ভারতের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর স্মার্টফোন তৈরি করছেন তাঁর ভক্তরা। স্মার্টফোনটির নাম ‘স্মার্ট নমো’। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে তাঁর ভক্তরা ‘স্মার্ট নমো’ নামের একটি ওয়েবসাইট খুলেছেন। এ সাইটে একই নামে অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর স্মার্টফোন বাজারে আনার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ৫ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত স্মার্টফোনটি এক দশমিক পাঁচ গিগাহার্টজ প্রসেসর, এক গিগাবাইট র্যাম ও ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকবে।
গুজরাটে স্মার্টফোন তৈরির প্ল্যান্ট বসানোর পরিকল্পনাও করেছে ‘স্মার্ট নমো’ নামের এ প্রতিষ্ঠানটি। স্মার্টফোন বিপণনের পরিকল্পনা হিসেবে নরেন্দ্রমোদীর স্বাক্ষরযুক্ত বিশেষ ‘স্মার্ট নমো’ সংস্করণের স্মার্টফোন বাজারে আনার পরিকল্পনাও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
|স্মার্ট নমো এক হাজার রুপি থেকে ১৬ হাজার রুপির মধ্যে বিভিন্ন মুঠোফোন বাজারে আনার পরিকল্পনা করেছে। এতে নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তৈরি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন বিল্ট ইন থাকবে। অবশ্য নরেন্দ্র মোদীর অনুমতি পেলেই তবে ‘স্মার্ট নমো’ বাজারে আনবে প্রতিষ্ঠানটি।
নভেম্বর মাসনাগাদ ‘জি ফ্লেক্স’ নামে বাঁকানো ডিসপ্লেযুক্ত একটি স্মার্টফোনের ঘোষণা দেবে এলজি। সম্প্রতি এলজির এ স্মার্টফোনটির তথ্য অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেট এলজির বাঁকানো স্মার্টফোনটির ছবি ফাঁস করেছে।
অবশ্য এলজির বাঁকানো স্মার্টফোন বাজারে আনার আগেই ‘গ্যালাক্সি রাউন্ড’ নামে বাঁকানো ডিসপ্লের স্মার্টফোনের ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং। এনগ্যাজেট প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি রাউন্ডের নকশার তুলনায় জি ফ্লেক্সের নকশা সম্পূর্ণ আলাদা হবে।
এলজির জি ফ্লেক্সের ডিসপ্লের মাপ হবে ছয় ইঞ্চি যা সহজে ভাঙবে না। এ স্মার্টফোনটিতে বাঁকানো ব্যাটারিও দেখা মিলতে পারে।
প্রযুক্তির বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্মার্টফোনের নকশা আর ফিচারে দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। স্মার্টফোনের নকশা ও ফিচারে পরিবর্তন আনতে বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা স্যামসাংয়ের পাশাপাশি অ্যাপল, নকিয়া, এইচটিসি, লেনোভো, এলজির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে। দ্রুত উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যের স্মার্টফোন বাজারে এনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। ২০১৪ সালের শুরুতেই স্যামসাং, এলজি ও অ্যাপলের মধ্যে শুরু হবে বাঁকানো ডিসপ্লের স্মার্টফোনের যুদ্ধ।
প্রযুক্তির বিশ্লেষকেরা জানান, বাঁকানো ডিসপ্লে হচ্ছে সহজেই ভাঁজ করা যায় বা কাগজের মতো মুড়িয়ে রাখা যায় এমন ডিসপ্লের প্রাথমিক ধাপ। এ ধরনের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হলে স্মার্টফোন একটি নির্দিষ্ট কোণ পর্যন্ত বাঁকা থাকবে। বর্তমানে এলইডি টিভির ক্ষেত্রে বাঁকানো ডিসপ্লে ব্যবহার করেছে এলজি। ভবিষ্যতে এ ধরনের নতুন স্মার্টফোন ও পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্য বাজার দখল করে নেবে বলে মার্কিন প্রযুক্তির বিশ্লেষকেরা পূর্বাভাস দিয়েছেন।
জি ফ্লেক্স স্মার্টফোনটিতে থাকবে ছয় ইঞ্চি মাপের বাঁকানো অর্গানিক এলইডি বা ওএলইডি ডিসপ্লে। এদিকে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি রাউন্ডে থাকবে ৫ দশমিক ৭ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লে, কোয়াড কোর সিপিইউ।
পরপর দুটি সুপার হিট সিনেমার সাফল্য এখন দীপিকা পাড়ুকোনের ঝুলিতে। সামনে আসছে 'রামলীলা'। সেক্সপিয়ারের 'রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট' অবলম্বনে তৈরি এই সিনেমাটি নিয়ে অনেকেই আশাবাদী। কিন্তু সিনেমার কিছু বিষয় ইতিমধ্যে তর্কের ঝড় তুলেছে। ভক্তরা ক্ষেপে আছেন দীপিকার ওপর। সম্প্রতি দীপিকা গিয়েছিলেন ভারতের আহমেদাবাদে। উদ্দেশ্য গার্বা ও ডান্ডিয়া উৎসবে যোগদান। কিন্তু সেখানে উপস্থিত কিছু লোক রামলীলার প্রতিবাদে দীপিকার উদ্দেশে ডিম ও টমেটো ছোঁড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
তখন ক্ষিপ্ত লোকদের জানিয়ে দেয়া হয়, সিনেমা থেকে বিতর্কিত উপাদানগুলো এডিট করা হচ্ছে।
আর নিরাপত্তা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা তো ছিলই!
কোরবানির আর মাত্র একদিন বাকি। সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের অনেকে ইতোমধ্যেই কোরবানির পশু কিনেছেন। পাশাপাশি মাংস রান্নার মসলাও কিনছেন।
খুলনা অঞ্চলে মাংস রান্নার একটি বিশেষ মসলার নাম চুঁইঝাল। চুঁইঝাল না হলে মাংসের স্বাদ যেন অপূর্ণই থেকে যায়। ফলে অনেকেই চুঁইঝাল কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন দোকানগুলোতে।
রংপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িসহ পাহাড়ি এলাকায় এবং খুলনাঞ্চলের ফুলতলা, নওয়াপাড়া, বসুন্দিয়া, রূপদিয়া, মনিরামপুর, ফকিরহাট, কপিলমুনিসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় লতা জাতীয় এ উদ্ভিদের দেখা পাওয়া যায়। তবে এর মধ্যে খুলনাঞ্চলের চুঁইঝালের ঝাঁঝ, স্বাদ ও গন্ধ অতুলনীয়। আর এ কারণেই এ অঞ্চলের চুঁইঝালের কদরটাও একটু বেশি।
চুঁইঝাল লতা জাতীয় উদ্ভিদ হলেও যখন পরিপূর্ণ বয়সের এটি লতা খণ্ড খণ্ড করে কেটে রাখা হয় তখন দেখলে আর বোঝার উপায় নেই যে এ গাছ অন্যগাছে ভর করে বা অন্য গোছের আশ্রয়ে বেড়ে ওঠে। মেটে আলুর গাছের মতো দেখতে এ উদ্ভিদের গায়ের খোসা ছাড়িয়ে তরকারিতে মরিচের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। জাতভেদে এর ঝালের পরিমানেরও তারতম্য হয়। এটি ভেষজ গুণ সম্পন্নও বটে।
সাধারণত ভেষজ উদ্ভিদের দোকানে পাওয়া যায় চুঁইঝাল। নতুন চারা তৈরিতে এর লতা কেটে মাটিতে লাগাতে হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির ঈদে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় খুলনাঞ্চলের চুঁইঝালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যেও এ অঞ্চলের চুঁইঝাল রফতানি হচ্ছে।
চুঁইঝাল দোকানি গোপাল চন্দ্র সাহা বাংলানিউজকে বলেন, বরাবরের মতো এবারও খুলনায় ঈদ বাজারে চুঁইঝালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
তিনি জানান, প্রতি কেজি চুঁইঝাল বিক্রি হচ্ছে ছয়শ’ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতারা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কোরবানিতে দেড়গুণ বেশি দামে চুঁইঝাল কিনতে হচ্ছে তাদের। এবার চাহিদার তুলনায় চুঁইঝালের চাষ কম হওয়ায় দাম বেশি বলে ধারণা করছেন তারা।
বড় বাজারে চুঁইঝাল কিনতে আসা মো. মোমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দাম বেশি হলেও ভোজন বিলাসীরা অন্যান্য মসলার মতো চুঁইঝালও কিনবেন। এ কারণে ব্যবসায়ীরাও সুযোগ বুঝে বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন। মাংস রান্না চুঁইঝাল ছাড়া ভাবাই যায় না। দাম বেশি হলেও তাই কিনতেই হচ্ছে।
গাইনী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আঞ্জুমান আরা বাংলানিউজকে এর গুণ সম্পর্কে জানন, চুঁইঝাল একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এতে ওষুধি উপাদান রয়েছে। বিশেষ করে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়ের জন্য এটি খুবই উপকারী। এছাড়া গায়ের ব্যাথা কমাতে চুঁইঝাল সহায়ক।
চওড়া বুক, দুই হাতের বাহু শক্তপোক্ত- এমন পেটানো শরীর অনেক তরুণের স্বপ্ন। তবে শুধু স্বপ্ন দেখলে তো হবে না, তার জন্য করতে হবে পরিশ্রম। নিয়মিত অনুশীলন করেই এমন পেটানো শরীরের অধিকারী হওয়া যাবে। এ জন্য শুধু পুশ আপই যথেষ্ট। নির্দিষ্ট নিয়মে নিয়মিত পুশ আপ করে এমন শক্তপোক্ত শরীরের অধিকারী হওয়া কঠিন কিছু নয়।
সুপারম্যান পুশ আপ : এই পুশ আপে কোর অঞ্চল এবং বাইসেপ ও ট্রাইসেপ অংশের মাংসপেশির উপকার হয়। এই পুশ আপে হাত মাথার সামনে রেখে করতে হবে। পাশাপাশি একবার ডান হাত ও বাঁ পা শূন্যে রাখতে হবে। হাত ও পায়ের পরিবর্তন করে, অর্থাৎ এবার বাঁ হাত ও ডান পা শূন্যে রেখে পুশ আপ করতে হবে।
ফিঙ্গার টিপ পুশ আপ : এটি সাধারণ পুশ আপের মতো। তবে হাতের তালুর ওপরে ভর নয়, শরীরের ভর থাকবে হাতের আঙুলের ওপর। আর হাত দুটি মাথার সামনে টান টান অবস্থায় রেখে পুশ আপ করা ভালো। এই পুশ আপের ফলে কবজি ও কাঁধের শক্তি বাড়ে। দুই হাতে কাঁধের প্রস্থের তুলনায় বেশি ফাঁকা রেখে পুশ আপ করতে হবে। ধীরে ধীরে শরীরকে মাটির দিকে নামাতে হবে যতক্ষণ বুক ও মাটির মধ্যে পার্থক্য তিন ইঞ্চি পরিমাণ না হয়। বুকের উচ্চতা সর্বনিম্ন অবস্থানে নামার পর এক সেকেন্ড বিরতি দিয়ে দ্রুত আবার আগের অবস্থায় ফিরতে হবে। শরীরকে ওপরের দিকে ছুড়ে দিয়ে দুই হাত মাটির স্পর্শ থেকে তুলে হাততালি দিয়ে আবার হাত মাটিতে নামিয়ে আনতে হবে। এভাবে কয়েকবার অনুশীলন করতে হবে।
