সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলার নাম করে এখন গণতন্ত্র বিসর্জন দেওয়ার আয়োজন চলছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ রোববার রাজধানীতে সিপিবি-বাসদ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতা টিকিয়ে রেখে যেমন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়, তেমনি গণতন্ত্রের কবর দিয়ে সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলা করাও সম্ভব নয়। এ সময় সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, সাম্প্রদায়িক দ্বি-জাতিতত্ত্বের কবর দিয়ে প্রতিষ্ঠিত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে এখন সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সাম্প্রদায়িকতার হুমকির মুখে এখন গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ। তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশে যে তামাশা চলছে, তাতে সরকারের দেউলিয়াত্বের পাশাপাশি নির্বাচন-ব্যবস্থার ত্রুটিও নতুন করে ফুটে উঠেছে। জনগণের ভোট ছাড়াই যদি ১৫৪ জন নির্বাচিত হন, তবে কি সেই সংসদকে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল বলা যাবে?’ বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, ‘সারা দেশে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের সহিংস তাণ্ডব বেড়েই চলেছে। কিন্তু ‘আর সহ্য করা হবে না’ বললেও সরকার এই ঘৃণ্য অপশক্তিকে প্রতিহত করছে না। বরং সরকার তাদেরকে সহিংসতা চালানোর সুযোগ করে দিচ্ছে।’ আলোচনা সভায় অরও বক্তব্য দেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ।