয়েছে এক কোটি ৪৯ লাখ ও তিন কোটি ৭৬ লাখ টাকা, যা স্বাভাবিক নয়। ২০০৭ সালের সন্দেহজনক হিসাব বিবরণীর কারণেই পরবর্তী দুই বছরে অস্বাভাবিক মুনাফা ঘটেছে কি না এবং এ মুনাফা প্রকৃত মুনাফা কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালের নিরীক্ষিত হিসাব তৈরিতে পুঁজিবাজারের আইন লঙ্ঘন করা হয়। এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি কোম্পানিটির ছয় পরিচালককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে। পরিচালকেরা হলেন শরিফুল ইসলাম, ওয়াহিদউদ্দিন এ চৌধুরী, ফাতেমা ইসলাম, নজরুল ইসলাম, আবু মোহাম্মদ সৈয়দ ও মনিরুজ্জামান।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১০ সালের প্রথম অর্ধবছরে কোম্পানি মুনাফা দেখিয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা (পূর্ববর্তী বছরের প্রথমার্ধে যা ছিল ৯৬ লাখ টাকা)। আর শেয়ারপ্রতি আয় দেখানো হয়েছে দুই টাকা তিন পয়সা। এ বছরে এসেই কোম্পানিটি একটির বিপরীতে দুটি রাইট শেয়ার ঘোষণা করে। অবশ্য এসইসি রাইট শেয়ারে সম্মতি প্রদানে অপারগতা জানায়। এর আগের বছর কোম্পানিটি সাধারণ শেয়ারধারীদের ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়।
২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি কোম্পানি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, তারা এক কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার পৌর এলাকায় ১ দশমিক ২৭ একর জমি ক্রয় করেছে। নিবন্ধন-ব্যয়সহ যা দাঁড়িয়েছিল এক কোটি ১৬ লাখ টাকায়।
এসব তথ্যকে মূল্য প্রভাবক বলে উল্লেখ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। এ ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সুবিধাভোগী লেনদেনের ঘটনা রয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের মে থেকে জুন মাসে কোম্পানির কয়েকজন উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার কেনাবেচা করেছেন। এর মধ্যে মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম ছয় লাখ ৬৫ হাজার শেয়ার এবং মেঘনা শ্রিম্প কালচার পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার শেয়ার বিক্রি করে। আর সৈয়দ নূর আহমদ ও ফাহমিদা ইসলাম যথাক্রমে ছয় লাখ ও আট লাখ ১৬ হাজার শেয়ার কিনেছেন। অন্যদিকে নজরুল ইসলাম ও যুব কর্মসংস্থান সমিতি ১২ লাখ ৩২ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছে
The government is facing a stiff challenge to bring the suspected stock market manipulators into book because of "political" reasons, said financial experts.
It would be difficult to prosecute the suspected manipulators, they said, as most of them are linked with the mainstream political parties, including the ruling one.
Besides, historical evidence is also there against the Awami League-led government as it failed to do justice in the country’s first share market scam way back in 1996.
Finance Minister AMA Muhith, however, expressed optimism that his government is committed to carrying out further investigation, though it seems very challenging.
Initial findings by a probe body are being examined, he told daily sun on Friday. "The government is more powerful than anyone — be he or she is share market manipulators or lawbreakers."
Thousand of marginalised investors were rendered penniless due to the share market crash in the late last year which continued until the end of January 2011.
Hundreds of thousands of unemployed youths, including elderly and female small savers, were also lured into the overheated market as the general index of Dhaka Stock Exchange (DSE) reached highest at 8918.51 points on December 5, 2010, from 4568.40 on January 3, 2011.
The share market bubble finally burst shedding record 2,000 points from January 3 to January 20, forcing the marginalised stockbrokers to lose a huge amount of money.
Khandoker Ibrahim Khaled, who led the probe body and submitted the report on April 7, observed that carrying out further investigation on the basis of the initial findings was not an easy task.
"Bringing prosecution is also a pretty difficult task for an elected government," he told this correspondent on Saturday. "No doubt it is a big challenge for the government."