এক হাতে পুশ আপ : স্বাভাবিক পুশ আপের ভঙ্গিতে উপুড় হয়ে শুতে হবে। এবার এক হাত পিঠের ওপর রেখে অন্য হাতের ওপর ভর করে শরীরকে মাটি থেকে ওপরে তুলতে হবে। হাত সোজা হওয়ার পর আবার শরীরকে নিচের দিকে নিতে হবে। এভাবে কয়েকবার করতে হবে।
রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাপন এখন অনেকটাই গা-সওয়া হয়ে গেছে। কোটি টাকার বেশি দামি ফ্ল্যাট কিংবা বাড়িতে থাকেন অনেকেই। তাঁরা অহরহ বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ, লেক্সাস ব্র্যান্ডের গাড়ি চালান। কিন্তু আয়কর বিবরণীতে এগুলোর চিত্র উঠে আসে না। এসব সম্পদশালীর বেশির ভাগই তাঁদের আয়কর নথিতে এসব সম্পদ দেখান না। আবার যাঁরা দেখান, তাঁদের এসব সম্পদের সঠিক বাজারমূল্যও পাওয়া যায় না।
অথচ দেশে মাত্র পাঁচ হাজার ৬৬২ জন করদাতা রয়েছেন, যাঁরা দুই কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক। এই হিসাব পাওয়া গেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য-উপাত্ত থেকে। ২০১২-১৩ করবর্ষের বার্ষিক আয়কর বিবরণীতে তাঁরা সবাই দুই কোটি টাকার বেশি সম্পদ দেখিয়েছেন। এতে মাশুল হিসেবে এনবিআরের রাজস্ব প্রাপ্তি হয়েছে ৬০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
এর আগের অর্থবছরে চার হাজার ৪৪৬ জন করদাতা দুই কোটি টাকার বেশি সম্পদধারী ছিলেন। সেখান থেকে এনবিআর পেয়েছে ৪৪ কোটি টাকা ৬২ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে এমন কোটিপতি সম্পদধারী বেড়েছে মাত্র এক হাজার ২১৬ জন।
২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে দুই কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক হলে তাঁর প্রদত্ত করের ওপর ১০ শতাংশ মাশুল (সারচার্জ) হিসেবে দেওয়ার বিধান করা হয়। গত অর্থবছরেও একই হার অব্যাহত রাখা হয়।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ প্রথম আলোকে বলেন, দৃশ্যত এ দেশে বিশালসংখ্যক মানুষের দুই কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে। তাঁদের সেই সম্পদের আর্থিক মূল্যায়ন যথাযথ ও সতর্কভাবে করতে হবে। এ জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রমকে কাজে লাগাতে পারে এনবিআর। কিছু লোকের হাতে বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত সম্পদ রয়েছে। এতে সমাজে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। তবে তিনি মত দেন, সম্পদ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে করদাতা ও কর আদায়কারী—উভয় পক্ষকে দায়িত্বশীল ও কৌশলী হতে হবে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, কর অঞ্চল-৫-এর সবচেয়ে বেশি—৫৩২ জন করদাতা দুই কোটি টাকার বেশি সম্পদ দেখিয়েছেন। জমি ও ফ্ল্যাট তথা আবাসন ব্যবসায়ীরা এই কর অঞ্চলে আয়কর বিবরণী জমা দেন।
সারচার্জ দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)। এলটিইউর ৭০৬ জন করদাতার মধ্যে ৪৩৫ জন দুই কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক। আগের বছরও ৪৩৫ জনই মাশুল দিয়েছিলেন। অথচ ব্যাংক, বিমা, লিজিং কোম্পানি, বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকেরা এলটিইউর আওতাভুক্ত।
এলটিইউ সূত্রে জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বেশির ভাগই কোম্পানি থেকে বাড়ি, গাড়িসহ অন্যান্য সুবিধা পান বলে আয়কর বিবরণীতে দেখান।
আর চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ পেশাজীবীদের মধ্যে মাত্র ৩৩৩ জনের দুই কোটি টাকা বা তার বেশি মূল্যের সম্পদ রয়েছে। কর অঞ্চল-১০ তাঁদের অধিক্ষেত্র। এ ছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন কর অঞ্চল থেকে ৬৬০ জন দুই কোটি টাকা বা তার বেশি মূল্যের সম্পদের জন্য মাশুল দিয়েছেন।
এ ছাড়া ময়মনসিংহে ৫১ জন, বগুড়ায় ৩৮, গাজীপুরে ৪১ ও বরিশালে ৪৭ জন করদাতা দুই কোটি টাকার বেশি সম্পদ দেখিয়েছেন।
এনবিআরের আয়কর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মূলত সম্পদ হস্তান্তরের সময় মূল্যকেই বিবেচনায় আনা হয়। এতে নিবন্ধনের সময় জমি, ফ্ল্যাটের মূল্য কম দেখানো হয়। এতে কোনো জমির দাম এক কোটি টাকা হলে তা নিবন্ধিত হয় মাত্র ২০ লাখ টাকা দেখিয়ে। এতে সরকার রাজস্ব কম পায়, বছর শেষে তাও মাশুলের আওতামুক্ত থাকে। আবার ২০ বছর আগে জমি বা ফ্ল্যাটের কেনাবেচা হলে সে সময়ের দামই এখন আয়কর বিবরণীতে দেখানো হয়। এতে প্রকৃত বা বর্তমান মূল্য আয়কর বিবরণীতে প্রকাশ পায় না। ফলে বিপুলসংখ্যক করদাতাকে মাশুল দিতে হচ্ছে না।
