(১৮০২) ডি এস ই তে ব্রিগেডিয়ার

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের(ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পেলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অব.) জহুরুল আলম।
রোববার থেকে তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান ডিএসই’র ডিজিএম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান।
উল্লেখ্য, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জহুরুল আলম গত বছর আগস্ট মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে চিফ অপারেটিং অফিসার(সিওও) হিসাবে নিয়োগ লাভ করেন। মাত্র এক বছরের মাথায় তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার(ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব লাভ করলেন।

(১৮০১) শেয়ার কেনার সমঝোতা (এগ্রিমেন্ট) অনুমোদন

সিডিবিএলের শেয়ার কেনার ব্যাপারে সভাপতি বলেন, আমরা সিডিবিএলের ৫০ শতাংশ শেয়ার কেনার সমঝোতা (এগ্রিমেন্ট) অনুমোদন করেছি। ৬০ টাকা করে মোট ৬০ লাখ শেয়ার কেনা হবে।
প্রসঙ্গত, সিডিবিএল প্রতিষ্ঠার সময় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এই প্রতিষ্ঠানে ৩ কোটি টাকা অর্থায়ন করে। শেয়ারবাজারের আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া উত্সাহিত করার জন্য এই বিনিয়োগ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। সিডিবিএল লাভজনকভাবে পরিচালিত হলে এই বিনিয়োগ তুলে নেয়া হবে বলে তখন এডিবি জানিয়েছিল। ওই সময় সিডিবিএলে এডিবির শেয়ার সংখ্যা ছিল ৩০ লাখ। বিভিন্ন সময়ে প্রাপ্ত বোনাস শেয়ার মিলিয়ে বর্তমানে সিডিবিএলে এডিবির শেয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ। এর অর্ধেক অর্থাত্ সিএসই ৬০ লাখ শেয়ার কিনবে। বাকি ৬০ লাখ শেয়ার সিএসই কিনবে বলে জানা গেছে।

(১৮০০) আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে

‘বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য দেশের শেয়ার মার্কেটকে আন্তর্জাতিক আদলে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে এরই মধ্যে সিএসই বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সফটওয়্যার ‘নেক্সট জেনারেশন ট্রেডিং সিস্টেম’।

(১৭৯৯) এ বিষয়ে বালাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের

এ বিষয়ে বালাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তেই লাইফ ফান্ডের অর্থ বিনিয়োগ করা হয়। আমরা বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। আশা করছি, সরকার এ অলস অর্থ বিনিয়োগে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। এর ফলে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর রিটার্নও অনেক বাড়বে।’
জানা যায়, বেসরকারি খাতে ১৭টি জীবন বীমা এবং ৪৩টি সাধারণ বীমা কোম্পানি রয়েছে। এ খাতে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। ২০১০ সালে জীবন বীমা কোম্পানিগুলো ৬ হাজার কোটি টাকা এবং সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলো ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয় করেছে।
লাইফ ফান্ডের তহবিল শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যায় কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শেফাক আহমেদ বলেন, ‘করা যায়, তবে লাগামহীনভাবে অবশ্যই নয়। শেয়ারবাজারে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ সীমা ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়া আছে। সীমা অতিক্রম করে ঝুঁকিপূর্ণ বাজারে বিনিয়োগ করার বিধান নেই। কেননা এর ফলে গ্রাহকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ তিনি বলেন, তেল-গ্যাস ও আবাসন খাতের মতো উত্পাদনশীল অনেক খাত রয়েছে। এসব খাতে এ অর্থ বিনিয়োগ করা যেতে পরে।

(১৭৯৮) বিমা খতের খবর

বিনিয়োগ স্বাধীনতা না থাকায় বেসরকারি খাতের ১৭টি জীবন বীমা কোম্পানির লাইফ ফান্ডের প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে গচ্ছিত আছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর চড়া সুদের কারণে তা শিল্পায়নেও কোনো কাজে আসছে না, অলস পড়ে আছে। অথচ বিপুল পরিমাণ এ অর্থ বিভিন্ন উত্পাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।
বীমা আইন অনুযায়ী, জীবন বীমা কোম্পানিগুলোকে তাদের মোট তহবিলের ৫০ শতাংশ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে জমা রাখতে হয়। আর মোট তহবিলের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ অর্থ তারা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। অবশিষ্ট ২০শতাংশ অর্থ সরকারি বন্ডসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। বীমা আইনের এসব নীতিমালার কারণেই জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর তহবিল অলস পড়ে থাকছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বীমা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ নীতিমালার এ আইনটি ইন্স্যুরেন্স অ্যাক্ট ১৯৩৮ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। পুরনো এ আইনের কারণেই বীমা কোম্পানিগুলোর তহবিলের বহুমুখী বিনিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে বীমা কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন আইনে (বীমা আইন, ২০১০) এখনো বিনিয়োগ নীতিমালা তৈরি হয়নি। এ অবস্থায় আইনের ফাঁদে পড়ে যথেষ্ট চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্পাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।