ক্ষতিগ্রস্ত চামড়া ঠিক করুন নিমিষে- Burnt Skin repairing system discovered

প্রোটিন থেকে এমন এক চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে আগুনে পুড়ে ও রাসায়নিক কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রোগীর ত্বক ও মাংসপেশির দ্রুত আরোগ্য সম্ভব। স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১০ সালে পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বোচ্চ সম্মাননা 'বেয়ার ইনোভেটর্স' পুরস্কার। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি মূল্যবান বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উদ্ভাবনের আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব রয়েছে ড. আজম আলীর নামে। এখন নিউজিল্যান্ড সরকারের 'ন্যাশনাল সায়েন্স চ্যালেঞ্জ প্রোগ্রাম'-এ কাজ করছেন এই বিজ্ঞানী। তাঁকে নিয়েই আজকের স্পটলাইটলেখা ও সাক্ষাৎকার : সাকিব সিকান্দার নতুন ক্লাসের কড়কড়ে ভাঁজহীন সব বইয়ের মধ্যে বিজ্ঞান বইগুলো খুব দ্রুতই মলিন হয়ে যেত আজম আলীর। 'বিশেষ জ্ঞান'-এর বিস্ময়কর বিষয়গুলো জানার নেশায় সময় কাটত তাঁর। তাই সে শহরে গিয়ে লাইব্রেরিতে বিজ্ঞানবিষয়ক বই সংগ্রহে ব্যস্ত থাকত। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার অত্যাচারে অতিষ্ঠ থাকতেন মা। আর এসব কাণ্ড-কারখানা দেখে ছেলের নামের সঙ্গে 'ক্ষুদে বিজ্ঞানী'র তকমাটা জুড়ে দিয়েছিলেন বাবা এবং বলতেন, দেখো একদিন তোমার এই ছেলে বড় বিজ্ঞানী হবে। তখন কে জানত, একদিন সত্যি সত্যিই পৃথিবীর খ্যাতিমান বিজ্ঞানীদের তালিকায় লেখা হবে সেই বিজ্ঞানপাগল ছেলেটির নাম! বিশ্বের বিজ্ঞানী মহলে আজ পরিচিত নাম ড. আজম আলী। চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি অংশকে বহুদূর এগিয়ে নিয়েছেন জৈবরসায়নের এই জাদুকর। আজম আলীর উদ্ভাবন নিউজিল্যান্ডের ভেড়ার লোমে এক ধরনের প্রোটিন রয়েছে। এই প্রোটিনকে বলে কেরোটিন। এটিকে কাজে লাগিয়ে ক্ষত নিরাময়ের প্রযুক্তি ও ওষুধ উদ্ভাবন করেন ড. আজম। প্রথমে তিনি ভেড়ার লোম থেকে কেরোটিন নামের এ প্রোটিনকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন ধরনের এবং ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের জৈব প্রোটিন তৈরি করেন। উদ্ভাবিত নতুন এ পদার্থের চরিত্র ও আচরণ সম্পূর্ণ মৌলিক। এর ওপর বিজ্ঞানের আরো কিছু পরীক্ষা ফলিয়ে তৈরি করেন ক্ষতের চিকিৎসার সেই প্রযুক্তি ও ওষুধ। এসিডে ঝলসে যাওয়ায় বা আগুনে পুড়ে মানুষের চামড়ায় যে মারাত্মক ক্ষত হয়, তার ওষুধ হিসেবে এত দিন যে ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হতো, ড. আজম আলীর ওষুধটি কাজ করে তার চেয়ে ৪০ গুণ দ্রুত। এ ছাড়া প্রচলিত ওষুধ তৈরি হয় মানুষ বা শূকরের কোলাজেন বা চর্বি থেকে, যা অনেক দেশেই ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। ড. আজমের ওষুধটি চামড়ার টিস্যুর সঙ্গে এমনভাবে কাজ করে যে তা অতি দ্রুত টিস্যুকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়। টিস্যু ছাড়াও মাংসপেশির একই ধরনের জখমে এই বিশেষ জৈব প্রোটিন চামড়ার বিক্ষত চেহারাটিকে আগের মতোই করে দেয়। অন্যদিকে প্রচলিত ওষুধ শুধু ক্ষতের উপরিভাগ নিরাময় করে। ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু বা চামড়ার অন্য অংশ আগের সৌন্দর্য সহজে ফিরে পায় না। ড. আজমের উদ্ভাবিত এ ধরনের দুটি প্রযুক্তি ও ওষুধ ইতিমধ্যে আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ গোটা ইউরোপে নিজ নিজ দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিভাগের স্বীকৃতি পেয়েছে। এ ছাড়া মানুুষের হাড় প্রতিস্থাপন বা জোড়া লাগানোর জন্য আজম আলীর গবেষণালব্ধ কিছু উদ্ভাবন পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এখানেও তাঁর জাদুকরী উদ্ভাবন দেখার অপেক্ষায় রয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞান। জৈবরসায়ন বিশেষজ্ঞ আজম আলী জৈবরসায়নবিদ। বিভিন্ন জৈবিক পদার্থ থেকে মানুষের চিকিৎসাসহ নানা কাজে প্রয়োজনীয় নতুন পদার্থ উদ্ভাবনে সিদ্ধহস্ত তিনি। তাঁর কাজের পরিধিতে রয়েছে বায়োপলিমার এবং প্রোটিন কেমিস্ট্রি, পলিমার ও ম্যাটারিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োম্যাটারিয়ালস, ন্যানোবিজ্ঞান, ন্যানোপ্রযুক্তি ইত্যাদি। চিকিৎসার নানা জৈবযন্ত্রপাতি তৈরি, বায়োসেন্সর এবং বায়োম্যাটারিয়ালস ও বায়োলজিকের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ, চরিত্রগত পরিবর্তন, নতুন বৈশিষ্ট্য প্রদান এবং নিয়মিত মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করেন তিনি। পাশাপাশি ম্যাটারিয়ালস এবং বায়োম্যাটারিয়ালসের চরিত্রগত ভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রদানসহ এসব বিষয়ে বৃহৎ পরিসরে প্রকল্প তৈরি, অবকাঠামো গড়ে তোলা, যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা এবং নেতৃত্ব প্রদান করে থাকেন ড. আজম। যে জীবন গবেষকের বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব ওটাগোর ডানেডিন ক্যাম্পাসে কাজ করছেন ড. আজম। এর আগে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান গবেষণামূলক সরকারি প্রতিষ্ঠান ক্রাউন রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (এজি রিসার্চ) কাজ করেছেন। ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর। এজি রিসার্চ ছাড়ার আগে তিনি জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে বায়োম্যাটারিয়াল এবং ন্যানোটেকনোলজি বিভাগের বিজ্ঞানী দলের প্রধান পদে দায়িত্বরত ছিলেন। ২০০৩ থেকে ২০০৭-এর জানুয়ারি পর্যন্ত উল রিসার্চ অর্গানাইজেশনে জৈবরসায়নের বায়োম্যাটারিয়ালস নিয়ে গবেষণা দলের প্রধান হয়ে কাজ করেছেন। পিএইচডি শেষ করেই ২০০০ সালে পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ ফেলো হিসেবে যোগ দেন পোহাং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে। একই বছরের অক্টোবরে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনায় রসায়ন বিভাগের পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে গবেষণা শুরু করেন এবং ২০০৩-এর জুলাই পর্যন্ত কাজ করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ন্যানোফটোরেজিস্ট সিনথেসিস, ফটোলিথোগ্রাফি, পলিমার বা বায়োপলিমেরিক বায়োম্যাটারিয়ালসের উন্নয়ন, টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাটারিয়ালস এবং বায়োম্যাটারিয়ালের চরিত্র নির্ণয় এবং এগুলোর নতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে জটিল সব গবেষণা করেন। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার পাম অয়েল বোর্ড, জাপানের জায়েরি (জেএইআরআই), দক্ষিণ কোরিয়ার পোসটেকে (পিওএসটিইসিএইচ) কাজ করেছেন এই বিজ্ঞানী। 'বেয়ার ইনোভেটর্স' ও অন্যান্য সম্মাননা ২০১০ সালের ২৪ আগস্ট নিউজিল্যান্ডের এজি রিসার্চে কর্মরত থাকাকালীন বিখ্যাত 'বেয়ার ইনোভেটর্স' পুরস্কারে ভূষিত হন ড. আজম। বিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে অত্যন্ত সম্মানজনক একটি পুরস্কার এটি। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এজি রিসার্চের ফুড ও টেক্সটাইল বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার এবং তাঁরই এক সহকর্মী বলেন, 'মানুষের কল্যাণে আজমের বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও আবিষ্কার এ পৃথিবীতে অতুলনীয়। তাঁর গবেষণা পদ্ধতি এবং এর সুফল প্রমাণ করেছে, বিজ্ঞান শুধু মানুষের উপকারেই নয়; বরং একটি দেশের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রও গতিশীল করতে পারে। তাঁর এ উদ্ভাবনে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে নিউজিল্যান্ডের উলশিল্পটি।' নিজের কাজের জন্য পেয়েছেন অনেক সম্মাননা। এর মধ্যে ২০০৩ সালে এনসিবিসি (ইউএস) রিসার্চ ফেলোশিপ, ২০০১ সালে ডিওডি (ইউএস) রিসার্চ ফেলোশিপ, ২০০০ সালে ব্রেইন কোরিয়া কে-২০ ফেলোশিপ, ১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়ান প্রাইমারি ইন্ডাস্ট্রি সিলভার মেডেল, ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ড ফেলোশিপ এবং ১৯৮৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর চ্যান্সেলর স্কলারশিপের অধিকারী তিনি। পাশাপাশি চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁর গবেষণালব্ধ লেখাগুলো বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বিজ্ঞানী হিসেবে যুক্ত হয়েছেন অনেক আন্তর্জাতিক সংগঠনে। অস্ট্রেলিয়ান সোসাইটি ফর বায়োম্যাটারিয়ালস অ্যান্ড টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং, নিউজিল্যান্ড কন্ট্রোলড রিলিজ সোসাইটি, ক্যান্টাবুরি মেডিক্যাল রিসার্চ সোসাইটি, অস্ট্রেলিয়ান পলিমার সোসাইটি, আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির সদস্য তিনি। দিনাজপুর থেকে নিউজিল্যান্ড আজম আলীর জন্ম ১৯৬৭ সালের এপ্রিলে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জের বন্ধুগাঁয়ে। বাবা আবদুল জলিল চৌধুরী পেশায় ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। স্কুলে শিক্ষকতাও করেছেন তিনি। মা শরিফা বেগম গৃহিণী। বন্ধুগাঁয়ের আলো-বাতাসেই বড় হয়েছেন আজম আলী। একমাত্র আজম আলী ছাড়া সাত ভাই ও দুই বোনের সবাই এখন দিনাজপুরে আছেন। তিন ভাই সরকারি কর্মকর্তা, দুই ভাই শিক্ষক, এক ভাই ব্যবসায়ী আরেক ভাই কৃষিজীবী। সেতাবগঞ্জ পাইলট হাই স্কুল থেকে ১৯৮২ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগ নিয়ে মাধ্যমিক পাস করেছেন আজম আলী। পরে দিনাজপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। উচ্চ মাধ্যমিকেও প্রিয় বিজ্ঞান শাখা থেকে প্রথম বিভাগ পান। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন রসায়নে। এখান থেকেই ১৯৮৯ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৯১ সালে স্নাতকোত্তর পাস করেন প্রথম বিভাগ নিয়ে। মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি সেইনস মালয়েশিয়া থেকে পলিমার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ন্যানোটেকনোলজি বিষয় নিয়ে পিএইচডি করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে আজম আলী পরিবার নিয়ে বাস করছেন নিউজিল্যান্ডে। আছেন ১০ বছর ধরে। এর আগে পেশাগত কারণে ছিলেন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুত্তরাষ্ট্রে। স্ত্রী নার্গিস আজম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী। নার্গিস আজম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর করেছেন। যুক্ত ছিলেন ইউনিসেফের সঙ্গে। এখন কাজ করছেন নিউজিল্যান্ডে কমিউনিটি সার্ভিস নিয়ে। তাঁদের দুই ছেলে। তাঁরাও বাবার পেশায় আসেননি। বড় ছেলে নাফিস আজম নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ক্যান্টাবুরির ছাত্র। আইন ও অর্থনীতি বিষয়ে আলাদাভাবে ডাবল ডিগ্রি করছেন। তাঁর আরেকটি পরিচয়, তিনি নিউজিল্যান্ডে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে তরুণ সমাজের অ্যাম্বাসাডর। ছোট ছেলে আসিফ আজম ইন্টারমিডিয়েট লেভেলের স্কুলছাত্র। তার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন।