চলতি অর্থবছর থেকে মাশুলের হার বাড়িয়ে দুই স্তরে নেওয়া হবে। ২ থেকে ১০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হলে প্রদত্ত করের ওপর ১০ শতাংশ মাশুল দিতে হবে। আর ১০ কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক হলে এ হার হবে ১৫ শতাংশ।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) প্রিমিয়ামসহ আবেদন করা বেশিরভাগ কোম্পানির মূল লক্ষ্য ব্যবসা সম্প্রসারণ নয় বরং ব্যাংকঋণ পরিশোধ।
যা বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনে না বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি আইপিও’র অনুমোদন পাওয়া কয়েকটি কোম্পানির প্রসপেক্টাস থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, এসব কোম্পানির উদ্যোক্তারা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অত্যাধিক প্রিমিয়াম নিয়ে কোম্পানির ঋণ পরিশোধে ব্যয়ে করছেন। এতে কোম্পানিগুলোর দায়মুক্তি হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
এ প্রসঙ্গে আব্দুর রাজ্জাক নামের এক বিনিয়োগকারী অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি কোম্পানির ঋণের দায় বিনিয়োগকারীদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কেবল ঋণের বোঝা থেকে মুক্তির জন্য তারা অত্যাধিক প্রিমিয়াম নিয়ে কোম্পানিগুলো বাজার থেকে টাকা উত্তোলন করছে। বাজারের এ ক্রান্তিকালে যা মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়।
তিনি আরও বলেন, আইপিও’র অনুমোদন দেওয়ার আগে এ বিষয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) যথেষ্ট যাচাই-বাছাই করা উচিত। যাতে কোম্পানিগুলো কেবল ঋণ শোধ করার জন্য অত্যাধিক প্রিমিয়াম দাবি না করে অনুমোদনের আগে অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত।
জানা গেছে, ২০১১ সালে বাজারে রাইট শেয়ার ছেড়ে সোনারগাঁও টেক্সটাইল কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মোট ১৬ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করে। এরপর তুলা স্বল্পতা, শ্রমিক স্বল্পতা এবং বিদ্যুৎ ঘাটতির অজুহাত দেখিয়ে বাজার থেকে উত্তোলিত টাকার ১১ কোটি টাকা তাদের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেছে।
সম্প্রতি আইপিও’র অনুমোদন পাওয়া অ্যাপোলো ইস্পাত কোম্পানি বাজার থেকে দুই’শ ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে; যার মধ্যে একশ ৪৩ কোটি টাকা দিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করবে।
মোজাফফর হোসাইন স্পিনিং মিলস কোম্পানি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ২ কোটি ৭৫ লাখ শেয়ার ছেড়ে ২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা সংগ্রহ করবে। সংগৃহীত অর্থের ৯৫ শতাংশই মেয়াদি ঋণ পরিশোধে ব্যয় হবে বলে কোম্পানির প্রসপেক্টাস সূত্রে জানা গেছে।
প্যারামাইন্ট টেক্সটাইল কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত টাকার প্রায় সম্পূর্ণ ব্যবহার করছে ঋণ পরিশোধে। কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে মোট ৮৪ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। যার মধ্যে ৭৩ কোটি টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা হবে ও ৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় হবে মূলধনের কাজে। আর বাকি ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা আইপিওতে ব্যয় হবে।
এক্ষেত্রে বেশিরভাগ কোম্পানিতে দেখা যায়, তালিকাভুক্তির আগে ১৫-২০ শতাংশ হারে সুদ দিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করে যে মুনাফা অর্জন করে সেই একই পরিমাণ থেকে যায় পুঁজিবাজার থেকে সুদবিহীন টাকা উত্তোলন করে।
এদিকে, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করে ৭৩ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করলেও মোট ঋণের পরিমাণ আরও অনেক। প্রসপেক্টাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদী ৬৪ কোটি ৭৭ লাখ এবং স্বল্পমেয়াদী ৮৯ কোটি ৯৪ লাখসহ মোট ১৫৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেছে।
ফলে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থের ৭৩ কোটি টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করলেও বাকি থেকে যাচ্ছে তার চেয়ে আরও বেশি ঋণ।
এছাড়া সায়হাম টেক্সটাইল, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম এবং জেনারেশন নেক্সট কোম্পানিও পুঁজিবাজার থেকে আইপিও’র মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেছে।
