(১৮৩২) অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের পদত্যাগসহ ছয়

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে মানববন্ধন করেছেন বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ডিএসইর সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। আজ রোববার বেলা আড়াই দিকে ওই মানববন্ধন শুরু হয়ে বেলা পৌনে চারটার দিকে শেষ হয়।
বিনিয়োগকারীদের অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে, বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি কেন্দ্রিক বড় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে বাধ্য করা, বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া, পুঁজিবাজারের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন বন্ধ করা, বিনিয়োগকারীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা প্রভৃতি।

(১৮৩১) মিউচ্যুয়াল ফান্ডে পাবলিক ইস্যু

মিউচ্যুয়াল ফান্ড নীতিমালার জন্য যে খসড়া তৈরি করা হয়েছিল তা হলো: প্লেসমেন্টের লকইন ৬  মাস, ব্যক্তি বিনিয়োগকারীর নিদিষ্ট প্লেসমেন্ট ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং অ্যাসেট ম্যানেজার প্রতিষ্ঠানগুলোর আইপিও কোটা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে পাবলিক ইস্যু ৫০ শতাংশের পরিবর্তে ২৫ শতাংশ করা যাবে, ওপেন ইন মিউচ্যুয়াল ফান্ড ২০ কোটির পরিবের্ত ১০ কোটি, অ্যাসেট ম্যানজোর কোম্পনিগুলো স্পন্সর হিসেবে কাজ করতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অ্যাসেট ম্যানজার প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নামের সঙ্গে ফান্ডের নামকরণ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এসইসি অ্যাসেট ম্যানেজার প্রতিষ্ঠানগুলোকে রেটিং করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সংশোধিত নীতিমালা আলোকে, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্লেসমেন্টের লকইন আগের একবছরের চেয়ে কমিয়ে এনে ৬ মাস করা হবে। ইতিপূর্বে কোনো ব্যক্তি প্লেসমেন্ট ২৫ লাখ টাকার বেশি ক্রয় করতে পারত না। সংশোধনী অনুযায়ী যে কোনো পরিমাণ প্লেসমেন্ট ক্রয় করতে পারবে।

(১৮৩০) জনমত জরিপের লক্ষ্যে

জনমত জরিপের লক্ষ্যে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির নীতিমালার জন্য যে খসড়া তৈরি করা হয়েছিল তা হলো: নির্দেশক মূল্য ইপিএসের ১৫ গুণ এবং এনএভির ৩ গুণের বেশি না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর বিডারদের প্লেসমেন্ট শেয়ারের লকইন ৪ মাস, ৬টি প্রতিষ্ঠান ইনডিকেটিভ প্রাইস নির্ধারণে অংশগ্রহণ এবং কমিশন আর্থিক প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে রি অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তিনি জানান।

এছাড়া ইনডেকেটিভ প্রাইস নির্ধারণে নন ব্যাকিং, ইন্স্যুরেন্স, স্টক ডিলার, মার্চেন্ট ভ্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজার এবং কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলো বিডার হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

আর প্রত্যেক ক্যাটাগরির ৩টি করে প্রতিষ্ঠানের ২০ টি ইলজিবল প্রতিষ্ঠানের ইনডেকেটিভ প্রাইস এসইসিতে দাখিল করতে হবে বলে কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়।

(১৮২৯) এসইসি’র এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসইসি’র এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চলতি মাসের মধ্যেই বুক বিল্ডিং পদ্ধতি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের নীতিমালা চুড়ান্ত করা হবে। এসইসি পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এ দুটি নীতিমালা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৎপর রয়েছে।

নীতিমালা দুটি দ্রুত বাস্তবায়িত হলে বাজারে নতুন নতুন শেয়ারের আগমন ঘটবে।

(১৮২৮) মিউচুয়্যাল ফান্ডের

চলতি মাসেই বুক বিল্ডিং পদ্ধতি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের নীতিমালা চুড়ান্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যেএ দুইটি নীতিমালার সংশোধিত উপর জনমত জরিপ সম্পন্ন করেছেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।

