অনুমোদিত কর্মসূচিটি (স্কিম) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে হস্তান্তর - Unapproved Skim of Stock Exchange
স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণের (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) অনুমোদিত কর্মসূচিটি (স্কিম) গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিন বিকেলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধির হাতে কর্মসূচির দলিল হস্তান্তর করে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএসইসি এই কর্মসূচিটি অনুমোদন করে। অনুমোদনের পরবর্তী তিন কার্যদিবসের মাথায় এটি হস্তান্তর করা হয়। কর্মসূচিটি হস্তান্তরের আগেও গতকাল সকালে কমিশনের পক্ষ থেকে এটির খুঁটিনাটি বিষয় চূড়ান্তভাবে পর্যালোচনা করা হয়।
জানা গেছে, অনুমোদিত কর্মসূচিতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত প্রথম পরিচালনা পর্ষদের তালিকাটি অন্তর্ভুক্ত নেই। দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে বর্তমান পর্ষদকে প্রথম পরিচালনা পর্ষদ হিসেবে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল।
স্টক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাবিত প্রথম পরিচালনা পর্ষদের তালিকাটি অনুমোদন না করায় আইন অনুযায়ী বিশেষ সাধারণ সভায় অন্তর্বর্তীকালীন নতুন পর্ষদ গঠন করতে হবে।
অনুমোদিত পৃথক্করণ কর্মসূচি অনুযায়ী, ১৩ সদস্য নিয়ে ডিমিউচুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করতে হবে। এর মধ্যে সাতজন হবেন স্বতন্ত্র পরিচালক, শেয়ারধারী পরিচালক হতে পারবেন সর্বোচ্চ পাঁচজন, আর ভোটাধিকারের ক্ষমতাসহ এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও পরিচালক হবেন। আর স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্য থেকে পর্ষদের সভাপতি নির্বাচিত হবেন।
শেয়ারধারী পাঁচ পরিচালকের মধ্যে ন্যূনতম একজন থাকবেন কৌশলগত (স্ট্র্যাটেজিক) বিনিয়োগকারী। যত দিন কৌশলগত বিনিয়োগকারী পাওয়া যাবে না, তত দিন ওই পদটি শূন্য থাকবে। এর ফলে বর্তমান শেয়ারধারীদের মধ্য থেকে মাত্র চারজন পরিচালক হওয়ার সুযোগ পাবেন।
আইন অনুযায়ী, ৮ অক্টোবরের মধ্যে স্কিমটি গেজেট, ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এদিকে আজ বুধবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় কর্মসূচিটি অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) আজ কর্মসূচিটি হস্তান্তর করা হবে।