তবে কোম্পানিগুলোর এ ধরনের মানসিকতাকে ইতিবাচক ভাবে নিতে পারছেন না বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের দাবি বাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহের উদ্দেশ্য হলো কোম্পানির উৎপাদন বৃদ্ধি করা, ঋণ পরিশোধ নয়।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আইপিও’র টাকায় ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা ঠিক নয়। আইপিও’র মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করার উদ্দেশ্য হলো কোম্পানির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো। যাতে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বাড়ে। কিন্তু ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করলে বিনিয়োগকারীরা চূড়ান্তভাবে কোনও লাভবান হয় না।
তিনি আরও বলেন, আইপিও’র টাকায় ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করলে হয়তবা কোম্পানির মূলধন কাঠামোতে সামান্য পরিবর্তন হয় কিন্তু কোম্পানির উৎপাদনে কোনো পরিবর্তন আসে না। ফলে যারা নতুন করে কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন তারা তেমন লাভবান হবেন না।
কোম্পানিগুলোর এ ধরনের প্রবণতা বন্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিজি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
কারণ পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যাচ্ছে, এ ধরনের উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের কোনো কাজে আসে না। বরং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বেড়ে যায় বলেও মনে করেন মিজানুর রহমান।
বাংলা ভাষাভাষীদের প্রেরণার উৎস ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম, মোরা ঝর্ণার মতো চঞ্চল’ গানটির বিকৃত সুর পরিবর্তন করে সঠিক সুরে বিজ্ঞাপন পুনর্নির্মাণ করতে বাধ্য হয়েছে গ্রামীণফোন। নজরুল ইনস্টিটিউটের কাছে এ ঘটনার জন্য লিখিতভাবে দুঃখপ্রকাশও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রসঙ্গত, গ্রামীণফোন বিজ্ঞাপনটিতে শুধু যে সুর বিকৃত করেছে এমন নয়, এতে কিছু তরুণকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যা নিতান্তই অরুচিকর। বিখ্যাত এ গানটির সুর বিকৃত করে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে বিজ্ঞাপন প্রচার শুরু করলে সামাজিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যেও। এমনই এক অবস্থায় পাঠকের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।
এরপর বিজ্ঞাপনটিতে ব্যবহার করা বিকৃত সুরের গানটি পরিবর্তন করে সঠিক সুরসহ চলতি সপ্তাহ থেকে দেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপনটি পুন:প্রচার শুরু করেছে।
সূত্র জানায়, তরুণদের মধ্যে গ্রামীণফোনের ‘ডিজুস’ ব্র্যান্ডকে জনপ্রিয় করার জন্য বিজ্ঞাপনটি প্রচার করছে গ্রামীণফোন। প্রথম বিজ্ঞাপনটি থেকে বিতর্কিত ও আপত্তিকর ভিডিওচিত্রগুলো বাদ দিয়ে এটির সময়সীমা দেড় মিনিট থেকে কমিয়ে ৩০ সেকেন্ড করা হয়েছে।
সঠিক সুরে বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর গ্রামীণফোনের উদ্দেশ্যে ইউটিউবে একজন মন্তব্য করেন, ‘‘আমাদের আন্দোলন কিছুটা হলেও সার্থক হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নজরুলের গানের আসল সুরে ফিরে এসেছে গ্রামীণফোন। তবে ভিডিওচিত্রগুলো পরিবর্তন করলে আরো বেশি ভালো হতো। আশা করি, ভবিষ্যতে গ্রামীণফোন আমাদের ভাষা ও সাঙ্গীতিক ঐতিহ্যের বিকৃত উপস্থাপন করবে না।
বাংলাদেশ কপিরাইট ও আইপি ফোরামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার এবিএম হামিদুল মিজবাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘গ্রামীণফোন তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। এটি ইতিবাচক দিক। তবে আগের বিকৃত সুরটি যে যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে সেসব থেকে তা মুছে ফেলতে হবে। ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে এখনো ভিডিওগুলো রয়েছে। সেখান থেকেও এগুলো মুছতে হবে। ভবিষ্যতে বিজ্ঞাপন নির্মাণের ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনকে এসব বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে।’’
