শেয়ারবাজার :::: বাজার স্থিতিশীল করতে কিছু পরামর্শ : বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটিকে পরামর্শ দেওয়া হয় কিছু প্রতিষ্ঠান যেমন গোল্ডেন সন, আফতাব অটোমোবাইলস, নাভানা সিএনজি, বিডি থাই, সিএমসি কামাল, বিডি কম, পিপলস লিজিং, ওশান কনটেইনার, কেপিসিএল, ফাইন ফুডস, এমবি ফার্মা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ দুই থেকে তিন বছরের আর্থিক বিবরণী পুনর্মূূল্যায়ন করা উচিত। এ ক্ষেত্রে এসব কম্পানি মার্কেট থেকে আসলে কত টাকা উঠিয়েছে, সঠিকভাবে সেটা প্রকাশ করেছে কি না এবং সেই অর্থ তারা যথার্থ খাতে ব্যবহার করেছিল কি না; আর্নিং পার শেয়ার অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছিল কি না, এদের আয়ের উৎস কী ছিল_এগুলো খতিয়ে দেখা দরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক আরো বলে, আর্থিক খাতের তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকা দরকার যাতে তারা সমন্বিতভাবে তদারকি নিশ্চিত করতে পারে। সামগ্রিকভাবেই এসইসিকে শক্তিশালী করা দরকার, যাতে সংস্থাটি পুঁজিবাজারে কার্যকর তদারকি প্রতিষ্ঠা করতে পারে। মার্জিন রুল ১৯৯৯ সংশোধন প্রয়োজন এবং এসইসি লোন-মার্জিন রেশিও নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত হবে না। স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য লোন-মার্জিন রেশিও পৃথক করা দরকার। ব্যাংকিং কম্পানি অ্যাক্ট ১৯৯১-এর ২৬-এর ২ ধারার সংশোধন দরকার। ব্যাংকের শেয়ার ধারণের পরিমাণ টায়ার-১ মূলধনের ভিত্তিতেই নির্ধারণ করা উচিত। শেয়ার ধারণ এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুনের ব্যত্যয় ঘটলে ব্যাংকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান ব্যাংক কম্পানি আইনে থাকা উচিত। জরুরি ভিত্তিতে হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে কারচুপি রোধে জাতীয় অ্যাকাউন্টিং ওভারসাইড বোর্ড গঠন করা প্রয়োজন। ইনসাইডার ট্রেডিং বন্ধ করার জন্য ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের ডি-মিউটালাইজেশন দ্রুত করা প্রয়োজন।