এর আগে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল স্টক হোল্ডরদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন এসইসি।

রোববার এ ২টি নীতিমালা চুড়ান্ত করার লক্ষ্যে জনমত জরিপের সময়সীমা সম্পন্ন হয়েছে। ফলে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের নীতিমালা চুড়ান্ত করতে আর কোনো বাধাঁ নেই বলে এসইসি সূত্রে জানা গেছে।

(১৮২৭) অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ

অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করার আহ্বান জানিয়ে ডিএসই সভাপতি বলেন, ‘গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাজারে শেয়ারের দর ব্যাপক হারে কমে গিয়েছিল। সে সময় সব পক্ষ থেকেই বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাজেটে শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়।’

সরকারের সেই সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য মানসিক শক্তি যুগিয়েছে। এতে জুলাই মাসে বাজার উর্দ্ধমুখী হয়। কিন্তু এর পরই বিষযটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। বাজেটে যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল তা বহাল আছে কিনাÑ সে বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এই বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারকে অনুরোধ করা হবে।’

শাকিল রিজভী জানান,  বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য গত দু’ বছরে অনেকগুলো মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠন করা হয়েছে। কিন্তু ফান্ডগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে কিনাÑ এসইসিকে তা নিরীক্ষা করার অনুরোধ করা হবে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ না করে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখা হচ্ছে কিনাÑ তা খতিয়ে দেখতে হবে। এছাড়া ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে শেয়ারবাজারে অর্থায়নের জন্য নিজস্ব অর্থায়নের সুযোগ করে দেওয়া যায় কিনাÑ সে বিষয়েও ডিএসইর পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হবে।

ডিএসইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটো বলেন, ‘উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়াও কিভাবে বাজারের সার্বিক পরিবেশ ভালো করা যায় তা নিয়ে আমরা এসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবো। সর্বপরি বিসয়টি নিয়ে আলোচনা হবে সরকারের সঙ্গে। আশা করি এতে আমরা সফল হবো এবং বাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশিলতা ফিরে আসবে। 

(১৮২৬) বাজারে এর প্রভাব অনেক বেশি পড়েছে

উল্লেখ্য, এর  আগে উৎসে কর হার ০.০৫ থাকলেও এবার তা ০.১০ শতাংশ করা হয়েছে। বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব অনেক বেশি পড়েছে। সরকার যাতে বর্ধিত কর হার প্রত্যাহার করেÑ সে বিষয়ে সুপারিশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

শাকিল রিজভী বলেন, ‘কর কমানো হলেও রাজস্ব আয়ে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না। কারণ লেনদেন বাড়লে সেখান থেকে যে রাজস্ব আসবে তা বর্ধিত করের তুলনায় বেশি হবে।’

প্রস্তাবিত নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইনে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমা সম্পর্কে ডিএসই সভাপতি বলেন,  ‘নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইন নিয়ে অনেকে শঙ্কিত। এতে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা যেভাবে প্রস্তাব করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হলে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।’

বাণিজ্যিক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের জন্য একক গ্রাহক ঋণসীমা (সিঙ্গেল পার্টি এক্সপোজার) সমন্বয়ের সময় বৃদ্ধির সুপারিশ করা হবে জানিয়ে শাকিল রিজভী বলেন, ‘এরই মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান ঋণের পরিমান কমিয়ে এনছে। তা সত্ত্বেও অতিরিক্ত ঋণ সমন্বয়ের জন্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে (সাবসিডিয়ারি কোম্পানি) অনেক কম সময় দেওয়া হয়েছে। বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

(১৮২৫) শাকিল রিজভী বলেন,

শাকিল রিজভী বলেন, ‘ক্রমাগতভাবে দর পতন ঠেকাতে ডিএসই ও এসইসি মিলে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই আলোকে ডিএসই পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ অবস্থানে থাকা ৩০টি ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়।

