আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো

Friday, January 21, 2011 Unknown
পৃথক সাবসিডিয়ারি কম্পানি গঠনের মাধ্যমে মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে দ্বৈত কর দিতে হচ্ছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই দ্বৈত কর দেওয়া থেকে অব্যাহতি চেয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক আয়ের ওপর কর আরোপের দাবি জানায় গতকাল রাজধানীর বিজয়নগরে একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান লঙ্কাবাংলা ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজউদ্দিন সরকার কথা বলেন সময় বিএলএফসিএর ভাইস চেয়ারম্যান আসাদ খান উপস্থিত ছিলেন
মফিজউদ্দিন সরকার বলেন, বর্তমানে প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানই ৪২ দশমিক শতাংশ হারে আয়কর দিচ্ছে অপরদিকে তাদের সাবসিডিয়ারি কম্পানির আয়ের ওপরও ২০ শতাংশ আয়কর দিতে হয় গড় হিসাবে দেখা যায়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের আয়ের ওপর ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশের পরিবর্তে ৫০ শতাংশ আয়কর দিতে হয় অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে কোনো প্রতিষ্ঠানের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান থাকলে ওই সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের আয়ের জন্য পৃথকভাবে কোনো আয়কর দিতে হয় না শুধু মূল কম্পানির সম্মিলিত আয়ের ওপরই কর ধার্য করা হয়
ছাড়া অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে আরো চারটি দাবি উপস্থাপন করেন মফিজউদ্দিন এগুলো হচ্ছে সাবসিডিয়ারি কম্পানিকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠান অ্যাক্ট ১৯৯৩- আরোপিত সীমার শিথিলতা, পরিশোধিত মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি শেয়ারে বিনিয়োগ করা যাবে না_ আইনের শিথিলতা, ছয় মাসের পরিবর্তে তিন মাস মেয়াদি আমানত সংগ্রহের সুবিধা প্রদান এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবসিডিয়ারি কম্পানিগুলোর এঙ্পোজার লিমিট তুলে দেওয়া
বিএলএফসিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, 'নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও তিনটি আর্থিক সরকারের সিকিউরিটিজ ক্রয়ের লাইসেন্স তথা প্রাইমারি ডিলার লাইসেন্স নিয়েছি কিন্তু সেকেন্ডারি মার্কেট বিকশিত না হওয়ার দোহাই দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অকশনে এখনো নন পিডিদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয় এতে সেকেন্ডারি মার্কেটের বিকাশ আরো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে' তিনি অকশনে শুধু পিডিদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান

Blog Archive