ডিএনএ নাকি দ্ব্যর্থক শব্দে কথা বলতে পারে- Science-DNA Can Speak

আমাদের ডিএনএ নাকি দ্ব্যর্থক শব্দে কথা বলতে পারে! বিজ্ঞানবিষয়ক একটি জার্নালে এমনটাই দাবি করেছেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এতোদিন পর্যন্ত আমরা জেনে এসেছি যে, জীবনধারণের উপযোগী বিভিন্ন প্রোটিন তৈরি কীভাবে হবে, সেই নির্দেশই লুকিয়ে থাকে ডিএনএর মধ্যে। কিন্তু ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন, সদ্য খুঁজে পাওয়া ডিএনএর এই দ্বিতীয় গোপন সঙ্কেত প্রোটিন গঠনের উপযোগী ডিএনএর ক্ষুদ্রতম অংশ বা জিনের কার্যকারিতা সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ ডিএনএর মধ্যে লুকিয়ে থাকা সঙ্কেত নিজ থেকে প্রোটিনের জন্ম দেয় না। এই প্রক্রিয়া ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা নিয়ন্ত্রণ করে ডিএনএর আরেকটি অংশ।  গত চার দশক ধরে ডিএনএ সঙ্কেত নিয়ে কাজ করে দ্বিতীয় গোপন সঙ্কেত খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, জানালেন গবেষণাদলের প্রধান জন স্টেমাটোইয়ানপুলাস। তার দাবি, ডিএনএর একেবারে প্রথম দিকেই এই সঙ্কেত লিখা থাকে। পরে প্রোটিন সৃষ্টির সময় ওই সঙ্কেতই সামগ্রিক প্রক্রিয়াটির চেক পয়েন্ট বা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করে।  ডিএনএর যে ৬৪ অক্ষরের সঙ্কেত ধরে প্রোটিন তৈরির কাজ শুরু হয়, তাকে কোডন বলা হয়। ডিএনএর প্রথম দিকে এমন কয়েকটি সঙ্কেত থাকে, যা দ্ব্যর্থক। এদের নাম দেওয়া হয়েছে 'ডুয়ন'। ডুয়নের প্রথম অর্থ পড়ে প্রোটিন সৃষ্টি শুরু হয়। দ্বিতীয় অর্থ ট্রান্সলেশন নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে, এসব জানালেন জন।  মিউটেটেড জিন থেকে তৈরি হওয়া পরিবর্তিত এই প্রোটিন থ্যালাসেমিয়ার মতো রোগের কারণ। ডুয়নের মধ্যেই সমস্যা মোকাবিলার পথ দেখছেন গবেষণাদলের প্রধান জন।