পূর্ব নির্ধারিত এই বৈঠকে  শেয়ারবাজারে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর করণীয় কি তা নিয়ে নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার মাধ্যমে পুঁজিবাজার ঠিক করতে ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সাতদফা প্রস্তাবনা বেরিয়ে আসে।

চিহ্নিত সাতদফা প্রস্তাব সম্পর্কে শাকিল রিজভী বলেন, ‘বাজারে বর্তমানে তারল্য সঙ্কট রয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের কাক্সিক্ষত হারে মার্জিন ঋণ দিতে পারছে না।’

তিনি বলেন, ‘মুদ্রাবাজারে ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় মার্জিন ঋণের জন্য তহবিল সংগ্রহে সমস্যা হচ্ছে। এটি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

অপর দিকে ব্রোকারেজ কমিশনের পর উৎসে কর হার দ্বিগুণ করে দেওয়ায় ব্যবসায়িক ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। যা শেয়ার বাজার ভালো থাকার অন্তরায়

(১৮২৪) বৈঠক শেষে বৈঠকের আশ্বাস

বাজারে আস্থা ফেরানো, দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা আনা ও তারল্য সংকট মোকাবেলায় এসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।  পাশাপাশি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে বেশ কিছু সুপারিশও করবে সংস্থাটি।

রোববার লেনদেনের শীর্ষে থাকা ত্রিশ ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে এ কথা বলেন ডিএসই সভাপতি শাকিল রিজভী।

এ সময় ডিএসইর সহ-সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটো, পরিচালক সালমান এফ রহমান, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহুরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে পুঁজিবাজারকে স্বাভাবিক ও দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল করার লক্ষে শীর্ষ ৩০ ব্রোকারেজ হাউজ ডিএসইর কাছে বেশ কয়েকটি সুপারিশও করেছে।

(১৮২৩) টেলিকম সেক্টরের

স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের অন্যতম মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড। ২০১১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি ৭৬২ কোটি ৮০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এটা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি।

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবির গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে ১২ লাখ। গ্রাহক বৃদ্ধির সংখ্যা প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে শতকরা ৯ ভাগ বেশি।

এছাড়া দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৩৯২ কোটি ৫০ লাখ টাকার রাজস্ব জমা দিয়েছে। এটি প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে ৩৭ শতাংশ বেশি।

রোববার দুপুরে গুলশানে রবির কর্পোরেট হেড অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন তুলে ধরে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মাহতাবউদ্দিন আহমেদ।

সংবাদ স¤েলনে রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাইকেল ক্যুনার, প্রধান মার্কেটিং অফিসার বিদ্যুৎ কুমার বসু, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন বাবরসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মাইকেল ক্যুনার বলেন, নেটওয়ার্কের ক্রমাগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় গুণগত ভয়েস ও ডাটা সেবা প্রদান করাই রবির প্রবৃদ্ধি অর্জনের অন্যতম কারণ।

তিনি বলেন, আমরা ভলো ডাটা সেবা প্রদান করছি। ডাটা ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও নেটওয়ার্কে ডাটা সেবার সক্ষমতা আরও বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

(১৮২২) বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে রোববার আবার বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল ফটকের সামনে দুপুর আড়াইটায় বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম।

এ সময় বিনিয়োগকারীরা সরকারের প্রতি বাজার স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘পুঁজিবাজার বাঁচান তাহলে দেশের অর্থনীতি বাঁচবে।’

এছাড়া সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পুঁজিবাজার স্বাভাবিক করার লক্ষে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন।

dse-news-today -তে সরাসরি নিউজ পোস্ট লিখতে আগ্রহি ? তাহলে এখানে ক্লিক করে আপনার ই-মেইল এড্রেস পাঠান...Gmail.com এর ই-মেইল হতে হবে

শেয়ারবাজার   ::::  