The report recommended further investigation into more than a dozen of companies, one of which is directly connected with AHM Mostafa Kamal, president of both the parliamentary standing committee on finance ministry and Bangladesh Cricket Board.
Unethical activities by three sister concerns of Beximco Group have been recommended for further investigation. The probe body cautioned the government to remain careful about the group’s deputy chairman Salman F Rahman.
Widely suspected as a mastermind of the 1996 share market scam, Salman was found involved in shady deals of GMG Airlines and Unique Hotels and Resorts which runs Westin Hotel.
The dubious activities of the businessman have tarnished the image of the present government, said the report.
The committee has also brought charges of unethical activities against Summit Group, a family concern of Commerce Minister Faruk Khan.
Another suspect is banker HBM Iqbal who is a former lawmaker of the ruling party.
The probe committee’s suspicious list also includes Mosaddek Ali Falu who has good relations with the main opposition.
Mirza Azizul Islam, former finance adviser to the military-backed caretaker government, said it is a moral as well as legal obligation for the government to punish the offenders.
The previous scam occurred under the previous tenure of the government during 1996, but the masterminds and manipulators still remain out of reach, he added.
During June to November 1996, the bourse’s all share price indices increased more than three folds from 959 points to 3065 points or by 220 percent.
The bubble busted in late November as the general index collapsed to its post-peak lowest level of 957 points in April 1997.
সাম্প্রতিককালে যে কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, তার মধ্যে অপেক্ষাকৃত দুর্বল মৌল ভিত্তির কোম্পানি বিচ হ্যাচারি অন্যতম। এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম গত এক বছরে দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। গত বছরের শুরুতে শেয়ারটি মাত্র ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে। সেখানে একই বছরের শেষ মাসে তা বেড়ে ১২০ টাকায় পৌঁছায়।
শেয়ারবাজারের অনিয়ম তদন্তে গঠিত কমিটি প্রতিবেদনে হিসাবের অস্বচ্ছতা এবং কোম্পানি সংশ্লিষ্টদের সুবিধাভোগী লেনদেন (ইনসাইডার ট্রেডিং) দিয়েই শেয়ারের মূল্য উল্লম্ফন ঘটানো হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আবার এ পর্যায়ে যাওয়ার পর চাপ সৃষ্টি করে মূল্যধস নামানো হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছে কমিটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচ হ্যাচারি ২০০৬ সালে এক কোটি ৮৬ লাখ টাকা লোকসান করেছে। তবে ২০০৪, ২০০৫ ও ২০০৭ সালে প্রকৃত লাভ ছিল যথাক্রমে নয় লাখ ৯০ হাজার, পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ও তিন লাখ ২০ হাজার টাকা। এরপর ২০০৮ ও ২০০৯ সালে প্রকৃত মুনাফা দেখানো হয়েছে এক কোটি ৪৯ লাখ ও তিন কোটি ৭৬ লাখ টাকা, যা স্বাভাবিক নয়। ২০০৭ সালের সন্দেহজনক হিসাব বিবরণীর কারণেই পরবর্তী দুই বছরে অস্বাভাবিক মুনাফা ঘটেছে কি না এবং এ মুনাফা প্রকৃত মুনাফা কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালের নিরীক্ষিত হিসাব তৈরিতে পুঁজিবাজারের আইন লঙ্ঘন করা হয়। এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি কোম্পানিটির ছয় পরিচালককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে। পরিচালকেরা হলেন শরিফুল ইসলাম, ওয়াহিদউদ্দিন এ চৌধুরী, ফাতেমা ইসলাম, নজরুল ইসলাম, আবু মোহাম্মদ সৈয়দ ও মনিরুজ্জামান।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১০ সালের প্রথম অর্ধবছরে কোম্পানি মুনাফা দেখিয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা (পূর্ববর্তী বছরের প্রথমার্ধে যা ছিল ৯৬ লাখ টাকা)। আর শেয়ারপ্রতি আয় দেখানো হয়েছে দুই টাকা তিন পয়সা। এ বছরে এসেই কোম্পানিটি একটির বিপরীতে দুটি রাইট শেয়ার ঘোষণা করে। অবশ্য এসইসি রাইট শেয়ারে সম্মতি প্রদানে অপারগতা জানায়। এর আগের বছর কোম্পানিটি সাধারণ শেয়ারধারীদের ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়।
২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি কোম্পানি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, তারা এক কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার পৌর এলাকায় ১ দশমিক ২৭ একর জমি ক্রয় করেছে। নিবন্ধন-ব্যয়সহ যা দাঁড়িয়েছিল এক কোটি ১৬ লাখ টাকায়।
