(১৭১৮) সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ

বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব কাটিয়ে ওঠার পর নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়ছে।

গত পঞ্জিকা বছরে (২০১০) যেখানে ভারত ও পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী অনেক দেশে এফডিআই প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক, সেখানে বাংলাদেশে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় এফডিআই প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩০ শতাংশ।

‘ইউনাইটেড নেশন কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ (আঙ্কটাড)-এর ২০১১ সালের ‘বিশ¡ বিনিয়োগ প্রতিবেদন’ অনুযায়ী, ২০১০ সালে বাংলাদেশে এফডিআই এসেছে ৯১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।

এটা এর আগের পঞ্জিকা বছরের (২০০৯) তুলনায় ২১ কোটি ৩১ লাখ ডলার বেশি।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে দেশে এফডিআই প্রবাহের পরিমাণ ছিল ৭০ কোটি ২ লাখ ডলার।

এর আগের পঞ্জিকা বছরে অর্থাৎ ২০০৮ সালে দেশে এফডিআই প্রবাহের পরিমাণ ছিল ১০৮ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। এটা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

বৈশ্বিক মন্দার কারণে ২০০৯ সালে বাংলাদেশে এফডিআই প্রবাহের পরিমাণ কমে গিয়েছিল বলে আঙ্কটাড প্রতিবেদনে বলা হয়।

তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, একই কারণে আলোচ্য বছরে ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায়ও এফডিআই প্রবাহ হ্রাস পেয়েছিল।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, প্রতিবছর যে পরিমাণ এফডিআই দেশে আসে এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মুনাফা বা লভ্যাংশ হিসেবে বিদেশে চলে যায়।

বছর তিনেক আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত এক সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে, বছরওয়ারি এফডিআই প্রবাহের প্রায় ৬৫ শতাংশ-ই মুনাফা হিসেবে বাইরে চলে যায়।

খাতওয়ারি হিসেবে ২০১০ সালে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে টেলিযোগাযোগ খাতে। গত কয়েক বছর ধরেই এ খাত বৈদেশিক বিনিয়োগের শীর্ষে অবস্থান করছে। এ খাতে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৩৬ কোটি ডলার।

(১৭১৭) মতিঝিল ব্যংকপাড়া থেকে


 মতিঝিল ব্যংকপাড়া থেকে: ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে ব্যাংকগুলোতে


ছবি:কাশেম হারুন

দেখা যায় গ্রাহকদের প্রচণ্ড ভিড়। খোলার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রাহকরা লেনদেনের জন্য ব্যাংকগুলোতে ভিড় জমাতে থাকে।

তবে টাকা জমা দেওয়ার চেয়ে টাকা তোলার পরিমাণ বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। এর মধ্যে নতুন টাকার চাহিদাটাই সবচেয়ে বেশি।

রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিলের সরকারি-বেসরকারি বেশকয়েকটি ব্যাংক ঘুরে প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে অনেক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শেষ কর্মদিবসে অফিসে এসে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়েই পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে বেরিয়ে যান।

তবে বেসরকারি ব্যাংগুলোতে এ হার কম হলেও সরকারি ব্যাংকগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী দুপুরের মধ্যেই ছুটি নিয়ে চলে যান।

বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথগুলোতেও দেখা যায় গ্রাহকদের লম্বা লাইন।

(১৭১৬) প্রবাহ যৌক্তিক পর্যায়ে বাজায় রাখার স্বার্থে

শেয়ারবাজার   ::::  তারল্য প্রবাহ যৌক্তিক পর্যায়ে বাজায় রাখার স্বার্থে কমিটি মুদ্রা ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ পর্যবেক্ষণ পূর্বক প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবেন।

এছাড়া সরকারি শেয়ার অফলোড এবং অবকাঠামো উন্নয়নে তহবিল সংগ্রহের নিমিত্তে নতুন সিকিউরিটিজ ইস্যুর বিষয়ে এবং বাজার মনিটরিং ও সার্ভিইলেন্স ব্যবস্থাকে জোরদার করার জন্য কমিটি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনামূলক সুপারিশ প্রদান করবে।

এছাড়া কমিটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি ও দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত সহায়ক পুঁজিবাজার উন্নয়নে করণীয় সুপারিশ সমূহের আলোকে প্রতি বছরের শুরুতে ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করবে।

এ বিষয়ে চট্রগ্রাম স্টক এক্সজেঞ্জে এর সভাপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে স্বাভাবিক এবং বাজারকে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে এসইসি ১১ সদস্যের এ সমন্বয় কমিটি গঠন করে। এ কমিটি প্রতি দুই মাস পর পর বৈঠক করার কথা রয়েছে। কমিটির গঠন করার পর এখনও কোনো বৈঠক করা হয় নি। তবে ঈদেও পর কমিটির বৈঠক করা হবে বলে এসইসির পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে।’

(১৭১৪) এসইসির সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরই

শেয়ারবাজার   :::: এসইসির সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরই এ বৈঠক করবে এসইসি। সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও এসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এসইসির ৪ জন সদস্য, ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব, দুই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

এ কমিটির র্সাবিক দায়িত্ব পালন করবেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

এ কমিটি তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধিতে প্রতি ২ মাস অন্তর সভার আয়োজন করবে বলে জানা গেছে।

গত ৮ আগস্ট সার্বিক বাজার পরিস্থিতি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিমবিএ) এসইসিকে এ ধরনের কমিটি গঠনের সুপারিশ করে। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে এসইসি গত ১০ আগস্ট একটি সমন্বিত কমিটি গঠিত হয়। কমিটি গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বৈঠকের আযোজন করেনি।

জানা গেছে, গঠিত কমিটি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যলোচনা পূর্বক কমিটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

পাশাপাশি বাজার সম্পর্কিত পরামর্শ কমিটি কর্তৃক সুপারিশ সমূহ বাস্তাবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষ সমূহকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিবে এ কমিটি।  

(১৭১৪) মন্বিত কমিটির বৈঠক করার সিদ্ধান্ত

শেয়ারবাজার   ::::  পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীল ও স্বভাবিক করার লক্ষ্যে ঈদের পরই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) গঠিত সমন্বিত কমিটির বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

এ বৈঠকে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ, পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট মোকাবেলা, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং শেয়ার বৃদ্ধির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যলোচনা করা হবে।

শেয়ারবাজার   ::::