(১৮২১) মার্কেট সিচুয়েশন

গত কয়েক কার্যদিবসের মতো সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববারও দিনের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের ওঠানামায় লেনদেন চলছে। গত তিন কার্যদিবসেও ঠিক একইরকমভাবে লেনদেন শুরু হয়।

লেনদেনের প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইর সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮ পয়েন্টের মতো বাড়ে। তবে ১১ টা ৫ থেকে ৩৫ মিনিট পর্যন্ত সূচক টানা কমেছে। পরবর্তীতে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়।

প্রথম পৌনে একঘণ্টা শেষে ডিএসইর সূচক বেড়েছে ৭ ও সিএসইর ১৫ পয়েন্ট।

ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন হয় ২০০টি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে ১১৪টির দাম বেড়েছে ৭০টির কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে বাকি ১৬টি প্রতিষ্ঠানের দাম।

একই সঙ্গে ডিএসইর সাধারণ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৮৪ পয়েন্টে।

এ সময়ে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

অন্যদিকে, বেলা ১১ টা ৪৮ মিনিটে সিএসইতে ৯৮টি প্রতিষ্ঠানের  লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৪৮টির দাম বেড়েছে, ৪১টির কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টি প্রতিষ্ঠানের দাম।

পাশাপাশি সিএসইর সাধারণ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ২৪ পয়েন্টে।

মোট লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

(১৮২০) ধরা

শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষক আটক

(১৮১৯) শেয়ার বিক্রি করছেন না।

যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ  বলেন, ‘বাজার ধারাবাহিক নিম্নমুখী থাকায় বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ অনেক কমে গেছে। দাম কমে যাওয়ায় বেশির ভাগ সাধারণ বিনিয়োগকারী লোকসানে শেয়ার বিক্রি করছেন না। এ ছাড়া বর্তমানে কেনাবেচার খরচ আগের চেয়ে কিছুটা বেড়ে গেছে। এতে ঘন ঘন শেয়ার কেনাবেচায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আগের মতো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এসব কারণে লেনদেন কমে গেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও বাজারে সক্রিয় নয়। বর্তমান বাজার দাঁড়িয়ে আছে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের ওপর।’
সিএসইর সভাপতি বলেন, ‘নানা কারণে এখন শিল্পোদ্যোক্তারা পুঁজিবাজারের পরিবর্তে আবারও ব্যাংক ঋণনির্ভর হয়ে পড়ছেন, যা শিল্পায়নের ক্ষেত্রে টেকসই পদ্ধতি নয়।’
পুঁজিবাজার উন্নয়নের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সিএসইর সভাপতি বলেন, ‘শেয়ারবাজারসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে দেখা যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) পাশ কাটিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিজেদের মতো কিছু তদন্তকাজ করছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বাজারে। অথচ দুদক তার কাজগুলো যদি এসইসির মাধ্যমে করত, তাহলে সেটি অনেক ভালো হতো।’
শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন সিএসই সভাপতি।

(১৮১৮) ঈদের প্রভাব

ঈদের পরপর অনেকেই বাড়ি থেকে রাজধানীতে ফিরতে দেরি করায় এত কম উপস্থিতির কারণ বলে ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান। আর যাঁরা বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরেছেন, কিন্তু বাজারের হাল দেখে ব্রোকারেজ হাউসমুখী হওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন বলে কারও কারও ধারণা।
ঈদের আগে যাঁরা বাজার থেকে টাকা তুলে নিয়েছিলেন, তাঁরা ঈদ-পরবর্তী বাজারে এখনো পুরোপুরি সক্রিয় হননি বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিমত।

(১৮১৭) বাজারের লেনদেন কমে যাওয়াকে

বাজারের লেনদেন কমে যাওয়াকে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা বলছেন, বাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অধিকাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারী লেনদেনে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই হাতে শেয়ার ধরে রেখে বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাজারে একেবারে নেই বললেই চলে।
এ কারণে বাজারে লেনদেন কমে গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এদিকে গত সপ্তাহে রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস ঘুরে দেখা গেছে, বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতিও খুব কম।

(১৮১৬) এর শেষ কোথায় ?