তিনি আরো জানান, গ্রামীণফোন এর আগেও অনেক ক্ষেত্রে এমন কাজ করেছে। অতীতের এই কাজগুলো এখন আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য দলিল-দস্তাবেজ সংগ্রহ করার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের কপিরাইট অফিস,বাংলাদেশ’র রেজিস্ট্রার মঞ্জুরুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, “কপিরাইটের প্রতি সবারই শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন। গ্রামীণফোন তাদের ভুল বুঝতে পেরেছ। তবে ভবিষ্যতে এভাবে সুর বিকৃতির মাধ্যমে কপিরাইট লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে গানের সুর বিকৃতির অভিযোগ এটিই প্রথম নয়। এর আগেও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একাধিকবার জনপ্রিয় বাংলা গানের সুর বিকৃতির অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তী সময়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখে তারা বিজ্ঞাপনগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের সুর ও ভাববিকৃতির ধারক বিজ্ঞাপনগুলোর বিষয়ে বাংলানিউজের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে ১০০ কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়ন তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) দুই হাজার নতুন উদ্যোক্তা তৈরির কর্মসূচি নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাতে সহায়তা দিতে এ তহবিল গঠন করবে বলে জানা গেছে।
ব্যাংকগুলো এ তহবিল থেকে ৫ শতাংশ সুদে অর্থ নিয়ে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সুদে তা নতুন উদ্যোক্তাদের ঋণ হিসেবে দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই বিভাগের আওতায় শিগগিরই তহবিলের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ঋণের সুদহার কমাতে ব্যাংকগুলোর ওপর একধরনের চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পুনঃ অর্থায়ন তহবিল চালু করছে। উদ্যোক্তা তৈরিতে কম সুদে অর্থ জোগানোর জন্য পুনঃ অর্থায়ন তহবিল তার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
পাটের ব্যবসায়ীদের স্বল্প সুদে ঋণ দিতে গত সপ্তাহে ১০০ কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়ন তহবিল চালু করা হয়। তার আগে গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ ভাগে ইসলামি ব্যাংকগুলো কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিনিয়োগের জন্য ১০০ কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়।
এগুলো ঘূর্ণায়মান তহবিল। অর্থাৎ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ তহবিল থেকে ঋণ বিতরণ করে তা আদায় হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেবে, আবার এ তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে নতুন করে ঋণ বিতরণ করবে। ফলে তহবিলের অর্থের পরিমাণ বাড়তেই থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিনিয়োগ মন্দার কারণে ব্যাংকগুলোতে বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে। কিন্তু তার পরও দেশে ঋণের সুদহার কমছে না। এ অর্থকে সস্তায় বিনিয়োগের চাপ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের কৌশল নিয়েছে। এর একটি হচ্ছে কম মূল্যে ব্যাংকগুলোকে অর্থ জোগান দিয়ে সেই অর্থের উদ্যোক্তা পর্যায়ে সুদহার নির্ধারণ করে দেওয়া।
ডিসিসিআইয়ের নতুন উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করছে। এ কাজে সহায়তার জন্য তাই পুনঃ অর্থায়ন তহবিল গঠন করা হচ্ছে। শিগগিরই তহবিলের কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা।
এ তহবিল থেকে ঢাকা চেম্বারে নিবন্ধিত নতুন উদ্যোক্তার প্রকল্প দেখে ব্যাংকগুলো ঋণ দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সঠিকভাবে নীতিমালা অনুসারে উদ্যোক্তাকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে কি না, তা তদারক করবে।
ঢাকা চেম্বার এর আগে গত ২৫ মে সংবাদ সম্মেলন করে এ বছর দুই হাজার নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করার ঘোষণা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ থেকে সদ্য পাস করা শিক্ষার্থী, যারা নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আগ্রহী, তারাই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে ডিসিসিআই।
এ ছাড়া ডিসিসিআইয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারিগরি সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও সমঝোতা সই হয়েছে।