অমানুষ হবার সহজ উপায়- Technology making humane inhumane

প্রযুক্তি মানবসমাজকে মানবিকতা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। বর্তমান প্রজন্মের তরুণরা প্রযুক্তিকে অমানবিক মনে করছে। মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর চিপ নির্মাতা ইন্টেল সম্প্রতি গ্রাহকদের ওপর ‘ইন্টেল ইনোভেশন ব্যারিয়ার’ শীর্ষক একটি জরিপ চালায়। জরিপে প্রযুক্তি সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের এ ধরনের মতামত উঠে আসে। খবর বিবিসির। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি করতে পারে না— এ ধরনের কার্যক্রমের তালিকা ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। বায়োনিক ম্যান থেকে শুরু করে থ্রিডি প্রিন্টার সবই প্রযুক্তির আশীর্বাদ। জীবনকে আগের তুলনায় অনেক বেশি সহজ করে দিয়েছে প্রযুক্তি। মানুষের জীবনের বড় অনেক সিদ্ধান্তই প্রযুক্তি দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। কিন্তু এ প্রযুক্তিই মানুষের মধ্যে মানবিক আচরণ হ্রাসের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বর্তমান প্রজন্মের তরুণরা। তাদের মতে, প্রযুক্তি মানুষের মধ্যে অমানবিক আচরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করছে। মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর চিপ নির্মাতা ইন্টেলের সাম্প্রতিক এক জরিপে এ ধরনের তথ্য উঠে আসে। কোম্পানিটি ব্রাজিল, চীন, ফ্রান্স, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের ১২ হাজার প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ওপর ‘ইন্টেল ইনোভেশন ব্যারিয়ার’ শীর্ষক জরিপটি পরিচালনা করে। এতে তরুণরা প্রযুক্তি সম্পর্কে অনেকটা নেতিবাচক মন্তব্য করলেও বয়স্ক গ্রাহকরা একে তাদের অন্যতম সহায় বলে মনে করছেন। এদিকে জরিপ অনুযায়ী তরুণরা আগামী সময়গুলোয় প্রযুক্তি বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন। তবে প্রযুক্তিই জীবনের সবকিছু নয় বলে মনে করছেন তারা। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬১ শতাংশ তরুণ মনে করেন, প্রযুক্তি মানুষের মধ্যে অমানবিক আচরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করছে। এদিকে ৫৯ শতাংশ তরুণ মনে করেন, বর্তমানে সমাজব্যবস্থা প্রযুক্তির ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। নৃতত্ত্ববিদ ও ইন্টেল ল্যাবের মিথস্ক্রিয়া ও অভিজ্ঞতা গবেষণা বিভাগের পরিচালক ড. জিনিভাইবে বেল বলেন, তরুণদের বক্তব্য শুনলে প্রথমে মনে হবে তারা প্রযুক্তিবিরোধী। কিন্তু পুরো ব্যাপারটাই অনেক জটিল। প্রযুক্তি সম্পর্কে তাদের মতামত একবারে অগ্রাহ্য করার মতো নয়। তবে বর্তমান প্রজন্ম যে প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে, সেটিও তারা স্বীকার করেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্ম চাচ্ছে প্রযুক্তিতে তাদের আরো প্রাধান্য দেয়া হোক। এদিকে আমরাও প্রযুক্তিকে বোঝা না বানিয়ে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গে পরিণত করতে অবিরত কাজ করে যাচ্ছি।’ জরিপে অংশগ্রহণকারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশই (৩৬ শতাংশ) মনে করেন যে, প্রযুক্তিকে তাদের প্রয়োজন বোঝার জন্য আরো উন্নত হতে হবে। তাদের মতে, প্রযুক্তি ব্যবস্থা, সেবা ও যন্ত্রাংশকে এমনভাবে তৈরি করা উচিত, যাতে করে তারা সময় উপযোগীভাবে তাদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়। তরুণরা প্রযুক্তির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অসন্তুষ্ট হলেও তারা ভবিষ্যতে একে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করতে আগ্রহী। এমনকি তারা মনে করেন, আগামী সময়গুলোয় প্রযুক্তি বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সক্ষম