সম্প্রতি ইংল্যান্ডের কোথাও কোথাও এ খেলা নিষিদ্ধ হয়েছে। লুকোচুরি খেলা মানসিকভাবে শিশুর ক্ষতি করে থাকে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এর মধ্য দিয়ে শিশুর জীবনও হুমকিতে পড়তে পারে
এ খেলার স্বভাব হলো, এমন কোথাও লুকিয়ে যাওয়া, যা কাউকে বলা যাবে না। এ কৌশলে শিশুরা নিজেদের মধ্যে কিছু গোপন করার শিক্ষা পায়। তাদের মধ্যে এ স্বভাব বাড়তে থাকে। তাদের মনে গোপন কোনো খেলার প্রতি উত্সাহ তৈরি হতে থাকে।
এ খেলার নিয়ম এমন স্থানে লুকাতে হবে, যা খুঁঁজে পাওয়া যাবে না। মানে তুমি চিরতরে হারিয়ে যাও, তোমাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব অন্যদের। তারা যতক্ষণ তোমাকে খুঁজে পাবে না, ততক্ষণ তুমি সফল। নিজেকে লুকিয়ে রাখাতেই এর জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়। শিশুদের মধ্যে এ খেলা বিরূপ মানসিক পরিস্থিতি তৈরি করে। যেমন— তারা নিজেদের গোপন বা আড়াল করতে শেখে। লুকানোর ভালো স্থান কোনটা, সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে, যা জীবনহানির কারণও হয়ে উঠতে পারে কখনো।
স্বভাবতই শিশুদের আমরা কোনো কিছু গোপন করতে বা আড়াল করতে নিষেধ করি। অভিভাবক হিসেবে এটা একটা স্বাভাবিক দায়িত্ব। শিশুদের সবসময় দেখেশুনে রাখতে চায় সবাই। আড়াল হলেই দুশ্চিন্তা বাড়ে। এমন অনেক জায়গায় তাকে যেতে বারণ করা হয়, যা অস্বাস্থ্যকর কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ লুকোচুরি খেলার সময় এসব বিধি-নিষেধ উপেক্ষাই করা হয়। শিশু তখন বিধি-নিষেধের আওতা ডিঙাতে উত্সাহী হয়।
শিশুরা এ ধরনের খেলা করার সময় মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে না বটে, কিন্তু তাকে এমন কোথাও লুকাতে হয়, যাতে সহজে খুঁজে পাওয়া না যায়। আবার তাত্ক্ষণিকভাবে কোনো গোপন জায়গাও খুঁজে নিতে শিশুকে একটা ভারসাম্যহীনতার মধ্যেও পড়তে হয়। তাই বাস্তবতা থেকে নিজেকে আড়াল করার চিন্তাটা এভাবে শিশুর মাথায় চাপিয়ে না দেয়াই ভালো।
- See more at: http://bonikbarta.com/rong-dong/2013/11/09/21751#sthash.TszHOBBY.dpuf