বিনিয়োগ করতে চায় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান মাস্টার কার্ড- MasterCard Wants to invest in Banglsdesh


জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সব ধরনের রাষ্ট্রীয় সেবা প্রদান ও আর্থিক লেনদেনে স্মার্টকার্ড তৈরির প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান মাস্টার কার্ড। শিগগিরই সরকারের কাছে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আগ্রহ প্রকাশ করবে প্রতিষ্ঠানটি। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) পদ্ধতিতে এই বিনিয়োগ প্রস্তাব দেওয়া হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে প্রথম আলোর সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এই তথ্য দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান বিকাশ ভর্মা। বিকাশ ভর্মা আরও জানান, নাইজেরিয়ায় এক কোটি ৩০ লাখ লোক স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সেবা ও আর্থিক লেনদেন করছেন। আর এই স্মার্টকার্ড তৈরি করে দিয়েছে মাস্টার কার্ড। জনাব ভর্মা বলেন, এই কার্ডের মাধ্যমে যেকোনো লাইসেন্স, রেশন, সামাজিক নিরাপত্তাসুবিধাসহ বিভিন্ন সেবা পাচ্ছেন নাইজেরিয়াবাসী। এতে নাইজেরিয়াবাসীর আর্থিক লেনদেন আরও সহজ হয়েছে। বিকাশ ভর্মার মতে, বাংলাদেশেও এই ধরনের সেবা দেওয়া সম্ভব হলে লেনদেন আরও সহজ হবে। একজন স্মার্টকার্ডধারী তাঁর হিসাবের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন, আবার সরকারি সব সেবার অর্থও পেয়ে যাবেন। এতে সরকারি সুবিধাভোগের ক্ষেত্রে লুটপাট বন্ধ হয়ে যাবে। জাতীয় পরিচয়পত্র হিসেবেও এই স্মার্টকার্ড ব্যবহার করা যাবে। এমনকি এই কার্ড ব্যাংকের এটিএম বুথ বা পয়েন্ট অব সেলে (পিওএস) ব্যবহার করা যাবে। সর্বোপরি দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে মূলধারার অর্থ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যাবে। বিকাশ আরও জানান, বাংলাদেশের ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানো যাচ্ছে। এর মধ্যে ৩ শতাংশ গ্রাহক লেনদেনের জন্য কার্ড ব্যবহার করেন। বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে নয় হাজার ৬০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ খরচ করেন ভোক্তারা। এর মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ হয় স্বয়ংক্রিয় পরিশোধ ব্যবস্থায়। বাংলাদেশকে ‘নিউ এশিয়ান টাইগার’ অভিহিত করে বিকাশ বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গড়ে ৬ শতাংশ রয়েছে।