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হারুঞ্জা গ্রামের সেকেন্দার আলীর বাড়ি থেকে ছয় তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত রবিবার রাত ৯টায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যের চার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তবে অভিযান টের পেয়ে সেকেন্দার আলী তাঁর আরো দুই স্ত্রী নিয়ে পালিয়ে গেছেন। উদ্ধার পাওয়া তরুণীরা বলছে, তাদেরকে দীর্ঘদিন আটকে রেখে যৌনকর্মে বাধ্য করেছেন ওই ইউপি সদস্য।
ছয় স্ত্রী : স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে যৌন ব্যবসা চালিয়ে আসছেন ওই ইউপি সদস্য। তাঁর ছয় স্ত্রীও রয়েছে। ইউপি সদস্য ছয় স্ত্রীর মাধ্যমে নতুন নতুন খদ্দের আনেন বাড়িতে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্ত্রীদেরও যৌনকর্মে বাধ্য করেছেন।
সুরক্ষিত কক্ষ : পুলিশ জানায়, পাকা বাড়িতে তাঁর শয়নকক্ষের সঙ্গে নির্মাণ করা হয়েছে ১৫ ফুট দীর্ঘ ও ৩ ফুট প্রস্থের পৃথক একটি সুরক্ষিত কক্ষ। এই কক্ষ থেকেই ছয় তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের বাড়ি জয়পুরহাট সদর (দুজন), ক্ষেতলাল উপজেলা, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা, জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা ও ঢাকার কমলাপুরে।
তরুণীরা জানায়, কাজের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের হারুঞ্জা গ্রামে আনা হয়েছে। এরপর তাদের যৌনকর্মে বাধ্য করা হয়। তাদের পারিশ্রমিকও দেওয়া হতো নামমাত্র। আর প্রতিবাদ করলে চালানো হতো নির্যাতন।
যেভাবে ঘটনা ফাঁস : পুলিশ জানায়, জয়পুরহাট সদর উপজেলার এক দিনমজুরের কন্যাকে প্রায় দুই বছর আগে দালালের মাধ্যমে কিনে নেন সেকেন্দার আলী। প্রায় দুই বছর ধরে সেকেন্দার আলীর বাড়িতেই থাকে মেয়েটি। তাকে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করেন সেকেন্দার। এ অবস্থায় মেয়েটি এক খদ্দেরের কাছে উদ্ধারের আকুতি জানায়। খদ্দেরের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তরুণী। স্বজনরা বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
ছিলেন ভ্যানচালক : এলাকাবাসী জানায়, দেখতে সুদর্শন হলেও ২০ বছর আগে এলাকায় সেকেন্দার আলীকে মানুষ চিনত ভ্যানচালক হিসেবে। সংসারের অভাব দূর করতে তিনি ঢাকায় রিকশাও চালিয়েছেন। ওই সময় ঢাকায় আসা-যাওয়ার প্রাক্কালে অপরিচিত মেয়েদের এনে বাড়িতে তিনি যৌন ব্যবসা শুরু করেন। এখন তিনি বিত্তশালী। বিশাল জায়গাজুড়ে তাঁর রয়েছে পাকা বাড়ি। যেখানে একত্রে বসবাস করেন তাঁর ছয় স্ত্রী। জায়গা-জমিও করেছেন।
যত অপকর্ম : গ্রামবাসীরা জানায়, অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় ১৯৯৮ সালে গ্রামের ব্যবসায়ী গৌতম চন্দ্র চাকীর একটি দামি গরু চুরি করে জবাই করেন ইউপি সদস্য। এ খবর ফাঁস হলে ফুঁসে ওঠে গ্রামবাসী। পেটানো হয় তাঁর কয়েকজন অনুসারিকে। ওই সময় তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম মামলা হয়। তখন তিনি পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। ২০১১ সালে যৌন ব্যবসার অভিযোগে কালাই থানায় আরেকটি মামলা করা হয়। এ অবস্থায় যৌন ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি। গ্রামবাসী তাঁর কথা বিশ্বাস করে ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করে। গত রবিবার ছয় তরুণী উদ্ধারের ঘটনায় মানবপাচারের অভিযোগে কালাই থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া : ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েও যৌন ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় এবং ছয় তরুণী উদ্ধারের খবর জানাজানির পর এলাকার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। হারুঞ্জা গ্রামের ব্যবসায়ী গৌতম চন্দ্র চাকী বলেন, 'আমার অর্ধলাখ টাকার গরু চুরি ও জবাই করার অভিযোগে মামলা হলেও কোনো প্রতিকার পাইনি।'
আহম্মেদাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান আবুল খয়ের গোলাম মওলা বলেন, 'তাঁকে অনেকবার শাসন করা হয়েছে। অনৈতিক কাজ ছেড়ে দেওয়ার জন্য মাজার ছুঁয়ে তিনি ওয়াদা করেছিলেন। এ কারণে গ্রামবাসী তাঁকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত করে।' চেয়ারম্যান তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
পুলিশের বক্তব্য : ইউপি সদস্যের বাড়ির সুরক্ষিত কক্ষ থেকে ছয় তরুণী উদ্ধারের ঘটনায় বিষ্ময় প্রকাশ করে জেলা পুলিশ সুপার হামিদুল আলম বলেন, 'মানুষ সচেতন হলে এ ধরনের অনৈতিক কাজ গ্রামে কখনো হতে পারে না। গ্রামবাসীও এর দায় এড়াতে পারে না।' তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