হবে। জরিপে অংশগ্রহণকারী তরুণদের ৫৭ শতাংশ মনে করেন, প্রযুক্তি আগামী সময়ে শিক্ষা খাতের উন্নয়নে যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ৫২ শতাংশ মনে করেন, প্রযুক্তি আগামী সময়ে যোগাযোগ খাতে ভূমিকা রাখবে ও ৪৯ শতাংশ মনে করেন, এটি আগামী সময়গুলোয় স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে প্রযুক্তি ব্যবহারে তরুণদের তুলনায় বয়স্কদের আগ্রহ তুলনামূলক বেশি বলে জরিপের প্রতিবেদনে জানানো হয়। বিশ্বজুড়ে ৪৫ বছরোর্ধ্ব নারীরা মনে করে, বর্তমানে মানুষ প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করছে না। তাদের মতে, জীবনকে উন্নত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার আরো বৃদ্ধি করা উচিত। বয়স্করা প্রযুক্তিকে তাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন। তাদের মতে, প্রযুক্তিই এখন তাদের অন্যতম সহায়। প্রযুক্তি দিয়ে বয়োবৃদ্ধরা এখন তাদের যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হচ্ছেন বলে জানান। তাদের মতে, প্রযুক্তি মানুষকে আরো বেশি মানবিক করে তুলছে। এর মাধ্যমে বয়স্করা তাদের আপনজনের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করতে পারছেন। ফলে সামাজিক যোগযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেকোনো সম্পর্কের বাঁধন আরো দৃঢ় হয় বলেও জরিপে অংশগ্রহণকারী বয়স্ক গ্রাহকরা মন্তব্য করেছেন। উদীয়মান বাজারগুলোয় প্রযুক্তি প্রভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতি বয়স্কদের আগ্রহ একই হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা যে পরিমাণে প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, তাকে পর্যাপ্ত বলে মেনে নিতে নারাজ ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বের গ্রাহকরা। চীনের এ বয়সী ৭০ শতাংশ নারীই মনে করেন, প্রয়োজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে না। চীন ব্রাজিল, ভারত, ইন্দোনেশিয়ার অধিকাংশ বয়স্ক গ্রাহক মনে করে, প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নকে আরো ত্বরান্বিত করবে। আগামীতে প্রযুক্তির পর্যাপ্ত ব্যবহার ও প্রয়োগ করা হলে শিক্ষা খাতে উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে ৬৬ শতাংশ, যোগাযোগ খাতে ৫৮, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ৫৭ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে ৫৬ শতাংশ। ব্যক্তি উন্নয়নে বয়স্করা ব্যক্তিগোপনীয়তা বিসর্জন দিতেও রাজি রয়েছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৬ শতাংশ বয়স্ক গ্রাহক বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহারে আগ্রহী, যা তাদের বিভিন্ন অভ্যাস নিরূপণ করবে। ৭৭ শতাংশ স্মার্ট শৌচাগার ব্যবহারে আগ্রহী। তারা মনে করেন, স্মার্ট শৌচাগার তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিভিন্ন জরুরি তথ্য সরবরাহ করবে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তিকে সবসময় সব বয়সী গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে হয়। তরুণদের প্রযুক্তি খাতে আগ্রহী করতে ও বয়স্কদের ধরে রাখতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো অবিরত কাজ করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিশ্লেষকরা। - See more at: http://bonikbarta.com/telecom-and-technology/2013/10/19/19432#sthash.MWezAejn.dpuf

কাল শেয়ার বাজারে কি হবে?


           যথারিতি কাল রবিবার শেয়ারবাজার  শুরু হবে। এখন দেখার অপেক্ষা কি ঘটে। নিচের কমেন্ট বক্সে, আপনার কি মনে হয় আগামিকালের বাজার কেমন হবে, তা লিখুন। ১৫ টি কমেণ্ট লিখে জিতে নিন এই সাইটে নিউজ এডিটর হবার সুযোগ...