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে। ঈদ-পরবর্তী প্রথম সপ্তাহে ঢাকার বাজারের প্রতি দিনের গড় লেনদেন নেমে এসেছে প্রায় ৩১৯ কোটি টাকায়। অথচ ঈদের ছুটির আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল প্রায় ৪২০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে প্রায় ২৪ শতাংশ বা ১০১ কোটি টাকা।

(১৮১৫) কড়ি টু টাকা

বাংলাদেশের বিভিন্ন ধাতব ও কাগুজে মুদ্রা নিয়ে গবেষণাগ্রন্থ কড়ি টু টাকা প্রকাশিত হয়েছে। ট্রিউন-মনিটর পাবলিকেশনের প্রকাশিত বইটির রচয়িতা সিদ্দিক মাহমুদুর রহমান ও তাঁর পাঁচ সহযোগী।
গতকাল শনিবার বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।
রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত এ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট আইনজীবী রফিক-উল হক ও বইটির প্রকাশক কাজী ওয়াহিদুল আলম।
বইটিতে প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুদ্রার ক্রমবিকাশ ও ১৯৪৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রকাশিত সব মুদ্রার ছবি আছে। বইটিতে প্রাচীন ও মধ্যযুগ, বিশেষ করে গুপ্তযুগ, সুলতানি আমল, মোগল আমল, পাকিস্তান আমল ও বাংলাদেশের গত ৪০ বছরের মুদ্রা প্রকাশের বিস্তারিত ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে।
এ ছাড়া বইটিতে নোটের নিরাপত্তাব্যবস্থার বিস্তারিত বিশ্লেষণ, মুদ্রা সংগ্রহের অজানা তথ্য ও সংগ্রহের বিশেষায়নের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

(১৮১৪) শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৮ কোম্পানি

প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের আর কোনো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসছে না। গত বছর জুনের মধ্যে শেয়ারবাজারে সরকারি ২৬টি কোম্পানির আসার কথা ছিল। এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নয়টি কোম্পানির তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা ছিল। প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের তালিকাভুক্তির বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বণিক বার্তার সঙ্গে আলাপকালে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এসব কথা বলেন।
জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআইসি) ১৩টি কোম্পানির মধ্যে লাভজনক ৭টি কোম্পানির শেয়ার ছাড়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ ও চিটাগাং ড্রাইডক লিমিটেডও রয়েছে শেয়ারবাজারে আসার তালিকায়।
আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেই মূলত বাকি আটটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হচ্ছে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কর্মকর্তা ও শ্রমিক সংগঠনগুলো কোনো সহযোগিতা করবে না বলে মন্ত্রীকে সাফ জানিয়ে দেয়। ফলে শিল্পমন্ত্রীও তাদের কাছে নতি স্বীকার করেন। অথচ খোদ অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, যদি ঘোষিত কোম্পানি নির্দিষ্ট সময়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত না হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে হবে। এর পরও এসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হচ্ছে না বলে শিল্পমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন।

(১৮১৩) এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের শেয়ারের দর ও লেনদেন কমেছে। তবে লেনদেন কমলেও কোম্পানিটি সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসে। এর আগে জুলাই মাসে এই কোম্পানির শেয়ারের দর টানা বেড়েছে। এ কারণে বর্তমানে এই শেয়ারের দর সংশোধন হচ্ছে।
ডিএসইতে গত সপ্তাহজুড়ে এই শেয়ারের দর কমেছে ৯ দশমিক ১২ শতাংশ। লেনদেনও কমেছে একই হারে। মোট ৩৯ কোটি ৯১ লাখ ৭১ হাজার টাকার শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এদিকে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার এই শেয়ারের দর কমেছে শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ বা ১ টাকা ৩০ পয়সা। দিনভর এর দর ১৭৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১৭৭ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে। সর্বশেষ ১৭৩ টাকা ৮০ পয়সায় এই শেয়ার লেনদেন হয়। দিনশেষে এই শেয়ারের দর হয় ১৭৪ টাকা ৩০ পয়সা। যা এর আগের দিন ছিল ১৭৫ টাকা ১০ পয়সা। এদিন ২ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ শেয়ার ১ হাজার ৮ বার লেনদেন হয়। যার বাজার দর ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