এসব তথ্যকে মূল্য প্রভাবক বলে উল্লেখ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। এ ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সুবিধাভোগী লেনদেনের ঘটনা রয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের মে থেকে জুন মাসে কোম্পানির কয়েকজন উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার কেনাবেচা করেছেন। এর মধ্যে মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম ছয় লাখ ৬৫ হাজার শেয়ার এবং মেঘনা শ্রিম্প কালচার পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার শেয়ার বিক্রি করে। আর সৈয়দ নূর আহমদ ও ফাহমিদা ইসলাম যথাক্রমে ছয় লাখ ও আট লাখ ১৬ হাজার শেয়ার কিনেছেন। অন্যদিকে নজরুল ইসলাম ও যুব কর্মসংস্থান সমিতি ১২ লাখ ৩২ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছে
The government is facing a stiff challenge to bring the suspected stock market manipulators into book because of "political" reasons, said financial experts.
It would be difficult to prosecute the suspected manipulators, they said, as most of them are linked with the mainstream political parties, including the ruling one.
Besides, historical evidence is also there against the Awami League-led government as it failed to do justice in the country’s first share market scam way back in 1996.
Finance Minister AMA Muhith, however, expressed optimism that his government is committed to carrying out further investigation, though it seems very challenging.
Initial findings by a probe body are being examined, he told daily sun on Friday. "The government is more powerful than anyone — be he or she is share market manipulators or lawbreakers."
Thousand of marginalised investors were rendered penniless due to the share market crash in the late last year which continued until the end of January 2011.
Hundreds of thousands of unemployed youths, including elderly and female small savers, were also lured into the overheated market as the general index of Dhaka Stock Exchange (DSE) reached highest at 8918.51 points on December 5, 2010, from 4568.40 on January 3, 2011.
The share market bubble finally burst shedding record 2,000 points from January 3 to January 20, forcing the marginalised stockbrokers to lose a huge amount of money.
Khandoker Ibrahim Khaled, who led the probe body and submitted the report on April 7, observed that carrying out further investigation on the basis of the initial findings was not an easy task.
"Bringing prosecution is also a pretty difficult task for an elected government," he told this correspondent on Saturday. "No doubt it is a big challenge for the government."
The report recommended further investigation into more than a dozen of companies, one of which is directly connected with AHM Mostafa Kamal, president of both the parliamentary standing committee on finance ministry and Bangladesh Cricket Board.
Unethical activities by three sister concerns of Beximco Group have been recommended for further investigation. The probe body cautioned the government to remain careful about the group’s deputy chairman Salman F Rahman.
Widely suspected as a mastermind of the 1996 share market scam, Salman was found involved in shady deals of GMG Airlines and Unique Hotels and Resorts which runs Westin Hotel.
The dubious activities of the businessman have tarnished the image of the present government, said the report.
The committee has also brought charges of unethical activities against Summit Group, a family concern of Commerce Minister Faruk Khan.
Another suspect is banker HBM Iqbal who is a former lawmaker of the ruling party.
The probe committee’s suspicious list also includes Mosaddek Ali Falu who has good relations with the main opposition.
Mirza Azizul Islam, former finance adviser to the military-backed caretaker government, said it is a moral as well as legal obligation for the government to punish the offenders.
The previous scam occurred under the previous tenure of the government during 1996, but the masterminds and manipulators still remain out of reach, he added.
During June to November 1996, the bourse’s all share price indices increased more than three folds from 959 points to 3065 points or by 220 percent.
The bubble busted in late November as the general index collapsed to its post-peak lowest level of 957 points in April 1997.