বিধিনিষেধ বেশি তো আপনি গাধা ও আপনার বস ফকির- Excess Rules makes Stupid

কর্মক্ষেত্র বা অফিসে ‘এটা করা যাবে না, ওটা বলা যাবে না’ ইত্যাদি নিষেধাজ্ঞা পালনে বাধ্য করা হলে কর্মীদের সাফল্যের সম্ভাবনা কমে যায়। মার্কিন গবেষকেরা এমনটিই দাবি করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের যৌথ এক গবেষণা অনুযায়ী, অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপের কারণে অফিসের একজন কর্মীর মৌলিক দক্ষতা ও সামর্থ্য, বুদ্ধিমত্তা ও শারীরিক সুস্থতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। পরিণামে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষতির আশঙ্কাই বেড়ে যায়। এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ক্ল্যাটন ক্রিশার। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে চারপাশে বৈচিত্র্য তৈরি করতে হবে। বাঁধাধরা নিয়মকানুনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বড় ধরনের সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়।

কারেন্টের বাতি দিয়ে ইন্টারনেট চালান- Lai fai wi-fi from electric light

বৈদ্যুতিক বাতি থেকে দ্রুতগতির ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক তৈরির দ্বারপ্রান্তে চীনা গবেষকেরা। এ পদ্ধতিটিকে গবেষকেরা বলছেন ‘লাই-ফাই’। গবেষকেদের দাবি, লাই-ফাই পদ্ধতিতে প্রচলিত ওয়াই-ফাই পদ্ধতির চেয়ে ১০ গুণ দ্রুতগতিতে তথ্য স্থানান্তর করা সম্ভব। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। লাইট এমিটিং ডায়োড বা এলইডি বাতি ব্যবহার করে তথ্য স্থানান্তরের পদ্ধতিটি গত দুই বছর ধরে আলোচনায় রয়েছে। এর আগে জার্মান গবেষকেরা দাবি করেছিলেন যে, লাইট এমিটিং ডায়োড বা এলইডি ব্যবহার করে তাঁরা প্রতি সেকেন্ডে ৮০০ মেগাবিট গতিতে তথ্য স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন। এ পদ্ধতিতে এলইডি ব্যবহার করে ডিজিটাল তথ্যের সংকেত পাঠানো হয়। একটি লাইট সেন্সর এলইডি থেকে পাঠানো তথ্য শনাক্ত করতে পারে, যা পরে কম্পিউটারে প্রসেসিং করা সম্ভব হয়। গবেষকেরা এ পদ্ধতিটির নাম দিয়েছেন ‘লাই-ফাই’। গবেষকেরা জানিয়েছেন, লাই-ফাই ব্যবহার করে হাই-ডেফিনেশন মানের চলচ্চিত্রও এক মিনিটেই ডাউনলোড করা সম্ভব। আর বাড়ির প্রতিটি বৈদ্যুতিক বাতিকে লাই-ফাই প্রযুক্তির রাউটার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে তারবিহীন প্রযুক্তির ইন্টারনেট হিসেবে কাজ করতে পারে। এবারে চীনের ফুডান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন, সেকেন্ডে ১৫০ মেগাবিট গতিতে তথ্য স্থানান্তরের ক্ষেত্রে মাইক্রোচিপযুক্ত এলইডি বাতি কাজে লাগানো সম্ভব। এক ওয়াটের একটি বাতি কাজে লাগিয়ে চারটি কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ চালু রাখা সম্ভব বলেও গবেষকেরা মনে করছেন। লাই-ফাই প্রযুক্তি ভিজিবল লাইট কমিউনিকেশনস বা ভিএলসি নামেও পরিচিত। এ পদ্ধতিতে প্রচলিত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির পরিবর্তে লাইট ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা হয়। গবেষকেদের দাবি, এ পদ্ধতির নেটওয়ার্ক হবে নিরাপদ ও অর্থ সাশ্রয়ী। গবেষকেরা বলছেন, লাই-ফাই প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় মাইক্রোচিপ উন্নয়ন ও নকশার ক্ষেত্রে আরও উন্নতি করতে হবে। তাই শিগগিরই এ প্রযুক্তি হাতের নাগালে আসছে না। তবে নভেম্বর মাস নাগাদ চীনের শিল্প মেলায় ‘লাই-ফাই’ যন্ত্র পরীক্ষামূলক প্রদর্শন করতে পারে চীনা গবেষকেরা।