(১৮১২) অলিম্পিক ইণ্ডস্ট্রিজ লিমিটেড

বিসু্কটের উত্পাদন বাড়াতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি অলিম্পিক ইণ্ডস্ট্রিজ লিমিটেড তাদের নিজস্ব জমিতে নতুন কারখানা স্থাপন করবে। গতকাল ডিএসই সূত্রে এই খবর জানা গেছে। এদিকে গতকাল ডিএসইতে এই কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে ১ টাকা ২৫ পয়সা।
কোম্পানিটি জানায়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত তাদের নিজস্ব জমিতে এই নতুন বিস্কুট তৈরির কারখানা স্থাপন করা হবে। ২৮ হাজার স্কয়ার ফিটের এই কারখানার প্রতিটি ফ্লোরের নির্মাণ কাজ চলছে। ২০১২ সালের জুলাই মাস থেকে কোম্পানিটি এই কারখানায় বিস্কুট তৈরি করতে পারবে বলে আশা করেন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, এই কারখানায় প্রতি মাসে ১ হাজার ৮০০ টন বিস্কুট তৈরি করা সম্ভব হবে। কারখানায় ব্যবহারের জন্য সব যন্ত্রাংশ ইতালি ও ভারত থেকে আমদানি করা হবে। এ ক্ষেত্রে ২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

(১৮১১) গ্রামীণ মিউচুয়াল ফান্ডের দুটি স্কিমের বোনাস

গ্রামীণ মিউচুয়াল ফান্ডের দুটি স্কিমের বোনাস ইস্যুর প্রস্তাব এবং ফান্ড দুটির লেনদেন চালুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। চলতি সপ্তাহে কমিশন সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এসইসি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত ট্রাস্টি কমিটির সভায় গ্রামীণ-১ মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য ৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ও ২৫ শতাংশ নগদ এবং গ্রামীণ-২ মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস ও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বোনাস ঘোষণার আগে এসইসির পূর্বানুমোদন নেয়া হয়নি বলে ২৫ আগস্ট থেকে শেয়ারবাজারে এ দুটি ফান্ডের লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে মিউচুয়াল ফান্ড আইনে বোনাস ঘোষণার ক্ষেত্রে এসইসির কোনো পূর্বানুমোদন নেয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। শুধু বোনাস ঘোষণার সিদ্ধান্ত কমিশনের অনুমোদনসাপেক্ষে কার্যকর হবে বলে আইনে উল্লেখ করা রয়েছে।

(১৮১০) স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ার

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন বেড়েছে। কোম্পানিটি সম্প্রতি বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে প্রদান করায় এর লেনদেন বেড়েছে। গত ১৬ আগস্ট রেকর্ড ডেটের পর দর সমন্বয়ের পর থেকে এই শেয়ারের দর কমতে থাকে। গত সপ্তাহের শুরুতে এই শেয়ারের দর কিছুটা কমলেও লেনদেন বেড়েছে।
শেয়ারবাজারে মন্দাভাব সত্ত্বেও গত সপ্তাহে এই শেয়ারের দর আগের সপ্তাহের চেয়ে শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে। মোট ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৯৯টি শেয়ার লেনদেন হয়, যার বাজারদর ৫১ কোটি ২৯ লাখ ৮ হাজার টাকা। এটি ছিল ডিএসইর গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ২২ শতাংশ। এদিকে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার এই কোম্পানির মোট ২০ হাজার ৯৭০টি শেয়ার ২ হাজার ৪৭৪ বারে লেনদেন হয়, যার বাজারদর ৫ কোটি ৬৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে বেশির ভাগ কার্যদিবস এই শেয়ারের দর কমেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার এই শেয়ারের দর কমছে শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ বা ৩ টাকা ৭৫ পয়সা। দিনভর এর দর ২ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৭২৯ টাকায় ওঠানামা করে। সর্বশেষ ২ হাজার ৭০৯ টাকায় এই শেয়ার লেনদেন হয়। দিনশেষে এই শেয়ারের দর হয় ২ হাজার ৭০৫ টাকা, যা এর আগের দিন ছিল ২ হাজার ৭১২ টাকা ৭৫ পয়সা।