নিজের ভুঁড়ি নিয়ে কি আপনি বেশি মাথা ঘামান না? মনে করেন আপনার সুখের ছবি বহন করে এটি? তাহলে এবার একটু মাথা ঘামান। সতর্ক হোন। কারণ এখনই না ব্যবস্থা পেলে ভবিষ্যতে হয়ত ভাবনার উপায়ই আপনার হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে মধ্য বয়সে স্থুল মধ্যপ্রদেশ যুক্ত ব্যক্তিদের ভবিষ্যতে সাধারণ অবস্থার থেকে ৩.৬ গুণ প্রবণতা থাকে স্মৃতি শক্তি লোপ পাওয়ার।
রুশ ইনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটের সঙ্গে যৌথ গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে যে প্রোটিনটি ফ্যাট বিপাকের সঙ্গে যুক্ত থাকে সেই একই প্রোটিন মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাসে স্মৃতি ও শিক্ষা গ্রহণের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে। পাকস্থলীর মধ্যে শরীরের সব থেকে বেশি ফ্যাট বিপাক হয়। পেরক্সিমোস প্রলিফেরাটর অ্যাকটিভেটেড রিসেপটর আলফা (পিপিএআর আলফা) পাকস্থলীতে ফ্যাট বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। পিপিএআর আলফা তাই পাকস্থলীর মধ্যে সর্বাধিক পরিমাণে পাওয়া যায়।
যেহেতু পিপিএআর আলফা সরাসরি ফ্যাট বিপাকের সঙ্গে যুক্ত, তাই বৃহৎ ভুঁড়ি যুক্ত ব্যক্তিদের পাকস্থলীতে পিপিএআর আলফার পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে ফ্যাট বিপাক অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে পাকস্থলীতে পিপিএআর আলফার পরিমাণ কমতে থাকলেও পরবর্তী সময়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ এমনকী মস্তিষ্কেও কমতে থাকে এই প্রোটিনের পরিমাণ। ফলে লোপ পেতে থাকে স্মৃতি শক্তি।
রোববার জামিন পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে তার একটি ভিডিও ফুটেজ। এই ফুটেজে রুমি তার জন্ম নিয়ে নিজেই বির্তকিত প্রশ্ন তুলেছেন! আত্ম-সমালোচনার নামে এমন সব বির্তকের সৃষ্টি করছেন যে তার ভক্তদের জন্যও বিষয়টি সত্যিই বিব্রতকর। ভিডিও ফুটেজটি রুমি নিজে ছেড়েছেন না অন্য কেউ আপলোড করেছে তা এখনও জানা যায়নি।
এই ভিডিও ফুটিজটি এক মিনিট ৩ সেকেন্ডের। ফুটেজে রুমির বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো, তবে এক্ষেত্রে অশ্লিল ভাষার কিছু কথা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
ফুটেজে রুমি শুরুতেই নিজেকে নিজে গালি দেন। এরপর বলেন, "আমার আসলে পৃথিবীতে জন্ম নেয়া ঠিক হয়নি। আপনাদের যাদের অনেক রাগ আছে আমার ওপরে গালিগালাজ করতে থাকেন। আমি গালি খাওয়ার যোগ্য। আমি নিজেই বলতেছি। একচুয়ালি আমার কিন্তু জন্মের ঠিক নাই। আমার মার কাছ থেকে আমি ছোট বেলায় শুনেছিলাম, আমি যখন জন্ম নিছিলাম তখন আমার বাপ বলছিলো এই সন্তান কার আমি তো চিনি না...। তখন আমার মা ডাক্তার খানায় যাইয়া বলছিলো ও আমার সন্তান আমি জানি এবং এটা ওরই সন্তান। আপনি ওকে রাখেন পৃথিবীতে। মার জন্য আজকে আমি পৃথিবী দেখতেছি। তারপরও বলতেছি এটা সত্য কথা না। যেহেতু যা রটে কিছু হলেও বটে। সো আমি হচ্ছি একটা ...আমার বাপ কে আমি আসলে জানি না। ওকে বাই বাই।"
ফুটেজটি ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে ১৩ অক্টোবর। ফুটেজটি দেখলে মনে হবে এটি মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়েছে। যেভাবে ফুটিজটি নেওয়া হয়েছে তাতে অনেকে ধারণা করছেন, এটা রুমি নিজে নিজেই ভিডিও করেছেন। ফেসবুকে অনেকেই কমেন্ট করেছে "এটি আরফিন রুমির নিজের ধারনকৃত ভিডিও। এই ফুটেজ স্টাইলটি তাই বলে।"
এ বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যার দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় গত শনিবার সকাল ৭টার দিকে রুমিকে তার মোহাম্মদপুর কাটাসুর এলাকার কাদেরাবাদ হাউজিংয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে কারাগারেও পাঠানো হয়।
পরদিন রোববার বাদী অনন্যা আদালতে আপোস করলে সে আপোস শর্তে রুমিকে জামিন দেন আদালত।
গত শুক্রবার রাতে আরফিন রুমির বিরুদ্ধে তার প্রথম স্ত্রী অনন্যা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
তার স্ত্রী অনন্যা অভিযোগ করে বলেছিলেন, "যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাতে রুমি আমাকে নির্যাতন করে। এমনকি কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে পিটিয়ে বাসা থেকে বের করে দিত। আমার হাতে তার অত্যাচারের চিহ্নও আছে।"