বড়লোক হবার সঠিক পদ্ধতিগুলো

অর্থই যেনো অনর্থের মূল কারণ না হয় সেজন্য টাকা-পয়সা সঠিকভাবে ব্যবহারের কিছু পদ্ধতি রয়েছে। জীবনে টাকা-পয়সার সর্বাধিক সুষ্ঠু ব্যবহার কী হতে পারে সে সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। উন্নত দেশগুলোতে অর্থের যথার্থ ব্যবহারের শিক্ষাদান শিশুকাল থেকেই শুরু করা হয়। সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যত গড়তে প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত এ পদ্ধতি অনুসরণ করা। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বেস্ট সেলার এমনই একটি বই 'গেট আ ফিনানসিয়াল লাইফ'। এর লেখক বেথ কবলাইনার সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ। তাছাড়া ইউএস প্রেসিডেন্টের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তিনি। তাঁর অপর একটি বই 'মানি অ্যাজ ইউ গ্রো' থেকে আপনারা সন্তানের বয়েসের ভিত্তিতে অর্থের ব্যবহার সংক্রান্ত নানা বাস্তবমুখী উপদেশ পাবেন। অর্থের ব্যবহার সংক্রান্ত শিক্ষা নানা বয়েসে ভিন্নমুখী হয়ে থাকে। আপনাদের জন্য গবেষকদের কিছু শিক্ষা এখানে তুলে ধরা হল। আশা করি জীবনের অতিব জরুরি এই টাকা-পয়সার সঠিক ব্যবহার সম্বন্ধে আপনার সন্তানকে সচেতন করতে সাহায্য করবে এই প্রতিবেদন। কবলাইনারের মতে অর্থ জমানো এবং খরচের শিক্ষা মাত্র তিন বছর বয়েস থেকেই শিশুরা পেতে পারে। ব্রিটেনের মানি অ্যাডভাইস সার্ভিসের তত্ত্বাবধানে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের গবেষণায় দেখা গেছে, সাত বছর বয়েস থেকেই মানুষের অর্থ সংক্রান্ত যাবতীয় অভ্যাস গড়ে উঠতে থাকে। কাজেই যতো দ্রুত আপনার সন্তান এসব শিক্ষা পাবে, সে ততো দ্রুত অর্থের ফলপ্রসূ ব্যবহার ঘটাতে পারদর্শী হয়ে উঠবে। বয়স যখন ৩ থেকে ৫ বছর: এ বয়েসী শিশুদের মূল শিক্ষাটি হল- 'তুমি যা কিনতে চাও তার জন্যে তোমাকে অপেক্ষা করতে হতে পারে'। কবলাইনারের মতে, এ শিক্ষাটি সব বয়েসী মানুষের জন্যই বাস্তবতা। শিশুদের বোঝাতে হবে যে, সে যা চায় তার জন্য কিছু সময় ব্যয় করতে হবে। কারণ প্রয়োজনীয় টাকা তার জমাতে হবে। এর মাধ্যমে অপেক্ষা করে পরিতৃপ্তি লাভের মতো বড় একটি গুণ শিশুরা অর্জন করে। আবার তারা এ শিক্ষাটিও পায় যে, কোনো কিছু এতো দ্রুত শুরু করতে নেই। আপনার করণীয়: ১. প্রথম কাজটি হবে তাকে বোঝানো। শিশুটি কোনো কিছু চাইলে তাকে সুন্দরভাবে বোঝান যে, জিনিসটি পেতে হলে তাকে টাকা জমাতে হবে এবং এ জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। ২. আপনার শিশুকে টাকা জমানোর জন্য তিনটি মাটির ব্যাংক কিনে দিন। একটিতে লিখা থাকবে 'জমা', আরেকটিতে 'খরচ' এবং অন্যটিতে 'অংশগ্রহণ'। তাকে বোঝান, বড় কিছু কিনতে চাইলে জমার ব্যাংকটিতে টাকা রাখতে হবে। আর সব সময় ছোট কেনাকাটা যেমন- চকোলেট বা জুস ইত্যাদি কেনার জন্য খরচের ব্যাংকে টাকা থাকবে। আর বন্ধুদের সাথে কিছু কিনতে হলে বা সবাই মিলে একসাথে কিছু করতে অংশগ্রহণের ব্যাংকে টাকা রাখতে হবে। ৩. এমন কিছু সে দাবি করতে পারে যা কেনার সাধ্য তার নেই বা আপনারও সে পরিমাণ অর্থের যোগান দেয়া সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে তা কিনতে হলে তাকে ওই পরিমাণ অর্থ জমাতে হবে। এজন্য হয়তো অনেক সময় লেগে যাবে। তার সাথে কথা বলে আপনারা ঠিক করুন, অন্য কিছু কেনা যায় কিনা। কারণ সময়ক্ষেপণের বিষয়টি বেশি লম্বা করাটা উচিত নয়। নিজের জমানো টাকায় কেনা সম্ভব নয় দেখলে তার নিজেরও মত পরিবর্তন হতে পারে। আর জমানো সম্ভব হলে আপনার সন্তানের পরিতৃপ্তি হবে দেখার মতো। বয়স যখন ৬ থেকে ১০ বছর: এ বয়েসীদের মূল শিক্ষাটি হল- 'তোমাকে ঠিক করতে হবে যে, কিভাবে টাকাটা খরচ করতে চাও'। সন্তানকে বোঝান, টাকার পরিমাণ সীমিত। কাজেই এই টাকা খরচ করতে হবে চিন্তা-ভাবনা করে। কারণ একবার খরচ করে ফেললে পরবর্তি খরচের জন্য টাকা থাকবে না। এ বয়েসীদের ওই তিনটি ব্যাংকে টাকা জমানোর সাথে আপনাকে পরামর্শকের ভূমিকায় থাকতে হবে বলে মনে করেন কবলাইনার। এ সময় জমা, খরচ এবং অংশীদার ব্যাংকে