(১৮০৯) অগ্নি সিস্টেমস, বিডিকম, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স, ইনটেক অনলাইন ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর ধারাবাহিকভাবে কমছে। ঈদের আগে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) সব শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। যেহেতু তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সব কোম্পানির শেয়ারের দর ১০ টাকা ও সার্বিকভাবে কোম্পানিগুলোর মৌলভিত্তি ততটা ভালো অবস্থানে নেই, তাই এসব শেয়ারের দর কমছে।
বর্তমানে ডিএসইতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পাঁচটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এগুলো হচ্ছে— অগ্নি সিস্টেমস, বিডিকম, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স, ইনটেক অনলাইন ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড। এর মধ্যে ইনফরমেশন সার্ভিসেসের দর ৫ কার্যদিবসই কমেছে।

(১৮০৯) প্রাইম ব্যাংক

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক সদস্য মো. ইয়াসিন আলী সম্প্রতি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পদে যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে দীর্ঘ কর্মজীবন শেষে এসইসির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ইয়াসিন আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে সম্মানসহ স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৭৬ সালে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন। দীর্ঘ ব্যাংকিং জীবনে তিনি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়, রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা, বৈদেশিক মুদ্রা নীতি প্রণয়ন, সরকারের ঋণ ব্যবস্থাপনা, সেকেন্ডারি মার্কেট ট্রেজারি বন্ড লেনদেনসহ দেশের অর্থনীতি ও মুদ্রা সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা, বগুড়া ও সিলেট অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে ফরেন এক্সচেঞ্জ ও ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

(১৮০৮) দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ১ হাজার কোটি

ডিএসইর বাজার মূলধনের আকার অনুযায়ী, দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ১ হাজার কোটি টাকার উপরে হওয়া উচিত বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা। লেনদেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এ জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব পোর্টফোলিও মেইনটেন করতে বাধ্য করা উচিত বলে জানিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে ব্যাংক, বীমা কোম্পানিসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে শেয়ারবাজার স্থিতিশীল হতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

(১৮০৭) জানা গেছে

জানা গেছে, শেয়ারবাজারে মোট লেনদেনের প্রায় ৭০ শতাংশই হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ। কিন্তু ডিসেম্বরের ধসের পর থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোনো ভূমিকাই রাখছে না। একমাত্র রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ও জনতা, সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংক শেয়ারবাজারে দরপতন ঠেকাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শেয়ার ক্রয় করেছে। অপরদিকে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ঋণ কেনা-বেচা ছাড়া আর কোনো ভূমিকা পালন করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো লাইসেন্সপ্রাপ্তির শর্ত অনুসারে, গ্রাহকদের পোর্টফোলিও ছাড়াও নিজস্ব পোর্টফোলিও মেইনটেন করার কথা ছিল। কিন্তু অধিকাংশ মার্চেন্ট ব্যাংকই এ শর্ত পালন করছে না। বরং বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে স্টেটমেন্ট জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতার কারণে প্রতি মাসের শেষের দিকে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ঋণ সমন্বয়ের ফলে শেয়ারবাজারে দরপতনের ঘটনা ঘটে থাকে। একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন বীমা কোম্পানি ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরাও শেয়ারবাজার থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে সাইড লাইনে চলে আসে। ফলে সর্বনিম্ন অবস্থায় চলে আসে ডিএসইর লেনদেনের পরিমাণ।

