সাধুর স্বপ্নাদেশে পাওয়া রাশি রাশি সোনার খোঁজে পরিত্যক্ত কেল্লায় খননকার্য শুরু করল এএসআই। গুপ্তধনের দর্শন পেতে জীর্ণ কেল্লার চারপাশে গ্রামবাসীদের ভীর লেগেছে। দৌণ্ডিয়া খেরা গ্রামে তাই সারাদিন ধরে ভিড় লেগেই রয়েছে। জীর্ণ কেল্লার নীচে মাটি থেকে আদৌ সোনা ওঠে কিনা, সবাই এখন তারই অপেক্ষায়।
একটা পরিত্যক্ত ভাঙা কেল্লা। সাপখোপ আর বদলোকের ভয়ে গ্রামের সচরাচর কেউ সেদিকে পা বাড়াতেন না। কিন্তু হলটা কী? সব ভিড় যে এখন সেখানেই। ভিড় হবে নাই বা কেন। একে পুরনো কেল্লা। তাতে আবার গুপ্তধনের গন্ধ। সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে এক সাধুবাবার স্বপ্ন। রহস্যগল্পের সব টানটান উপাদানই এখানে হাজির।
এসবের সৌজন্যে শোভন সরকার নামে এক সাধু। তাঁর দাবি, কেল্লার নীচেই রয়েছে এক হাজার টন সোনা। কী করে জানলেন তিনি? সিপাহি বিদ্রোহের সময় দৌণ্ডিয়া খেরার রাজা ছিলেন রাও রাম বক্স সিং। বিদ্রোহের পর তাঁর মৃত্যু হয়। সাধুর দাবি, প্রয়াত রাজা রামবক্স সিংই স্বপ্নে তাঁকে গুপ্তধনের কথা জানিয়েছেন। স্থানীয় গ্রামসভার সদস্যদের সেকথা জানাতেই শুরু হয় হইচই। খবর পৌঁছায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী চরন দাস মোহন্তের কাছে। মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এলাকা পরিদর্শন করে জিওলজিক্যাল এবং আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। শুক্রবার সকালে ভাঙা কেল্লায় খনন শুরু করে এএসআই। সময়মতো পৌঁছে গিয়েছিলেন ছয়জন প্রতিনিধি। তাঁরা পৌঁছতেই গ্রামের মন্দিরে পুজোপাঠ শুরু করে দেন সাধুসন্ন্যাসীরা। এরপরই শুরু হয়ে সোনার সন্ধান। দড়ির বেড়া দিয়ে কেল্লাচত্বরে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। এক হাজার টন সোনা বলে কথা।
শুধু বাবাজিই নন। গুপ্তধনের মালিকানা দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকারও। রাজার ধন বলে কথা। তাই জল গড়িয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও। এমএল শর্মা নামে এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। আদালতের নজরদারিতে খননের দাবি জানিয়েছেন তিনি। মামলা শুনতে রাজি হয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এক মাস ধরে চলবে খনন। মাটি খোঁড়া যত গভীর হবে, ততই শৃঙ্গের দিকে এগোবে কৌতূহল।