টাকা জমানোর জন্য সন্তানের নির্দিষ্ট লক্ষ্য জুড়ে দিতে হবে। এসব নিয়ে আপনি তার সাথে আলোচনা করবেন। তাছাড়া এখন কিছুটা বড় ধরনের অর্থ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তাকে জড়াতে হবে। আপনার করণীয়: ১. কিছু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে তার সাথে কথা বলুন। যেমন- জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের একটি জুস কিনতে গেলে ৫ টাকা বেশি খরচ হয়। কিন্তু একই স্বাদের অন্য জুস কিনলে এ টাকাটা বেঁচে যাবে। কাজেই কোনটা করলে ভাল হবে? এ প্রশ্নটি নিয়ে আলাপ করুন। অথবা প্রতিদিন কিনতে হচ্ছে এমন একটি জিনিস একটি করে না কিনে একবারে বেশি পরিমাণে কিনলে ক্রয়মূল্য কম পড়বে- এমন হিসাব সম্পর্কে তাকে ধারণা দিন। ২. মার্কেটে গেলে তার হাতে অল্প কিছু টাকা ধরিয়ে দিন। ধরুন ৫০ টাকা দিয়ে তাকে বলুন তার যা খেতে ইচ্ছা করছে তা এই টাকার মধ্যে কিনতে। এতে করে সে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত হবে। ৩. শপিংয়ে গেলে কেনাকাটার ফাঁকে নানা প্রশ্ন করে তার জবাবটি শুনুন। যেমন- এ জিনিসটি কি আসলেও কেনার প্রয়োজন আছে? এটা না কিনে ধার করা যায় না? অন্য কোথাও কি এটা কম দামে পাওয়া যেতে পারে? ইত্যাদি প্রশ্ন তার মধ্যে নানামুখী উপায় নিয়ে চিন্তা করতে শেখাবে। বয়স যখন ১১ থেকে ১৩: মূল শিক্ষাটি হল- 'তুমি যতো দ্রুত টাকা জমাতে পারবে, তোমার বিভিন্ন চাহিদা মেটানোর জন্য ততো দ্রুত টাকা তৈরি থাকবে'। এ বয়েসে তাকে টাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সম্পর্কে জ্ঞান দিন। তাকে কমপাউন্ড ইন্টারেস্ট নিয়ে বোঝান। তার এখনকার জমানো এবং আগের জমানো একসাথে হয়ে কি ধরনের লাভ হচ্ছে তার ধারণা দিন। আপনার করণীয়: ১. কম্পাউন্ড ইন্টারেস্ট সম্পর্কে বোঝাতে গাণিতিক উদাহরণ টানুন। যেমন- যদি তুমি ১৫ বছর বয়েস থেকে প্রতি মাসে ১০০ টাকা জমাও, তাহলে তোমার ৫০ বছর বয়েসে মোট ৪২ হাজার হবে। আর যদি এ টাকা তুমি ৩০ বছর বয়েস থেকে জমানো শুরু করো তাহলে মাত্র ২৪ হাজার টাকা জমবে। ২. ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট এবং এর থেকে বাড়তি আয়ের বিষয়টি তার ধারণায় দিন। তবে সুদ সংক্রান্ত বিষয়ের সাথে ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও তাকে অবগত করা উচিত। ৩. কবলাইনারের মতে, এ বয়েসে ছেলে-মেয়েরা পছন্দের জিনিস কিনতে চায়। এ ক্ষেত্রে তাদের বড় কিছু করতে ছোট কিছু ত্যাগ করার শিক্ষা দিন। যেমন- সে যদি স্কুল থেকে বের হয়ে প্রতিদিন একটি করে চিপস খায়, তবে তাকে হিসেব দিয়ে বুঝিয়ে দিন যে এই চিটসের টাকা জমিয়ে সে কিছু দিন পর বড় একটি জিনিস কিনতে পারবে। বয়স যখন ১৪ থেকে ১৮ বছর: এ বয়েসের মূল শিক্ষাটি হল- 'কোন খাতে খরচ করলে তার বিপরীতে কী আসতে পারে'। ধরুন সে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যাচ্ছে। তার পছন্দের কোনো বিষয়ে পড়ার খরচ নিয়ে আলোচনা করুন। তাকে বোঝান, আগ্রহের সাথে তাল মিলিয়ে কোন বিষয় নিয়ে পড়লে কত টাকা খরচ হবে এবং ওই বিষয় নিয়ে পড়ে সে ভবিষ্যতে কতো টাকা উপার্জন করতে পারবে। তবে তার ইচ্ছাকে নিরুৎসাহিত করবেন না। এ সময় তাকে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম কাজের উৎসাহ দিন। সেখান থেকে তার উপার্জন হবে। এর সাহায্যে সে তার লিখা-পড়ার জন্যে কিছু করতে পারবে। তবে শুধুমাত্র পড়াশোনার ক্ষতি না করে এসব কাজ চালানো যেতে পারে। বয়স যখন ১৮ বছরের বেশি: মূল শিক্ষাটি এমন- 'তোমার একটি ক্রেডিট কার্ড থাকতে পারে যদি মাস শেষে ঠিকমতো টাকা জমা দিতে পারো'। পার্টটাইম চাকরি থেকে উপার্জিত টাকা ব্যবহারে তার কিছু ভাল অভ্যাস গড়ে উঠবে। তাছাড়া এখন তার একটি ভাল চাকরি থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার সাথে নিজের টাকার সদ্ব্যবহার করতে শিখবে সে। এর মাধ্যমে জরুরি অবস্থায় টাকার প্রয়োজন যেমন মিটবে, তেমনি এই উৎসকে সুষ্ঠু উপায়ে ধরে রাখার অভ্যাস তাকে আরো বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল করে তুলবে।

