ভারতের সাথে বিলিয়ন ডলার ঋণচুক্তির আওতায় আরো ৪টি নতুন বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি, ১৬০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ এবং ১০টি নতুন সাবস্টেশন স্থাপন করা হবে। এর জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ১শ ৬৩ কোটি টাকা। এসব প্রকল্পে ভারতীয় ঋণ ব্যবহৃত হবে ১ হাজার ৩শ ৩৫ কোটি টাকা।
নতুন সঞ্চালন লাইন নির্মাণ এবং ৮টি নতুন সাবস্টেশন স্থাপনের প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন করবে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। ১৩২/৩৩ কেভি ক্ষমতা নতুন সাবস্টেশনগুলো স্থাপন করা হবে- চট্টগ্রাম, ভালুকা, বরিশাল, চৌদ্দগ্রাম, সিলেট, শেরপুর ও রামগঞ্জে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে ভারতীয় ঋণ সহায়তা হিসেবে ৩শ ৮২ কোটি ৬১ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাকি ২শ ২২ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে জোগান দেয়া হবে।
রাউজান-শিকলবাহা-আনোয়ারা এবং হাটহাজারী-খুলশী বিতরণ অঞ্চলের শিকলবাহা ও খুলশীতে ২৩০/১৩২ কেভির ২টি সাবস্টেশন স্থাপন করা হবে। একই সঙ্গে ৬০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনও নির্মাণ করা হবে। এজন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫শ ৯৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এরমধ্যে ভারতীয় ঋণের আওতায় ৩শ ৬৬ কোটি টাকা এবং সরকারি ব্যয় ধরা হয়েছে ২শ ২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
পিজিসিবির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আলম শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান, ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে দেশের অনেক স্থানে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এসব কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য সাবস্টেশন স্থাপন ও সঞ্চালন লাইনের প্রয়োজন। যতোগুলো কেন্দ্র থাকবে তার চেয়ে অনেক বেশি সঞ্চালন লাইন থাকতে হয়। এ জন্যই এ ২টি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও বরিশালে ৮টি সাবস্টেশন স্থাপন করা হবে। সেই সঙ্গে ১৬২ কিলোমিটার নতুন সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে।
তিনি জানান, এসব প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, বাঘাবাড়ি ও শাহজীবাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১২০ মেগাওয়াট বাড়াতে অপর ২টি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ ২টি কেন্দ্রের ৩টি ইউনিটে কম্বাইন্ড সাইকেল ব্যবস্থা সংযোজন করে ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাঘাবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যমান ১০০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিটের ক্ষমতা বাড়িয়ে ১৫০ মেগাওয়াট ও ৭১ মেগাওয়াট ক্ষমতার অপর ইউনিটের ক্ষমতা বাড়িয়ে ১০৬ মেগাওয়াট-এ উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬২ কোটি ৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ঋণের ৩শ ৯৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আর সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ২শ ৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
অন্যদিকে, শাহজীবাজারের ৩৫ মেগাওয়াটের ২টি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা আরো ৩৫ মেগাওয়াট বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩শ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ঋণের প্রস্তাব করা হয়েছে ১শ ৮০ কোটি টাকা। বাকি ১শ ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে।
source
Blog Archive
- ► 2011 (2088)
-
▼
2010
(263)
-
▼
December
(243)
-
▼
Dec 15
(19)
- POWER সেক্টরের খবরটি জেনে রাখতে পারেন
- ভারতের সাথে বিলিয়ন ডলার ঋণচুক্তির আওতায় আরো ৪টি নত...
- অবশেষে SEC হতে মনসুরকে সরিয়ে দেয়া হল
- মনসুরকে সরিয়ে দেয়া হল
- UCBL holder-রা পড়ুন
- UCBL A+
- APEXADELFT
- ৫% ক্যশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- HAKKANIPUL-৫% ক্যশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ১০ ভাগ শেয়ার নতুন
- HAKKANIPUL-এর একটি খবর
- রুপালি BANK ২৮,৫৭,৩৮০ টির পরিবর্তে ৩০,৬৮৭৫০
- HAKKANIPUL to buy a new paper making machinery to ...
- 30,68,750 instead of 28,57,380 (RUPALI BANK)
- কিছু বলতে চাইলে এখানে ক্লিক করে লিখুন
- NBL-এর একটি খবর
- আপনি কি এই সাইটের খবরগুলো বাংলায় চান? উত্তর হ্যা হ...
- প্রথম পাতা var ref= escape(document.referrer); ...
- National Bank Ltd. (NBL)
-
▼
Dec 15
(19)
-
▼
December
(243)