(১৮০৬) চলমান মন্দাবস্থার কারণে

শেয়ারবাজারে চলমান মন্দাবস্থার কারণে গত ২৫ মে ডিএসইর লেনদেনের পরিমাণ নেমে আসে ২৯৬ কোটি টাকায়। বাজেটে ইতিবাচক কিছু প্রাপ্তির আশায় জুনের প্রথমার্ধে ধীরে ধীরে লেনদেনের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এ সময়ে ডিএসইর গড় লেনদেনের পরিমাণ ৫০২ কোটি টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। তবে জুলাইয়ের শেষার্ধ থেকেই নানামুখী গুজব ও ভীতির কারণে ডিএসইর লেনদেনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। দ্রুত অধিকাংশ শেয়ারের দরপতনের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও আশঙ্কাজনক হারে কমতে থাকে। লেনদেন কমে গিয়ে আগস্টের প্রথমার্ধে ডিএসইর গড় লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৮৩ কোটি টাকা। তবে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তায় লেনদেনের পরিমাণ আরও কমতে থাকে। গত সপ্তাহে ডিএসইর গড় লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১৯ কোটি টাকা।

(১৮০৫) বিপুলসংখ্যক বিনিয়োগকারী

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছর শেয়ারবাজারে বিপুলসংখ্যক বিনিয়োগকারী অংশগ্রহণ করায় অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে ডিএসইর লেনদেনের পরিমাণ। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইর লেনদেনের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৩ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ধারাবাহিক মন্দাবস্থার কারণে তালিকাভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারই বিপুল পরিমাণে দর হারাতে থাকে। পরবর্তী ৬ মাসের ব্যবধানে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ দর হারায়। চাহিদার তুলনায় শেয়ার সংকটের ফলে অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়া বেশকিছু শেয়ারের দর অর্ধেকে নেমে আসে। এ সময় ডিএসইর সাধারণ সূচক ৮৯১৮ পয়েন্ট থেকে ৫২৯২ পয়েন্টে নেমে আসে। একই সময়ে ডিএসইর দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে আসে।

(১৮০৪) শীর্ষ ৩২টি ব্রোকারেজ হাউস

ডিএসইর পিই রেশিও আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় নিরাপদ অবস্থানে থাকার পরও লেনদেনের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই লেনদেনের পরিমাণ কমছে বলে ডিএসই কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে। ধারাবাহিক দরপতনের কারণে ডিএসইর বর্তমান পিই রেশিও ১৬ দশমিক ২৯ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে। গত বছর ডিসেম্বরে ডিএসইর গড় মার্কেট পিই রেশিও ২৯ দশমিক ১৬ পয়েন্ট থাকার পরও সে সময়ে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। অথচ বর্তমানে পিই রেশিও প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের তুলনায় কম থাকার পরও লেনদেনের পরিমাণ নেমে এসেছে ৩০০ কোটি টাকার নিচে। এ অবস্থায় কীভাবে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো যায় এবং লেনদেনের পরিমাণ প্রত্যাশিত মাত্রায় ফিরিয়ে আনা যায়, এ জন্য শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই। আজ দুপুর আড়াইটায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ, আইসিবি সিকিউরিটিজ, পিএফআই সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজসহ ডিএসইর শীর্ষ ৩২টি ব্রোকারেজ হাউস এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করবে।

(১৮০৩) বৈঠকে বসবে আজ ডিএসই কার্যালয়ে

টানা দরপতন, লেনদেনে নিম্নমুখী প্রবণতা কাটিয়ে শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ রোববার ডিএসই কার্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এ বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন সভাপতি শাকিল রিজভী। বৈঠকে শেয়ারবাজারে লেনদেন কমে যাওয়া, ধারাবাহিক দরপতনের কারণ নির্ণয় এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ডিএসইর করণীয় নির্ধারণের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বলে জানা গেছে।