বিবস্ত্র এক কলেজছাত্রীর ভিডিওচিত্র - Collage Student Suicide after the sex tap published


অপহরণের পর নির্যাতন চালিয়ে বিবস্ত্র করে এক কলেজছাত্রীর ভিডিওচিত্র ধারণ করার গ্লানি সইতে না পেরে ঈদের দুই দিন আগে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ। গত সোমবার রাতে পুলিশ ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিনকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ছাত্রীর বাবা কালের কণ্ঠকে জানান, তিনি ও তাঁর স্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে কাজ করেন এবং পাশেই কোয়ার্টারে থাকেন। গত সোমবার তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হাসপাতালে চলে যান। বিকেলে বাসায় ফিরে দেখেন দরজা-জানালা বন্ধ। পরে তাঁরা দরজা ভেঙে দেখেন রুমের ভেতর মেয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যাতে লেখা ছিল_'আমার এই মৃত্যুর জন্য একমাত্র গিয়াস উদ্দিন দায়ী।' স্বজনদের অভিযোগ, ধানমণ্ডি নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ অ্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচএসসি মানবিক শাখার দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীকে গিয়াস নামের একটি ছেলে প্রায়ই বিরক্ত করত। একপর্যায়ে গিয়াস হুমকি দিয়ে বলে, তাকে বিয়ে না করলে সপরিবারে ওই ছাত্রীকে হত্যা করা হবে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। কিন্তু পুলিশ এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়নি। ফলে এর কিছুদিন পরই গিয়াস কয়েকজন সহযোগীর মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে মগবাজার এলাকায় নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায় এবং নগ্ন করে ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে নানাভাবে হুমকি দিত গিয়াস। এসব সহ্য করতে না পেরে অবশেষে আত্মহননের পথ বেছে নেয় ওই ছাত্রী। স্বজনরা এ ঘটনায় পুলিশের গাফিলতিকে দায়ী করছেন। এ দিকে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার এসআই জামাল হোসেন জানান, জিডির বিষয়ে পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল না। তারা ছেলেটিকে খুঁজে পায়নি। অন্যদিকে শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। গিয়াসকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে গিয়াসকে ধরতে সম্ভাব্য সব জায়গায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাকে ধরতে পারলে রহস্য উদ্ঘাটন হবে এবং প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে।

চোখের ইশারাই মোবাইল কিনুন- Galuxy s4 Runs with Eyes


১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাযুক্ত স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এস-৪ এর পর আগামী বছরের জানুয়ারির দিকে ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাযুক্ত এস-৫ বাজারে আনতে পারে স্যামসাং। স্মার্টফোনের সবগুলো ফিচার ছাড়াও নতুন ফিচার হিসেবে এই ফোনে যুক্ত হতে পারে আই স্ক্যানিং সেন্সর। যার ফলে চোখের ইশারা দিয়েই চালানো যাবে এই স্মার্টফোনটি। আজ শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, গ্যালাক্সি এস-৫ এর যিনি ব্যবহারকারী শুধু তিনিই চোখের ইশারায় ফোনটি লক বা আনলক করে রাখতে পারবেন। এই ফোনটি শুধুমাত্র ব্যবহারকারীর
চোখের ইশারাই স্ক্যান করে রাখবে। আর তাই অন্য কেউ বা ফোনটি হারিয়ে গেলে কেউ সেটা ব্যবহার করতে পারবে না। এর আগে আইফোন তাদের ৫-এস ফোনটিতে সিকিউরিটি হিসেবে আঙুলের ছাপের অপশন রেখেছিল। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস-৫ এর উদ্বোধন ঘোষণা করা হতে পারে। তবে ২০১৪ সালেই যে তা সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে—সে বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়নি ওই প্রতিবেদনে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস-৫ মুঠোফোনটিতে ৬৪ বিট এইট-কোর এক্সাইনোস ৫৪৩০ প্রসেসর থাকবে। এ ছাড়া অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশনযুক্ত ১৬ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকবে এই ফোনে। কম আলো বা অন্ধকারেও এই ক্যামেরা বেশ কাজে দেবে। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস-৫ মুঠোফোনটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশকিছু গুজবও শুরু হয়ে গেছে। কেউ কেউ বলছে, এই স্মার্টফোনটি পানি ও ধুলা নিরোধক হবে এবং এটিতে বাঁকানো ও অভঙ্গুর স্ক্রিন থাকবে। তবে স্যামসাং এই স্মার্টফোনটির বাইরের অংশের জন্য ধাতুর তৈরি ঢাকনার প্যাটেন্ট করেছে। সম্প্রতি গ্যালাক্সি রাউন্ড নামে বিশ্বের প্রথম বাঁকানো স্ক্রিনের স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে স্যামসাং।